Thursday, 21 April 2016

বিজেপি সাম্প্রদায়িক ও দাঙ্গাবাজ পার্টি

বিজেপি সাম্প্রদায়িক ও দাঙ্গাবাজ পার্টি। তাই বিজেপিকে ভোট দেবেন না । @@@@@@ তৃণমূলের কোনো নেতা আজ পর্যন্ত দাঙ্গা লাগায়নি, একজনও না। হ্যাঁ, হয়ত তসলিমাকে তাড়ানোর জন্য ইদ্রিশ আলি কলকাতা জ্বালিয়ে টালিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল, সেটা মানা যায়, হয়ত হাজি নুরুল 2010 সালে দেগঙ্গায় তার মুসলিম ব্রিগেড নিয়ে হিন্দুদের ঘরবাড়ি ভেঙে সম্প্রীতি রক্ষা করে, হয়ত 2013 সালে আহমেদ হাসান ইমরান ক্যানিং এও সংখ্যালঘু ভাইদের নিয়ে 200-300 হিন্দু পরিবারের ওপর দুষ্টুমি করে, হয়ত 2014 সালে গিয়াসুদ্দিন মোল্লা উস্তি এলাকায় হালকার ওপর একটু তান্ডব করে, হয়ত বা নদীয়ার কালিগঞ্জ, মালদার কালিয়াচক বা বর্ধমানের সমুদ্রগড়েও তৃণমূলি সংখ্যালঘু ভাইরা ব্রাহ্মণ্যবাদী হিন্দুদের ওপর একটু আধটু চড়াও হয়, হয়ত সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য রাখার জন্য বীরভূমের কোনো এক গ্রামে তৃণমূল নেতা 4 বছর ধরে দূর্গাপুজো বন্ধ করার ফতোয়া দেয় , আবার হয়ত মগরাহাটে তৃণমূল নেতা সেলিম আর তার দলবল টুকটুকি মন্ডলকে অপহরণ করে ধর্ষণ করে, কিন্তু সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার্থে এতটুকু তো সহ্য করাই যায়। বাংলার মাটি (ভারতের মাটি নয় কিন্তু) সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মাটি, আর এই মাটিতে বিজেপি দাঙ্গা লাগাতে চায়। বিশ্বাস না হয়, সিপি এমকেই জিজ্ঞাসা করুন। 2008 সালে ওনারাই তো তসলিমাকে তাড়িয়ে বাক স্বাধীনতা বজায় রেখেছিলেন, ওনারাই তো 1989 সালে আইন করে মুঘল ও সুলতানি শাসকদের কুকীর্তি ছাপানো নিষিদ্ধ করেন, উনারাই তো ধর্মতলায় প্রকাশ্য রাস্তায় গোমাংস পার্টি দেন, কেশব ভবনের সামনে গীতা, পৈতা পোড়ান, ওনারাই তো আফজল, ইয়কুবদের ফাঁসির বিরুদ্ধে মিছিল টিছিল করেছিলেন, বড়বাজারের মোড়ে স্বস্তিক চিহ্ন পুড়িয়ে ব্রা পরে উদুম নেচেছিলেন, ক্যাম্পাসের মধ্যে "পাকিস্তান জিন্দাবাদ" , "ভারত তেরে টুকরে হোঙ্গে" স্লোগান দেন, বীজন সেতুতে আনন্দমার্গী সন্ন্যাসীদের পুড়িয়ে মেরেছিলেন - তাহলে দেখুন এই বাম গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ পার্টি কিভাবে তাদের ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রেখেছেন। আবার বলছি, বিজেপি সাম্প্রদায়িক ও দাঙ্গাবাজ পার্টি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সিপিএম ও তৃণোমুলের কোনো বিকল্প নেই। সংগৃহীত।

No comments:

Post a Comment