ঘটনা নাম্বার ১:
একটি মেয়েকে একটি ছেলে একা পেলো
দুর্বলতার সুযোগে তাকে রুমে আটকে ধর্ষণ করলো
ধর্ষিতা মেয়েটি কিছু আমজনতার সাহায্যে হসপিটালে পৌঁছালো
পরিবার জানতে পেরে ছুটে আসলো
কান্নার বন্যা বয়ে গেলো....
অতঃপর থানায় শ্লীলতাহানির মামলা করা হলো
কিছু নারীবাদী সংস্থা ও সংবাদ মাধ্যম এগিয়ে এলো
মামলাটি শক্তিশালী হয়ে যাওয়াতে ধর্ষক ধরা পড়ে গেলো
।
।
ঘটনার ফলাফলঃ
ছেলেটির... অবস্থা --- পুলিশের রিমান্ডে আধমরা হয়ে যাওয়া এবং নির্দিষ্ট বছর চৌদ্দশিকের ভিতর জীবনযাপন করা। এবং সারাজীবনের নামে ধর্ষকের সীলগালা তার নামে লেপ্টে দেওয়া।
.
মেয়েটির... অবস্থা --- কিছুটা সস্থির নিঃশ্বাস ফেলা। পরিবারের সহযোগীতায় শারীরিক ও মানসিক ভাবে পুনরায় সুস্থতা ফিরে পাওয়া।
.
.
.
ঘটনা নাম্বার ২:
একটি মেয়েকে একটি ছেলে একা পেলো
সরলতার সুযোগে এদিক সেদিক তার পিছুপিছু ঘুরঘুর করে হিরো হিরো ভাব নেওয়া শুরু করে দিলো
পাগলপ্রায় অভিনীত ছেলেটির অবস্থা দেখে একদিন মেয়েটির মনে অজান্তেই মায়া জন্মাতে শুরু করলো
অতঃপর ভালোবাসা!
দুর্বলতার সুযোগে ছেলেটি নানা কৌশলে মেয়েটিকে কাছে আনার ফন্দিফিকির শুরু করে দিলো
অতঃপর ছেলেটি কোনও একদিন সুযোগ পেয়ে মেয়েটির সতীত্ব নষ্ট করতে বাধ্য করে ফেললো
এভাবে ১..বার ২..বার একাধিক বার
মেয়েটির চিৎকার আর কান্নাগুলো থেমেছিলো
শুধুমাত্র ছেলেটির দেখানো মিথ্যে ভালোবাসা বিশ্বাসে আর মিথ্যে বিয়ের আশ্বাসে
.
অতঃপর মেয়েটি একদিন তার বান্ধবীর সাহায্যে হসপিটালে পৌঁছালো.. মেয়েটির এ্যাবোর্সন করানো হলো..!
অতঃপর মেয়েটি চোখের পানি মুছতে মুছতে ছেলেটিকে বার বার ফোনে যোগাযোগের ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে গেলো।
।
।
ঘটনার ফলাফলঃ
ছেলেটির... অবস্থা --- পুরনো নাম্বার সব বন্ধ করে দিয়ে মেয়েটির থেকে নেটওয়ার্কের বাইরে চলে গেলো। রাস্তাঘাটে দেখা হলে নানা হামকি ধামকি দিয়ে মেয়েটিকে বোবা করে দিলো।
স্বাচ্ছন্দ্য মনে নতুন করে.. হিরো হিরো ভাব নিয়ে.. স্কুল কলেজের মোরে মোরে আলাভোলা নতুন নতুন "মাল" খোজায় ব্যস্ত হয়ে গেলো !!
.
মেয়েটির... অবস্থা --- সমাজ.. পরিবার.. বন্ধুমহল.. থেকে শুধু ছিঃ ছিঃ শব্দ শুনতে শুনতে নিজের অস্তিত্বকে ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলে।
মাঝরাতে কুকুরের ঘেউ ঘেউ শব্দ শুনতে পেয়ে হঠাৎ ই যেন তার মনে হতে থাকে সে আজ সেই কুকুর গুলোর থেকেও নিকৃষ্ট কোনো এক প্রাণী!
.
.
আসলে ঘুরেফিরে কিন্তু ঘটনা দুটি একই,,, লালসা একই,,, উদ্দেশ্য একই,,, শুধু পার্থক্যটা কৌশলে।
আর শুধু এইটুক পার্থক্যতেই
একজনের জীবন জেলখেটে হয়ে যায় ঝালাপালা
আর আরেকজন জীবন কাটায় উলালা উলালা!
.
আসলে আমরা চোখের সামনে থাকা জিনিসগুলোকে বাজাতে পছন্দ করি। ঘটনার পেছনে তাকানোর সময় নেই আমাদের।
আমরা ২০০ টাকা মূল্যের সেন্ডেল চুরি হলে চোরকে ধরে পিটাইয়া আধমরা বানাতে পারি, কোনো কোনো সময় মৃত্যুও ঘটে যায়....
অথচো ক্ষমতার দাপটে কৌশলে লাখটাকা চোখের সামনে দিয়ে নিয়ে গেলেও চুপটি মেরে থাকি।
.
আমরা বাঙালী... যেখানেই সুযোগ পাই সেখানেই বাজাতে পছন্দ করি
যেখানেই ক্ষত পাই সেখানেই নুন ছেঁটাতে থাকি ।
No comments:
Post a Comment