আদি ভাষা সংস্কৃতে শপথ, চমক দিলেন আঙুরলতা ডেকা ! সর্বানন্দ সরকারের প্রথম বিধানসভা অধিবেশন শুরুর দিন ‘শো-স্টপার’ আঙুরলতাই। সংস্কৃতে শপথ নিয়ে সবাইকে চম্কে দিলেন অসমের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তথা বটদ্রবার নবনির্বাচিত বিধায়ক। চতুর্দশ অসম বিধানসভায় শপথ নেন ১২৬ জন বিধায়ক। শপথগ্রহণ পর্বে গ্ল্যামার ও চমকে শো-স্টপার কিন্তু হলেন আঙুরলতা ডেকাই। অসমীয়া ভাষায় শপথগ্রহণ পর্ব চলছিল চিরাচরিত রীতিতে। তার মধ্যেই খোঁপায় তিনটি লাল গোলাপ আর সোনালি জরির সাদা অসম সিল্ক শাড়িতে আঙুরলতা শপথ নিতে উঠলেন। অন্যদের মতো ভাবলেশহীন মুখ নয়, হাসিমুখে হাতজোড় করে রীতিমতো পুরস্কার নিতে যাওয়ার ভঙ্গিতে প্রণামও সারলেন। কিন্তু শপথ নিলেন কই! হাসিমুখে মুখ্যমন্ত্রী ও বিধানসভার প্রধান সচিব মৃগেন্দ্রকুমার ডেকার সঙ্গে ছোট্ট আলোচনা সেরে ফের নিজের আসনে ফিরে গেলেন আঙুর। নীরব বিধানসভায় তখন ছড়াল জল্পনা। ফাইল হাতড়ে একটি কাগজ হাতে শপথস্থলে মাইকের সামনে এসে দাঁড়ালেন তিনি। অস্থায়ী স্পিকার ফণীভূষণ চৌধুরী অসমীয়ায় ‘মোয়’ (আমি) বলে শপথ শুরু করান। কিন্তু ‘অহম’ বলে সংস্কৃতে শপথ নেওয়া শুরু করে তুখোড় উচ্চারণে শপথ শেষ করেন আঙুর। বিধানসভার প্রধান সচিব জানান, এই প্রথম অসম বিধানসভায় সংস্কৃতে শপথ নেওয়া হল। পরে আঙুরলতা বলেন, ‘‘স্কুলে দশম শ্রেণি পর্যন্ত অসমীয়া পড়েছিলাম। আমি আদতে নলবাড়ির মেয়ে। নলবাড়ি সংস্কৃত চর্চার কেন্দ্র। সংস্কৃত আমাদের আদি ভাষাও। নতুন প্রজন্ম এই ভাষার চর্চা ছেড়েছে। তাই ভাবলাম এই ভাষাতেই শপথ নেব।’’ শপথ নিতে গিয়ে ফিরে আসা কেন? আঙুর জানালেন, তিনি আগে থেকে বিধানসভার সচিবকে সংস্কৃতে শপথ নেওয়ার কথা জানাননি। তাই তাঁদের কাছে সংস্কৃত শপথবাক্য তৈরি ছিল না। তিনি জানান, সঙ্গে করে শপথবাক্য এনেছেন। তা দেখে পড়ার অনুমতি মিলতেই সেটি নিয়ে আসেন। প্রথম বার বিধানসভায় এলেও কোনও জড়তা ছিল না আঙুরলতার আচরণে। আক্ষরিক অর্থেই দর্শক গ্যালারির চোখও ছিল তাঁর দিকে। বটদ্রবার বিধায়ক বলেন, ‘‘আজ পবিত্র দিন তাই বিয়ের শাড়িটাই বেছে নিয়েছিলাম। কানের দুল ছাড়া বিয়ের গয়নাগুলোও পরেছি। গত বছর বিয়ে হয়েছে। তার পর এই প্রথম শাড়িটা পরলাম। প্রথম দিন ভালই কাটল। বাকি দিনগুলি আশা করি ভালই কাটবে। বিধানসভার অধিবেশন শেষ হওয়ার পরে নিজের কেন্দ্রের উন্নয়নে মন দেব।’’
''আমি গর্বিত,আমি হিন্দু" "দিব্যজ্ঞান নয় কান্ডজ্ঞান দরকার" This blog is about Hindu Religion.we are collecting posts from many pages of facebook.some time you think that we giving hate speeches but this is not true we just give information and news. https://m.facebook.com/WERHINDU https://m.facebook.com/nationslisthindu #NationalistHindu
Friday, 3 June 2016
আদি ভাষা সংস্কৃতে শপথ, চমক দিলেন আঙুরলতা ডেকা!
আদি ভাষা সংস্কৃতে শপথ, চমক দিলেন আঙুরলতা ডেকা ! সর্বানন্দ সরকারের প্রথম বিধানসভা অধিবেশন শুরুর দিন ‘শো-স্টপার’ আঙুরলতাই। সংস্কৃতে শপথ নিয়ে সবাইকে চম্কে দিলেন অসমের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তথা বটদ্রবার নবনির্বাচিত বিধায়ক। চতুর্দশ অসম বিধানসভায় শপথ নেন ১২৬ জন বিধায়ক। শপথগ্রহণ পর্বে গ্ল্যামার ও চমকে শো-স্টপার কিন্তু হলেন আঙুরলতা ডেকাই। অসমীয়া ভাষায় শপথগ্রহণ পর্ব চলছিল চিরাচরিত রীতিতে। তার মধ্যেই খোঁপায় তিনটি লাল গোলাপ আর সোনালি জরির সাদা অসম সিল্ক শাড়িতে আঙুরলতা শপথ নিতে উঠলেন। অন্যদের মতো ভাবলেশহীন মুখ নয়, হাসিমুখে হাতজোড় করে রীতিমতো পুরস্কার নিতে যাওয়ার ভঙ্গিতে প্রণামও সারলেন। কিন্তু শপথ নিলেন কই! হাসিমুখে মুখ্যমন্ত্রী ও বিধানসভার প্রধান সচিব মৃগেন্দ্রকুমার ডেকার সঙ্গে ছোট্ট আলোচনা সেরে ফের নিজের আসনে ফিরে গেলেন আঙুর। নীরব বিধানসভায় তখন ছড়াল জল্পনা। ফাইল হাতড়ে একটি কাগজ হাতে শপথস্থলে মাইকের সামনে এসে দাঁড়ালেন তিনি। অস্থায়ী স্পিকার ফণীভূষণ চৌধুরী অসমীয়ায় ‘মোয়’ (আমি) বলে শপথ শুরু করান। কিন্তু ‘অহম’ বলে সংস্কৃতে শপথ নেওয়া শুরু করে তুখোড় উচ্চারণে শপথ শেষ করেন আঙুর। বিধানসভার প্রধান সচিব জানান, এই প্রথম অসম বিধানসভায় সংস্কৃতে শপথ নেওয়া হল। পরে আঙুরলতা বলেন, ‘‘স্কুলে দশম শ্রেণি পর্যন্ত অসমীয়া পড়েছিলাম। আমি আদতে নলবাড়ির মেয়ে। নলবাড়ি সংস্কৃত চর্চার কেন্দ্র। সংস্কৃত আমাদের আদি ভাষাও। নতুন প্রজন্ম এই ভাষার চর্চা ছেড়েছে। তাই ভাবলাম এই ভাষাতেই শপথ নেব।’’ শপথ নিতে গিয়ে ফিরে আসা কেন? আঙুর জানালেন, তিনি আগে থেকে বিধানসভার সচিবকে সংস্কৃতে শপথ নেওয়ার কথা জানাননি। তাই তাঁদের কাছে সংস্কৃত শপথবাক্য তৈরি ছিল না। তিনি জানান, সঙ্গে করে শপথবাক্য এনেছেন। তা দেখে পড়ার অনুমতি মিলতেই সেটি নিয়ে আসেন। প্রথম বার বিধানসভায় এলেও কোনও জড়তা ছিল না আঙুরলতার আচরণে। আক্ষরিক অর্থেই দর্শক গ্যালারির চোখও ছিল তাঁর দিকে। বটদ্রবার বিধায়ক বলেন, ‘‘আজ পবিত্র দিন তাই বিয়ের শাড়িটাই বেছে নিয়েছিলাম। কানের দুল ছাড়া বিয়ের গয়নাগুলোও পরেছি। গত বছর বিয়ে হয়েছে। তার পর এই প্রথম শাড়িটা পরলাম। প্রথম দিন ভালই কাটল। বাকি দিনগুলি আশা করি ভালই কাটবে। বিধানসভার অধিবেশন শেষ হওয়ার পরে নিজের কেন্দ্রের উন্নয়নে মন দেব।’’
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment