"আইসিস বা দায়েশকে" সমালোচনা করার আগে ইসলামের দৃষ্টিতে দাসী বা যৌন দাসী সম্পর্কে জেনে নেই :------কোরানে সর্বমোট অন্তত চারটি আয়াতে স্পষ্টভাবে যুদ্ধে পরাজিত পক্ষের সকল অবিশ্বাসী নারীগণকে দাসী রাখা এবং তাদের সাথে যৌনাচার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে (দেখুন কোরান ৩৩. ৫০, ২৩.৫-৬, ৭০.২৯-৩০, ৪.২৪, ৮.৬৯) হাদিসের কথা না হয় বাদই দিলাম যদিও এইসব আয়াতের তাফসীরে অসংখ্য হাদিসের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে যুদ্ধে পরাজিত অবিশ্বাসীগণের সকল স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির ন্যায় তাদের স্ত্রী এবং কন্যাগণও যুদ্ধে অংশ নেওয়া মুসলমানগণের সম্পত্তিরুপে বিবেচিত হবে।
একটা হাদীস পড়ুন বুখারীঃ ২৩৭৩ আলী ইবনু হাসান ইবনু শাকীক (রাঃ) এবং ইবনে আউন (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন আমি নাফি (রাঃ) পত্র লিখলাম, তিনি জওয়াবে আমাকে জানালেন যে বনী মুস্তালীক গোত্রের অতর্কিত আক্রমণ পরিচালনা করা হয়। তাদের গবাদিপশুকে তখন তারা পানি পান করাচ্ছিলো। তিনি তাদের যুদ্ধক্ষমদের হত্যা করলেন এবং নাবালক এবং নারীদের দাস হিসেবে বন্দী করেন। এই ঘটনায় যৌনদাসী ধর্ষণের নির্দেশনা আরো হাদিসে আছে রেফারেন্স থেকে খুঁজে পড়ুন (অন্যভাবে ইংরেজি অনুবাদে পড়ুন বোখারী ৫.৫৯.৪৫৯, অন্যভাবে পড়ুন বোখারী ৩৪.৪৩২, বোখারী ৬২.১৩৭)
এমনকি যুদ্ধে লব্ধ বন্দি নারীদের তাদের জীবিত বন্দী স্বামীর উপস্থিতিতে মুসলিম যোদ্ধাদের মধ্যে ভাগ ভাটোয়ারা করে যৌনদাসী হিসেবে নিয়ে নেওয়া যাবে । ইসলামী আইনে যুদ্ধে বন্দি হওয়ার ফলে যুদ্ধবন্দি স্ত্রীদের তাদের স্বামীদের সাথে বৈবাহিক সম্পর্কের বিলোপ ঘটে। তাই বিজিত অঞ্চলের নারীগণকে তাদের স্বামী-সন্তানেরউপস্থিতিতেই ভোগ করা যাবে।
কোরান ৪.২৪-এ আল্লাহ বলেছেনঃ "এবং (তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে) সকল সধবা নারী কিন্তু তারা ব্যতীত যাদেরকে তোমাদের দক্ষিণহস্ত দখল করেছে। "
এই আয়াতের শানে নুযুলে আবুদাউদ ১১২১.৫০ হাদিসে আবু সাইদ আল খুদরি বর্ণিতঃ "আল্লাহর রাসুল হুনাইনের যুদ্ধকে কেন্দ্র করে আওতাসে একটি যুদ্ধ অভিযান পরিচালনা করেন। তারা শত্রুদের (আওতাসবাসীদের) মুখোমুখি হন এবং তাদের সাথে যুদ্ধ করে। তারা তাদের পরাজিত করে তাদের বন্দী করেন। সাহাবাগণ বন্দী নারীদের সাথে তাদের জীবিত স্বামীদের উপস্থিতিতে যৌনমিলন করতে দ্বিধান্বিত হয়ে এর থেকে বিরত ছিলেন । তাই এইসময় মহা পরাক্রমশালী আল্লাহ কোরান ৪.২৪-এ এই সম্পর্কিত নির্দেশ দেন যে যুদ্ধবন্দীনী নারীগণ ব্যতীত সকল সধবা স্ত্রীলোক আমাদের জন্য হারাম।"
[এই হাদিসটি আরো পড়ুন সহীহ মুসলিম ৮.৩৪৩২]
No comments:
Post a Comment