Saturday, 4 June 2016

হিন্দুদের সম্মিলিত প্রতিরোধের মুখে আজকে ভেস্তে গেল চন্দ্রকোনা রোডে হনুমান মন্দিরের পাশে মসজিদ তৈরির পরিকল্পনা।

হিন্দুদের সম্মিলিত প্রতিরোধের মুখে আজকে ভেস্তে গেল চন্দ্রকোনা রোডে হনুমান মন্দিরের পাশে মসজিদ তৈরির পরিকল্পনা। প্রশাসনের একটি অংশকে, উপযুক্ত মূল্য দ্বারা, নিজেদের দিকে টেনে এনেও মুসলিমদের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র সফল হলনা তার কারন স্থানীয় হিন্দুদের একতা এবং রাজ্যের অন্যান্য হিন্দুদের তাদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইতে সমর্থন। তবে লড়াই এখানে শেষ নয়, বরং শুরু হল মাত্র। ইতিহাস বলে যে মুসলিমরা কোন লড়াইতে একবার হেরে গেলে কিছুদিন পরেই তাদের শক্তি বাড়িয়ে পুনরায় আক্রমণ করে। তাই চন্দ্রকোনার এই বিজয়ের ধারা বজায় রাখতে হলে হিন্দুদেরও নিজেদের শক্তি বাড়াতে হবে। আজ শুধু পশ্চিম মেদিনীপুর নয়, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠছে এক একটি করে চন্দ্রকোনা। ক্যানিং থেকে কালিয়াচক, দেগঙ্গা থেকে সমুদ্রগড়- একই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটে চলেছে। প্রশাসনের অযোগ্যতা, নির্লিপ্ততা ও অসহায়তার সুযোগে জেহাদি ইসলামের শিকড় পৌছে গেছে এই রাজ্যের প্রত্যন্ততম অঞ্চলেও। অনিয়ন্ত্রিত অনুপ্রবেশ ও নির্বিচার সন্তানপ্রসবের ফল হিসাবে আজ এই রাজ্যের তিনটি জেলায় মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ আর ১২৫টি বিধানসভা আসনে তারা নির্ণায়ক ক্ষমতার অধিকারী। হিন্দুদের দুর্ভাগ্য যে তাদের ধর্মগুরুরা মুসলিম ধর্মগুরুদের মত বাস্তববাদী ও নিজেদের সামাজিক ব্যবস্থার প্রতি সংবেদনশীল নয়। হিন্দু ধর্মগুরু ও তাদের চেলারা শিষ্যদের পারলৌকিক জীবন সুন্দর করে তোলার জন্যে বিভিন্ন প্রবচন দেয় কিন্তু শিষ্যদের আশু বিপদ সম্পর্কে সচেতন করার কোন প্রচেষ্টাই তাদের নেই। আর সেই কারনেই রাজ্যের কোন জায়গায় মুসলিমরা আক্রান্ত অথবা বঞ্চিত হলে তাদের ইমামরা যেমন একযোগে ঝাঁপিয়ে প্রশাসনের উপর তুমুল চাপ সৃষ্টি করে তখন হিন্দু ধর্মগুরুরা তাদের নিজেদের আশ্রমের সন্ন্যাসীদের উপর হামলা হলেও তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার সাহস পায়না। এই রাজ্যের শাসকদলগুলি নিজেদের স্বল্পকালীন রাজনৈতিক লাভের জন্যে বরাবরই রাজ্যের দীর্ঘকালীন নিরাপত্তা নিয়ে আপোষ করে এসেছে। ৩৪ বছরের বাম শাসনে যেটা নলচের আড়ালে চলতো সেই পরম্পরাই মমতা ব্যানার্জীর আগেরবারের শাসনে প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছিল। এরফলে এই রাজ্যের হিন্দুদের মনে শাসকদলের প্রতি এক বিতৃষ্ণার জন্ম নেয়। কিন্তু মমতা ব্যানার্জীর সৌভাগ্য যে হিন্দুদের সেই বিতৃষ্ণা এখনও বামপন্থীদের প্রতি তাদের ঘৃণাকে ছাপিয়ে যেতে পারেনি আর তাই তারা তাঁকে দ্বিতীয়বার সুযোগ দিয়েছে। রাজ্যের দুই মুসলিম অধ্যুষিত জেলা মমতা ব্যানার্জীর দলকে সম্পূর্ণ ত্যাগ করার পরেও হিন্দুরা তাঁর প্রতি আস্থা রেখেছে। এই পর্যায়েও যদি তিনি আগেরবারের মতই জেহাদি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে হিন্দুদের বঞ্চনা করেন তাহলে হিন্দুরা আর হয়ত তাঁকে ক্ষমা করবে না। স্বামী বিবেকানন্দ বহুযুগ আগে বলে গিয়েছিলেন যে রুপকথার গল্পে রাক্ষসদের প্রাণ যেমন এক ভ্রমরের মধ্যে রাখা থাকতো তেমনি হিন্দুদের প্রাণ রাখে আছে তাদের ধর্মের মধ্যে। হিন্দুরা শত অত্যাচার সহ্য করবে, একপেটা থাকবে কিন্তু তাদের ধর্মে যদি কেউ আঘাত করে তাহলে হিন্দুরা তার সর্বনাশ করে ছাড়বে। আশা করি, এই পর্যায়ে, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী তাঁর পদের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখবেন এবং তার প্রশাসন হিন্দুদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ পরিত্যাগ করে প্রকৃত আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবে। লিখেছেনঃ প্রসূন মৈত্র

No comments:

Post a Comment