ইতিহাস বলছে গান্ধীজিকে "জাতির
জনক"-উপাধিটি প্রথম দিয়েছিলেন
নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস।
===============
===============
===============
====================
মহাত্মা গাঁধীর পরিচিতি ‘জাতির জনক’
হিসেবেই। কিন্তু প্রশ্ন হল, ‘জাতির
জনক’ উপাধিটি তাঁকে দিল কে?
এই প্রশ্নই তুলেছিল, ঐশ্বর্যা পরাশর
নামে এক ১০ বছরের মেয়ে। ২০১২
সালের ফেব্রুয়ারিতে লক্ষ্ণৌয়ের এই
মেয়ে প্রধানমন্ত্রীর অফিস বা
পিএমও-তে আরটিআই (রাইট টু
ইনফর্মেশন) করে জানতে চায়, গাঁধীকে
কবে এবং কে দিয়েছিলেন জাতির জনক
উপাধিটি। সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে
গিয়েই পিএমও আবিষ্কার করে এক
চমকপ্রদ তথ্য। জানা যায়,
সরকারিভাবে গাঁধীকে এই উপাধি
দেওয়ার কোনও নথি নেই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও জাতীয়
সংরক্ষণাগারও জানায় যে, গাঁধীকে
জাতির জনক উপাধি দেওয়া হয়েছিল
বলে কোনও তথ্য তাদের কাছে
সংরক্ষিত হয়নি। প্রশ্ন হল, তাহলে
গাঁধী ‘জাতির জনক’ নামে পরিচিতি
পেলেন কীভাবে?
ইতিহাস ঘাঁটতে গিয়ে দেখা যায়,
সুভাষচন্দ্র বসু ১৯৪৪ সালের ৬ই
জুলাই সিঙ্গাপুর রেডিও থেকে দেওয়া
একটি ভাষণে গাঁধীকে প্রথমবারের
জন্য ‘জাতির জনক’ বলে উল্লেখ
করেন। এরপর ২৮ এপ্রিল ১৯৪৭-এ
একটি সম্মেলনে সরোজিনী নাইডুও
গাঁধীকে ‘জাতির জনক’ বলে অভিহিত
করেন। সেই থেকেই ‘জাতির জনক’ নামে
খ্যাতিমান হয়ে ওঠেন গাঁধী।
ঐশ্বর্যা তাঁর আরটিআই আবেদনে এই
প্রশ্নও রেখেছিল যে, সরকারিভাবে
গাঁধীকে কি ‘জাতির জনক’-এর উপাধি
প্রদান করা যায় না? তার উত্তরে
পিএমও জানায়, ভারতীয় সংবিধানে
পড়াশোনা ও সামরিক ক্ষেত্রের বাইরে
কোনও ব্যক্তিকে কোনও উপাধি
দেওয়ার নিয়ম নেই। কাজেই মহাত্মা
গাঁধীকে আপাতত সরকারিভাবে জাতির
জনক উপাধি দেওয়া সম্ভব নয়।
No comments:
Post a Comment