Monday, 30 November 2015

বন্ধুত্ব করেই হিন্দুদের হারানো সম্ভব , যুদ্ধ করে নয়

মোঘল সম্রাট আকবর বলেছেন :- বন্ধুত্ব করেই হিন্দুদের হারানো সম্ভব , যুদ্ধ করে নয় । সিকান্দর বলেছেন :- হিন্দুদের যুদ্ধে হারানো ততটাই কঠিন কাজ , যতটা কঠিন হল কোন ক্ষুধার্ত বাঘের মুখ থেকে খাবার ছিনিয়ে আনা । মহম্মদ ঘোরী :- যদি কোন জিনিসের প্রয়োজন হয় তাহলে হিন্দুদের কাছ থেকে চেয়ে নিন , ধোঁকাবাজী করে ছিনিয়ে নিলে তারা সমূলে ধ্বংস করে দেবে । ইংরাজ :- যদি হিন্দুদের বিরুদ্ধে জয়ী হতে চান , তাহলে তাদের নিজেদের মধ্যে লড়িয়ে দেন । অতঃপর সর্বদা একটা কথা মনে রাখবেন নিজেদের মধ্যে কোন লড়াই ঝগড়া নয় । সর্বদা একতার সঙ্গে থাকতে হবে । একতাই হল বৃহত্ শক্তি । হিন্দু সবার উপরে ছিল আছে থাকবে । জয় হিন্দ : বন্দে মাতরম

Suspected ISI agent at work in Bareilly nabbed in Meerut | Kolkata 24x7 | India's Latest Bengali news portal from kolkata

http://www.bengali.kolkata24x7.com/suspected-isi-agent-at-work-in-bareilly-nabbed-in-meerut.html

ইসলামের ঐতিহাসিক রক্ত-রক্ত খেলা এবং আগামী ঈদে বাংলাদেশের মসজিদে বোমা হামলার সম্ভাবনা বিশ্লেষণ | নবযুগ ব্লগ

http://www.nobojug.org/node/1263

An open letter to Aamir Khan | Kolkata 24x7 | India's Latest Bengali news portal from kolkata

http://www.bengali.kolkata24x7.com/an-open-letter-to-aamir-khan.html

Saturday, 28 November 2015

সুপ্রভাত..

সুপ্রভাত.. অবশেষে লেগে গেল.. বাংলাদেশে শিয়া - সুন্নি লড়াই.. ইছলাম শান্তির ধর্ম..। এর থেকে আর বড় প্রমান কি হতে পারে?.. দুই পক্ষই দাবী করছে তুই কাফের, আমি খাচ মুছলমান..।

RSS India's number 1 terror group: Former Mumbai police officer - The Times of India

"Claiming that the activists of the Rashtriya Swayamsevak Sangh (RSS) have been indicted in at least 13 terror cases across India" 13ta terror cases jonno jodi rss terror group hoy toba ja islamic jondi(sunni) ra proti din akromon kor6a sata ke?ar ai 13ta terror cases ar satha rss jorito at ke kau proman korta para6a? Ar bola k ?"former Maharashtra inspector general of police S M Mushrif" j nejai akjon muslim(jongi suporter) http://timesofindia.indiatimes.com/india/RSS-Indias-number-1-terror-group-Former-Mumbai-police-officer/articleshow/49943534.cms?utm_source=facebook.com&utm_medium=referral&utm_campaign=TOI

Friday, 27 November 2015

আর্যরা বহিরাগত নয় 5

ভারতের আর্যদের বহিরাগত বলে যে ইউরোপীয় লোকেদের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র কে হাতিয়ার করে ইংরেজ রা ভারতের হিন্দুদের ভাঙতে চেয়েছিল। হিন্দু -মুসলমানদের মধ্যে চিরস্থায়ী দ্বন্দ্ব বাধিয়ে ইংরেজদের পরবর্তী লক্ষ ছিলো উত্তর বনাম দক্ষিণ ভারতীয় হিন্দুদের মধ্যে বিরোধ। আমি ধারাবাহিক লেখায় প্রমাণ করছি, আর্যরা ভারতীয়। " পঞ্চম পর্ব " আর্য দ্রাবিড় বিভক্তিঃ ঋগবেদে কোথাও এই কথা নেই যে আর্যরা আক্রমণ করেছে বা বেদের দ্রষ্টা ঋষিরা ভারতের বাইরে থেকে এসেছেন। তারপরও হিন্দুবিরোধীরা অপপ্রচার চালায় ঋগবেদের বিরুদ্ধে। তারা বলে অঙ্গিরা বংশের ঋষিরা ইন্দ্রের আহ্বান করেছেন দস্যু এবং পানিদের দমন করতে এবং এটাই বুঝায় যে আর্য সেনাবাহিনী স্থানীয় ভূমিপুত্র দ্রাবিড়দের হত্যা করেছে। দ্রাবিড় শব্দের মানে কি? এর সংস্কৃত মূল দ্রব। এর অর্থ তরল জাতীয় বা জলীয়। তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল তামিলদের সঙ্গম সাহিত্যে দ্রাবিড় বলতে কোন শব্দ নাই। তামিলদের সঙ্গম সাহিত্য ঐ অঞ্চলের জীবন, সময়, ঘটনাপ্রবাহ এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সুনির্দিষ্ট ঘটনাপ্রবাহ ইঙ্গিত করে। এটা তামিলদের ব্যাকরণেরও বিবর্তন নির্দেশ করে। এর সময়সীমা খ্রিস্টের জন্মের ২০০ বছর আগে থেকে খ্রিস্টের জন্মের ৬০০ বছর পরে পর্যন্ত। তাহলে আর্য বলে যদি কোন জাতি বাইরে থেকে এসে দ্রাবিড়দের হত্যা করে তাদের দক্ষিণ ভারতের দিকে অভিবাসী হতে বাধ্য করে তাহলে তামিলদের এই প্রাচীন সাহিত্যে কেন এই ঘটনার উল্লেখ নেই? নবম শতাব্দীর দিকের তামিল সাহিত্যে দ্রাবিড় শব্দটি প্রথম পাওয়া যায়। সেন্থান দিবাকরম নামে একটি শব্দভাণ্ডারে দ্রাবিড় নামটি পাওয়া যায়। এটি ব্যবহৃত হয়েছিল তামিল বুঝাতে। এটি পরিষ্কার যে দ্রাবিড়দের নিয়ে গল্পটি একটি নির্লজ্জ মিথ্যাচার। উনবিংশ শতাব্দীতে রবার্ট ক্যাডঅয়েল নামক এক খ্রিস্টান ইভানজেলিস্ট প্রথম এই দ্রাবিড় শব্দটি ব্যবহার করেন আর্য আক্রমণ তত্ত্বে। এরপরই এটা রাজনৈতিক রূপ পায়। ৩। ঋগবেদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারঃ দেখা যাক মহাজ্ঞানীরা ঋগবেদের কোন মন্ত্রগুলো ব্যবহার করছে আর্য আক্রমণ তত্ত্ব প্রমাণ করতে। তারা ঋগবেদের ১০/৪৮ সুক্তকে দেখায় যেখানে আছে ইন্দ্র দস্যু, বৃত্র এবং পানিদের দমন করেছেন, তাদের সম্পদ নিয়ে নিয়েছেন এবং বলেছেন যারা তাঁর অনুসারী তাঁরা ব্যর্থ হবে না। বৃত্র এবং পানি দস্যুর প্রকারভেদ। কিন্তু ঋগবেদের ১/৩৩/১-১০ মন্ত্রগুলো পড়লে বুঝতে পারা যায় দস্যুদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া ইন্দ্রের সম্পদ আসলে জ্ঞান। ঋগবেদের ১/৩৩/১ মন্ত্রটি শেষ হয় “gavam ketam param avarjate nah” এই কথাগুলো দিয়ে। এর অর্থ দীপ্তিময় গাভীর সর্বোচ্চ জ্ঞান। এই মন্ত্রটির অর্থ হচ্ছে come let us go seeking the cows to Indra, it is he that increases the thought in us, for us, he releases supreme knowledge of the luminous cows. বেদে যারা আধ্যাত্মিক কর্ম করেন তাদের যাজ্যু বলা হয়েছে। এই উৎসর্গ যেই সত্ত্বাদের উদ্দেশে করা হত তাদের যাজত বলা হত। যাজ্যুকে তার শুভবুদ্ধির জন্য সুক্রাতু বলা হত। সুক্রাতু যখন ঐশ্বরিক বানী লাভ করতেন তাদের বলা হত বিশ্বের গায়ক। দস্যু শব্দটি সুক্রাতু এবং যাজ্যুর ঠিক বিপরীত। একে বলা হত অযাজ্যু। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে দস্যু বিশ্বের গায়কদের ঘৃণা করে। এই জন্য একজন দস্যুকে বলা হত ব্রহ্মদ্ভিসা এবং অনাসা ( যার কথা বলার কোন মুখ নেই ) ও অমানযামানা ( যার কোন মানসিক বিবেকবোধ নাই )। বেদে বলা আছে দস্যুদের যে জ্ঞান তা ইন্দ্র কেড়ে নেন মানুষের সাহায্যে। ঋগবেদের আরেক জায়গাতে আছে পানি এমন এক ধরণের দস্যু যারা পবিত্র গাভি চুরি করে তাদের গুহাতে আটকে রাখে। ইন্দ্র মানুষের সহায়তায় তা উদ্ধার করেন। ঋগবেদের ৬/৫১/১৪ তে ইন্দ্রের প্রতি প্রার্থনা করা হয়েছে পানিদের ধ্বংস করতে এবং পানিদের নেকড়ের সাথে তুলনা করা হয়েছে। ঋগবেদের ৩/৩৪/৭-১০: ৭। ইন্দ্র,সাহসীদেরপ্রভু,যিনি সকলের শাসনকর্তা,যিনি সকল শক্তির মুল,যার শৌর্যে শক্তিশালী শৌর্যময়, এই পৃথিবীতে তার এই দান এর জন্য জ্ঞানীগন তার প্রশংসা করেন। ৮। অনন্যসাধারন,সর্বজয়ী,সকল জয়ের দাতা,আলোক এবং পানির উত্স ,স্বর্গ ও মর্তের মালিক,সেই ইন্দ্রকেই সকলে ভক্তিসহকারে বন্দনা করে। ৯। তিনি শক্তিশালী সূর্য ও অশ্ব এর মালিক(সংস্কৃত তে শক্তি এর প্রতীক হিসেবে সূর্য,অশ্ব এবং বৃষ এই তিনটি শব্দ প্রায়শই ব্যবহৃত হয়ে থাকে)।তিনি আমাদের গোসমূহ যোগান দিয়ছেন যা আমাদের দুগ্ধের যোগান দেয়।তিনিই স্বর্নময় সকল গুপ্তধনের উত্স(,তিনি দস্যুদের ধ্বংস করেন এবং আর্যদের রক্ষা করেন। ১০। তার শক্তিতেই গাছপালা বেড়ে উঠে,দিনের পর দিন আবর্তিত হয়;তিনি এই ভুখন্ড এবং বায়ুমন্ডল এর অধিকারী,তিনি অসতদের বিনাশ করেন,দাম্ভিকদেরনিবৃত্ত করেন।তিনিই গাছপালা, বনজঙ্গল, আকাশ, দিনরাত্রির শৃঙ্খল রক্ষা করেন। এখন দস্যুরা যদি মনুষ্য সন্তান হয় এবং তারা অনার্য আদিবাসী হয় তবে তাদের থেকে ইন্দ্র কি করে আকাশ এবং দিনকে মুক্ত করেন? বেদে আরও আছে ইন্দ্র দস্যুদের তাড়া করেন এবং তাদের বিতাড়িত করেন স্বর্গ এবং মর্ত্য থেকে তার বজ্রের সাহায্যে। ইন্দ্রের মহত্ত্ব বাড়তে থাকে এবং ইন্দ্রের দীপ্তি দস্যুদের পলায়নের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এরপর ইন্দ্র হারিয়ে যাওয়া সূর্যকে উদ্ধার করেন এবং সেই সূর্য যখন উদিত হয় তখন তার আলোয় গুহাগুলো আলোকিত হয় যেখানে ভালা (এক ধরণের দস্যু) পবিত্র গাভীগুলি লুকিয়ে রেখেছে। তাহলে আমরা এমন এক চিত্র পাই যেটা সম্পূর্ণভাবে আর্য আক্রমণ তত্ত্বের বিরুদ্ধে যায়। পরবর্তী লেখায় বেদে দস্যু তাদের বলা হয়েছে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। ৪। সঙ্গম সাহিত্য থেকে প্রমাণঃ আমরা এখন তামিলদের সাহিত্যের দিকে নজর দেই। আমরা দেখি আসলেই কি তামিলরা তথাকথিত দ্রাবিড় যারা আর্যদের হাতে নির্যাতিত হয়েছিল। সঙ্গম সাহিত্যে পৃথিবীকে ভাগ করা হয়েছে মুল্লাই (বন), কুরিঞ্ছি (পাহাড়), মারুদাম (কৃষি ভূমি), নেইদাল (সমুদ্র সৈকত) এবং পালাই (খোলা ভূমি) এই পাঁচ ভাগে।