মুক্তচিন্তার মানুষদের উপর কেনো এতো আক্রোশ ? সে কি কেবলই আলেমদের দোষ ? বলা হয় আলেমরা কোরান ও ইসলামকে সঠিকভাবে অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়ে এ সব হিংসাত্মক ফতোয়া দিচ্ছে ও কর্মকাণ্ড করছে । যারা এ সব বলে তারা হয় ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ, না হয় ভণ্ড । ইসলাম এমন একটা ধর্ম যেখানে ভিন্ন মত ও বহুত্ববাদের স্থান নেই । ইসলাম গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষাতায় বিশ্বাস করে না । ইসলাম সমালোচনা ও বিরুদ্ধ মত সহ্য করে না । ইসলামে সহনশিলতার কোনো স্থান নেই এবং ইসলামের মতো অসহিষ্ণু ধর্ম আর একটিও নেই । বিধর্মীদের বিরুদ্ধে ইসলাম চরম শত্রুভাবাপন্ন । অনেক আয়াত আছে কোরানে যেখানে বিধর্মীদের সরাসরি আক্রমণ করতে বলেছে, আঘাত করতে ও হত্যা করতে বলেছে । বিধর্মীদের সম্পর্কে কোরান যেভাবে বিদ্বেষ, ঘৃণা ও হিংসা প্রচার করেছে তা নিজের চোখে না দেখলে অবিশ্বাস্য মনে হবে । ....
এই নিবন্ধটি গত পোরশু 'দৈনিক স্টেটসম্যান' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে অন্য শিরোনামে । যাঁরা ঐ কাগজটি রাখেন না তাঁরা এই লিংকটি ক্লিক করতে পারেন । http://giasuddinonline.blogspot.in/2015/05/blog-post.html?spref=fb
''আমি গর্বিত,আমি হিন্দু" "দিব্যজ্ঞান নয় কান্ডজ্ঞান দরকার" This blog is about Hindu Religion.we are collecting posts from many pages of facebook.some time you think that we giving hate speeches but this is not true we just give information and news. https://m.facebook.com/WERHINDU https://m.facebook.com/nationslisthindu #NationalistHindu
Wednesday, 18 May 2016
প্রচার করুন ইসলাম ও মুহাম্মদের মহিমা
((কপি করে সংগ্রহে রাখুন ও প্রচার করুন ইসলাম ও মুহাম্মদের মহিমা ))
মদিনায় মক্কার রিফিউজি মুহাম্মদ By Asif Mohiuddin
ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হযরত মুহাম্মদ একদিন বাপদাদার ধর্মকে অস্বীকার করে নিজেই আরেকটা নতুন ধর্মের প্রবর্তন করলেন। দাবী করতে লাগলেন তিনিই সর্বশেষ নবী, তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ রাসুল। তিনি মক্কার কোরাইশদেরকে বললেন, তারা যে সব দেবদেবীর পূজা করছে সেগুলো সবই মিথ্যা। দেবদেবীর কোন ক্ষমতা নাই। সেই সাথে, পৌত্তলিকতার বিরুদ্ধে শুরু করলেন সংগ্রাম। প্রকাশ্যে শুরু করলেন তৎকালীন ধর্মগুলোর সমালোচনা, এবং বলতে লাগলেন পুরনো পৌত্তলিক ধর্মগুলো, সেই ধর্মের ঈশ্বরেরা সবই মিথ্যা এবং বানানো। সে সময়ে এই কথাগুলো ছিল পরিষ্কার ব্লাসফেমি। তৎকালীন ধর্ম ও ঈশ্বরদের চরম অবমাননা।
মক্কার কুরাইশরা ক্ষেপে উঠলো। তাকে হত্যার পরিকল্পনা করলো। একদিন রাতে হযরত আলীকে বিছানায় শুইয়ে মুহাম্মদ হয়ে গেলেন রিফিউজি। কোথায় যাবেন কী করবেন কিছুরই ঠিক নাই। মদিনার মানুষেরা তাকে আশ্রয় দিলো। তাকে সম্মানের সাথে গ্রহণ করলো। এই ঘটনাকে বলা হয় হিজরত। মুহাম্মদ তার বেশিরভাগ সঙ্গিসাথী নিয়ে রিফিউজি হয়ে মদিনার আশ্রয়ে থেকেছেন, সেখানে তাদের ভরণ পোষণে চলেছেন। এগুলো ঐতিহাসিক সত্য, কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।
মুহাম্মদের জন্মের দুই শতাব্দী আগে ইহুদীধর্ম মদিনায় ভালভাবেই প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। অর্থনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হলেও ইহুদীরা মদিনার মরুদ্যানগুলো নিয়ন্ত্রণ করতো না। তাদের মধ্যে এক ধরণের চুক্তি ছিল, আনুগত্য এবং করের বিনিময়ে তারা সুরক্ষা পেত। দুটি বড় আরব গোত্র খাযরাজ ও আওস সে সময়ে মরূদ্যানগুলোর নিয়ন্ত্রণ করতো। মদিনার ইহুদীরা বিশেষভাবে গহনা, অস্ত্র এবং যুদ্ধের বর্ম প্রস্তুতকারক ছিল। অনেক ইহুদি গোত্র ছিল সে সময়ে, বিশেষভাবে উল্লেখ্য- বানু নাদির, বানু কাইনুকাকে, এবং বানু কোরাইজা গোত্রের কথা। সে সময়ে খুব বেশি যুদ্ধবিগ্রহ ছিল না মদিনাবাসীদের মধ্যে। ইহুদী থেকে শুরু করে অন্যান্যরা সকলেই নিজ নিজ ব্যাবসা বাণিজ্য করছিল ভালভাবে।
কিন্তু মদিনায় আসার পরেই বের হওয়া শুরু হল মুহাম্মদের আসল রূপ। যারা তাকে আশ্রয় দিয়েছিল, সে আসার সময় সাদরে তাকে গ্রহণ করেছিল, ধন সম্পদ দান করেছিল, সম্মানের সাথে বসবাস করতে দিয়েছিল, পরবর্তীতে তাদেরকেই নানা ধরণের হুমকি ধামকি দিতে শুরু করলেন তিনি। বহু ইহুদী গোত্রের সাথে যুদ্ধ শুরু করলেন, বহু ইহুদী নেতাদের জবাই করলেন। বানু কোরাইজা গোত্রের ইহুদীদের এক রাত্রে প্রায় ৮০০ পুরুষ সদস্যকে হত্যা করলেন। সেই গোত্রের সকল নারী এবং শিশুকে দাস বানালেন। যে কোন ইসলামিক স্কলারকে বানু কোরাইজা গোত্রের সাথে কী করা হয়েছিল জিজ্ঞেস করলেই জানবেন। পড়ালেখা করেও দেখতে পারেন। সেই সকল নারী এবং শিশুর কী দোষ ছিল, তা জিজ্ঞেস করলে এখনো ইসলামিক স্কলাররা বলেন, ঐসব শিশুরা বড় হলে ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতো, তাই ছোট থাকতেই তাদের শিক্ষা দেয়া হয়েছে!
এভাবে একে একে দখল করতে শুরু করেছিলেন মুহাম্মদ। যেই মদিনা তাকে আশ্রয় দিয়েছিল, তাদেরকেই ব্যবহার করে ক্রমশ আক্রমণ করতে শুরু করলেন মক্কার বাণিজ্য কাফেলাগুলো। ডাকাতি করতে শুরু করলেন অন্যান্য কাফেলাও। এই ডাকাতিতে অনেক লোকজনই স্বেচ্ছায় যোগ দিতো, কারণ সে সময় ভাড়াটে যোদ্ধার কমটি ছিল না আরবে। ভাড়াটে যোদ্ধারা যুদ্ধবন্দী, যৌনদাসী, উট এবং অন্যান্য মালামালের ভাগ পাওয়ার আশায় নানা যুদ্ধে যোগ দিতো। কিন্তু সেসব দেবার পরেও মুহাম্মদ তাদের লোভ দেখাতে শুরু করেছিল, মৃত্যুর পরে ৭২ জন স্বর্গীয় বেশ্যার। কোরআন হাদিসে সে সকল বেশ্যার এমন উত্তেজক বর্ণনা দেয়া হয়েছে, সেই সব বেশ্যার স্তন, চামড়া, চুল, ঊরু এমনকি থুথুর এমন বর্ণনা দেয়া হয়েছে, সে সেসব শুনেই উত্তেজিত হয়ে যেত মুহাম্মদের জিহাদিরা। যুদ্ধে জিতলে পেত যৌনদাসী, হেরে গিয়ে মরলে স্বর্গের বেশ্যাদের পবিত্র প্রতিশ্রুতি। নারীর লোভ, নারী মাংসের লোভ, উট, গনিমতের মাল, এগুলোই ছিল সে সময়ের জিহাদের অন্যতম চালিকা শক্তি। একসময় পুরো মদিনাই তারা দখলে নিলো, রিফিউজি মুহাম্মদ পরিণত হলেন মদিনার শাসকে। এবং এরপরে ক্ষমতাশালী হবার পরে তারা আক্রমণ করলো মক্কাকে।
এই ইতিহাস পড়লে বুঝতে সমস্যা হয় না, রিফিউজি হিসেবে ঢুকে কোন সমাজকে ধ্বংস করা এবং সেখানে ইসলামের নামে বর্বরতা কায়েম করার সংস্কৃতি ইসলামের একেবারেই পুরনো। তাই অবাক হবার কিছু নেই।
২০১৭ সালেই কাশ্মীর থেকে উঠছে ৩৭০ধারা
আগামী বছরের শেষের দিকে কাশ্মীর থেকে তুলে নেওয়া হবে ৩৭০ ধারা। আর চলতি বছরের শেষের দিকেই অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হবে। টেলিভিশনে আয়োজিত একটি বিতর্কের অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। বিতর্কের বিষয় ছিল, ‘মুসলিমরা কী ভারতে নিরাপদ?’
উক্ত বিতর্ক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এআইএমআইএম সাংসদ আসাদুদ্দিন ওয়াইসি। তাকে উদ্দেশ্য করে সুব্রহ্মণ্যম স্বামী বলেন, “চলতি বছরের শেষের দিকে আমরা রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু করব। আমি নিশ্চিত এই নিয়ে আদালতে মামলা হবে। ওয়াইসি এই মামলায় বিশেষ সুবিধা পাবেন।” এই বিষয়ে আসাদুদ্দিন ওয়াইসি জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে মসজিদ হওয়ার কথা। এরপরেই সুব্রহ্মণ্যম স্বামী টলেন কাশ্মীরের পণ্ডিতদের কথা। তিনি বলেন, “আমরা কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নিজেদের ভিটেতে ফেরাতে বিশেষ আগ্রহী। আমি আসাদুদ্দিন সাহেবের কাছে অনুরোধ করব কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বিষয়ে উকিল নিয়োগ করুন। তাহলেই আমরা পরের দিনেই কাশ্মীরের পণ্ডিতদের ফের নিজের ভূমি ফিরিয়ে দেব।” ৩৭০ ধারা প্রয়োগ না করলে কাশ্মীর নিজেদের দখলে রাখা ভারতের পক্ষে সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন আসাদুদ্দিন ওয়াইসি। এরপরেই নিশ্চিতভাবে সুব্রহ্মণ্যম স্বামী জানিয়ে দেন যে ২০১৭ সালের শেষের দিকে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ধারা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।kolkata24x7
বামপন্থীরা নাকি আধুনিক মানুষ?
বামপন্থীরা নাকি আধুনিক মানুষ?
ওরা কথায় কথায় বলে আমরা নাকি ধর্ম নিয়ে থাকতে চাই আর ওরা চাঁদে যেতে চাই, আমরা নাকি ধর্মীয় গোঁড়ামীতেই পড়ে আছি আধুনিকতা বলে কিছু নেই আমাদের?
তবে বামপন্থীরা শুধুমাত্র হিন্দু ধর্মকেই অপমান করার জন্য টার্গেট করে অথচ মাদ্রাসাতে ইংরেজী,অঙ্ক,ভূগোল,বিজ্ঞান পড়ানো হয় না তবুও মাদ্রাসাকে আধুনিক করার জন্য ওদের প্রচেষ্টা লক্ষ্য করিনি আজও । বামপন্থীরা হিন্দুদের গরু মাংস খেতে উৎসাহ দেয় অথচ মুসলিমদের শুয়র মাংস খেতে বলে না কেন?
বামপন্থীরাই একমাত্র হিন্দুদের শত্রু, ভারতবর্ষ থেকে বামপন্থীদের না তাড়ালে হিন্দুদের ভবিষ্যত অন্ধকার । চীনের আদর্শ ভারতের বুকে কি করছে? অবিলম্বে ভারতবর্ষ থেকে লেনিন মার্ক্সসের ষ্ট্যাচু গুলো ভেঙে দেওয়া হোক, নিশ্চিহ্ন করা হোক বামপন্থীদের । ১৯ তারিখের পর চড়াম চড়াম ঢাক বাজিয়ে দল মত নির্বিশেষে বামপন্থীদের চীনের প্রাচীর টপকে দেওয়া হোক, কারন ভারতবিরোধী দলকে কুকুরের মত তাড়িয়ে দেশের মাটিকে পবিত্র করা হোক । লেনিন মার্ক্স কোথাকার কে তাদের জন্য আবার মাথা ব্যাথা? � সব্যসাচী ভট্টাচার্য্য
Tuesday, 17 May 2016
যে সাদা অংশটা আছে, কাশ্মীরের ওইটুকু জায়গাতেই খালি অশান্তি
ভালো করে খেয়াল করে দেখুন। যে সাদা অংশটা আছে, কাশ্মীরের ওইটুকু জায়গাতেই খালি অশান্তি। বাকি গোটা কাশ্মীর পুরো শান্ত, সেই শান্তিটাই পাকিস্তান নষ্ট করতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে আর পাকিস্তানের কর্মযজ্ঞে হাতে হাত মিলিয়েছে দেশের সমস্ত বিজেপি বিদ্রোহী দল। কারন বিজেপি এই দেশদ্রোহী কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। সংখ্যালঘুদের তোষণ করতে দিচ্ছে না। যেটা না করলে বিজেপি ছাড়া কোন দলেরই পেটের ভাত ঠিক হজম হয় না।
কি সুন্দর যুক্তি তাদের
বাহ কি সুন্দর যুক্তি তাদের । বার্মাইয়ারা বার্মায় রোহিঙ্গা মারতেছে, তাই তারা বাংলাদেশে বৌদ্ধ মারবে । ইসরায়েল গাজায় ফিলিস্তিনী মারে, তাই তারা বাংলাদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ আর খ্রিস্টান মারে । বার্মায়ইয়ারা রোহিঙ্গাদের উপর গনহত্যা চালায় তাই বাংলাদেশের পাহাড়ে বৌদ্ধদের উপর গনহত্যা চালানো তাদের জন্য জায়েজ । শোনো ভাই সব যুদ্ধে মরা আর মারার নাম তোমরাই দিয়েছো অর্থাৎ মরলে শহীদ আর বাঁচলে গাজি । আমেরিকার মারা আর হিটলার মারার সাথে তোমাদের কৃতকর্মকে ডিফেন্ড করো কোন যুক্তিতে ?আমেরিকাও মারছে যুদ্ধে আর হিটলারও মেরেছে যুদ্ধে আর রোহিঙ্গাদেরও মারা হচ্ছে সেই যুদ্ধের প্রেক্ষাপথ নিয়েই যখন রোহিঙ্গারা ইংরেজদের সাথে দল বেঁধে বার্মাইয়াদের বিপক্ষে লড়াই করেছিল । কিন্তু তোমরা যাকে মারছো সে একজন নিরীহ বৌদ্ধ ভিক্ষু, অবলা নিরস্ত্র । সিরিয়ার কথা নাইবা বললাম যেহেতু সেটি একটি যুদ্ধ কবলিত এলাকা, কিন্তু বোকা হারাম কেন নাইজেরিয়ায় শত শত খ্রিস্টান নারীকে অপহরণ করলো ? রাশিয়ার বেস্লিন স্কুলে ৩০০ শিশু কি অপরাধ করলো, পাকিস্তানে শতের অধিক শিশু কে মারল ? প্যারিসে কনসার্ট দেখতে যাওয়া নিরীহ পাবলিকদের কে মারল ? পৃথিবী তোদের কাছে কতটা নিরাপদ নির্ণয় করার দায়িত্ব এবার তোদের নিজেদের ! তোমরা নিজেদের শান্তিবাদী দাবি করাটা কতটা যৌক্তিক মনে কর তোমরাই বল ?
CHT-jummaland
fb PAGE
মাস্টারদা সূর্য্য সেন ফাঁসীতে যাবার আগে চট্টগ্রামের বিপ্লবীদের উদ্দেশ্যে লিখেছিলেন এই চিঠি।
মাস্টারদা সূর্য্য সেন ফাঁসীতে যাবার আগে চট্টগ্রামের বিপ্লবীদের উদ্দেশ্যে লিখেছিলেন এই চিঠি। ..
'' আমার শেষ বাণী-আদর্শ ও একতা। ফাঁসির রজ্জু আমার মাথার উপর ঝুলছে। মৃত্যু আমার দরজায় করাঘাত করছে। মন আমার অসীমের পানে ছুটে চলছে। এই ত’ সাধনার সময়। বন্ধুরূপে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করার এই ত সময়। ফেলে আসা দিনগুলোকেও স্মরণ করার এই ত সময়।
কত মধুর তোমাদের সকলের স্মৃতি। তোমরা আমার ভাইবোনেরা, তোমাদের মধুর স্মৃতি বৈচিএ্যহীন আমার এই জীবনের একঘেঁয়েমিকে ভেঙ্গে দেয়। উৎসাহ দেয় আমাকে। এই সুন্দর পরম মুহুর্তে আমি তোমাদের জন্য দিয়ে গেলাম স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন। আমার জীবনের এক শুভ মুহুর্তে এই স্বপ্ন আমাকে অনুপ্রাণিত করছিল। জীবনভর উৎসাহ ভরে ও অক্লান্তভাবে পাগলের মত সেই স্বপ্নের পিছনে আমি ছুটেছি। জানিনা কোথায় আজ আমাকে থেমে যেতে হচ্ছে। লক্ষে পৌছানোর আগে মৃত্যুর হিমশীতল হাত আমার মত তোমাদের স্পর্শ করলে তোমরাও তোমাদের অনুগামীদের হাতে এই ভার তুলে দেবে, আজ যেমন আমি তোমাদের হাতে তুলে দিয়ে যাচ্ছি। আমার বন্ধু্রা- এগিয়ে চল। এগিয়ে চল- কখনো পিছিয়ে যেও না। পরাধীনতার অন্ধকার দূরে সরে যাচ্ছে। ঐ দেখা যাচ্ছে স্বাধীনতার নবারুন। কখনো হতাশ হয়ো না। সাফল্য আমাদের হবেই। ভগবান তোমাদের আশির্বাদ করুন।
১৯৩০ সালের ১৮ই এপ্রিল চট্টগ্রাম ইস্টার বিদ্রোহের কথা কোন দিনই ভুলে যেও না। জালালাবাদ, জুলধা, চন্দননগর ও ধলঘাটের সংগ্রামের কথা সব সময় মনে রেখো। ভারতের স্বাধীনতার বেদীমূলে যে সব দেশপ্রেমিক জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাদের নাম রক্তাক্ষরে অন্তরের অন্তরতম প্রদেশে লিখে রেখো।
আমাদের সংগঠনে বিভেদ না আসে- এই আমার একান্ত আবেদন। যারা কারাগারের ভিতরে ও বাইরে রয়েছে, তাদের সকলকে জানাই আমার আশির্বাদ। বিদায় নিলাম তোমাদের কাছ থেকে।
বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক
বন্দে মাতরম্। ''
__________________
(মাস্টারদা সূর্য্য সেন ফাঁসীতে যাবার আগে চট্টগ্রামের বিপ্লবীদের উদ্দেশ্যে লিখেছিলেন এই চিঠি। ফাঁসীর মঞ্চে ওঠানোর আগে ব্রিটিশরা হাতুরী দিয়ে তাঁর দাঁত ভেঙ্গে দেয় এবং তাঁর হাড় ও ভেঙ্গে দেয়। হাতুরী দিয়ে নির্মম ভাবে পিটিয়ে অত্যাচার করা হয়। এরপর তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। সূর্য সেন ও তারকেশ্বর দস্তিদারের লাশ আত্মীয়দের হাতে হস্তান্তর করা হয়নি এবং হিন্দু সংস্কার অনুযায়ী পোড়ানো হয়নি।ফাঁসীর পর লাশদুটো জেলখানা থেকে ট্রাকে করে ৪ নম্বর স্টীমার ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর মৃতদেহ দুটোকে ব্রিটিশ ক্রুজার 'দ্যা রিনাওন; এ তুলে নিয়ে বুকে লোহার টুকরা বেঁধে বঙ্গোপসাগর আর ভারত মহাসাগরের সংলগ্ন একটা জায়গায় ফেলে দেয়া হয়। তাঁর মৃত শবটাকেও এত ভয় পেয়েছিল কাপুরুষ বৃটিশ সরকার!
আমাদের ক্ষমা কর না # হে মহানায়ক! স্বাধীনতার নামে আমরা তোমাকে প্রহসন আর জ্বালাময় অপমান ছাড়া কিছু দিতে পারিনি।) আমাদের মত বিশ্বাসঘাতক, লোভীদের জন্য পরাধীনতাই সঠিক।
(সংগৃহীত )
→ সব্যসাচী চক্রবর্তী।
Subscribe to:
Posts (Atom)