Thursday, 16 June 2016

জম্মুর রূপনগর এলাকায় "আপ শম্ভু মন্দির" নামে একটি প্রাচীন ধর্মস্থানে ঢুকে মুসলিমরা ভাঙচুর করার ঘটনায় এখনও অশান্ত জম্মু।

জম্মুর রূপনগর এলাকায় "আপ শম্ভু মন্দির" নামে একটি প্রাচীন ধর্মস্থানে ঢুকে মুসলিমরা ভাঙচুর করার ঘটনায় এখনও অশান্ত জম্মু। বিক্ষোভে ফেটে পড়া হিন্দু সংগঠনগুলি বেশ কয়েকটি যানবাহন পুড়িয়ে দিয়েছে, পাথর ছোঁড়া হয়েছে পুলিশের ওপর। জবাবে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে, কাঁদানে গ্যাস দিয়ে বিক্ষোভকারীদের হঠানোর চেষ্টা করেছে। বুধবার থেকেই বন্ধ রয়েছে ১০টি জেলায় মোবাইল পরিষেবা। গত সোমবার মুসলিমদের লাথি দিয়ে মূর্তি এবং শিবের মাথায় পা তুলে দেবার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। অভিযুক্ত "মহম্মদ ইয়াসির"কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার ভাই তনভির আহমেদকেও আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় সাসপেন্ড করা হয়েছে স্থানীয় পুলিশের হেড কনস্টেবল রহমতউল্লাকে। ধর্মীয় স্থান অপবিত্রকরণের ঘটনায় প্রধান পুরোহিত ও অন্যান্যরা অভিযোগ জানাতে গেলে তিনি তো অভিযোগ নেনইনি, তাঁদের সঙ্গে দুর্বব্যহার করেন। বিষয়টি জানাজানি হতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে গোটা জম্মু সহ পুরো দেশ। হিন্দুরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করেছেন দেশ জুড়ে।

Friday, 10 June 2016

আসলে মুসলমান কে?

আসলে মুসলমান কে? এই কথা গুলি বারবার শুনি। জামাত মুসলমান নয়। আওয়ামী লীগাররা মুসলমান নয়। আল্লামা শফী হুজুর মুসলমান নয়। বাংলাভাই মুসলমান নয়। রাজাকার মুসলমান নয়। সৌদিরা মুসলমান নয়। শিয়ারা মুসলমান নয়। তুরুষ্ক মুসলমান নয়। সিরিয়ার আসাদ মুসলমান নয়। বকো হারাম মুসলমান নয়। আত্মঘাতীরা মুসলমান নয়। যারা পৌত্তলিকদের সাথে বন্ধুত্ব করে তারা মুসলমান নয়। তালিবান মুসলমান নয়। আই এস মুসলমান নয়। যারা বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে তারা মুসলমান নয়। যারা ঘুষ খায় তারা মুসলমান নয়। যারা নামাজ পড়েনা তারা মুসলমান নয়। যারা জ্বেহাদে যায়না তারা মুসলমান নয় আবার একই সাথে যারা জ্বেহাদি তারা মুসলমান নয়। যারা ইমান রাখার জন্য নিজ সন্তানকে বলি দিতে পারে না সে মুসলমান নয়। যে কোরাণ অনুসরণ করেনা সে মুসলমান নয়। যারা ইহুদীদের বিরোধীতা করেনা তারা মুসলমান নয়। হিন্দুর মুর্তি পুজাকে যারা সমর্থন করে তারা মুসলমান নয়। যারা দরগায় যায় তারা মুসমান নয়। যারা গান গায় তারা মুসলমান নয়। যারা গানশুনে তারা মুসলমান নয়। যারা সিনেমা দেখে তারা মুসলমান নয়। যারা আব্রু মানেনা তারা মসলমান নয়। যারা বিধর্মীকে শত্রু ভাবেনা তারা মুসলামান নয়। খাজা মইনুদ্দীন মুসলমান নয়। হুথিরা মুসলমান নয়। শরীয়া না মানলে মুসলমান নয়। মুক্তিযোদ্ধারা মুসলমান নয়। কেবল নয়..নয়। কেউ এরা মুসলমান নয়। কেন নয়? তবে বাবর মুসলমান। আঅরংজেব মুসলমান। আর বিন কাশেম মুসলমান। সকল জ্বেহাদী মুসলমান না হলেও কাস্মীরের জ্বেহাদীরা মুসলমান। হিজবুল্লাহ ইসলামি ব্রাদার হুড মুসলমান । এসব ব্যাপারে দ্বিমত হয়না। কেন দ্বিমত হয়না? গান শুনলে মনুষ্যত্ব থাকেনা নাকি ইসলাম থাকেনা? দরগায় গেলে কি মনুষ্যত্ব থাকেনা নাকি ইসলাম থাকেনা? ছবি আকলে মনুষ্যত্ব থাকেনা নাকি ইসলাম থাকেনা? মুর্তি পূজা করলে মনুষ্যত্ব থাকেনা নাকি ইসলাম থাকেনা? কাফেরকে বন্ধু করলে কি মনুষ্যত্ব থাকেনা নাকি ইসলাম থাকেনা? গান গাইলে কি মনুষ্যত্ব থাকেনা নাকি ইসলাম থাকেনা? আসলে মুসলমান হতে গেলে কি যোগ্যতা থাকতে হয়? মুসলমান মানে কি ঠিক সাধারণ রক্ত মাংশের মানুষ বুঝায়না? কি পাল্টে যায় মানুষের?

Wednesday, 8 June 2016

বাঙালিদের নিয়ে সমস্যা?

""""বাঙালিদের নিয়ে উড়িয়াদের সমস্যা কোথায়, গোর্খাদের সমস্যা কোথায়, অসমিয়াদের সমস্যা কোথায়? এরা বাঙালিবিদ্বেষে এত ভুগছেন কেন? এই প্রশ্নগুলো করলেই দেখবেন একটা স্টক উত্তর পাচ্ছেন বাম-লিবেরাল বিশ্বমানব বাঙালির কাছ থেকে (যেটা আজকাল হনুপূজক বিশ্বহিন্দুরাও হনুকরণ করে উগড়ে দিচ্ছেন), সেটা হল, এটা বাঙালিরই পাপের ফল। বাঙালি বড্ড নাক উঁচু ছিল, এলিটিস্ট ছিল, এদেরকে দুচ্ছাই করেছে, এসবের ফল। একই যুক্তি দেখিয়ে বাংলাদেশের হিন্দুদের এথনিক ক্লিনজিংকেও সমর্থন করা হয়ে থাকে। বাঙালি উচ্চবর্ণের পাপের ফল আর কি, আমরা তো সর্বদাই মুসলমানভাইদের দুচ্ছাই করে এসেছি, তাই এখন ঘর জ্বালিয়েই দিতে পারে, নোয়াখালির গণধর্ষণও হতেই পারে। অমর্ত্য সেন তো বলেই দিলেন, হিন্দুরা যে পূর্ববঙ্গ ছেড়ে চলে এসেছে, সেটার খুব ভালো ফল হয়েছে, বাংলাদেশে অটোমেটিক ভূমিসংস্কার হয়ে গেছে। আমি তাই নিয়ে একবার লিখেছিলাম, অমর্ত্যর শান্তিনিকেতনের বাড়িটা দখল করে সেখানে ভূমিসংস্কার করা উচিত বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত হিন্দু উদবাস্তুদের, ওরা কেন যে রেললাইনের ধারে থাকতে যান। কথা হল, হ্যাঁ, বাঙালির নাক উঁচু, কিন্তু সে তো অকারণে কোনওদিন অপরকে অপমান করায় বিশ্বাসী নয়। হ্যাঁ, সঙ্গত কারণেই বাঙালি একটি সুমহান জাতি, ঐতিহ্যময় জাতি, কিন্তু উঁচু নাক লোকেদের কি সাম্যবাদ আনার জন্যে এবার নাক কেটে খ্যাঁদা করে ফেলতে হবে? সেরকম বিধান দেবেন বাম-লিবেরালরা? বাঙালির যদি কোনও দোষ থাকে, সেটা হল অত্যধিক ভদ্রতা, অত্যধিক নাক উঁচুর দোষ এই জাতির যে নেই, সেটা আমাদের ইতিহাস গঙ্গারিডিদের সময় থেকে স্টাডি করলেই জানা যায়। সারা পৃথিবীকে নিয়ে বাঙালি সেই আদিকাল থেকে কারবার করেছে, মূর্খের মত প্রতিবেশীকে বেমক্কা অপ্রয়োজনীয় অপমান বাঙালি করবেই বা কেন? বাঙালি কি খারাপ কাজ করেছে উড়েদের সঙ্গে? কেন, তাদের উড়ে বলেছে! এটাই নাকি মস্তবড় খারাপ কাজ, আমাদের বিশ্বমানবেরা প্রায়ই বলেন। বিশ্বমানবদের ধর্মজ্ঞান নিঁখুত, তবে ইতিহাসজ্ঞান আর বাংলাজ্ঞান অষ্টরম্ভা। আরে, আমরা তো বাঁশবেড়িয়াকেওবাঁশবেড়ে বলি, সেটায় কি জায়গাটাকে অপমান করা হয়? উড়িয়া থেকে উড়ে তো বাংলা ভাষার স্বাভাবিক চলন, এতে মান অপমানের কি হল? হেদুয়াকে হেদো বললে কি ওই জায়গাটাকে অপমান করা হয়? আমি হরপ্রসাদের লেখায় উড়ে শব্দটা পাচ্ছি, এবং খুব স্বাভাবিকভাবেই শব্দটা আসছে, অপমানের জন্য নয়। আমি জাতে বৈদ্য, সেটাকে অনেকেই বলেন বদ্দি। তাতে কি আমার অপমান হয়? এগুলো এত হাস্যকর যে এর উত্তর করাও বিড়ম্বনা। এবার অন্যদিকটা দেখুন তো। আসামের বঙাল খেদা দেখুন। এক লাখ বাঙালি বাস্তুচ্যুত হয়েছিল আসামে শুধু ১৯৬০ সালে, নিহতদের সম্পূর্ণ তালিকা তো আজও কেউ তৈরি করেনি। কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে উড়িষ্যায় বসতি করা বাঙালি উদবাস্তুদের উড়িষ্যা সরকারের পক্ষ থেকে কিভাবে ধ্বংস করা হয়েছে, তারও পূর্ণাঙ্গ বিবরণ আজ পর্যন্ত কেউ লেখেনি, কিন্তু মরিচঝাঁপি ছিন্ন দেশ ছিন্ন ইতিহাসে একটা সংক্ষিপ্ত প্রবন্ধ পাবেন সে ব্যাপারে, লেখক নিজে উড়িষ্যায় সিভিল সার্ভেন্ট ছিলেন। গোর্খারা দার্জিলিংকে বাঙালিশূন্য করেছে, শিলিগুড়িতে এসে থাবা বসিয়েছে। বাংলাদেশের দীর্ঘ হিন্দু-ক্লিনজিংনিয়ে বাম-লিবেরালরা যতই শিবনেত্র হয়ে বসে থাকুন (বা হিন্দুত্ববাদীরাযতই গোর্খা-উড়ে-অসমীয়া আগ্রাসন নিয়ে "কই, কিছু হয়নি তো" ভাব করে বসে থাকুন), বাঙালি এগুলো জানছে এবং বাঙালি নিধনের এই ইতিহাসকে আপনারা "সব বাঙালি বাবুদের দোষ" বলে বেশিদিন চালাতে পারবেন না। উড়ে পাণ্ডারা যে চৈতন্যকে হত্যা করেছিল, সেটাও কি বাঙালির দোষ ছিল? জয়দেবকে নিয়ে যে পুকুরচুরির রাহাজানিটা হল, সেটার দায় কি স্বর্গদ্বারে গিয়ে ধাঁইকিরিকিরি শুনতে চাওয়া নিরীহ বাঙালি টুরিস্টকে দেওয়া হবে? চিল্কার যে উদবাস্তু বাঙালি মেয়েটি পুরীতে আসে ঝি-এর কাজ করতে আর অনবরত হোটেল হলিডে হোমের উড়ে মস্তানদের হাতে ধর্ষিত হয়, তার দায় কি সেই বেচারা বাঙালি স্কুলমাস্টারের ঘাড়ে চাপবে, যিনি উড়িয়া স্বতন্ত্র ভাষা নয়, বাংলারই উপভাষা বলে একটা বই লিখেছিলেন ইংরেজ আমলে (চট্টগ্রাম আর সিলেটের ভাষা বাংলার উপভাষা হলে উড়িয়া-অসমীয়ানয় কেন, সে প্রশ্নে যাচ্ছি না)? রসগোল্লা যেভাবে দিনে ডাকাতি করে উড়েদের সরকার দখল করছে, তার দায় কি এবার বেঙ্গল রেনেসাঁসের ঘাড়ে চাপবে? বাঙালিরা উড়েদের সাহিত্যকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কি অসামান্য অবদান রেখেছে একসময়! সেটাও বোধকরি বাঙালিরই দোষ? সেই দোষের প্রাচিত্তির করতে এবার আসুন, চর্যাপদকেও দিয়ে দেওয়া হোক ওদের। যারা বাঙালির দোষ ছাড়া আর কিছু দেখতে পান না, এবং গোর্খাদের, অসমীয়াদের, উড়িয়াদের, বাংলাদেশের ও পশ্চিমবঙ্গের ইসলামিস্টদের ভালো ছাড়া আর কিছু দেখতে পান না, তাদের উদ্দেশ্যে নজরুলের কাছ থেকে ধার করে বলি, দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দেনা, শুধিতে হইবে ঋণ। শাক দিয়ে অনেকদিন হল মাছ ঢাকছেন এনারা। এবার বাঙালি যুদ্ধঘোষণা করবে, এবং সবার আগে, বাঙালির মধ্যে বিশ্বমানবতার নামে ঘাপটি মেরে বসে থাকা এই সমস্ত আগ্রাসনের দালালদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবে। ভদ্রতা যথেষ্ট হয়েছে, অতিরিক্ত হয়েছে! ভদ্রতার বাড়াবাড়ি করেছি বলেই আজ আমাদের এই অবস্থা! এই লেখাটা লিখেছেন "তমাল দাশগুপ্ত"

গোটা বিশ্ব জানে ২৬/১১ হামলার পিছনে লস্কর-ই-তৈবা ও পাকিস্তানের হাত আছে।

গোটা বিশ্ব জানে ২৬/১১ হামলার পিছনে লস্কর-ই-তৈবা ও পাকিস্তানের হাত আছে। কিন্তু কবীর সুমন, সানাউল্লা খানের মত কিছু সেক্যুলার ভেকধারী মুসলমান মৌলবাদীরা এর পিছনে RSS ও হিন্দুত্ববাদী সংগঠনকে দায়ী করে। হয়তো এরা জনগনকে পাগল ভাবে নয়তো এরা নিজেরা পাগল। নাহ! ভুল হলো, এরা পাগল নয়। এরা সুচতুর(কু-বুদ্ধিজীবি) মুসলমান মৌলবাদী। মুসলমানদের জঙ্গি কার্য্যকলাপের পিছনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের নাম জড়িয়ে দিয়ে মানুশকে বিভ্রান্ত করে মুসলমান জঙ্গি বা ইসলামের সৈনিকদের রক্ষা করা।। যে হেমন্ত কারাকারে জঙ্গিদের ( ইসলামের সৈনিক) গুলিতে নিহত হল, তার পিছনেও এরা হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের হাত দেখে এবং পরোক্ষভাবে দাবী করে ২৬/১১ মুম্বাই হামলা RSS কর্তৃক ঘটানো হয়েছিল।। Biltu Mondal

"কংগ্রেস মুক্ত ভারত হয়েছে,এবার মুসলিম মুক্ত ভারত গড়তে হবে".....

"কংগ্রেস মুক্ত ভারত হয়েছে,এবার মুসলিম মুক্ত ভারত গড়তে হবে"..... সাধ্বী প্রাচী সাধ্বী প্রাচীর এই বক্তব্য বিতর্কিত মনে হলেও আসলে কথাটা সত্যি কথা । ১৯৪৭ সালে ভারত যখন ভাগ হয় তখন এই দেশের ৯৫শতাংশ মুসলিম পাকিস্তান গঠনের পক্ষে ছিল । ধর্মের ভিত্তিতে যখন রাষ্ট্রভাগ হয়েছিল তখন কি করে মুসলিমরা ভারতে থেকে গেল? কারন নেহেরু-গান্ধীর ষড়যন্ত্রে আজও মুসলিমরা ভারতে থেকে সবচেয়ে বেশী সুযোগ সুবিধা ভোগ করে । পাকিস্তানের হিন্দুদের কি এতো সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়? ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান কয়েকবছরের জন্য লাগু ছিল সারাজীবনের জন্য নয়, তাহলে ধর্মনিরপেক্ষতারদোহাই দিয়ে আজও মুসলিমরা বহাল তবিয়তে ভারতে বাস করছেন অথচ পাকিস্তানের হিন্দুদের খুন,ধর্ষন,ধর্মান্তকরন করে শেষ করে দেওয়া হল এর জবাব কি কারও কাছে আছে?� সব্যসাচী ভট্টাচার্য্য

Tuesday, 7 June 2016

পরিসংখ্যান

এক মুমিন সুন্দর করে একটা পরিসংখ্যান দিল দুনিয়ার বিভিন্ন নাস্তিক, স্বৈরশাসক ইত্যাদির হাতে কত মানুষ নিহত হয়েছে। এটা তুলে ধরে মুমিন প্রমান করতে চাইল, সেই তুলনায় মুসলমানরা ইসলামের নামে প্রায় কাউকেই হত্যা করে নি, আর তাই ইসলাম হলো একমাত্র সহিহ শান্তির ধর্ম , আর মুসলমানরা হলো দুনিয়ার সব চাইতে শান্তিপ্রিয় মানুষ। তো প্রথমেই মুমিনের দেয়া পরিসংখ্যানটা দেখা যাক : মাওসেতুং (নাস্তিক)- ৭ কোটি ৮০ লাখ হিটলার (খ্রিষ্টান)- ১ কোটি ৭০ লাখ জোসেফ স্তালিন (নাস্তিক)- ২ কোটি ৩০ লাখ লিওপন্ড-২ (খ্রিষ্টান)- ১ কোটি ৫০ লাখ হাইভেকি তোশো (বৌদ্ধ)- ৫০ লাখ পল পট (নাস্তিক)- ৩০ লাখ কিম ইন-সাং (নাস্তিক)- ১৬ লাখ মেনপিশটু হেইলি মারিয়াম (নাস্তিক)- ১৫ লাখ জর্জ ডব্লিও বুশ (খ্রিষ্টান)- ১০ লাখ - মোট: ১৪ কোটির কিছু বেশী সূত্র: http://istishon.com/?q=node/20902#sthash.VmYlH3QA.dpuf মুমিনের যুক্তি : মাও সেতুং , হিটলার ,স্টালিনরা যদি তাদের রাজনীতির নামে কোটি কোটি মানুষ হত্যা করতে পারে , তাহলে মুসলমানরা যদি কিছু মানুষ হত্যা করে থাকে , তাহলে দোষের কি আছে ? অর্থাৎ সেই মুমিন কিন্তু নিজের অতি চালাকিতে তার প্রিয় নবী মুহাম্মদকে হিটলারের মত একজন পৈশাচিক ও বর্বর মানুষের সাথে তুলনা করে ফেলেছে , এবং সে প্রমান করেছে , মুহাম্মদ , হিটলারের মতই একজন বর্বর খুনি ছিল- কিন্তু সে বুঝতে পারে নি। আচ্ছা , বলুন তো উক্ত মাওসেতুং বা হিটলার বা স্টালিন কোন ধর্মের নামে মানুষ হত্যা করেছিল ? তারা যেটা করেছিল সেটা হলো সম্পূর্ন তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্যে। এবার বলুন তো দুনিয়ার কোন বিবেকবান লোক তাদের এই গনহত্যাকে সমর্থন করে ? কোন লোক তাদের এই গনহত্যাকে সঠিক কাজ বলে গণ্য করে ? কেউই তাদের গনহ্ত্যাকে সমর্থন করে না , দুনিয়ার সকল বিবেকবান লোক তাদের এই গনহত্যাকে ঘৃণা করে , আর কঠিন সমালোচনা করে। তাদের এসব কর্মকান্ডকে ধিক্কার জানিয়ে, সারা দুনিয়ায় লক্ষ লক্ষ বই লেখা হয়েছে , লেখা হয়েছে নিবন্ধ , খবর আর হয়েছে কঠিন সমালোচনা। আর এর জন্যে কিন্তু কোন লোকই সমালোচনাকারীদেরকে চাপাতি দিয়ে কল্লা কাটতে যায় নি। দুনিয়ার কোন বিবেকবান লোকই মাওসেতুং বা হিটলার বা স্টালিনকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট আদর্শ মানুষ তো দুরের কথা , একজন স্বাভাবিক বিবেক সম্পন্ন মানুষ বলেও স্বীকার করতে রাজি না। বরং সবাই বলে, তারা ছিল সবাই বর্বর , অসভ্য ও খুনি। আর এর জন্যেও কেউ কোন সমালোচনাকারীর কল্লা কাটতে যায় না। পার্থক্য শুধু ইসলামের নামে হত্যাযজ্ঞ। খোদ মুহাম্মদ নিজেই হত্যা করেছেন হাজার হাজার অমুসলিম বিশেষ করে ইহুদিদেরকে। যেমন - বনু কুরাইজা হত্যা কান্ড--- ৭০০-৯০০ ইহুদিকে অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় শিরোচ্ছেদ করা হয় ( ইবনে ইসহাক)। খায়বারে ইহুদি নিধন যজ্ঞ। এখানেই ইহুদি সর্দার কিনানকে নির্মমভাবে হত্যা করে মুহাম্মদ সেই হত্যার দিনেই কিনানের স্ত্রীকে নিয়ে রাত কাটান , পরদিন তাকে বিয়ে করেন। এছাড়া মুহাম্মদের নির্দেশে বহু মানুষকে হত্যা করা হয় বিচ্ছিন্ন ভাবে । এবার মুহাম্মদের উম্মত তথা মুসলমানদের হাতে নিহতের একটা পরিসংখ্যান দেয়া যাক - ১। ইসলাম চালুর পর , মুসলমানরা যখন আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ দখল করে , তখন তাদের প্রধান কাজই ছিল কাল মানুষদেরকে ধরে ধরে দাস দাসী হিসাবে বিক্রয় করা। এভাবে গত ১৪০০ বছরে তারা মোট ২ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষকে দাসদাসী হিসাবে চালন করেছে । মুসলমানদের হাতে নিহত হয়েছে প্রায় ১২ কোটি কাল আফ্রিকান। ২। এশিয়া মাইনর অঞ্চলে মোট ৫ কোটি ৯০ লক্ষ খৃষ্টান হত্যা করেছে মুসলমানরা। ৩। বল্কান অঞ্চল, হাঙ্গেরি, ইউক্রেন , রাশিয়তে মোট ৮ কোটি খৃষ্টানকে হত্যা করেছে মুসলমানরা। ৪। ভারতে গত ১৪০০ বছরে মুসলমানরা প্রায় ৪০ কোটি হিন্দু হত্যা করেছে। ৫। আনুমানিক ১ কোটি বৌদ্ধ হত্যা করেছে মুসলমানরা এই সময়ে। সুতরাং মুসলমান কর্তৃক মোট নিহতের সংখ্যা - প্রায় ৬২ কোটি সবচাইতে সফল ছিল ইহুদি নিধনে , মুহাম্মদ ও তার দলবল আরব দেশ থেকে সকল ইহুদিকে তাদের ভিটা মাটি থেকে চিরতরে উচ্ছেদ করেছে। সূত্র : https://themuslimissue.wordpress.com/2013/06/19/muslims-have-killed-over... সুতরাং দেখা যাচ্ছে , যেখানে মাও সেতুং , হিটলার , ষ্টালিন ইত্যাদিরা তাদের বর্বর রাজনীতির নামে ১৪ কোটির মত মানুষ হত্যা করেছে , সেখানে মুসলমানরা ইসলামের নামে গত ১৪০০ বছরে হত্যা করেছে হিটলার বা স্টালিন ইত্যাদির চাইতে সাড়ে চারগুন বেশী মানুষ। আর এই অবিশ্বাস্য হত্যাকান্ড ঘটান হয়েছে শুধুই মাত্র ইসলাম নামক একটা ধর্মের জন্যে। তাহলে- মাও সেতুং , হিটলার ইত্যাদির সাথে ইসলামের তফাৎ কোথায় ? তফাৎ হলো , আমরা ধুমছে মাও সেতুং বা হিটলার ইত্যাদির সমালোচনা করতে পারি , আর তারা নিজেরাও কেউ নিজেদেরকে সর্বকালের আদর্শ মানুষ বলে দাবী করে নি। তাই তাদেরকে সমালোচনা করলে কেউ আমাদের কল্লা কাটতে আসে না।পক্ষান্তরে কেউ যদি ইসলামের এই বর্বর হত্যাকান্ডের বা মুহাম্মদের এই নিষ্ঠুরতা ও বর্বরতার সমালোচনা তো দুরের কথা , শুধুমাত্র এই তথ্যগুলো কেউ উচ্চারন করে , তাহলে সারা দুনিয়ার মুমিন বান্দারা চাপাতি নিয়ে, আত্মঘাতী বোমা নিয়ে আক্রমন করতে চলে আসে। কিন্তু ইসলাম নামক বর্বরতা আর কতদিন চলবে ? পরকালে বেহেস্তে কাল্পনিক ৭২ কুমারী নারীর লোভে আর কতদিন মুসলমানরা ইসলামের শিকার হবে ? পরিশেষে , মুসলমানদের এই বর্বরতার বিপরীতে দুনিয়ার সকল অমুসলিম এক হয়ে মুসলমানদের ওপর আক্রমন চালালে সেদিন মুসলমানদের কি অবস্থা হবে ? আর সেই অবস্থার জন্যে কে দায়ী হবে ?

"মাদ্রাসা"..... এই চার দেওয়ালের ভেতরে থেকেই তৈরী হয় সন্ত্রাসবাদ।

সব্যসাচী ভট্টাচার্য্য "মাদ্রাসা"..... এই চার দেওয়ালের ভেতরে থেকেই তৈরী হয় সন্ত্রাসবাদ। মাদ্রাসার উদ্দেশ্য কি? মাদ্রাসাতে শেখানো হয় না ইংরেজী,বিজ্ঞান,ভূগোল তাহলে সেখানে কি শেখানো হয়? মাদ্রাসাতে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া নিষিদ্ধ । ভারতের ইতিহাসে এমন কেউ আছেন যিনি মাদ্রাসাতে পড়ে নোবেল কিংবা কোনো সন্মান বা পুরস্কার পেয়েছেন? মাদ্রাসাতে পড়ে কেউ বিজ্ঞানী হয়েছেন এমন লোক কি কেউ আছেন আমাদের দেশে? যখন মাদ্রাসার কৃতী ছাত্ররা সমাজের কোনো কাজে লাগেনা তখন মাদ্রাসা রেখে কি লাভ? মাদ্রাসা সমাজে হিংসা,বিদ্বেষ ছড়াতেই তৈরী করা হয়েছে । সরকারের সাহায্যে মাদ্রাসা আজকে সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর তৈরী হয়েছে । ভারতবর্ষের তথাকথিত সেকুলার শুয়রোর বংশোদ্ভুতরা মাদ্রাসার বিরোধীতা করতে পারে না ভোট ব্যাঙ্কের লোভে কিন্তু অনায়াসে সঙ্ঘ চালিত বিদ্যালয়গুলির বিরোধীতা করতে ছাড়েন না উনারা । মাদ্রাসাকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা উচিত, ইসলামী শিক্ষার নামে যেভাবে শিশুদের জিহাদী প্রশিক্ষন দিয়ে তৈরী করা হচ্ছে তার তীব্র বিরোধীতা করা উচিত । �