. দলিত-মুসলিম ভাই ভাই
বর্ণহিন্দুর রক্ত চাই।
দশটা মিনিট ব্যায় করে ইতিহাসকে জানুন। ভবিষ্যতকে দেখতে পাবেন।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~.
গত কিছু দিন ভারতের কিছু স্থানে 'দলিত'দের উপর বেশ কিছু অত্যাচারের ঘটনা ঘটেছে। এই ধরনের অমানবিক ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যে জলভাত হলেও কোনো সভ্য সমাজে চলতে পারে না। এর ফলশ্রুতিতে বেশ কিছুদিন ধরে রাজনীতি সচেতন জনসমাজে দলিতপ্রেম জেগেছে। দলিতরা যে বর্ণহিন্দুদের দ্বারা কতটা নির্যাতিত হয়ে চলেছে আবহমান কাল ধরে, তার হিসাব নিকাশ চলছে। তার সাথে চলছে উপদেশের অমৃতবার্তা। ব্রাহ্মন তথা সকল উচ্চবর্ণের উদ্দেশ্যে চলছে অশ্রাব্য গালিগালাজ। তাদের বিতাড়নের উস্কানিও দেওয়া হচ্ছে। দলিত ও মুসলিমদের একত্র করে "শ্রেনীহীন সমাজ" গঠনের স্বপ্নও দেখান হচ্ছে।
যা ঘটেছে তা ক্ষমার অযোগ্য। হিন্দু সমাজে যখনই এরকম ঘটনা ঘটে, তার প্রতিকারও হয়। কিন্তু কিছু সবজান্তা স্বার্থান্ধ ব্যাক্তি এই সুযোগে হিন্দু সমাজে বিভাজন ঘটানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। সাধারন মানুষের স্মৃতিশক্তির দূর্বলতা এদের প্রধান অস্ত্র। ইতিহাসের পাতায় এদের কাহিনী কালিমালিপ্ত।
===============================
যোগেন মন্ডলের করুণ কাহিনী শুনুন :-
যোগেন মন্ডল ছিলেন নমঃশুদ্র জাতের অর্থাৎ পূর্ব বঙ্গের নিম্নজাতির লোকেদের সব থেকে বড় নেতা। নমঃশুদ্রদের কাছে ওনার কথাই ছিল শেষ কথা।
দেশ ভাগের সময় উনি বললেন - "আমার কোন নমঃশূদ্র ভাই হিন্দুস্তানে যাবে না।... পাকিস্তান দিতে হবে.... দিতে হবে। - এই পাকিস্তানে আমরা পাকিস্তানীরা আর নমঃশূদ্ররা ( তিনি নমঃশূদ্রদের হিন্দু বলেই মনে করতেন না ) ভাই-ভাই হয়েই থাকব। হিন্দুদের সঙ্গে থাকব না।দেখবেন, আমাদের কোন অসুবিধা হবে না"। বাংলাদেশে আওয়াজ উঠল -
" নমঃশুদ্র-মুসলিম ভাইভাই
বর্ণহিন্দুর রক্ত চাই"।
পাকিস্তানের জন্ম হল, যোগেন্দ্র নাথ মন্ডল পাকিস্তানের আইন মন্ত্রী হয়ে বসলেন -- এই পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই চলল। কিন্তু তারপরেই শুরু হল মহা গন্ডগোল...!!
পাকিস্তান হওয়ার ঠিক পরে অর্থাৎ - 1947 এর 15 অগাস্টের পর থেকেই হিন্দুদের উপরে নেমে এলো অমানুষিক অত্যাচার।বিশেষ করে, 50 এর ফেব্রুয়ারির পর থেকে - সব থেকে বেশী অত্যাচার নেমে এলো গরীব নমঃশূদ্র জাতের উপরে। কারন ততদিনে উচ্চবর্নের হিন্দু হয় বর্ডার ক্রস করে পালিয়েছেন, নয় মরেছেন অথবা কিছু তরবারীর সামনে কলেমা পড়ে মুসলমান হয়েছেন। অতএব হাতের পাঁচ - নমঃশুদ্র জাতের মেয়ে বউদের উপরে ধর্ষন সব সীমা ছাড়িয়ে গেল।
দক্ষিণ বাংলাদেশের ভোলা দ্বীপে নমঃশুদ্র জেলে মেয়েদের আট থেকে সত্তর বছর বয়স্ক প্রায় দুই হাজার মেয়ে বউকে একদিন দুপুরে রেপ করা হল একই সাথে মাঠে শুইয়ে।
সর্বত্র হিন্দু মেয়ে বউদের উপরে বিশেষ করে তপশিলী মেয়ে বউদের তাঁদের বাড়ির উঠোনেই রেপ করা হতে লাগল - আবার রাতের বেলা শিশু পুত্র কে মেরে ফেলা হবে এই ভয় দেখিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হতে লাগল -- রাত দশটায় নিয়ে যাওয়া হতে লাগলো আর ফেরত দিতে লাগল ভোরের বেলা - স্বামী পুত্রের প্রাণ রক্ষায় তপশীলি মেয়ে বউরা তাই করতে লাগল।
যোগেন্দ্র নাথ মন্ডলের ছিল দুই মেয়ে আর বউ। তাদের নিয়ে তাঁর প্রাণপ্রিয় নমঃশূদ্র গরীব ভাই বোনেদের পিছনে রেখে, নমঃশুদ্র মেয়ে বউদের হায়নার মুখে রেখে, তিনি পালালেন কলকাতায়... সেই হিন্দুদের কাছে, ... সেই হিন্দুস্থানের মাটিতে। .. যা এককালে তাঁর কাছে চক্ষুশূল ছিল।
পড়ে রইল তাঁর প্রায় দেড় কোটি অত্যন্ত গরীব নমঃশূদ্র জাতের ভাই বোনেরা যারা তার কথা শুনে ১৯৪৭ এ দেশভাগের সময়েও ভারতে আসার সুযোগ থাকা স্বত্বেও ভারতে আসেননি।
অবশেষে, তিনি তাঁর অভিজ্ঞতা দিয়ে বুঝলেন -
"ঐ দেশে ( পুর্ব পাকিস্থান/ অধুনা বাংলাদেশ) আর হিন্দু থাকতে পারবে না"...।
সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলছে।
ভাবুন একবার, একটি দেশের এক আইন মন্ত্রী শুধুমাত্র হিন্দু হবার কারনে প্রান ভয়ে রাতের অন্ধকারে অন্য একটি দেশে পালিয়ে গিয়ে সেখান থেকে তৎকালীন পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান'কে তাঁর পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দিচ্ছেন!
এই হল সেকুলার বিপ্লব। আর - এই হোল এদের বিচার আর চিন্তা ধারা। বর্তমানের দিকভ্রষ্ট রাজনীতির দলিত- মুসলিম ঐক্যের এক উজ্জ্বল এবং আদর্শ উদাহরন পঞ্চাশের দশকের এই যোগেন্দ্র নাথ মন্ডল ।
▶ যোগেন মন্ডলের ইতিহাসটি আংশিক সংগৃহীত।
''আমি গর্বিত,আমি হিন্দু" "দিব্যজ্ঞান নয় কান্ডজ্ঞান দরকার" This blog is about Hindu Religion.we are collecting posts from many pages of facebook.some time you think that we giving hate speeches but this is not true we just give information and news. https://m.facebook.com/WERHINDU https://m.facebook.com/nationslisthindu #NationalistHindu
Thursday, 11 August 2016
ভারতে জাকির নায়েকের পক্ষে মিছিল হচ্ছে,নলহাটিতে দুর্গা পুজো করতে দিচ্ছে না
ভারতে জাকির নায়েকের পক্ষে
মিছিল হচ্ছে,নলহাটিতে দুর্গা পুজো
করতে দিচ্ছে না,উঃ দিনাজপুর
বিগ্রহ ভেঙে ফেলছে।কই
মোল্লাদের পা চেটে খাওয়া
হিন্দুদের তো এসবের বিরুদ্ধে সরব
হতে দেখছি না।কিন্তু আমরা
হিন্দুরা এসবের প্রতিবাদ করলেই
তোমরা বলছো আমরা উগ্র হিন্দু
মৌলবাদী!!বাহ রে বরাহরা বাহ!
সেকুলার নামের শুয়োরদের মূল উদ্দেশ্য কি?
সেকুলার নামের শুয়োরদের মূল
উদ্দেশ্য কি?এদের মূল উদ্দেশ্য
একটাই।ভারতকে মোল্লাদের হাতে
তুলে দেওয়া,বিনিময়ে মধ্যে প্রাচ্য
থেকে আসা কোটি কোটি টাকা নিয়ে
আমেরিকা অথবা ইউরোপের কোন
দেশে চলে যাওয়া।
তাই কাশ্মীরে পন্ডিতদের উপর
নির্যাতন ও পশ্চিমবঙ্গের
বিভিন্ন স্থানে মোল্লাদের দ্বারা
হিন্দু নির্যাতন এদের চোখে পড়ে
না।এদের চোখ যে পেট্রো ডলারের
কাছে বিক্রি হয়ে গেছে এই কথাটা
পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুরা কবে
বুঝবে?
Wednesday, 10 August 2016
".... ভাগ এখান থেকে....। কোন ভিক্ষা হবে না। .... তোর পেটও ফাঁকা,.. আবার কোলও ফাঁকা।... যা, ফোট ... "। ... মানে..??
".... ভাগ এখান থেকে....।
কোন ভিক্ষা হবে না। .... তোর পেটও ফাঁকা,.. আবার কোলও ফাঁকা।... যা, ফোট ... "।
- শুনে চমকে যায় আবির।... মানে..??
.... মেটিয়াবুরুজের সকাল...। চারিদিকে ঘিঞ্জি গলি,.. আর এখানেই প্রতিদিন সকালের ব্যস্ততার ভিড় ঠেলে দোকানে দোকানে ধুপকাঠি ফেরি করে বেড়ায় আবির।
তার ধুপের ভাগ'টা বেশ কড়া। ... আর তাতে গন্ধটাও জমে ভালো। আর দিন দিন পাল্লা দিয়ে এলাকায় গরুর মাংসের দোকান যত বেড়েছে,... ততই বেড়েছে, আবিরের খরিদ্দার সংখ্যা।
..... কে জানে, হয়তো'বা ওই বাসি মাংসের বোঁটকা গন্ধ থেকে বাঁচতেই ওরা এটা জ্বালায় কিনা?...
... তাতে তার কি? ঠাকুর ঠাকুর... বলে সকাল সকাল সাইকেলে চেপে... শুরু করে তার ব্যাবসা।... প্রথমে চেনা দোকান... আর তারপর পুশসেল...। দুপুর ১২'টার মধ্যে বাড়ি...।।
.... যাই হোক, ধমক শুনে, থমকে যায় সে।.. তাকিয়ে দেখে.. ৫-৬ জনের ছোট একটি ভিখারিনী'র দল।
.... সারা রাতের ডিমে তা দেবার ধকল সামলে সক্কাল সক্কাল মুরগীর মত তারা বেরিয়ে পড়েছে খাদ্যের সন্ধানে।... এ- দোকান থেকে ও দোকানে... ঘুরে ঘুরে খুঁটে নিচ্ছে.. যার কাছে যা পাচ্ছে।
... কোলে ছোট বাচ্চা নিয়ে এমন ভিখারিনীর দেখা তো এখানে প্রায়ই মেলে...। - এ আর নতুন কি?.. তবে?
কৌতুহলি হয়ে এগিয়ে যায় আবির।... দেখতেই হচ্ছে ব্যাপারটা...।।
.... দোকানটি এক খানদানী মুসলমানের। ঠিক দোকান নয়,.... ব্যাবসায়ী গদি। সেখানে তাকিয়ায় হেলান দিয়ে বসে দোকানের মালিক হাজী নুরউদ্দন...। উপরে সাইনবোর্ডে.. "নুরউদ্দিন এন্ড ট্রেডার্স"... লেখাটি ঝক ঝক করছে।
আবির দেখল .... মুখভর্তি পান মুখে, হাজী সাহেব তাকিয়ায় হেলান দিয়ে দলের মহিলাদের ভিক্ষা দিচ্ছেন.. সামনের বাটা থেকে দরাজ হাতে, সবাইকে এক একটি খুচরো পয়সা তুলে দিচ্ছেন। আল্লার দোয়া মেঙ্গে, তারাও ধীর পায়ে বাইরে বেরিয়ে আসছে।... কেবল বাধ সেধেছেন একটি রুগ্ন মেয়ের বেলায়।
... এরা প্রায় সকলেই তালাকপ্রাপ্তা। অথচ, সকলেরই প্রায় কোলে একটি করে দুগ্ধপোষ্য শিশু। .... দু-একটি অবশ্য মায়েদের হাত ধরেই ভিক্ষে করছে। আবার সন্তান সম্ভবা'ও দেখা গেল... এক জনকে...।
.... কিন্তু রুগ্ন মেয়েটি...? তার যে এসকল চিহ্নের কোনটাই নাই..।।
.... বিসস্ত্রবসনা মেয়েটির দিকে এবারে....... একঝলক তাকাতেই, ... আবির বুঝতে পারল... ধমকের ইঙ্গিতটা....।।
- মাথা নিচু হয়ে গেল তার...। পকেটে নিজের অজান্তেই হাত ঢোকাতে বেরিয়ে এল খুচরো... দশ টাকার একটা নোট।... কোন দিকে না তাকিয়ে, লজ্জায় লাল হয়ে যাওয়া অসহায় মেয়েট'র হাতে আলতো করে টাকাটি দিয়েই সাইকেলে চেপে পড়ল সে..।
শুধু .... অবাক হয়ে যাওয়া মেয়েটিই অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখতে থাকল.... ভিড়ের আড়ালে ক্রমশ মিলিয়ে যাওয়া তার... আল্লার ফেরিস্তাকে....!!
সাম্প্রদায়িক কে ?
"সেকুলার দিদি ও সাম্প্রদায়িক বিজেপি "
ইমাম ভাতা দিচ্ছে কে ? দিদি
সাম্প্রদায়িক কে? বিজেপি
হজ টাওয়ার তৈরি করছে কে ? দিদি
সাম্প্রদায়িক কে ? বিজেপি
রমজান স্পেশাল প্যাকেট দিচ্ছে কে ? দিদি
সাম্প্রদায়িক কে ? বিজেপি
"মিনি পাকিস্তান" গঠনের কথা বলা নেতাকে মন্ত্রী করেছে কে ? দিদি
সাম্প্রদায়িক কে ? বিজেপি
বরকতি মিয়াকে দলীয় মঞ্চে কে নিয়ে আসে ?দিদি
সাম্প্রদায়িক কে ? বিজেপি
হিজাব পড়ে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করে কে ? দিদি
সাম্প্রদায়িক কে ? বিজেপি
ইমামদের পরামর্শদাতা বানিয়েছেন কে ? দিদি
সাম্প্রদায়িক ? বিজেপি
ত্বহার সমাবেশে কে হিজাব পড়ে হাজির হয় ?দিদি
সাম্প্রদায়িক কে ? বিজেপি
মুসলিমদের জন্য স্পেশাল হাসপাতাল গড়েন কে ? দিদি
সাম্প্রদায়িক কে ? বিজেপি
দুর্গাপুজোর ভাসান বন্ধ রেখে ঈদ পালন করে কে ? দিদি
সাম্প্রদায়িক কে ? বিজেপি
মুসলিমদের খুশি করতে গোহত্যার পক্ষে সওয়াল করে কে ? দিদি
সাম্প্রদায়িক ? বিজেপি
মুসলিমরা হিন্দুদের ওপর আক্রমণ অত্যাচার করলে ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করে চুপ থাকেন কে ? দিদি
সাম্প্রদায়িক ? বিজেপি
হায় রে সেকুলারিজম !!!
শব্দটার এক্কেরে মা-মাটি-মানুষ করে দিলো দিদি I
A masterpiece of strategic mobility
সময় টা অষ্টাদশ দশক, আওরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর ভারতবর্ষের শাসন ব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দু মোগল সাম্রাজ্য ক্ষয়িষ্ণু প্রায়। ছত্রপতি শম্ভুজি মহারাজের মৃত্যুর পর মারাঠারা মোগল সাম্রাজ্য গোড়া থেকে উপরে ফেলতে বদ্ধপরিকর। সাম্রাজ্য রক্ষা করার তাগিদে মোগল সাম্রাট হায়দ্রাবাদের নিজাম আশিফ ঝাঁ কে দায়ীত্ব দেন মারাঠা দের জ্বব্দ করতে এবং সাথে দেন এক লক্ষের অধিক বিশাল মোগল সেনা ও ভারী গোলান্দাজ বাহিনী। এদিকে মারাঠা সাম্রাজ্যে মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিবাদ তখন তুঙ্গে কারন ছত্রপতি শিবাজীর প্রপুত্র সাহু ছত্রপতি হিসাবে সিংহাসনে বসলেও তার অপর ভাই দ্বিতীয় শম্ভুজী এই পদের দাবীদার। নিজাম এই সমীকরণ টি ভালই বুঝতেন তাই ১৭২৬ সালে বিশাল মোগল সেনা নিয়ে তিনি দিল্লী থেকে মারাঠাদের রাজধানী সাতারার দিকে অগ্রসর হন ও গোপনে দ্বিতীয় শম্ভুজীর কে ছত্রপতি হিসাবে তার সমর্থন রয়েছে বার্তা পাঠান। এর ফল হয় মারাত্মক কিছু পদলোভী মারাঠা সেনাপ্রধান কে নিয়ে শম্ভুজী বিদ্রোহ করে এবং নিজামের নেতৃত্বাধীন মোগল সেনাকে সাতারায় প্রবেশ করতে সাহায্য করে। ছত্রপতি সাহু তার পরিবার ও বিশ্বস্ত মারাঠা সেনা নিয়ে দক্ষিন পুনের পুরন্দর দূর্গে আশ্রয় গ্রহন করেন কিন্তু নিজাম তার বিশাল সেনা নিয়ে দূর্গ অবরোধ করে দেয়। ছত্রপতি তার পেশোয়া শ্রীমন্ত বাজীরাও বল্লাল বালাজী ভট কে আদেশ পাঠান রাজধানী রক্ষা করার জন্য।
.
ঘটনা ::
.
বাজীরাও তখন খান্দেশে তার সেনা নিয়ে অবস্থান করছিলেন। অসাধারণ বুদ্ধিমান এই মারাঠা পেশোয়া ছত্রপতির আদেশ মত রাজধানী তে ফিরে মোগল সেনার সাথে যুদ্ধ করার বদলে তার সেনা নিয়ে পশ্চিমে গুজরাটের দিকে যাত্রা করে ও সহজেই গুজরাট দখল করে নেয় এবং গুজরাটের মোগল নিযুক্ত শাসকের সাথে চুক্তি করে যুদ্ধে তার সেনাকে লজিস্টিকস সাপোর্ট দেওয়ার জন্য বাধ্য করান। এরপরে বাজীরাও খুব দ্রুত নিজামের অধিকারকৃত মালওয়ার দিকে অগ্রসর হন ও মালওয়ার দখল করে নেন। এরফলে দিল্লী থেকে নিজামের নেতৃত্বাধীন সেনার জন্য সমস্ত লজিস্টিকস সাপ্লাই কেটে যায়।
.
এবার বাজীরাও তার সেনা বাহিনী নিয়ে অরঙ্গাবাদের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এই খবর শুনেই নিজাম অস্থির হয়ে ওঠেন কারন আওরঙ্গাবাদ ছিল নিজামের তৎকালীন রাজধানী ও খুবই সমৃদ্ধ শহর। ছত্রপতি সাহু কে ধরার আশা ত্যাগ করে ও পুরন্দার দুর্গ থেকে অবরোধ তুলে নিজাম তার সেনাবাহিনী নিয়ে বাজিরাও এর পিছনে পিছনে অরক্ষিত আওরঙ্গাবাদের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। বাজিরাও এর পরিকল্পনা সফল হয় কারন এটাই ছিল তার পরিকল্পনা যে "শত্রুর পিছনে না দৌড়ে শক্র যেন তোমার পিছনে দৌড়ায় তার ব্যবস্থা করা।" বাজিরাও কাল বিলম্ব না করে অপর দুই মারাঠা সেনাপতি মাল্লাল রাও হোলকার ও রানাজী সিন্ধে কে তাদের সেনাবাহিনী নিয়ে নিজামের সেনাবাহিনীর পিছন পিছন ধীরে ধীরে ওরাঙ্গাবাদের দিকে অগ্রসর হওয়ার জন্য আদেশ দেন ফলে নিজামের অজান্তেই নিজাম বাজিরাও এর পাতা ফাঁদে পা দেন।
.
বাজিরাও এর সেনাবাহিনী ছিল ছোট এবং অশ্বারোহী বাহিনী প্রধান কিন্তু নিজামের সেনা ছিল সংখ্যায় বিপুল ফলে বাজিরাও গতি ছিল বেশি। তাই অনেক আগেই বাজিরাও ওরাঙ্গাবাজের নিকটে গোদাবরী নদীর তীরে পৌছে গেলেও নদী অতিক্রম করে ওরাঙ্গাবাদ আত্রুমন না করে গোদাবরী নদীর তীরে ওরাঙ্গাবাদ থেকে ২০কিমি দূরে পালকিথ তে অবস্থান করে। নিজাম সেনা নিয়ে গোদাবরী অতিক্রম করে কিন্তু যখন জানতে পারেন যে, বাজিরাও ২০কিমি দূরে অবস্থান করছেন তখন আবার গোদাবরী নদী পেরিয়ে বাজিরাও কে তাড়া করেন। তবে তীব্র গরম ও লজিস্টিক সাপ্লাই না পাওয়ায় নিজামের সেনারা এমনি তেই ক্লান্ত ছিল তাই দ্রুত সেনার চলাচলের জন্য নিজাম তার শক্তিশালী গোলান্দাজ বাহিনী গোদাবরীর অন্য পাড়ে রেখেই পাল্কিথের দিকে অগ্রসর হন। মার্চ, ১৭২৮ তে দুইপক্ষ মুখোমুখি হয়। বাজিরাও এর ছোট সেনাবাহিনী দেখে নিজাম যুদ্ধ শুরু করলেও কিছুক্ষণ পরেই তার ভুল ভাঙ্গে যখন তিনি বুঝতে পারেন যে তার অলক্ষেই অপর একটি মারাঠা সেনাদল তার পিছনে এসে দাঁড়িয়েছে। তীব্র জল কস্টে এমনিই নিজামের সেনা কান্ত ছিল তার ওপর সাঁড়াশি আত্রুমনে নাজেহাল হয়ে পড়ে। নিজামের মোগল সেনাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় ও নিজাম বাধ্য হয়ে মারাঠা দের সাথে সন্ধিচুক্তি করে।
.
ফলাফল ::
.
সন্ধিচুক্তি অনুসারে, পেশোয়া বাজিরাও নিজাম কে বাধ্য করেন ছত্রপতি সাহু কে ছত্রপতি হিসাবে মেনে নিতে এবং সমগ্র দাক্ষিণাত্য অঞ্চলের কর ব্যবস্থাও মারাঠা দের নিয়ন্ত্রনে চলে আসে এবং ভবিষ্যতে বাজিরাও এর দিল্লী অধিযানের সময় নিজাম নিরপেক্ষ ভুমিকায় থাকবে এই আশ্বাসও বাজিরাও আদায় করে নেন। এই চুক্তির ফলে ভারতবর্ষের বৃহদ অংশ মোগল দের নিয়ন্ত্রণ থেকে একেবারে বেড়িয়ে যায়।
.
বি: দ্রি: = ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর ফিন্ডমার্শাল Bernard "Monty" Montgomery পেশোয়া বাজিরাও এর এই যুদ্ধনীতি অনুসরণ করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিশর ফ্রন্টে নাতসি বাহিনীকে পরাজিত করে মিত্রশক্তি কে জয় এনে দেয় এবং পরবর্তী কালে নিজের লেখা যুদ্ধনীতি নিয়ে বই তে এই যুদ্ধকে "A masterpiece of strategic mobility" বলে আখায়িত করেছিলেন।
কই? ... মুসলমানেরা তো জেলে যেতে ভয় পায় না!তবে .... জেলে যেতে তোমাদের এত ভয় কিসের?
কই? ... মুসলমানেরা তো জেলে যেতে ভয় পায় না!
তবে .... জেলে যেতে তোমাদের এত ভয় কিসের? আজ আর ... আলাদা করে জেলখানা বলে কিছু আছে কি?... এখন তো গোটা দেশটাই এক জীবন্ত কারাগারে পরিণত হয়েছে।
...তোমরা কি একবারও বুঝতে পারছো না? ... জেহাদে জেহাদে.. জেরবার হয়ে,.... আজ তোমাদের এই সোনার বাংলার কি দুরবস্থা হয়েছে! ... এর ভবিষ্যৎ কি?
তাই ভয় কি? ... হে আমার নতুন যুগের অগ্রদূত ... হে আমার প্রানপ্রিয় হিন্দুহৃদয় তরুণ তরুণীরা... তোমরা এগিয়ে এসো...। এগিয়ে তোমাদের আসতেই হবে। কারন যুগে যুগে ... তোমরাই আমাদের কাণ্ডারি রূপে পথ দেখিয়ে এসেছো ... আর জানি, সামনের দিনেও তোমরাই এগিয়ে আসবে।
তোমরা রচো ভালবাসার আশার ভবিষ্যত,
তোমাদের স্বর্গ পথের আভাস দেখায় আকাশ ছায়াপথ। ...
ওই তাকিয়ে দ্যাখো ... ভারত মাতা আজ আবারও একবার তোমাদের রক্ত চান ... ।।
তোমরা কি তা দিতে প্রস্তুত নও?
মনে রেখো... দেশে যখন অধর্মের রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়, জেলখানা তখন হয় ... পুন্য ভুমি ..., কারাগৃহ পরিণত হয় দেবস্থানে ......।।
ভুলিও না ...একদিন পাপিষ্ঠ কংসের পদভারে, মেদিনী যখন আজকের মতই পাপাচারে পরিপূর্ণ, ঠিক তেমনই এক যুগসন্ধিক্ষণে ধর্মরক্ষা করতে বাসুদেব শ্রীকৃষ্ণ ... স্বয়ং এই কারাগারের অন্ধকক্ষেই আবির্ভূত হয়েছিলেন ...।।
তাই আজ থেকে ... তোমাদের কাছে 'কারাগারে'র নতুন পরিচয় হোক .. "পবিত্র মন্দির" .... ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমি। ...
তাই আজ আর ... মঠে নয়, ... মন্দিরে বা কোন দেবালয়েও নয়, ... বাসুদেব অধিষ্ঠিত হয়েছেন ... কারাগারের গর্ভগৃহে।.. ঘণ্টাধ্বনি বা পবিত্র মঙ্গলাচরণের বৈদিক মন্ত্রপাঠে আজ আর তাঁর সন্তুষ্টি সম্ভব নয়। ধর্মযুদ্ধের রণধ্বনি আজ যে তাঁর কাছে বড্ড প্রিয়। এই তুচ্ছ মানব জীবনে, একবারও কি তার সেই পবিত্র পদাঙ্কের পদরেণু স্পর্শের সৌভাগ্য.. তোমাদের কিছুতেই হবে না? ...
............ শ্রীকৃষ্ণ গোবিন্দ হরে মুরারী, হে নাথ নারায়ণ বাসুদেব ॥ .......
( পুনঃ পোষ্টিত...)
Subscribe to:
Posts (Atom)