Wednesday, 9 December 2015

তালাক তালাক তালাক...

লেখাটি দীর্ঘ পড়ে দেখার অনুরোধ রইলো ........ তালাক তালাক তালাক... - তালাক পাপ। অন্যায়। উচিৎ নয়। এমন নীতি মুলক শব্দের খেলায় মুসলিম মেয়েদের নিরাপত্তা কোথায়.... ?? .... তীব্র প্রশ্ন আফরোজা খাতুনের। (গত ২৯/১১/২০১৫ তারিখের “আজকাল রবিবাসরের” একটি যুগোপযোগী ও অত্যন্ত মর্মস্পর্শী প্রতিবেদনঃ) সম্প্রতি অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ড জানিয়ে দিয়েছে, একই সঙ্গে তিনবার তালাক বলা অপরাধ কিন্তু যদি বলেই ফেলে তাহলে বিচ্ছেদ সম্পূর্ণ হয়। তার মানে অপরাধকে মান্যতা দিচ্ছে মুসলিম ল’ বোর্ড। ২০০৪ সালে তিন তালাকের সমাধান খুঁজতে আদর্শ নিকাহনামা তৈরির কথা ভেবেছিল মুসলিম ল’ বোর্ড। তখন বোর্ডের ঘোষণা ছিল, নিকাহের চুক্তিতে আর্থিক দায়ভার যেহেতু পুরুষকেই নিতে হয় তাই তালাকের অধিকার তাদের হাতেই থাকা উচিত। এই অধিকার মেয়েদের দেওয়ার কোনও যুক্তি নেই। এই নিকাহনামায় লেখা হয় ‘তিন তালাক আসলে পাপ। যে কোন ধর্মবিশ্বাসী মুসলিমদের উচিত এই পাপ থেকে বিরত হওয়া।’ অর্থাৎ তিন তালাককে বাতিল না করে তাকে পাপ আখ্যা দিয়েই দায়মুক্ত হচ্ছেন ল’বোর্ডের কর্তাব্যক্তিরা।আর আদর্শ শরিয়তি মুসলিম স্বামীদের তা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। যাঁরা আদর্শ স্বামী নন তাদেঁর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত তা কিন্তু ল’বোর্ড জানান নি। পাপ, অন্যায়, উচিত নয় এমন নীতিমূলক শব্দের খেলায় মুসলিম মেয়েদের কতটুকু নিরাপত্তা রয়েছে প্রশ্ন সেখানেই। পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম মেয়েদের অবস্থানের নিরিখে আলোচনায় এগোলেই গ্রাহ্যহীন হয়ে যায় তিন তালাকের সাম্প্রতিক ফতোয়ার মান্যতা। বেশিরভাগ তালাক হয় ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থের জন্য। বিয়ের পর হঠাৎ মনে হল বৌকে তত সুন্দরী মনে হচ্ছে না, অথবা পণের সামগ্রী শোধ করতে পারছে না, এরকম নানা কারণ তৈরি হলে মুসলিম পুরুষের খুব অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। হাতে অস্ত্র রয়েছে। যে কোন অজুহাত দেখিয়ে তিন তালাকের গলাধাক্কায় মুহুর্তে দাম্পত্য ভেঙে দিতে পারেন। এর জন্য কাউকে কৈফিয়ৎ দেওয়া জরুরি নয়। সে ধর্মীয় নেতা, রাজনৈতিক নেতা বা পুলিশ প্রশাসন যেই হোক না কেন। ভারতের মুসলিম পুরুষ এখনও মৌখিক তালাক দিতে পারার অধিকার নিয়ে জন্মায়। আর মুসলিম মহিলারা সেই তালাকে বিপন্ন হওয়ার দায়িত্ব বহন করে। এটা শুধু সম্ভাবনার কথা বলছি না। এমনটাই ঘটছে। পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে সন্ধানী দৃষ্টি দিলেই উঠে আসবে এই সত্য। রেহেনা খাতুনকে চিনতাম ছোটবেলা থেকেই। বিয়ে হয়ে চলে আসেন উত্তর চব্বিশ পরগণায়। দীর্ঘ তিরিশ বছর পর দেখা হল তাঁর সঙ্গে। ছেলে-মেয়েরা ছোট থাকাকালীন তালাক দিয়েছেন স্বামী। তাঁর স্বামী মেয়েকে বেশি পড়াশোনা করাতে চাইছিলেন না। রেহেনা জোর করেছিলেন পড়ানোর জন্য। স্ত্রীর এই মত প্রকাশের স্পর্ধাকে কাবু করতেই তালাকের আঘাতে বিবাহ বিচ্ছেদ। অবস্থাপন্ন ঘরের মেয়ে ও বৌ রেহেনা কাপড় ভর্তি ভারি ব্যাগ কোমরে নিয়ে বাড়ি বাড়ি বিক্রি করে কষ্টার্জিত উপার্জনে ছেলে-মেয়ে দুটিকে পড়াশোনা শিখিয়ে বড় করেন। স্বামী দ্বিতীয় সংসার নিয়ে মসগুল। এমন তালাককে আজও টিকিয়ে রাখার ফতোয়া দিচ্ছে ল’বোর্ড! গ্রাম-গঞ্জের বাস্তবরূপকে উপেক্ষা করে মুসলিম পিতৃতন্ত্রের এই দাপটকে কিন্তু রেহেনারা আর মেনে নিতে রাজি নন। তালাকের বিরোধিতায় নেমে মহিলাদের সংগঠিত করছেন তিনি। সাউথ কলকাতা সোসাইটি ফর এমপাওয়ারমেন্ট অফ উইমেন-এর এ বছরের বার্ষিক আলোচনাসভায় এসে জানিয়ে গেছেন মৌখিক তালাককে বন্ধ করতে হবে সরকারি হস্তক্ষেপে। এর জন্য আন্দোলন দরকার। এবং সে আন্দোলনের সক্রিয় শরিক হওয়ার শপথ নিয়েছেন রেহেনা। কারণ নিজের জীবন দিয়ে যে বুঝেছেন এই শব্দের ব্যবহার বিধির ধংসাত্মক প্রক্রিয়াকে। নদিয়ার সবজি বিক্রেতা আলতাফ ছোটাছুটি করলেন প্রশাসনের কাছে। তাঁর আর্থিক সঙ্গতি নেই বাচ্চাসমেত মেয়ের জীবনধারণের অর্থ যোগান দেওয়ার। জামাই আর একটা বিয়ে করবে। মেয়ে মেনে নিতে চাইছিল না তাই জামাই মেয়ের ওপর অত্যাচার চালাত। আলতাফ মেয়েকে নিজের কাছে নিয়ে এসেছেন থানায় অভিযোগ জানাবেন বলে। জামাই বুঝতে পেরে মেয়েকে তালাক দিয়ে দেয়। ডোমেস্টিক ভায়লেন্স অ্যাক্ট-এ নালিশ করার আর জায়গা থাকে না আলতাফের মেয়ের। প্রশাসনের সাহায্য চাইতে গিয়ে জানতে পারেন মুসলিম ব্যক্তিগত আইনে তারা হস্তক্ষেপ করবে না। মুর্শিদাবাদের গ্রামে গ্রামে দেখা মেলে তালাক হয়ে যাওয়া মেয়েদের সঙ্গে। কত বিচিত্র কারণে ব্যবহার হয় তালাক। সাবিনা, জ্যোৎস্না, সারভানুদের তালাকের কারণ ও তালাক দেওয়ার ধরণ বিচিত্র। পণ দিতে না পারার জন্য সাবিনাকে নিয়মিত মারত শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। সাবিনা স্বামীর লাঠির হাত থেকে বাঁচতে চেয়ে একদিন পালিয়ে যায়। এমন অবাধ্য স্ত্রী যে কিনা স্বামীর লাঠিপেটা খেতে অগ্রাহ্য করে। তাই মুসলিম পুরুষের হুংকারে নির্ধারিত হয়ে যায় তালাক। বাচ্চা নিয়ে জ্যোৎস্না বাবার বাড়ি বেড়াতে আসেন। কিছুদিনের মধ্যেই পিয়নের হাতে চলে আসে তালাকনামা। জ্যোৎস্না জানেন না কেন তাঁকে তালাক দি্লেন। সারভানু, আকলিমা, নাজিরা, রাবিয়াদের তালাকেরও ন্যায্য অন্যায্য বিচার হয় নি। বাংলার গ্রামে গ্রামে বৌ জব্দের তালিকায় তালাকের রমরমা। স্বার্থান্ধ মুসলিম পুরুষের মোক্ষম অস্ত্র তালাক। শরিয়তের নামে এমন জব্বর ক্ষমতা ভোগ করার লালসা কী মুসলিম পিতৃতন্ত্র ছাড়তে পারে? এদেশে মুসলিম রক্ষণশীলদের ধর্ম রক্ষার জন্য নাকি কান্নার বহর দেখা যায় কেবল মৌখিক তালাক ও বহুবিবাহ জীইয়ে রাখতে চেয়ে এবং উত্তরাধিকার সম্পত্তিতে ছেলে-মেয়ের অসম বন্টন ব্যবস্থা বহাল রাখতে চেয়ে। তাই ভারতীয় মুসলিমরা দুটি আইনে বাস করে। দেশের আইন এবং মুসলিম ব্যক্তিগত আইন। ফৌজদারি আইন সব ভারতবাসীর জন্য এক। মুসলিমরাও সেখানে একই বিচার পায়। কিন্তু দেওয়ানি আইনে মুসলিমরা আলাদা। সেখানে মৌখিক আইন যা মুসলিম ব্যক্তিগত আইনের নামে চলে। নীতির ফড়ফড়ানি আর আদর্শের কচকচানিতে আইন অটুট রাখা যায় না। আদর্শ মুসলিম পুরুষরা অজুহাত দেখিয়ে তালাক দেন না ঠিকই কিন্তু যাঁরা দিচ্ছেন তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর দাবিও তুলছেন না। গ্রামে গ্রামে নিম্ন আয় ও নিম্ন অবস্থানের মুসলিম মেয়েরা শোষিত, নির্যাতিত, অসম্মানিত হচ্ছে তালাকের দাপটে।

ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দল গুলির না আছে জাতের ঠিক,না আছে এদের জন্মের ঠিক।

ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দল গুলির না আছে জাতের ঠিক,না আছে এদের জন্মের ঠিক । ন্যাশনাল হেরাল্ড কান্ডে কংগ্রেসের পাশে দাঁড়ালো তৃনমূল আবার এই রাজ্যে তৃনমূল বিরুদ্ধে জামা খুলে রাস্তায় নামছে রাজ্যের কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী । একধারে বিধানসভা ভোটে বাম-কংগ্রেস জোটকে ধাক্কা দিতে সোনিয়ার পাশে দাঁড়াতে মরিয়া মমতা, রাজ্যে আবার বাম কংগ্রেসদের মুখে একটা কথা ভেসে আসছে সারদাকান্ডে নাকি মোদী-মমতার জোট আছে? প্রশ্ন একটাই এই ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক গুলি আদৌ কি দেশের জনগনের ভাবে? ন্যাশানাল হেরাল্ড কান্ডের বিরুদ্ধে আদলত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এই তদন্তকে যদি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে কংগ্রেস নেতা কর্মীরা পথে নামে তবে একটা কথাই বলতে ইচ্ছে করে ভারতবর্ষের মানুষ রাজনৈতিক ক্ষমতা আদায় করার জন্য দুর্নীতিকে আড়াল করতে পারে এমন নিজের স্ত্রী সন্তানদের নিষিদ্ধ পল্লীতে বিক্রি করতে পিছুপা হবে না ।�

দিদি কলকাতাকে লন্ডন না বানাতে পারলেও করাচি বানিয়ে ফেলেছেন ঠিকই-

দিদি কলকাতাকে লন্ডন না বানাতে পারলেও করাচি বানিয়ে ফেলেছেন ঠিকই- http://m.timesofindia.com/india/ISI-network-in-Kolkata-has-deep-roots-Sleuths/articleshow/50082869.cms?utm_source=facebook.com&utm_medium=referral&utm_campaign=TOI

Tuesday, 8 December 2015

সাম্প্রদায়িকতার কালো ধোয়ায় হিন্দু-মুসলিম দুটি পৃথক জাতি...

সাম্প্রদায়িকতার কালো ধোয়ায় হিন্দু-মুসলিম দুটি পৃথক জাতি... এই ইস্যুকে সামনে রেখে দেশভাগ হলো..! করলো কংগ্রেস.. তারপরেও কংগ্রেস ধর্মনিরপেক্ষ...! যাইহোক... এরপর দুই পাকিস্তান থেকে হিন্দু পালিয়ে আসতে লাগলো ভারতে...! কেন......? শান্তির ধর্মের অনুগামীদের ভালোবাসায়...। আর যাদের জন্য দেশভাগ হলো তাদের কিছু অংশ এদেশেই থেকে গেলো নেহেরু-গাণ্ডুর কৃপায় ধর্মনিরপেক্ষতারনামে....!! তারপর গত ৬৮ বচর ধরে পাকিস্তান , বাংলাদেশে হিন্দু অত্যাচারীত হয়েছে , মন্দির ভাঙা হয়েছে , মৃত্যুবরণ অবধি করেছে , ধর্মান্তরিত হয়েছে....!! আর আমরা এখানে ধর্মনিরপেক্ষতারগান গেয়ে চলেছি মুসলিম তোষনের নামে , বছরের পর বছর ধরে....। ৪৭ শে বাংলায় মুসলমান ছিল ৫ % , আজ ৩০ % সৌজন্যে - কংগ্রেস , টিএমসি ও সবচেয়ে বেশি দায়ী ব্রা-প্যাণ্টি পরা গরুখোর ভামেরা , এরাই সবচেয়ে বেশি রেশন কার্ড , ভোটার কার্ড করেছে ভোটের স্বার্থতে বাংলাদেশি মুসলিমদের... নাগরিকত্ব পাইয়ে দিয়েছে এরাই বেশি করে বাংলাদেশি মুসলিমদের নাস্তিকতার আরালে... ধর্মনিরপেক্ষতারনামে...। এরপর শুরু হয়েছে পাকিস্তান , বাংলাদেশের মত এদেশেও... হিন্দু নিধন... প্রতিমা ভাঙচুর... দাংগা... গরুকাটার world class কসাইখানা তৈরী , ( কলকাতার ট্যাংরায় , নেপথ্যে - TMC )... লাভজেহাদ.... আর আমরা....?? ৩৪ বছরের ব্রা-প্যাণ্টি পরা গরুখোর নাস্তিক ভামেদের অপশাসন এর ফলে এমন নপুংসক হয়েছি যে... আপনার বাড়ির মেয়েটাকে কোনো মুসলমান যদি তুলে নিয়ে গেলেও আপনি ধর্মনিরপেক্ষতারই গান করবেন...! আর আমি ভাববো... এটা তো বর্ধমান এর ঘটনা এতে আমার কি...? কোচবিহার ভাববে... এটা তো মুর্শিদাবাদ এর ঘটনা এতে আমার কি...? আর ওরা কি ভাবে জানেন...? তো কি হয়েছে...! কাশ্মীর.. উত্তরপ্রদেশ...গুজরাট.. সব আমার ভাই... তবেই ওরা ১৭ কোটি মিলে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দেয়....! আর আমরা গাণ্ডুরা...!! গদির লোভে... ধর্মনিরপেক্ষতারনামে মুসলিম তোষণ করতে গিয়ে দেশটাকে পাকিস্তান বানাচ্ছি , কখনও অজান্তে কখনো বা জেনে...!! উপায় একটাই বাংলার সকল হিন্দু এক হও নাহলে এরপর বংলা ছাড়া হতে হবে । তখন কিন্তু এই Congress.. Cpm..Tmc দের টিকিও খুজে পাবেননা....!! কারণ... হিন্দু যেখানে যতদিন সংখ্যাগুরু সেখানেই ততদিন ধর্মনিরপেক্ষতারবাণী কাজ করে ঠিকঠাক.... তারপর আর নয়... ভাবুন....!! Tag Line : ভামরেড , বাবরী নিয়ে সম্প্রীতির নামে মুসলমানদের উসকানি দিয়ে ভোটের রাজনীতি করতে একা আপনারাই পারেননা... আমরাও পারি... কিন্তু আমরা সত্য কথা বলি , এখানে যা যা বলেছি....!! ধন্যবাদান্তে সিদ্ধার্থ সরকার।

মুসলিম মতে তাদের নবী মুহাম্মদ মহামানব ছিলেন।

মুসলিম মতে তাদের নবী মুহাম্মদ মহামানব ছিলেন। কিন্তু, মুহাম্মদের মুখে মাঝে মধ্যে শয়তান এসে মিথ্যা বলে যেত.... তারপরও তিনি বেহেস্তে চলে গেলেন। . আর, সনাতন মহান মহারাজ ধর্মরাজ যুধিষ্ঠীর মাত্র একটি কথা মিথ্যা বলার কারণে নরক একবার দর্শন করতে হয়েছে... . এখানে মহা মানব কে???

মুসলমান জিহাদ করে কেন?

মুসলমান জিহাদ করে কেন? সহজ এবং একমাত্র উত্তর - আল্লা আর নবীর আদেশ আছে, তাই। আল্লা-নবীর নির্দেশ না থাকলে তালেবান বা আইএস-এর জন্ম হতো না। এই সমস্ত সংগঠন গড়ে উঠে সমগ্র বিশ্বকে ইসলামী ছায়াতলে আনার ঐশী নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য। মুসলিম-অমুসলিম অনেক জ্ঞানী-গুণী মনীষী বোঝাতে চেষ্টা করেন, জিহাদের অর্থ খুন-ধর্ষণ নয়, নফসের সাথে যুদ্ধ করা। অন্তরের কালিমার সাথে যুদ্ধ করে নিজেকে শুদ্ধ করার নাম জিহাদ। বেশ সুন্দর অর্থ। বেশ আধ্যাত্মিক ভাব আছে। কিন্তু যদি মহানবীর আমলের দিকে আবার ফিরে তাকাই? সে এবং তার সাহাবারা কীভাবে নফসের সাথে যুদ্ধ করেছে? কীভাবে নিজেরা শুদ্ধ হয়েছে জানার জন্য? অসংখ্যবার তারা তাদের তলোয়ার রাঙিয়েছে মানুষের রক্তে। হাজার হাজার নারী এবং শিশুকে দাস বানিয়েছে। নিত্য নতুন যৌনদাসী ভোগ করতে পেরেছে। একের পর এক যুদ্ধ আর লুট করেছে। মক্কা-মদিনা কাফের-শূন্য করেছে। এই হচ্ছে প্রকৃত জিহাদ। আধ্যাত্মিক উৎকর্ষতা লাভের জন্য যে-যুদ্ধ, তার জন্য কি আল্লা কোরআনে ধমকিয়েছে মুসলামদের তাদের সম্পদ জিহাদের রাস্তায় ব্যয় করার জন্য? আধ্যাত্মিক উৎকর্ষতা লাভের জন্য কি দুধের ড্রেইন, সুমিষ্ট পানির ড্রেইন, মদের ড্রেইন আর পতিতালয়ের লোভ দেখাতে হয়? আধ্যাত্মিক জগতে নিমগ্ন কোনো ব্যক্তির কি পরস্ত্রী দেখলেই সেক্স করার ইচ্ছে জাগে? আধ্যাত্মিকভাবে উন্নত কোনো ব্যক্তি কি পারে অন্যের পূজার মূর্তি ভাঙতে? অন্যের ঈশ্বরকে অপমান করতে? জিহাদের অর্থ এবং জিহাদের নির্দেশ মুসলমানের কাছে খুব স্পষ্ট। সারা বিশ্বে আল্লার আইন প্রতিষ্ঠা করার নাম জিহাদ। আল্লার আইন প্রতিষ্ঠা করার জন্য শাসনব্যবস্থা মুসলমানের হাতে আসা প্রয়োজন। শাসনক্ষমতা নিজের দখলে আনার জন্য প্রয়োজন খুন, সন্ত্রাস, ধর্ষণ, ভয় দেখানো। ইসলামী জঙ্গিরা তাই করে যাচ্ছে। ধরুন, আপনি কোনো বাচ্চাকে বললেন বাগানটা পাখিশূন্য করতে এবং এর জন্য যা কিছু করা হবে, তার সব কিছুকে আপনি বৈধ করে দিলেন। বাচ্চাটি তখন অনেকগুলো পদ্ধতি অনুসরণ করবে। সে গুলতি দিয়ে মারবে, ঢিল ছূড়ে তাড়াবে, গাছে আগুন লাগিয়ে দিতে পারে, পারলে এয়ার-গান নিয়ে আসবে। "যা পাখি ঊড়ে যা" বললেই কি পাখি উড়ে যাবে? পাখিশূন্য না করা পর্যন্ত সে তার কাজ চালিয়ে যাবে। তাকে থামানোর জন্য দু'টি পথ খোলা থাকে। আপনি যদি আপনার নির্দেশ তুলে নেন অথবা বাচ্চাটি যদি বুঝতে পারে, সে যা করছে তা অন্যায় এবং আপনার নির্দেশ অমান্য করে। জিহাদের হাজারটা অর্থ বের করে, হাজার মাইল ত্যানা পেঁচিয়ে দুনিয়ার কী উপকারটা হবে? কোরআন-হাদিস রিভাইস করা সম্ভব নয়। মুসলমানদেরকে তাদের হাদিস-কোরআনের নির্দেশ অমান্য করতে হবে। বিবেকবান হওয়াতে, মানবিক মানুষ হওয়াতে কোনো পাপ নেই। মুসলমানের উচিত একসাথে এক সিদ্ধান্তে আসা যে, তাঁরা জিহাদকে অস্বীকার করে। জিহাদকে অস্বীকার না করা পর্যন্ত বিশ্ব ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদমুক্ত হবে না। লিখেছেনঃ পুতুল হক

Monday, 7 December 2015

২৭ শে মার্চ ১৯৭১ না কি ৬ ই ডিসেম্বর ১৯৯২, -- হ্যাঁ কোনটা হওয়া উচিৎ কলঙ্ক দিবস

২৭ শে মার্চ ১৯৭১ না কি ৬ ই ডিসেম্বর ১৯৯২, -- হ্যাঁ কোনটা হওয়া উচিৎ কলঙ্ক দিবস ------------------------------------------------------------------------------------- প্রায় ছয় কোটি ( ৩.৫ কোটি বাঙ্গাল + ২.৫ কোটি ঘটি ) বাঙ্গালী হিন্দুর কাছে কোনটা কলঙ্ক দিবস হওয়া উচিৎ ?? এই প্রশ্ন আমি সকল বাঙালি হিন্দুর কাছে ছুঁড়ে দিচ্ছি -- হ্যাঁ সকল বাঙ্গালী হিন্দু বলতে আমাদের মতন প্রবল হিন্দুত্ববাদীদের কাছে , সেকু, মাকু , ভিকু , কুকু ( কংগ্রেস ) , নাকু ( নাস্তিক) , ত্রিকু সহ সকল বাংলার হিন্দুর কাছে এই প্রশ্ন রাখছি ?? আর কয়েক ঘন্টা বাকি ৬ ই ডিসেম্বর ২০১৫ আসার। এই দিনে বাংলার কিছু হিন্দু রাস্তায় নামে কারন এটা নাকি কলঙ্ক দিবস !!!!!! আমি নিজে দেখেছি যারা এতে নেতৃত্ব দেয় তাদের মধ্যে ৯০ % হিন্দু থাকে আর তাদের পূর্বপুরুষ হয় ১৯৪৬-৪৭ এ পুর্বপাকিস্তান থেকে এসেছে নয় ১৯৫২ এর ভয়ঙ্কর হিন্দু নিধন যজ্ঞের সময় এসেছে নতুবা ১৯৬৪ এর কাশ্মীরের হজরত বাল মসজিদের ভিতরের চুল চুরির সময় ভয়ঙ্কর হিন্দু নিধন যজ্ঞের সময় এসেছে নতুবা ১৯৭১ এর রাজাকার বাহিনীর দ্বারা বেছে বেছে অত্যাচারিত হিন্দু পরিবার সেই কারনে এসেছে অথবা ১৯৯২ এর ৬ ই ডিসেম্বরের পরে সারা বাংলাদেশ জুরে প্রায় ৫ হাজার বড় ছোট মন্দির ভাঙ্গার পরের কয় মাসে এসেছে। ------------------------------------------------------------------------------------ এই অতাচারিত হিন্দুদের পরবর্তী প্রজন্ম এই বাংলায় এসে ৬ ই ডিসেম্বর কলঙ্ক দিবস সেটার নেতৃত্ব দেয়। এদের কাছে আমাদের প্রশ্ন ----- আপনাদের কি কোনো দিনও একবারের জন্যও মনে আসে না ??? যে আমাদের বাপ ঠাকুরদার দেশে একটা মন্দির ছিল নাম ঢাকার রমনা কালিবাড়ি --- অত্যন্ত বিখ্যাত আর খুবই শ্রদ্ধার জায়গা ছিল ঢাকার রমনা কালিমন্দির। সেই মন্দির ১৯৭১ এর ২৭ শে মার্চ পাক হানাদার বাহিনী মেশিনগানের গুলি দিয়ে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয় বাংলাদেশের লোকেদের সহায়তায় । এর আগে ১৯৪৬ এর ১০ ই অক্টোবর ভয়ঙ্কর হিন্দু নিধন যজ্ঞ শুরু হয় নোয়াখালীতে এর আগে ১৯৪৬ এর ১৬ ই অক্টোবর কোলকাতায় ভয়ঙ্কর হিন্দু নিধন যজ্ঞ হয় যার ফলেই এতো রক্ত দেখে কংগ্রেস নেতৃত্ব ভয় পেয়ে পাকিস্তান দাবী মেনে নিতে বাধ্য হন। ------------------------------------------------------------------------------------- আচ্ছা ১৬ অগাস্ট , ১০ ই অক্টোবর , বা ২৭ শে মার্চ এই দিন গুলিকে আপনাদের কলঙ্কদিবস বলে মনে হয় না -- তাই না ???? হিন্দুদের আর কত সর্বনাশ হলে আপনাদের কাছে সেটা কলঙ্ক দিবস হবে সেটা একটু বলবেন কি ?????? আইসিস জঙ্গীরা গত কয়েকদিন আগে ১৩০ পাতার একটা ম্যানিফেস্টো জারি করেছে -- তাতে ভারতকে টার্গেট করেছে , মাননীয় নরেন্দ্র মোদিজীকে টার্গেট করেছে - " বলা হয়েছে নরেন্দ্র মোদী অস্ত্র পূজা করেন তাই উনাকে শেষ করে দিতে হবে ? " তাই সাবধান সকলে সাবধান --------------------- বন্ধুরা -- আমার কাছে ৬ ই ডিসেম্বর শৌর্য দিবস - বিজয়ের দিবস - ১৫ ই অগাস্টের পরে আর একটা আনন্দের দিন যেদিন ভারতমাতার ৪৫০ বছরের কলঙ্ক চিহ্ন মুছে দিয়েছিল এই সব দামাল ভারতমায়ের সন্তানেরা। লিখেছেন সঞ্জয় চৌধুরী।। https://m.facebook.com/hindu.yoddhablog/photos/pcb.560816474066675/560816444066678/?_e_pi_=7%2CPAGE_ID10%2C7407073736 https://m.facebook.com/hindu.yoddhablog/photos/pcb.560816474066675/560816447400011/?_e_pi_=7%2CPAGE_ID10%2C1204149318