Saturday, 27 June 2015

বিশেষ সংবাদ পত্র

বিশেষ সংবাদ পত্র থেকে প্ল্যানচেটের মাধ্যমে গতকাল রাজা রামমোহন রায়ের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছিল, আজ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে সেই কল্পিত সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম সাংবাদিক – নমস্কার বিশ্বকবি, আমাদের আবেদনে সাড়া দেবার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।গতকাল আপনার পিতার বন্ধু রাজা রামমোহন রায়ের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে আজ আপনার সাক্ষাৎকার নেবো ,বেশী সময় নেবো না , কয়েকটা প্রশ্ন করবো ইচ্ছে হলে উত্তর দেবেন। কেমন আছেন এখন ?? রবি ঠাকুর – কে তুমি শতবর্ষ পরে স্মরন করিছো আমায় বারে বারে সাংবাদিক – স্যার ,আমি বাজারী পত্রিকার সাংবাদিক রবি ঠাকুর – কেন আমায় স্মরণ করিছ , কি জানিতে চাহিছ ? সাংবাদিক – স্যার,আমাদের এখানে যারা পরীক্ষায় ভালো ফল লাভ করে সরকার থেকে সংবর্ধনা আয়োজন করে , আর সেই সংবর্ধনা সভায় “ কথাঞ্জলি” বলে একটি বই উপহার দেওয়া হয়েছে ওই বই সমন্ধ্যে কিছু জিজ্ঞাস্য ছিল, রবি ঠাকুর – পুস্তকের নাম কি কহিলে!! কথাঞ্জলি !!!! আমার লেখার সংকলন তো গীতাঞ্জলি – তবে কার বানীর সংকলন এই কথাঞ্জলি!!! সাংবাদিক- স্যার আমাদের রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী রবি ঠাকুর – কি!!! উফ!!সেই একই নারী আবার করিয়াছে বাড়াবাড়ি হে সাংবাদিক ,তব মুখে একি কথা শুনি , এই নারীই তো আমার ছবি দিয়া মাইকেলের জন্মদিন পালন করিয়েছে জানি। এই কিছু দিন পূর্বে বলিয়াছিল আমার সাথে সেক্সপিয়ার আর কিটস দেখা করিয়াছিল, ইহারও পূর্বে শুইয়াছিলাম তার অমৃত বচন আমি না কি গান গাইয়া ভাঙিয়াছিলাম গান্ধীজীর অনশন হে প্রভু এই ছিল তোমার মনে কেন উহাকে প্রেরণ করিয়াছিলে এই ভুবনে ওহে সাংবাদিক আমার কাঁপিছে হৃৎপিণ্ড, উতলা আমার মন কথাঞ্জলি হইতে দু একটি কবিতা শোনাও এখন সাংবাদিক – আমি !!! স্যার ইয়ে মানে আমি শোনাবো !!!!, বই হাতে পেয়ে আমি প্রথম দু চার পাতা পড়ার পর... যাকগে আপনার আদেশ শিরোধার্য।আমি দু চারটে লাইন পড়ে শোনাচ্ছি “মনুষ্যত্বের নাম মানুষ উদ্ধত্যের নাম ফানুস” উন্নত চরিত্র, সা রে গা মা ... রবি ঠাকুর – স্তব্ধ হও সাংবাদিক, করো ক্ষমা সাংবাদিক – স্যার মাত্র চার লাইনে আপনি এই কথা বলছেন, যাঁদের পুরো বই পড়তে হবে তাদের কি হবে আমি আরও অনেক লাইন পড়ে শোনাচ্ছি...। রবি ঠাকুর অনেক হয়েছে, বিদায় দেহ ভাই-- ওই নারীকে আমি দূর হইতে প্রণাম করে যাই॥ ফিরায়ে দিনু খেতাব বিশ্বকবি রাখি না আর এই খেতাবের দাবি, সবার আজি একটি কথা জানাইতে চাই॥ অনেক দিন ছিলাম বঙ্গবাসী, লিখিয়া ছিলাম যা, কথাঞ্জলি পড়িয়া ভুলিয়াছি তার বেশি। বঙ্গ জীবনে এসেছে ভয়াল রাতি, নিবিয়া গেছে উৎকর্ষের বাতি-- আমি লজ্জায় মস্তক অবনত করিয়াছি তাই॥ -সমাপ্ত -

No comments:

Post a Comment