সনাতন ধর্মের শাঁখা ও সিঁদুর কেন ব্যাবহার
করা হয়? (শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিন)
যারা সনাতন ধর্মের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ব্যঙ্গ করে তারা না জেনেই করে। এমনকি আমরা সনাতনীরা ও না জানার
কারনে ধর্মকে কটূক্তি করার সময় ও মৌন থাকি। সনাতন ধর্মের প্রতিটি বিষয়ের পেছনেই কোন না কোন নিগুঢ় অর্থ বিদ্যমান। তেমনি শাঁখা সিঁদুর ও আমাদের ধর্মের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। শাঁখা সিঁদুর আমাদের হিন্দু বিবাহিত
নারীরা পরে আসছে অনেক আগে থেকে ।।
তবে বর্তমানে এগুলা না পরা অনেকটা
আধুনিকতার স্বরুপ হয়ে দাড়াচ্ছে কারো কারো কাছে। তাই
আসুন আজ আমরা দেখে নেই শাঁখা সিঁদুর পরার কারন
আর কেন এটা পরা উচিত..
শাঁখা, সিঁদুর ও লোহা ব্যবহারের তিনটি কারণ
আধ্যাত্মিক, সামাজিক ও বৈজ্ঞানিক।
আধ্যাত্মিক কারণঃ- শাঁখার সাদা রং- সত্ত্ব,
সিঁদুরের লাল রং -রজঃ এবং লোহার কাল রং- তম
গুণের প্রতীক। সংসারী লোকেরা তিনটি গুণের অধীন
হয়ে সংসারধর্ম পালন করে।
সামাজিক কারণঃ- তিনটি জিনিস পরিধান করলে প্রথম দৃষ্টিতেই জানিয়ে দেয় ঐ রমণী একজন পুরুষের
অভিভাবকত্বে আছেন। সে কারণেই অন্য পুরুষের
লোভাতুর, লোলুপ দৃষ্টি প্রতিহত হয়। স্বামীর
মঙ্গল চিহ্ন তো অবশ্যই। { যখন কোন মেলায় বা অনুষ্টানে যান, কোন সুন্দরী মেয়ে দেখলে প্রায়ই ছেলেরা পিছু নেয়, কিন্তু যখন দেখা যায় মেয়েটির কপালে সিধুর ও হাতে শাখা রয়েছে, তখন বুঝে নেয় যে সে বিবাহিতা, তাই ঘুরে লাভ নেই। এই ক্ষেত্রে মেয়েটি কূদৃস্টি থেকে রক্ষা পেল। এবং শাখা ও সিধুর তার অস্তিত্ব বহন করে। }
বৈজ্ঞানিক কারণঃ- রক্তের ৩টি উপাদান শাঁখায়
ক্যালসিয়াম, সিঁদুরে মার্কারি বা পারদ এবং লোহায় আয়রণ আছে। রক্তের ৩টি উপাদান মায়েদের মাসিক রজঃস্রাবের সাথে বের হয়ে যায়। তিনটি জিনিস নিয়মিত পরিধানে রক্তের সে ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে। আর্য ঋষিগণ সনাতন ধর্মের প্রতিটি আচার অনুষ্ঠানেই বৈজ্ঞানিক প্রয়োজনীয়তাকেপ্রাধান্য দিয়ে আচার বা অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করেছেন।
বাহ্যিক সামাজিক গুনাবলীঃ- কোন শাখা সিধুর পরিহিত মহিলা দেখলে সবাই বুঝে যে, সে বিবাহিত, সেই ক্ষেত্রে তার সাথে সুশ্রী আচরণ করা হয়। নারীদেরও শাখা সিধুরের প্রতি আলাদা স্প্রহা থাকে, কেননা এটি তার জীবনের মিলবন্ধনে প্রতি মুহুতে জ্ঞাত করে।
অন্যদিকে, মুসলিম নারীরা বোরকা পরে বাপ, ভাই, স্বামীর সম্মুখে ও পরকীয়ার লিপ্ত হতে পারে, বুঝার কোন সিস্টেম নাই, যে এটা কোন দুনিয়ার মাল, এছাড়াও আজকাল বোরকা পতিতাদের জন্য জনপ্রিয় পোশাকে পরিনত হয়েছে, ভার্সিটির মেয়েরাও এখন বোরকা পড়ে দেহ ব্যবসায় জড়িত হচ্ছে, যারা ঢাকা চট্টগ্রাম, থাকেন, তারা এটা জেনে থাকবেন আশা করি। এতে করে তাদের বুঝার কোন উপায় নাই। বাহ :পর্দার ফাঁকে যৌনবিলাস।
একটি বিষয় লক্ষ্য করবেন :-
* সিঁদুর দেয়ার সময় মায়েরা নিচের দিকে নয়, ঊর্ধ্বায়ণ করে। কেন? সিঁদুর ঊর্ধ্বায়ণের মাধ্যমে রমণীগণ নিয়ত তার স্বামীর আয়ু বৃদ্ধির প্রার্থনা করে।
* শুভ বিজয়াতে বা বিভিন্ন পূজা পার্বণে মায়ের দেবী দুর্গাকে সিঁদুর ছোঁয়ান বা একে অন্যে সিঁদুর পড়ান। কেন? দুর্গা দেবীর কাছে প্রার্থনা করেন সিঁথির সিঁদুর যেন অক্ষয় থাকে। একে অন্যকে পরিয়ে দেন সে বাসনাতেই। নমস্কার ।
মোল্লারা কেন শাখাঁ সিদুঁর নিয়ে কুৎসা রটায়।
No comments:
Post a Comment