Tuesday, 19 July 2016

আত্মরক্ষার সহজ কিছু পদ্ধতি

******আত্মরক্ষার সহজ কিছু পদ্ধতি******* বর্তমানকালে দিনকালের অবস্থা খুবই খারাপ কখন কে কোবে কার রাগ পুষে রেখেছে তা বলা খুবই মুশকিল l তাই বর্তমান যুগে আত্মরক্ষার কিছু সহজ পদ্ধতি জানা খুবই দরকার l প্রথম কথা হল নিজেকে দুর্বল ভাবা যাবে না। মনে রাখবেন, অপরাধীরা দুর্বলদের সহজে অপরাধের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে। তাকে মানুষ না ভেবে অপরাধী ভাবতে শিখুন। অপরাধীরা আসলে আপনার থেকেও অনেক অনেক দুর্বল আর ভিতু। দুর্বল বলেই তারা চোরের মত অপরাধ ঘটায় আর পালিয়ে যায়। তারা ভাব দেখায় তারা শক্তিশালী। কিন্তু এরা আসলে রাস্তার নেড়ির ভয়েই ভিতু। নিজের ভয়কে রাগ আর ক্রোধে পরিণত করুন। রাগের থেকে ক্রোধ বেশি জরুরী। যদি মনে মনে বলতে পারেন," আমার গায়ে হাত দেওয়ার আস্পর্ধা হয় কি করে এর!" তাহলে অর্ধেক জয় পেয়ে গেলেন আপনি। নিচে সহজে আত্মরক্ষার উপায় সম্পর্কএ বলা হয়েছে। এজন্য আপনাকে ব্ল্যাক বেল্টধারী হতে হবে এমনটা নয়। যে কেউ খুব সহজে এটি করতে পারেন। আর নীরবে চোখের জল বিসর্জন নয়। পাল্টা আঘাতের সময় আজকে আর এখন থেকেই। ১. নিজের ব্যাগে প্রয়োজনীয় জিনিসের পাশাপাশি একটি কাঁচি, ছুরি, চাবি, লাল মরিচের গুড়া রাখুন। ২. আক্রান্ত হলে অপরাধীর নাকের নিচের নরম অংশে শক্ত মুষ্টিবদ্ধ হাতে সজোরে ঘুষি মারুন। খুবই কার্যকর একটি পদ্ধতি। অপরাধী যত বড় বীর পালোয়ানই হোক না কেন, এই আঘাতে সে বসে পরতে বাধ্য। আর এই সময়টুকুই আপনার দরকার। ৩. নিজের পা দিয়ে অথবা ভারী কোন বস্তু দিয়ে অপরাধীর শিন বোনে আঘাত করুন। এতে সে ব্যথায় কঁকিয়ে উঠবে। ৪. আপনার হাত অথবা কবজি যদি কোন অপরাধী ধরে, সাথে সাথে কোন শক্ত বস্তুর সাথে তার হাতটিকে আঘাত করুন। এটা হতে পারে দেওয়াল অথবা দরজার ধাতব নব অথবা যে কোন শক্ত বস্তু। এতে তার মুঠি আলগা হয়ে যাবে। ৫. অপরাধী নাগালে থাকলে হাঁটু উঠিয়ে পায়ের হিল অথবা হিল জুতা দিয়ে সজোরে অপরাধীর পায়ে আঘাত করুন। এতে অপরাধী হাঁটু গেরে আপনার সামনে বসে পরবে। ৬. কাছে চাবি থাকলে তর্জনী আর মধ্যমা আঙুলের মাঝে চাবি রেখে অপরাধীর গলার নিচের নরম অংশ বরাবর আঘাত করুন। ৭. কানের পরদা খুব সংবেদনশীল। দুই হাতকে কাপের মত করে সজোরে অপরাধীর কানে আঘাত করুন। এতে তার কানের পরদা ছিঁড়ে যাবে। ৮. অপরাধীর আঙুল সজোরে ধরুন আর ঠিক উল্টা দিকে সজোরে মোচর দিন। ঠিকভাবে করতে পারলে আঙুল ভেঙে যেতে বাধ্য। মনে রাখবেন, যে নারীরা প্রতিবাদ করে আর পাল্টা আঘাত করতে পারেন, পরবর্তীতে তাঁদের নিজেদের প্রতি আত্মমর্যাদা ও আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে যায়। শেষে বলতে তাই নিজের প্রতি বিশ্বাস ও মর্যাদা রাখা খুবই দরকার তাহলে যেকোনো পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারবেন l [পোস্টটি সবাই শেয়ার করুন যাতে বাকিরাও এই পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারে l আমাদের এই ছোটো প্রয়াশ সমাজে বড়সড় পার্থক্য আনতে পারে ] https://m.facebook.com/TeamABDN

No comments:

Post a Comment