গোরু নিয়ে মাতামাতি করে... কিন্তু
দলিত-মুসলিম ঐক্য করে দেওয়া হচ্ছে,
এরপর মুসলিমরা দলিতদের মোরগ করে
যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল বানাবে তার দায়
আমাদেরই হবে।
বিজেপির তাদের ক্ষমতাসীন রাজ্যে এই
হিন্দুত্ববাদিদের বদলে থাকা
গোরুত্ববাদিদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে,
গোরু নিয়ে এর মধ্যে বিভিন্ন জায়গায়
দলিত আর মুসলিমরা মার খেয়েছে, আমি
কিছু কুর্মি ছেলের সাথে কথা বলছিলাম,
ওদের সারনা সংস্কৃতিতেও গোরুর পুজা
হয় কিন্তু গোরুর জন্য দলিত মার
খাচ্ছে দেখে ওরাও ক্ষুব্ধ, হিন্দু
দেবদেবী নিয়ে উত্তাল খিস্তি করছে,
নিজেদের হিন্দুদের থেকে আলাদা বলছে,
অথচ এদের মধ্যে একটা ছেলেই আগে
বলতো যে হিন্দুরা না থাকলে সারনা
সংস্কৃতি মুসলিম, খ্রিস্টানদের কবলে
নষ্ট হয়ে যেতো।
.... গোরু দেখছি এখন হিন্দু ঐক্যের
বদলে হিন্দু বিরোধী ঐক্যে পরিণত
হয়েছে। একটা বাস্তব সত্য বুঝতে হবে
যে ১০০০০ বছরের সভ্যতা গোয়ালে
পাঠালে হবে না।...
গোরু যতই উপকারি হোক না কেন,
মানুষের থেকে গুরুত্বপূর্ণ নয়, সেটা
বুঝতে হবে। গোরু নিয়ে গোঁড়ামি করে
মুসলিমদের গোঁড়ামি দমানো যাবে না।।
মনে রাখতে হবে মুসলিম সমাজ
গোঁড়ামিতে প্রথম। ওই গোঁড়ামির
খেলায় তাদের সাথে আমরা পাল্লা দিতে
পারবো না আর করাও উচিত নয়।
তাছাড়া যে যেটায় পারদর্শী, সেখানে
তার সাথে পাল্লা না দিয়ে যেখানে সে
অপারদর্শী সেখানে টক্কর দিতে হয়।।
গোঁড়ামিতে মুসলিমদের সাথে পাল্লা
দেওয়া কখনোই সম্ভব নয়,... আর দিতে
গেলে আমাদেরই ক্ষতি হচ্ছে। বরং
মুসলিমরা যেটাতে অপারদর্শী সেইটা
অর্থাৎ উগ্র ধর্মনিরপেক্ষতা
দ্যাখানো হোক।
....নিজেদের মধ্যে গোরক্ষক না বানিয়ে
দলিত রক্ষক দরকার, যারা জাতিভেদ
দূর করবে, ঢ্যামনা উঁচুজাতির কিছু
লোক যারা দলিতদের ওপর অত্যাচার
করে তাদের দমন করবে।
.... এছাড়াও যদি সামাজিক ক্ষেত্রে
অভিন্ন দেওয়ানী আইন করে বহুবিবাহ,
শিশুবিবাহ বন্ধ করে আর
জন্মনিয়ন্ত্রণ আইন করে
জনবিস্ফোরণ বন্ধ করা যায়,.. তাহলেই
মোল্লাদের বুদ্ধি শেষ।... বাকি
বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, শিক্ষায় আমাদের
সাথে পাল্লা দিতে পারবে না।
.... কিন্তু গোরু নিয়ে মারধোরকে
দেখিয়ে মুসলিমরা দলিতদের কাছে টেনে
নিচ্ছে। এবার পরে তাদের যোগেন
মণ্ডল করবে সেটা আলাদা ব্যাপার,...
কিন্তু আগে আমাদের খতম করবে।
...জনবিস্ফোরণ চললে কোন না
কোনদিন আমরা সংখ্যালঘু হবোই, তাই
ধর্মনিরপেক্ষ আইনগুলি নিয়ে
আন্দোলন করার চিন্তা করা বিশেষ
ভাবে দরকার।
- আশা করি গোরুকে গুরুত্ব না দিতে
বলায় খিস্তি খাবো না...!!
(.... লিখেছেন - শ্রী অজয় বিশ্বাস...)
No comments:
Post a Comment