Tuesday, 5 July 2016

আনন্দবাজারের বিকৃত সংবাদ পরিবেশন।

...আবারও আনন্দবাজারের বিকৃত সংবাদ পরিবেশন। বিষ্ময়ে স্তম্ভিত ই নিউজ-মহল। গত ১লা জুলাই, শুক্রবার রাতে ঢাকার গুলশনে হোলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হঠাৎ আই এস মুসলিম বন্দুকধারীরা হামলা চালায়। খবরে প্রকাশ সেই সময় ভারতীয়, ইটালিয়ান আর জাপানী সমেত দেশি-বিদেশি পর্যটক মিলিয়ে বেশ কয়েক জন সাধারণ মানুষ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, প্রথমে সবার ধর্ম জানতে চায় জঙ্গিরা । এরপর কোরআন থেকে আয়াত পড়তে বলে। সেখানে যারা যারা কোরআনের আয়াত পড়তে পেরেছেন তাদের ছেড়ে দিয়েছে গুলশান ক্যাফের হামলাকারীরা। ...এবং তারপর শুধুমাত্র অমুসলিম হবার কারনে পনবন্দীদের মধ্যে বেছে বেছে ২০ জনকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে তারা । ক্যাফে থেকে মুক্তি পাওয়া সাধারণ মানুষ এই তথ্য জানিয়েছেন। সেই রাতে, হাসনাত করিম নামের এক ভদ্রলোক তার স্ত্রী শারমিন করিম, ১৩ বছর বয়সী মেয়ে সাফা এবং ৮ বছরের ছেলে রায়ানকে নিয়ে সাফার জন্মদিন উদযাপন করতে হলি আর্টিজান ক্যাফেতে যান। ‘বন্দুকধারীরা জিম্মিদের ধর্ম সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চাইছিল। যারা কোরআনের আয়াত পড়তে পেরেছে, তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বাকিদের ওপর অত্যাচার চালানো হয়।’- বলেন হাসনাত করিমের বাবা রেজাউল করিম। কোরান থেকে সুরা বলতে পারায় মুসলমান হাসনাত করিমকে শুধু যে মুক্তি দিয়েছে তাই নয়, তার হিজাবী স্ত্রী শারমিনকে চা করেও খাইয়েছে। শনিবার সকাল পৌনে আটটার দিকে উদ্ধার অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ এই হামলায় এখন পর্যন্ত যে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের সবাই বিদেশি নন। নিহতদের মধ্যে অন্তত ৪ জন বাংলাদেশের নাগরিক। ... এখনও অবধি, দেশ বিদেশ মিলিয়ে আন্তর্জাতিক মানের সবক’টি সংবাদপত্রে এই খবর প্রকাশিত হলেও ব্যাতিক্রম একমাত্র আনন্দ বাজার। অভিযোগ এই যে, তারা এই সংবাদ’টি সম্পুর্ন বিকৃত অবস্থায় পরিবেশন করে প্রকৃত সত্য ঘটনাটি’ই চাপা দিয়ে দিয়েছেন। কি সেই ঘটনা...? খবরে প্রকাশ, “কোরআনের আয়াত বলতে পারায় রক্ষা” না বলে “বাংলা বলতে পারায় রক্ষা” শিরোনামে ঢাকার গুলশনে হোলি আর্টিজান রেস্তোরাঁর হামলা সম্পর্কে বিবৃতি দিতে গিয়ে তারা জনৈক সত্যপাল নামে এক ভারতীয় বাংলাভাষী চিকিৎসকের অবতারণা করেছেন, ... যাকে নাকি শুধুমাত্র বাংলায় কথা বলতে পারার সুবাদেই বাংলাদেশী মনে করে জঙ্গিরা ছেড়ে দেয়। এইখানেই তীব্র অসন্তোষ ব্যক্ত করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ার পাঠকেরা। এক পাঠক বন্ধুর মতে, বাংলাদেশ ইসলামিক কান্ট্রি হওয়া সত্ত্বেও তাদের প্রথম শ্রেনীর পত্রিকা “ঢাকা টাইমস” বলতে পারছে যে,.. “মুসলিম হলেই ছাড়। কুরআন এর আয়াত বলতে পারলেই জঙ্গিরা ছেড়ে দিচ্ছে”। কিন্তু এপার বাংলার এবিপির তা বলতে তো পারছেই না, বরং নিজের মন গড়া এমন একটা নিউজ বানিয়ে দিলো, যার মানে দাঁড়ায়.. যে, “বাংলা” বলতে পারলেই রক্ষা; ... “মুসলিম” হলে তবেই রক্ষা এটা আর বলতে পারলো না। - যা সম্পুর্ন খবরটার সত্যতার পরিপন্থী। অনেকের মতে আনন্দবাজারের মত এমন একটি প্রথম শ্রেনীর দৈনিকের এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীনসংবাদ পরিবেশন তাই বর্তমানে সংবাদমাধ্যমের প্রকৃত উদ্দেশ্য সম্পর্কেই প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিতে বাধ্য। http://abpananda.abplive.in/world-news/indian-doctor-escapes-death-by-inches-in-dhaka-hostage-crisis-226376 http://www.dhakatimes24.com/mobile/2016/07/02/118701 সৌজন্যে- রাজা দেবনাথ

No comments:

Post a Comment