Friday, 18 December 2015

ইছলামী ইতরামি:

ইছলামী ইতরামি: ১. প্রতিবন্ধী শিশুদের হত্যা করে যায়েজ বলে ফতোয়া দিয়েছে আইসিস। ডাউন সিনড্রোমাক্রান্ত ৩৮ জন শিশুকে ইতোমধ্যে মেরে ফেলা হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া ইছলামী শিশুশিক্ষার কয়েকটি নমুনা প্রকাশ করেছে তারা। ছবিতে দেখুন। (লিংকে) ২. নাইজেরিয়ায় ইছলামী দল বোকো হারাম হত্যা করেছে ৩০ জনকে । ৩. ইয়াজিদি নারীদের জনসম্মুখেই গণধর্ষণ করে আইসিস জঙ্গিরা! ৪. তরবারি হাতে মমিন মুছলিম প্রতিবেশীকে হুমকি দিয়ে বলেছে, "আল্যার জন্যে আমি মারতে ও মরতে পারি।" তাকে আটক করা হয়েছে। ৫. জার্মানির 'শরিয়া পুলিশ'-এর নেতা গ্রেপ্তার । ৬. এক মডারেট মুছলিম, যে কিনা "I am Muslim, do you trust me enough for a hug?" লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়েছিল পার্লামেন্ট ভবনের পাশে, এক সাংসদের বাড়িতে বোমা হামলার হুমকি দিয়েছে। ৭. অনার কিলিং-এর মতো বর্বর সংস্কৃতি মুছলিমদের ভেতরেই সবচেয়ে প্রচলিত। এক গ্র্যান্ডফাদার তার দু'বছর বয়সী নাতনিকে ধর্ষণ করেছে এবং শিশুটির মা নিজ সন্তানটিকে বালতির পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে পরিবারের সম্মান রক্ষা করতে সমর্থ হয়েছে। ৮. আইসিস-এর দুই সক্রিয় সহযোগী মুছলিম অভিবাসীকে প্রেপ্তার করা হয়েছে সুইজারল্যান্ডে। ৯. 'আল্যাহু আকবর' স্লোগান দিয়ে রোমের গির্জায় হামলা চালিয়েছে দুই মুছলিম। ১০. কে ছহীহ মুছলিম? ফাকিস্তানে নিজেদেরকে মুছলিম বলে দাবি করায় প্রেপ্তার করা হয়েছে আহমেদিয়া মুছলিম সম্প্রদায়ের দুইজনকে। ১১. "আমি সমস্ত সহযাত্রীকে সঙ্গে নিয়ে আল্যার সঙ্গে দেখা করতে চাই" - যাত্রীবাহী উড়ন্ড প্লেনের ককপিটে ঢোকার চেষ্টা করার সময় বলেছিল এক মমিন মুছলিম। ১২. শান্তির ধর্মের শান্তিময় উপাসনালয়গুলোয় অনুসন্ধান চালিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ব্যবহার্য ৩২৪ টি অস্ত্র (মূলত কালাশনিকভ) ও আইসিস-এর প্রপাগান্ডা ভিডিও পাওয়া গেছে। মসজিদ নেতার বাড়িতে পাওয়া গেছে শান্তি-রিভলভার ও জিহাদি কাগজপত্র। ১৩. মৌমাছি যখন মধুর বিরুদ্ধে - সন্ত্রাসবিরোধী ইছলামী সামরিক জোট গঠন করেছে চৌদি আজব। ১৪. নবীজি নিজেই প্রতিমা ভেঙে উদাহরণ সৃষ্টি করেছিল। তাকে অনুসরণ করে তার বাংলাদেশী উম্মতরা সুন্নত আদায় করছে মাত্র। বলা উচিত, বাংলাদেশ চলছে সঠিক ইছলামী পথে। আরেক দল মুছলিম বোমা হামলা ও গুলি চালিয়েছে ইসকন মন্দিরে । বাসায় ঢুকে খ্রিষ্টান তিন ভাইবোনকে গুলি করেছে, কুপিয়েছে মুছলিমরাই। ১৫. ইছলামে ছবি তোলাই হারাম, ভিডিও তো দূরের কথা! অথচ ইছলামের জন্মস্থান ও পৃথিবীর প্রধানতম ইছলামী দেশে সিনেমা হল স্থাপন করা হবে। হালাল বিয়ার, হালাল হুইস্কি, হালাল সেক্সশপ-এর মতো এবারে হালাল সিনেমা হল? ১৬. গান-বাজনাও ইছলামে হারাম। তাই বাউল উৎসবের আয়োজককে ছহীহ উপায়ে কুপিয়ে হত্যা করে অশেষ ছওয়াব হাছিল করা হয়েছে। ১৭. ডেনমার্কে বসবাসকারী মুছলিমদের ৪৬.১ শতাংশ মনে করে, ডেনমার্কের আইনকানুন শরিয়াভিত্তিক হওয়া আবশ্যক । তবে তা যেহেতু হচ্ছে না, তাহলে এই মুছলিমগুলো কুফরী এই দেশটাকে ত্যাগ করে শতভাগ শরিয়া আইনের দেশগুলোয় চলে যায় না কেন? ছবি/নিউজলিংকসহ বিস্তারিত কমেন্ট বক্সে ধর্মকারী লিংকে: http://www.dhormockery.com/2015/12/blog-post_91.html?m=1.

এ কেমন ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান????

এ কেমন ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান????ভারতীয় সংবিধানের 30(a) ধারা অনুসারে বিদ্যালয়ে বেদ,উপনিষদ,শ্রীমদভাগবদগীতা পড়ানো নিষিদ্ধ|অথচ মাদ্রাসাতে কুরান,হাদিস পড়ানো বৈধ| , হিন্দু মন্দির ও তীর্থকর বাবদ প্রাপ্ত অর্থের 80% রিজার্ভার বসিয়ে আদায় করে|অথচ মসজিদ,মাদ্রাসা ও মাজারে প্রাপ্ত তাদের(মোল্লাদের)| , অমরনাথ যাত্রিদের কাছ 30,000 টাকা তীর্থকর আদায় করে সরকার|অথচ হজ যাত্রিদের 100000(1 লক্ষ) টাকা অনুদান| , কি দোষ করল হিন্দুরা???কেন এ বৈষম্য???তাহলে 1947 সালে ধর্মের ভিত্তিতে ভারতমাতাকে ভাগ করা স্বত্তেও কেন মিথ্যা ধর্মনিরপেক্ষতারদোহাই দিয়ে হিন্দুদের এভাবে অবহেলিত রেখে মোল্লাদের পা চাটতে হয়???

এ কেমন ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান????

এ কেমন ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান????ভারতীয় সংবিধানের 30(a) ধারা অনুসারে বিদ্যালয়ে বেদ,উপনিষদ,শ্রীমদভাগবদগীতা পড়ানো নিষিদ্ধ|অথচ মাদ্রাসাতে কুরান,হাদিস পড়ানো বৈধ| , হিন্দু মন্দির ও তীর্থকর বাবদ প্রাপ্ত অর্থের 80% রিজার্ভার বসিয়ে আদায় করে|অথচ মসজিদ,মাদ্রাসা ও মাজারে প্রাপ্ত তাদের(মোল্লাদের)| , অমরনাথ যাত্রিদের কাছ 30,000 টাকা তীর্থকর আদায় করে সরকার|অথচ হজ যাত্রিদের 100000(1 লক্ষ) টাকা অনুদান| , কি দোষ করল হিন্দুরা???কেন এ বৈষম্য???তাহলে 1947 সালে ধর্মের ভিত্তিতে ভারতমাতাকে ভাগ করা স্বত্তেও কেন মিথ্যা ধর্মনিরপেক্ষতারদোহাই দিয়ে হিন্দুদের এভাবে অবহেলিত রেখে মোল্লাদের পা চাটতে হয়???

বানতলার ঘটনা:

বানতলার ঘটনা: ৩০ মে, ১৯৯০। গোসাবায় একটি টীকাকরণ কর্মসূচী সেরে তিন জন সরকারি হেলথ অফিসার ফিরছিলো কোলকাতায় । সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা নাগাদ যখন তারা ই.এম বাইপাসের কাছে বানতলায় পৌঁছে, তখন সিপিএমের পার্টি অফিসের কাছে ৪/৫ মুসলমান যুবক, তাদের গাড়ি থামানোর চেষ্টা করলে, তাদের পাশ কাটাতে গিয়ে গাড়িটি উল্টে যায়। এসময় আরও ১০/১২ জন মুসলমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তারা সবাই মিলে গাড়িতে থাকা ড্রাইভার এবং স্বাস্থ্যকর্মী অনিতা দেওয়ান, উমা ঘোষ ও রেনু ঘোষকে টেনে হিঁচড়ে গাড়ি থেকে বের করে এবং গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।গাড়ি চালক তাদের বাধা দিতে গেলে তাকে মেরে তার পুরুষাঙ্গে আঘাত করে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রাখে। তিন হিন্দু যুবতী মেয়েকে ১৫/ ২০ জনে মিলে পার্টি অফিসের পাশের ধানক্ষেতে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। একজন সিরিয়াসলি বাধা দিতে গেলে তাকে হত্যা করে এবং অন্য দুজনকে ধর্ষণ করে ফেলে রাখে। রাত সাড়ে এগারোটার দিকে পুলিশ গিয়ে সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার ক'রে মেয়েদেরকে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে এবং ড্রাইভারকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করে। মেয়েদের অবস্থা এতটাই খারাপ ছিলো যে, প্রথমে ডাক্তাররা তিন মেয়েকেই মৃত মনে করেছিলো। কিন্তু তাদের মধ্যে দুজন বেঁচে ছিলো। হাসপাতালে নেওয়ার পরও জীবিত একজনের যোনীর মধ্যে ১২ ইঞ্চি সাইজের একটি ধাতব টর্চলাইট দেখে একজন ডাক্তার অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। ড্রাইভারের দেহে ৪৩ টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিলো এবং তার পুরুষাঙ্গ পিষে যাওয়ায়, সেটার কার্যক্ষমতা সর্ম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। ঘটনার ৫ দিনের মাথায় ঐ ড্রাইভার মারা যায়। পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, প্রশান্ত সূর, ধর্ষকদের রক্ষা করার জন্য বলেছিলো, "তারা তাদের শিশুপাচারকারী মনে করে আক্রমন করেছিলো।"কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে, স্বাস্থ্য বিভাগের এই দল কিছু মুসলমান মেয়েকে জন্ম নিয়ন্ত্রণের উপকারিতা সম্পর্কে বুঝিয়েছিলো। এটাই ছিলো তাদের অপরাধ। জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইসলামে নিষেধ এবং তা মুসলমানদের -পয়দা করে ফায়দা লুটে- ভারত দখলের পথে প্রধান বাধা; তাই মুসলমানরা এমন নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও খুন করে শাস্তি দেয় ঐ তিন হিন্দু মেয়ে এবং তাদের গাড়ির ড্রাইভার হিন্দু যুবককে। ইসলামে জন্ম নিয়ন্ত্রণ নিষেধ হলেও অমুসলিমদের মেয়েদের ধর্ষণ ও খুন করতে কোনো নিষেধ নেই, বরং তার অনুমতিই আছে। ঐ মুসলমানরা সেদিন ইসলামের এই আদেশই পালন করেছিলো।এবার দেখা যাক, পশ্চিমবঙ্গের জগদ্দল পাথর, মুসলমানদের তাড়া খেয়ে পূর্ব বঙ্গ থেকে পালিয়ে আসা পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানপ্রেমী মূর্খমন্ত্রী জ্যোতি বসু এই ঘটনা সম্পর্কে কী বলেছিলো ? তিনি বলেছিলেন, "ধর্ষণের ঘটনা স্বাভাবিক", উনার কথায় মনে হয়, ধর্ষণের ঘটনা এতটাই স্বাভাবিক যে, উনার বাড়ির মেয়েদের, মুসলমানরা রোজ দু'বেলা করে এসে ধর্ষণ করে যায়। তিনযুগ ধরে কাদের হাতে ছিলো পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের দেখভালের দায়িত্ব তা একবার চিন্তা করুন।
বানতলার ঘটনা: ৩০ মে, ১৯৯০। গোসাবায় একটি টীকাকরণ কর্মসূচী সেরে তিন জন সরকারি হেলথ অফিসার ফিরছিলো কোলকাতায় । সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা নাগাদ যখন তারা ই.এম বাইপাসের কাছে বানতলায় পৌঁছে, তখন সিপিএমের পার্টি অফিসের কাছে ৪/৫ মুসলমান যুবক, তাদের গাড়ি থামানোর চেষ্টা করলে, তাদের পাশ কাটাতে গিয়ে গাড়িটি উল্টে যায়। এসময় আরও ১০/১২ জন মুসলমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তারা সবাই মিলে গাড়িতে থাকা ড্রাইভার এবং স্বাস্থ্যকর্মী অনিতা দেওয়ান, উমা ঘোষ ও রেনু ঘোষকে টেনে হিঁচড়ে গাড়ি থেকে বের করে এবং গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।গাড়ি চালক তাদের বাধা দিতে গেলে তাকে মেরে তার পুরুষাঙ্গে আঘাত করে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রাখে। তিন হিন্দু যুবতী মেয়েকে ১৫/ ২০ জনে মিলে পার্টি অফিসের পাশের ধানক্ষেতে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। একজন সিরিয়াসলি বাধা দিতে গেলে তাকে হত্যা করে এবং অন্য দুজনকে ধর্ষণ করে ফেলে রাখে। রাত সাড়ে এগারোটার দিকে পুলিশ গিয়ে সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার ক'রে মেয়েদেরকে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে এবং ড্রাইভারকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করে। মেয়েদের অবস্থা এতটাই খারাপ ছিলো যে, প্রথমে ডাক্তাররা তিন মেয়েকেই মৃত মনে করেছিলো। কিন্তু তাদের মধ্যে দুজন বেঁচে ছিলো। হাসপাতালে নেওয়ার পরও জীবিত একজনের যোনীর মধ্যে ১২ ইঞ্চি সাইজের একটি ধাতব টর্চলাইট দেখে একজন ডাক্তার অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। ড্রাইভারের দেহে ৪৩ টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিলো এবং তার পুরুষাঙ্গ পিষে যাওয়ায়, সেটার কার্যক্ষমতা সর্ম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। ঘটনার ৫ দিনের মাথায় ঐ ড্রাইভার মারা যায়। পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, প্রশান্ত সূর, ধর্ষকদের রক্ষা করার জন্য বলেছিলো, "তারা তাদের শিশুপাচারকারী মনে করে আক্রমন করেছিলো।"কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে, স্বাস্থ্য বিভাগের এই দল কিছু মুসলমান মেয়েকে জন্ম নিয়ন্ত্রণের উপকারিতা সম্পর্কে বুঝিয়েছিলো। এটাই ছিলো তাদের অপরাধ। জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইসলামে নিষেধ এবং তা মুসলমানদের -পয়দা করে ফায়দা লুটে- ভারত দখলের পথে প্রধান বাধা; তাই মুসলমানরা এমন নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও খুন করে শাস্তি দেয় ঐ তিন হিন্দু মেয়ে এবং তাদের গাড়ির ড্রাইভার হিন্দু যুবককে। ইসলামে জন্ম নিয়ন্ত্রণ নিষেধ হলেও অমুসলিমদের মেয়েদের ধর্ষণ ও খুন করতে কোনো নিষেধ নেই, বরং তার অনুমতিই আছে। ঐ মুসলমানরা সেদিন ইসলামের এই আদেশই পালন করেছিলো।এবার দেখা যাক, পশ্চিমবঙ্গের জগদ্দল পাথর, মুসলমানদের তাড়া খেয়ে পূর্ব বঙ্গ থেকে পালিয়ে আসা পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানপ্রেমী মূর্খমন্ত্রী জ্যোতি বসু এই ঘটনা সম্পর্কে কী বলেছিলো ? তিনি বলেছিলেন, "ধর্ষণের ঘটনা স্বাভাবিক", উনার কথায় মনে হয়, ধর্ষণের ঘটনা এতটাই স্বাভাবিক যে, উনার বাড়ির মেয়েদের, মুসলমানরা রোজ দু'বেলা করে এসে ধর্ষণ করে যায়। তিনযুগ ধরে কাদের হাতে ছিলো পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের দেখভালের দায়িত্ব তা একবার চিন্তা করুন।

Thursday, 17 December 2015

☆☆বায়ু পথের যুদ্ধ, ১৬৬০☆☆

☆☆বায়ু পথের যুদ্ধ, ১৬৬০☆☆ . সূচনাঃ মারাঠা সাম্রাজ্য ও আদিল শাহী বংশের মধ্যে ১৬৬০ সালের ১৩ জুলাই 'পবন খিন্দের' যুদ্ধ সংঘটিত হয়। পবন অর্থ বায়ু ও খিন্দ অর্থ সংকীর্ণ পথ (pass)। ভারতের মহারাষ্ট্রের কোলাপুর শহরের কাছে বিশালগড় দূর্গের নিকটে 'পবন খিন্দ' অবস্থিত। আদিল শাহী ছিল শিয়া মুসলিম। রাজধানী কর্ণাটক প্রদেশের বিজাপুর। ১৬৮৬ সালে বাদশা আওরঙ্গজেবের বিজাপুর জয়ের মাধ্যমে আদিল শাহী বংশের সমাপ্তি ঘটে। . পটভূমিঃ রাজা শিবাজী প্রতাপগড় ও কোলাপুরের যুদ্ধে জয়ের পর বিজাপুর অভিমুখে অগ্রসর হলেন। বিজাপুরি সেনার তীব্র প্রতিরোধের কারণে মারাঠারা পিছু হটতে বাধ্য হয় এবং কোলাপুরের পানহালা দূর্গে আশ্রয় নেয়। বিজাপুরের আব্বাসীয় সেনাপতি সিদ্ধি জোহর মারাঠাদের অবস্থান শনাক্ত করেন। সিদ্ধি জোহর টানা ৫ মাস পানহালা দূর্গ অবরোধ করেন। আরেক মারাঠা সেনাপতি নেতাজী পালকর দূর্গের বাইরে থেকে বারবার আক্রমণ করেও অবরোধ ভাঙতে ব্যর্থ হন। . পরিকল্পনাঃ পানহালা থেকে বিশালগড়ের দূরত্ব ৬০ কিমি। ৬০০ মারাঠা সৈন্যের বিপরীতে বিজাপুরি সৈন্য ছিল ১০০০০। তাই এই যুদ্ধে জয় লাভ মারাঠাদের জন্য অসম্ভব। শেষ পর্যন্ত এক দুঃসাহসী ও অধিক ঝুঁকিপূর্ণ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। শিবা কাশিদ নামে এক সৈন্যের সাথে রাজা শিবাজীর চেহারার যথেষ্ট মিল ছিল। শিবাকে রাজার পোষাকে সাজানো হল। ১৩ জুলাই রাতে শিবাজি অবরোধ ভেঙে বিশালগড়ের উদ্দেশ্যে পানহালা ত্যাগ করেন। বিজাপুরি সৈন্য মারাঠাদের প্রবল বেগে ধাওয়া করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী শিবা কাশিদ স্বেচ্ছায় ধরা দেন। তাকে বিজাপুরি ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। একবার প্রতারণা ধরা পড়লে নিশ্চিত মৃত্যু, তা জানা সত্বেও শিবা কাশিদের আত্নত্যাগ মারাঠাদের পালানোর কিছুটা সময় দেয়। বিজাপুরি সৈন্য নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে আবার ধাওয়া শুরু করে। ততক্ষণে মারাঠারা পবন খিন্দ পৌঁছে যায়। শিবাজী ৩০০ সৈন্য নিয়ে বিশালগড় অভিমুখে যাত্রা করেন। অবশিষ্ট মারাঠা সৈন্য চূড়ান্ত যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়। . শক্তি-সামর্থ্যঃএই যুদ্ধে মারাঠা নেতৃত্বে ছিলেন 'বাজি প্রভু দেশপান্ডে।' মারাঠা সৈন্য সংখ্যা ২৫০-৩০০ জন। বিজাপুরি সৈন্য সংখ্যা ৪০০০। নেতৃত্বে ছিলেন সিদ্ধি মাসুদ। . পবন খিন্দের যুদ্ধঃ পবন খিন্দ দুই পর্বতের মধ্যবর্তী এক সংকীর্ণ পথ। এ পথে পাশাপাশি কয়েক জন সৈন্য চলতে পারে। দেশপান্ডের নেতৃত্বাধীন মারাঠা পবন খিন্দ অবরোধ করে। এখানে প্রায় ৩০০ মারাঠার সাথে ৪০০০ বিজাপুরি সৈন্যের যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধ ছিল তলোয়ারের যুদ্ধ। মারাঠারা তলোয়ার চালনায় দক্ষ ছিল। রক্তাক্ত হওয়া সত্বেও তারা দুই হাতে তলোয়ার নিয়ে লড়তে থাকে। শিবাজী বিশালগড় দূর্গে পৌঁছে তিনটি কামানের গোলার মাধ্যমে সংকেত দেওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করেন মারাত্নক আহত দেশপান্ডে। 'বাজি প্রভু দেশপান্ডে' সহ প্রায় প্রত্যেক মারাঠা এই যুদ্ধে নিহত হয়। বিজাপুরি সৈন্য নিহত হয় ৩০০০। . বিশালগড়ঃ বিশালগড় দূর্গ আগে থেকেই বিজাপুরি সৈন্য অবরোধ করে রাখে। দূর্গের দায়িত্বে ছিলেন মারাঠা সেনাপতি রঙগো নারায়ণ। তার প্রচন্ড আক্রমণে বিজাপুরি সৈন্য পানহালা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। . উপসংহারঃ মারাঠা ও আদিল শাহীর মধ্যে সংঘটিত শেষ গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ 'পবন খিন্দ'। এ যুদ্ধে জয়ের মাধ্যমে মারাঠারা স্বাধীন হিন্দু রাজ্য গঠনে সক্ষম হয়। ১৬৭৩ সালে শিবাজী পানহালা দূর্গ পুনর্দখল করেন। . wiki/Battle_of_Pavan_Khind wiki/Bajiprabhu ছবিঃ পানহালা দূর্গ Photo link https://m.facebook.com/hindu.yoddhablog/photos/a.536050066543316.1073741827.536026079879048/564028990412090/?_e_pi_=7%2CPAGE_ID10%2C5099094006

Wednesday, 16 December 2015

মূল প্রসঙ্গ : কোরান কি আল্লার বাণী ?

মূল প্রসঙ্গ : কোরান কি আল্লার বাণী ? বোনাস প্রসঙ্গ : হুর-গেলমান প্রায় সব মুসলমানই চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করে যে, কোরান আল্লার বাণী; আল্লা তা ফ্যাক্স যোগে মুহম্মদের নিকট পাঠিয়েছে! মুহম্মদ শুধু তা প্রচার করেছে মাত্র। এর কারণ হচ্ছে আমাদের সিনিয়র ধর্মান্ধ মুসলমানরা তাদের জুনিয়র মুসলমানদের এভাবেই শিক্ষা দিয়েছে এবং এখনো দেয়। মুসলমানদেরকে কখনোই শেখানো হয় না কোরান-হাদিস সংকলনের প্রকৃত ইতিহাস। কোরান যে মুহম্মদের মৃত্যুরও বেশ কিছু বছর পর খলিফাদের আমলে এবং হাদিসগুলো প্রায় ৩০০ বছর পর বইয়ের আকারে লিখিত রূপ পেয়েছে, এই ইতিহাস প্রায় কোনো মুসলমানই জানে না, তারা মনে করে কোরান একেবারে পুস্তক আকারেই মুহম্মদের কাছে এসেছে। সুতরাং কোরান মুহম্মদের মুখনিসৃত বাণী নয়, তা আল্লার বাণী আর মুহম্মদের মুখ নিসৃত বাণীগুলো হাদিস। কিন্তু তাদেরকে যখন কোরান সংকলনের ইতিহাস বলা হয় তখন তারা গভীর সন্দেহ নিয়ে অবাক হয়; যদিও বিশ্বাস করে না তার এক একটুও। কারণ এটা বিশ্বাস করলে রিস্ক আছে, পরকালে হুর-গেলমান হারানোর রিস্ক। তখন তারা যুক্তি তর্কে হেরে গেলেও মনে করে, দূর কোরান যেভাবে সংকলন হয় হোক। তাতে আমার কী ? আমি বিশ্বাস করি কোরান আল্লার বাণী আর তা বই আকারেই এসেছে; ব্যস। হুর-গেলমানের প্রসঙ্গ যখন এসেই গেলো, তখন এ নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক : হুর মানে প্রায় সবাই জানে, এরা হলো স্বর্গ বেশ্যা। একেবারে নিম্নশ্রেণীর বেহেশতিও পাবে কমপক্ষে ৭২ জন করে হুর। এর বাইরে বেহেশতিরা পাবে গেলমান। গেলমান হচ্ছে পুরুষ পতিতা বা হিজড়া। যারা পায়ুপথে সেক্স করিয়ে আনন্দ পায়। মুহম্মদের চিন্তাধারা কী পরিমান নিকৃষ্ট এই একটি ঘটনা থেকে তা বোঝা যায়। পুরুষদেরকে তার ধর্মে আকৃষ্ট করার জন্য সে লুঠপাটের নামে গণিমতের মালের ভাগ দিলো, চারটি বিয়ে করে মিনি পতিতালয় বানানোর সুযোগ দিয়ে বালিকা-যুবতী-পৌঢ়-বৃদ্ধা সকল রকম নারীর দেহের স্বাদ নেবার ব্যবস্থা করে দিলো, প্রচলিত সাধারণ বিয়ের বাইরেও "মুতা বিবাহ" নামক সর্ব নিম্ন তিনদিন মেয়াদী এক অস্থায়ী বিয়ের ব্যবস্থা করে, সরাসরি অর্থের বিনিময়ে, বছরে আরও অসংখ্য নারীকে ভোগ করার ব্যবস্থাপত্র দিলো, দাসীদের ভোগ করার অনুমতি দিলো, সব দিক থেকে পুরুষদেরকে নারীদের থেকে শ্রেষ্ঠ বলে ঘোষণা দিলো; ইহকালে পুরুষদের জন্য এত ব্যবস্থা করার পরও বোধহয় মুহম্মদের মন থেকে এই সংশয় যায় নি যে, লোকজন তার ইসলাম গ্রহন করবে তো ! তাই পরকালের জন্য হুর-গেলমানের লোভও তাকে দেখাতে হলো । ইহুদি ও খ্রিস্টান ধর্মে এটা আছে কি না জানি না। তবে হিন্দু ধর্মে উর্বশী, রম্ভা নামে কতিপয় স্বর্গীয় নারীর কথা বলা আছে। যারা স্বর্গের রাজা বা দেবদেবীদের নাচ টাচ দেখিয়ে মনোরঞ্জন করে; কিন্তু সেক্সের কোনো ব্যবস্থা সেখানে নেই। মুহম্মদ এই সকলকে টেক্কা দিয়ে মুলমানদের জন্য করেছে এক অভাবনীয় ব্যবস্থা। কমপক্ষে ৭২ জন করে হুর। এতেও মুহম্মদ সন্তুষ্ট নয়, সে তার উম্মাদদের (উম্মত) জন্য করে রেখেছে আরও ব্যবস্থা, হুরের বদলে গেলমান, যোনীর বদলে পায়ু। এ থেকে আমার মনে হয় মুহম্মদও সমকামী ছিলো অথবা সেই সময় আরবে সমকামী প্রথা চালু ছিলো। না হলে মুহম্মদ এটা জানলো কী করে যে অনেক পুরুষই যোনীর পাশাপাশি পায়ুও পছন্দ করে ? এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই গেলমানের ভূমিকা কে পালন করবে ? তারা কি ফেরেশতারা ? যতদূর জানি লৈঙ্গিক দিক থেকে ফেরেশতারাও হিজড়ার সমতুল্য। কোরান কি আল্লার বাণী ? এবা সেই প্রসঙ্গে আসি, সুরা আল ফোরকাণ (২৫:৫৯) এ বলা হয়েছে, "আল্লাহ হচ্ছেন একমাত্র তিনিই যিনি আসমানসমূহ ও জমিন সৃষ্টি করেছিলো এবং এদের মাঝখানে যা কিছু আছে তাও।" এই সুরার বক্তব্যে স্পষ্ট যে দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তি আল্লাকে কারও সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। এই ধরণের বাক্য কোরানে আছে শত শত।অথচ বলা হয় কোরানের সমস্ত কথাই আল্লার। তাই যদি হয় উপর্যু্‌ক্ত আয়াত কি তা প্রমাণ করে ? এই আয়াতে আরও বলা হচ্ছে আসমানসমূহ। কিন্তু বিজ্ঞান বলে আসমান বা আকাশ বলে কিছু নেই। সবই মহাশূন্য। সেখানে আসমানসমূহের প্রশ্নই আসে না। মূর্খ মুসলমানেরা মনে করে, আসমান হচ্ছে ছাদের মতো, যেখানে চন্দ্র সুর্য তারা ঝুলানো আছে। এই জ্ঞানও অবশ্য তারা কোরান থেকে পেয়েছে। কারণ, সুরা আল আম্বিয়ার ৩২ আয়াতে বলা হচ্ছে, "এবং আমি আকাশকে সংরক্ষিত ছাদ করিয়াছি।" তাই মুসলমানদের আর কী দোষ , আল্লার কথায় অবিশ্বাস করে হুর গেলমান হারানোর রিস্ক কে নিতে চায় ?