জাল নোট-আফিম চাষ-সীমান্তে কালো বাজিতে নিজের নাম অনেক আগেই লিখে ফেলেছে জেলা মালদহ৷ তারই ফাঁকে এবার ‘বারুদের স্তূপে’র উপর গজিয়ে উঠেছে জেলায় ছোট-বড় বোমা-কারখানা। যা কার্যত ‘কুটিরশিল্পে’র রূপ নিয়েছে৷ কয়েকমাস আগেই বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল বৈষ্ণবনগর। সেখানে দু’দফা বিস্ফোরণে সিআইডির বম্ব স্কোয়াড দলের দুই সদস্যসহ মোট ছয় জনের মৃত্যু ঘটে। ঘটনার জেরে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল বৈষ্ণবনগরের জৈনপুর। তদন্তে ঘটনাস্থলে যেতে হয়েছে সিআইডির কর্তাদেরও। কেন্দ্রীয় ফোরেনসিক দলের বিশেষজ্ঞরাও ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরণের নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন। গ্রাম জুড়ে চলেছিল চিরুনি তল্লাশি। এত কিছু সত্ত্বেও কিন্তু বহাল তবিয়তেই চলছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত গ্রামের সেই বোমা কারখানা।
২ মে ঠিক বিকেল চারটে নাগাদ সিআইডির বম্ব স্কোয়াড দলের সদস্যরা তখন বোমানিষ্ক্রিয় করছিলেন, তখনই হঠাৎ বিকট বিস্ফোরণ ঘটে। ধোঁয়ার ঢেকে যায় জৈনপুরের আমবাগান। তিন সিআইডি কর্মীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে তড়িঘড়ি পাঠানো হয় হাসপাতালে। আগের দিনই প্লাস্টিক বল বোমা তৈরি করতে গিয়ে এখানেই জনৈক গিয়াসুদ্দিনের বাড়িতে মৃত্যু হয় এক পঞ্চায়েত সদস্যসহ চার জনের। আর দ্বিতীয় বিস্ফোরণের সাক্ষী ছিল সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা। অকালেই এই গোলাবারুদের গ্রাম প্রাণ কেড়ে নিল সিআইডি কর্মী বিশুদ্ধানন্দ মিশ্র আর সুব্রত চৌধুরীর। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েছেন এক এএস আই অফিসারের৷ তার নাম মনিরুজ্জামান৷ছ-ছটি প্রাণ অকালে চলে যায়৷ তবু থামেনি বোমা তৈরির রমরমা কারবার।
কি ভাবে তৈরি হচ্ছে বোমা? এক জন বোমা প্রস্তুতকারী কথায়, প্লাস্টিক বল বোমা দেখতে অনেকটা টেনিস বলের মতোই। যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে এই শিল্পের কারিগররাও বদলে ফেলেছে বোমা তৈরির প্রযুক্তি। সুতলি নেই,আগের মতো কৌটোও নেই। আছে শুধু প্লাস্টিক বল। স্প্লিনটার হিসাবে অবশ্য সেই পাঁথর কুচি, পেরেক, আলপিন, জালকাঠি আর সাইকেল বল থাকছেই। লাল ও সাদা দুই ধরনের বিস্ফোরক মিশিয়ে আমবাগানে বসেই দিব্যি তৈরি করা যাচ্ছে শক্তিশালী বল বোমা।
মালদহের কালিয়াচক কিংবা বৈষ্ণবনগর সর্বত্রই স্থানীয় দুষ্কৃতীরা জরদার কৌটা আর দড়ি-সুতলি বেধেই এতদিন হাতবোমা তৈরি করত। এটাই জানা ছিল পুলিশ আর গোয়েন্দাদের।
কিন্তু সেই প্রযুক্তির খোলনলচে যে একেবারেই বদলে গিয়েছে তার প্রমাণ অবশ্যই টেনিস বলের মতো দেখতে এই ধরনের প্লাস্টিক বোমা। রাজ্যের গোয়েন্দাদের একাংশের অবশ্য দাবি এই ধরনের প্লাস্টিক বল-বোমা বাংলাদেশের হুজি ও বাংলা ভাইসহ বেশ কয়েকটি জঙ্গি সংগঠন সাধারণত ব্যবহার করে থাকে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠেছে বল বোমা প্রযুক্তি কি বাংলাদেশ থেকেই আমদানি হয়েছে মালদহের বৈষ্ণবনগরে৷ এপার-ওপার যে পারেই প্রযুক্তি হোক না কেন, বৈষ্ণবনগরে বোমা চোরা পথেই রপ্তানি হয় বাংলাদেশে। জাল নোটের পাচার থেকে আফিম চাষ, বোমাবাজি আর গুলির লড়াই,খুন-খারাবিতেও দেশজুড়ে অপবাদ ছড়িয়ে আছে মালদহের কালিয়াচক আর বৈষ্ণবনগরের। তার উপর এইবার নয়া সহযোজন ,প্লাস্টিক বল-বোমার কারখানা। যেটা আবার পুলিশের চিরুনি তল্লাশিতেও ধরা পড়াও মুশকিল বলে পুলিশের অনুমান৷
via - kolkata24x7
কিন্তু সেই প্রযুক্তির খোলনলচে যে একেবারেই বদলে গিয়েছে তার প্রমাণ অবশ্যই টেনিস বলের মতো দেখতে এই ধরনের প্লাস্টিক বোমা। রাজ্যের গোয়েন্দাদের একাংশের অবশ্য দাবি এই ধরনের প্লাস্টিক বল-বোমা বাংলাদেশের হুজি ও বাংলা ভাইসহ বেশ কয়েকটি জঙ্গি সংগঠন সাধারণত ব্যবহার করে থাকে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠেছে বল বোমা প্রযুক্তি কি বাংলাদেশ থেকেই আমদানি হয়েছে মালদহের বৈষ্ণবনগরে৷ এপার-ওপার যে পারেই প্রযুক্তি হোক না কেন, বৈষ্ণবনগরে বোমা চোরা পথেই রপ্তানি হয় বাংলাদেশে। জাল নোটের পাচার থেকে আফিম চাষ, বোমাবাজি আর গুলির লড়াই,খুন-খারাবিতেও দেশজুড়ে অপবাদ ছড়িয়ে আছে মালদহের কালিয়াচক আর বৈষ্ণবনগরের। তার উপর এইবার নয়া সহযোজন ,প্লাস্টিক বল-বোমার কারখানা। যেটা আবার পুলিশের চিরুনি তল্লাশিতেও ধরা পড়াও মুশকিল বলে পুলিশের অনুমান৷
via - kolkata24x7