Friday, 8 July 2016

‘ইসলামকে শান্তির ধর্ম বলা বন্ধ হোক’

‘ইসলামকে শান্তির ধর্ম বলা বন্ধ হোক’ - Taslima Nasreen নয়াদিল্লি: আর যেন কখনও ইসলামকে শান্তির ধর্ম না বলা হয়। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ট্যুইটারে এমনই লিখেছেন বাংলাদেশের লেখিকা তসলিমা নাসরিন। গত শুক্রবার রাতের বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকার গুলশনে জঙ্গি হামলার পর থেকে ওই হামলা নিয়ে প্রচুর ট্যুইট করেছেন তসলিমা। সেই ধারাবাহিক ট্যুইটে নানাভাবে নিজস্ব ভঙ্গিতে ইসলামী রক্ষণশীলতাকে আক্রমণ করে গিয়েছেন লজ্জা শ্রষ্ঠা। ট্যুইটারে তসলিমা লিখেছেন, “মানবতার স্বার্থে ইসলামকে শান্তির ধর্ম বলা বন্ধ হোক। আর কখনও যেন ইসলামকে শান্তির ধর্ম বলা না হয়।” তিনি আরও লিখেছেন, ‘ঢাকার হামলাকারীরা সকলেই সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। সকলেই উচ্চমানের স্কুলে লেখাপড়া করেছে। অনুগ্রহ করে আর বলবেন না যে অশিক্ষা এবং দারীদ্রের কারণে ইসলামিক জঙ্গি তৈরি হয়।’ তাঁর মতে, ‘একজন ইসলামিক জঙ্গি তৈরি হওয়ার জন্যে দারীদ্র, অশিক্ষা, হতাশা, আমেরিকার বিদেশনীতি, ইজরায়েলের ষড়যন্ত্রের দরকার হয় না। শুধুমাত্র ইসলাম দরকার।’

Thursday, 7 July 2016

শোনা কথা . . .

শোনা কথা . . . সাল ১৯৯২ । বাংলাদেশে বিএনপির রাজত্ব । মতিউর রহমান নিজামী সংসদে দাবী করলেন 'কৃষ্ণচূড়া' ফুলের নাম 'ইসলামচূড়া' করতে হবে । আর বাংলাদেশে হিন্দুর নামে কোন সড়ক, বা প্রতিষ্ঠান থাকবে না । 'রামপুর'কে বদলে 'ইসলামপুর' করতেই হবে । সংসদে উপস্থিত ছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তিনি আরও একটা পরিবর্তন দাবী করলেন । মাননীয় স্পিকারকে বললেন, বাংলাদেশে 'রামছাগল' আছে অনেক । 'রামপুর'কে যদি 'ইসলামপুর' বলা হয়, 'রামছাগল'কেও 'ইসলামছাগল' বলতে হবে । বিতর্ক শেষ !

Wednesday, 6 July 2016

আপনি কি হিন্দু? বা মুসলিম? বা খ্রিস্টান?

আপনি কি হিন্দু? বা মুসলিম? বা খ্রিস্টান? যদি এলিয়েন না হন, তাহলে এটা পড়ে ফেলুন, প্রাণ বাঁচলেও বেঁচে যেতে পারেন আগামীদিনে কোনো উগ্রপন্থী হানায় পড়লে। ভারত, বাংলাদেশ, আমেরিকা, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, সিরিয়া বা পৃথিবীর যে কোনো অংশে যদি আপনি থেকে থাকেন, তাহলে উগ্রপন্থী হানায় প্রান বাঁচাতে গীতার শ্লোক বা বাইবেল মুখস্থ রাখার কোনো দরকার আপনার নেই... কিন্তু স্পষ্ট উচ্চারণ সহ কলমা মুখস্থ রাখাটা অত্যন্ত জরুরী সেটা মনে রাখবেন। সন্ত্রাসবাদের কোনো ধর্ম নেই... ঠিকই। তবুও কেউ যদি স্ট্যাটিস্টিক্সদেখিয়ে বলে সন্ত্রাসবাদের কোনো ধর্ম না থাক, কিন্তু সন্ত্রাসবাদীদেরঅধিকাংশের ধর্মই তো একই , তাহলে তার কানের গোড়ায় আড়াই প্যাঁচের এক কড়া থাপ্পড় লাগাবেন। তাকে সমঝে দেবেন যে ধর্মের নামে যতই খুন হোক সন্ত্রাসবাদীরা কিন্তু একদম সেকুলার। যুক্তি-তক্ক করবেন, কার্ল মার্ক্স টানবেন, কিষেন-জী টানবেন... ফেসবুকে চাড্ডীদের উত্তাল গালাগালি করবেন। কিন্তু স্যার প্লিজ, লুকিয়ে হলেও কলমা, আজান মুখস্থ রাখবেন। কোনো ফাইভ স্টারে খেতে গিয়ে কোনোদিন ফ্যাসাদে পড়লে যদি সুযোগ পান দু-লাইন কলমা উদাত্ত কন্ঠে আউড়ে দেবেন, আর আপনি ম্যাডাম হলে পকেটে রাখবেন ফোল্ডিং হিজাব। তাহলেই কেল্লা ফতে। আপনার প্রাণ আর সেদিন আপনার গলার নলী কাটা হয়ে বেরোতে পারবে না হয়তো। বেঁচে ফিরতে পারলে তারপর আবার না হয় ফেসবুকে ধর্ম নিরপেক্ষতার স্ট্যাটাস দেবেন আর এরকম লেখা পড়লে লেখককে চাড্ডী, উগ্র ধর্মান্ধ হিন্দু বলে উত্তাল খিস্তী করবেন। আমি আপত্তি করবো না। কিন্তু তার জন্য আপনাকে বেঁচে ফিরতে হবে তো? তাই প্লিজ, দয়া করে আজ থেকে রনে বনে জঙ্গলে যেখানেই যাইবেন, অবশ্যই কলমা মুখস্থ রাখিবেন। পুনশ্চ : আমাকে হিন্দু বলে খিস্তী করলেই খুশী হবো, ধর্মান্ধ হিন্দু বললে সেটা বড়ো অযৌক্তিক হয়ে যাবে।

ছাগলের তিন নং বাচ্চা যারা নিজের অনুষ্ঠান বাদ দিয়ে অন্যের অনুষ্ঠানের শুভেচ্ছা দিবে তারা। শুভ রথযাত্রা

ছাগলের তিন নং বাচ্চা যারা নিজের অনুষ্ঠান বাদ দিয়ে অন্যের অনুষ্ঠানের শুভেচ্ছা দিবে তারা। শুভ রথযাত্রা

চেন্নাইয়ের মহিলা তথ্য প্রযুক্তি কর্মীর খুনের ঘটনা আসলে ‘লাভ জেহাদ’ এবং হামলাকারী একজন মুসলমান।"

চেন্নাইয়ের মহিলা তথ্য প্রযুক্তি কর্মীর খুনের ঘটনা আসলে ‘লাভ জেহাদ’ এবং হামলাকারী একজন মুসলমান।" সত্য কথাটি গায়ক অভিজিত বলতেই চটে যান স্বাতী চতুর্বেদী নামে এক মহিলা বামপ্যান্টি সাংবাদিক। তিনি বলেন, অকারণে সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়ানোর জন্য গায়ককে গ্রেফতার করা উচিত।। বড়োই হাস্যকর!!!! এদের নিশ্চয় মুসলিম বীর্যে জন্ম।। পাকিস্তানী মোল্লার রক্ত শরীরে বইছে।। লাভ জেহাদ কি জানেন না???? এই লড়াইতে গালাগালি দিতে দিতে প্রবেশ করেন রিফাত জাভেদ নামক বাঙলাভাষী মুসলমান, সে হুমকি দিতে থাকে অভিজিত এর টুইটের জন্য তাকে জেল খাটিয়ে ছাড়বে। গতকাল ABP NEWS এ এসে রীতিমতো হুমকি ও অপমান করতে থাকেন। গায়ক অভিজিত একজন জাতীয়তাবাদী গর্বিত হিন্দু হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন। ‪#I_Stand_With_Avijit‬.

Tuesday, 5 July 2016

আসাদুদ্দিন ওয়াইসির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা

আসাদুদ্দিন ওয়াইসির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা http://www.bengali.kolkata24x7.com/sedetion-case-filed-against-asaduddin-owaisi.html

আনন্দবাজারের বিকৃত সংবাদ পরিবেশন।

...আবারও আনন্দবাজারের বিকৃত সংবাদ পরিবেশন। বিষ্ময়ে স্তম্ভিত ই নিউজ-মহল। গত ১লা জুলাই, শুক্রবার রাতে ঢাকার গুলশনে হোলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হঠাৎ আই এস মুসলিম বন্দুকধারীরা হামলা চালায়। খবরে প্রকাশ সেই সময় ভারতীয়, ইটালিয়ান আর জাপানী সমেত দেশি-বিদেশি পর্যটক মিলিয়ে বেশ কয়েক জন সাধারণ মানুষ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, প্রথমে সবার ধর্ম জানতে চায় জঙ্গিরা । এরপর কোরআন থেকে আয়াত পড়তে বলে। সেখানে যারা যারা কোরআনের আয়াত পড়তে পেরেছেন তাদের ছেড়ে দিয়েছে গুলশান ক্যাফের হামলাকারীরা। ...এবং তারপর শুধুমাত্র অমুসলিম হবার কারনে পনবন্দীদের মধ্যে বেছে বেছে ২০ জনকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে তারা । ক্যাফে থেকে মুক্তি পাওয়া সাধারণ মানুষ এই তথ্য জানিয়েছেন। সেই রাতে, হাসনাত করিম নামের এক ভদ্রলোক তার স্ত্রী শারমিন করিম, ১৩ বছর বয়সী মেয়ে সাফা এবং ৮ বছরের ছেলে রায়ানকে নিয়ে সাফার জন্মদিন উদযাপন করতে হলি আর্টিজান ক্যাফেতে যান। ‘বন্দুকধারীরা জিম্মিদের ধর্ম সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চাইছিল। যারা কোরআনের আয়াত পড়তে পেরেছে, তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বাকিদের ওপর অত্যাচার চালানো হয়।’- বলেন হাসনাত করিমের বাবা রেজাউল করিম। কোরান থেকে সুরা বলতে পারায় মুসলমান হাসনাত করিমকে শুধু যে মুক্তি দিয়েছে তাই নয়, তার হিজাবী স্ত্রী শারমিনকে চা করেও খাইয়েছে। শনিবার সকাল পৌনে আটটার দিকে উদ্ধার অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ এই হামলায় এখন পর্যন্ত যে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের সবাই বিদেশি নন। নিহতদের মধ্যে অন্তত ৪ জন বাংলাদেশের নাগরিক। ... এখনও অবধি, দেশ বিদেশ মিলিয়ে আন্তর্জাতিক মানের সবক’টি সংবাদপত্রে এই খবর প্রকাশিত হলেও ব্যাতিক্রম একমাত্র আনন্দ বাজার। অভিযোগ এই যে, তারা এই সংবাদ’টি সম্পুর্ন বিকৃত অবস্থায় পরিবেশন করে প্রকৃত সত্য ঘটনাটি’ই চাপা দিয়ে দিয়েছেন। কি সেই ঘটনা...? খবরে প্রকাশ, “কোরআনের আয়াত বলতে পারায় রক্ষা” না বলে “বাংলা বলতে পারায় রক্ষা” শিরোনামে ঢাকার গুলশনে হোলি আর্টিজান রেস্তোরাঁর হামলা সম্পর্কে বিবৃতি দিতে গিয়ে তারা জনৈক সত্যপাল নামে এক ভারতীয় বাংলাভাষী চিকিৎসকের অবতারণা করেছেন, ... যাকে নাকি শুধুমাত্র বাংলায় কথা বলতে পারার সুবাদেই বাংলাদেশী মনে করে জঙ্গিরা ছেড়ে দেয়। এইখানেই তীব্র অসন্তোষ ব্যক্ত করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ার পাঠকেরা। এক পাঠক বন্ধুর মতে, বাংলাদেশ ইসলামিক কান্ট্রি হওয়া সত্ত্বেও তাদের প্রথম শ্রেনীর পত্রিকা “ঢাকা টাইমস” বলতে পারছে যে,.. “মুসলিম হলেই ছাড়। কুরআন এর আয়াত বলতে পারলেই জঙ্গিরা ছেড়ে দিচ্ছে”। কিন্তু এপার বাংলার এবিপির তা বলতে তো পারছেই না, বরং নিজের মন গড়া এমন একটা নিউজ বানিয়ে দিলো, যার মানে দাঁড়ায়.. যে, “বাংলা” বলতে পারলেই রক্ষা; ... “মুসলিম” হলে তবেই রক্ষা এটা আর বলতে পারলো না। - যা সম্পুর্ন খবরটার সত্যতার পরিপন্থী। অনেকের মতে আনন্দবাজারের মত এমন একটি প্রথম শ্রেনীর দৈনিকের এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীনসংবাদ পরিবেশন তাই বর্তমানে সংবাদমাধ্যমের প্রকৃত উদ্দেশ্য সম্পর্কেই প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিতে বাধ্য। http://abpananda.abplive.in/world-news/indian-doctor-escapes-death-by-inches-in-dhaka-hostage-crisis-226376 http://www.dhakatimes24.com/mobile/2016/07/02/118701 সৌজন্যে- রাজা দেবনাথ