******আত্মরক্ষার সহজ কিছু পদ্ধতি*******
বর্তমানকালে দিনকালের অবস্থা খুবই খারাপ কখন কে কোবে কার রাগ পুষে রেখেছে তা বলা খুবই মুশকিল l তাই বর্তমান যুগে আত্মরক্ষার কিছু সহজ পদ্ধতি জানা খুবই দরকার l
প্রথম কথা হল নিজেকে দুর্বল ভাবা যাবে না। মনে রাখবেন, অপরাধীরা দুর্বলদের সহজে
অপরাধের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে। তাকে মানুষ না ভেবে অপরাধী ভাবতে শিখুন।
অপরাধীরা আসলে আপনার থেকেও অনেক অনেক দুর্বল আর ভিতু।
দুর্বল বলেই তারা চোরের মত অপরাধ ঘটায় আর পালিয়ে যায়। তারা ভাব দেখায় তারা শক্তিশালী। কিন্তু এরা আসলে রাস্তার নেড়ির ভয়েই ভিতু।
নিজের ভয়কে রাগ আর ক্রোধে পরিণত করুন। রাগের থেকে ক্রোধ বেশি জরুরী। যদি মনে মনে বলতে পারেন," আমার গায়ে হাত দেওয়ার আস্পর্ধা হয় কি করে এর!" তাহলে অর্ধেক জয় পেয়ে গেলেন আপনি।
নিচে সহজে আত্মরক্ষার উপায় সম্পর্কএ বলা হয়েছে। এজন্য আপনাকে ব্ল্যাক বেল্টধারী হতে হবে এমনটা নয়। যে কেউ খুব সহজে এটি করতে পারেন।
আর নীরবে চোখের জল বিসর্জন নয়। পাল্টা আঘাতের সময় আজকে আর এখন থেকেই।
১. নিজের ব্যাগে প্রয়োজনীয় জিনিসের পাশাপাশি একটি কাঁচি, ছুরি, চাবি, লাল মরিচের গুড়া রাখুন।
২. আক্রান্ত হলে অপরাধীর নাকের নিচের নরম অংশে শক্ত মুষ্টিবদ্ধ হাতে সজোরে ঘুষি মারুন। খুবই কার্যকর একটি পদ্ধতি। অপরাধী যত বড় বীর পালোয়ানই হোক না কেন, এই আঘাতে সে বসে পরতে বাধ্য। আর এই সময়টুকুই আপনার দরকার।
৩. নিজের পা দিয়ে অথবা ভারী কোন বস্তু দিয়ে অপরাধীর শিন বোনে আঘাত করুন। এতে সে ব্যথায় কঁকিয়ে উঠবে।
৪. আপনার হাত অথবা কবজি যদি কোন অপরাধী ধরে, সাথে সাথে কোন শক্ত বস্তুর সাথে তার হাতটিকে আঘাত করুন। এটা হতে পারে দেওয়াল অথবা দরজার ধাতব নব অথবা যে কোন শক্ত বস্তু। এতে তার মুঠি আলগা হয়ে যাবে।
৫. অপরাধী নাগালে থাকলে হাঁটু উঠিয়ে পায়ের হিল অথবা হিল জুতা দিয়ে সজোরে অপরাধীর পায়ে আঘাত করুন। এতে অপরাধী হাঁটু গেরে আপনার সামনে বসে পরবে।
৬. কাছে চাবি থাকলে তর্জনী আর মধ্যমা আঙুলের মাঝে চাবি রেখে অপরাধীর গলার নিচের নরম অংশ বরাবর আঘাত করুন।
৭. কানের পরদা খুব সংবেদনশীল। দুই হাতকে কাপের মত করে সজোরে অপরাধীর কানে আঘাত করুন। এতে তার কানের পরদা ছিঁড়ে যাবে।
৮. অপরাধীর আঙুল সজোরে ধরুন আর ঠিক উল্টা দিকে সজোরে মোচর দিন। ঠিকভাবে করতে পারলে আঙুল ভেঙে যেতে বাধ্য।
মনে রাখবেন, যে নারীরা প্রতিবাদ করে আর পাল্টা আঘাত করতে পারেন, পরবর্তীতে তাঁদের নিজেদের প্রতি আত্মমর্যাদা ও আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে যায়।
শেষে বলতে তাই নিজের প্রতি বিশ্বাস ও মর্যাদা রাখা খুবই দরকার তাহলে যেকোনো পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারবেন l
[পোস্টটি সবাই শেয়ার করুন যাতে বাকিরাও এই পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারে l আমাদের এই ছোটো প্রয়াশ সমাজে বড়সড় পার্থক্য আনতে পারে ]
https://m.facebook.com/TeamABDN
''আমি গর্বিত,আমি হিন্দু" "দিব্যজ্ঞান নয় কান্ডজ্ঞান দরকার" This blog is about Hindu Religion.we are collecting posts from many pages of facebook.some time you think that we giving hate speeches but this is not true we just give information and news. https://m.facebook.com/WERHINDU https://m.facebook.com/nationslisthindu #NationalistHindu
Tuesday, 19 July 2016
Saturday, 16 July 2016
লিখেছেন নয়ন
লিখেছেন নয়ন
প্রিয়, বুদ্ধিজীবীগণ,
আজ আপনারা ''কাশ্মীর'' কার তা নিয়ে
''গণভোট'' করাতে চাইছেন!!ভালো লাগল আপদের কাশ্মীরিদের প্রতি দরদ দেখে।
তবে একটা প্রশ্নের উত্তর দিন তো-আপনারা কাশ্মীরি বলতে ঠিক কাদের বোঝেন?? শুধুই কী কাশ্মীরি মুসলিমদের?? সেখানে যে কাশ্মীরি হিন্দুরা থাকেন সে খবরটা কী রাখেন??- তারা যে আজ অস্তিত্বহীনতায় ভুগছে-সেই তথ্য কি আপনাদের জানা আছে??
.
যাইহোক বাদ দিন।বরং কাজের কথায় আসি। আপনারা আজ ''গণভোটের'' গীত গাইছেন-যদি অন্য মহল থেকে ''গণভোটের'' দাবী ওঠে তখন তাদের সাথে থাকবেন তো!!!!-যেমন
ধরুন-
1.ভারতকে ''হিন্দুরাষ্ট্র'' করতে হবে!!!
2.''গীতা''কে জাতীয়গ্রন্থ ঘোষণা করতে
হবে!!!
3.''বামপন্থী''দের নিষিদ্ধ করতে হবে!!!
4.''কাশ্মীরি''দের বিশেষ সুবিধা দেওয়া বন্ধ করতে হবে!!!
5.''জাতভিত্তিক'' সংরক্ষণ এর বদলে ''আর্থিক'' স্বচ্ছলতা বিচার করে সংরক্ষণ চালু করতে হবে!!!
6.সব ধর্মের সব বিষয়ের জন্য একই আইন চালু করতে হবে!!!!
---তখন পারবেন তো ঠেলা সামলাতে???তাই বলি কী এইসব ভণ্ডামী বাদ দিন। আপনাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।
-----বিনীত-------
এক তুচ্ছ ভারতীয
জাকির নায়েকের মতো মুসলমানদের দাবী, বেদ-পুরানে, আল্লা-মুহাম্মদ এ্রর উল্লেখ আছে; কিন্তু বেদ-পুরানে, আল্লা-মুহাম্মদ,এই শব্দগুলো আসলে এলো কিভাবে ?
জাকির নায়েকের মতো মুসলমানদের দাবী, বেদ-পুরানে, আল্লা-মুহাম্মদ এ্রর উল্লেখ আছে; কিন্তু বেদ-পুরানে, আল্লা-মুহাম্মদ,এই শব্দগুলো আসলে এলো কিভাবে ?
মূল প্রসঙ্গের একটু পেছন থেকে শুরু করি। মধ্যযুগের সব মুসলিম শাসকদের সভায় হিন্দু কবি ছিলো। ইসলামে যেহেতু কবিতা লিখা নিষেধ, তাই কোনো মুসলমানকে কবিতা লিখতে বলে বা তার কাব্য প্রতিভাকে বিকশিত করে, কোনো মুসলমান শাসক পাপের ভাগী হতে চাইতো না। এজন্য মুসলিম শাসকদের শাসন কার্যের কোথাও হিন্দুদের কোনো জায়গা না হলেও এবং তারা পাইকারিভাবে জোর জবরদস্তি করে সাধারণ গরীব হিন্দুদের মুসলমান বানালেও বা বানাতে চেষ্টা করলেও, জিজিয়া করের জন্য ধনী হিন্দুদের এবং কোনো কোনো মুসলিম শাসক ব্রাহ্মণ টাইপের জ্ঞানী হিন্দু পণ্ডিতদের হিন্দুত্ব টিকিয়ে রাখতো রাজসভায় কাব্য আলোচনা এবং তা থেকে রস আস্বাদনের জন্য। এভাবে যে সব হিন্দু, রাজসভায় কবি হিসেবে নিয়োগ পেতো, ধর্মের উপর জোর জবরদস্তি না করার জন্য তারা মুসলমান শাসকদের উপর থাকতো খুবই কৃতজ্ঞ এবং অনুগত। এই কবিদেরকে, তাদের পৃষ্ঠপোষক মুসলমান শাসকের ফরমায়েশ এবং পছন্দ অনুযায়ী কবিতা লিখতে হতো। এই পছন্দকে পাত্তা দিতে গিয়ে এবং মুসলমান শাসকদেরকে খুশি করতে গিয়েই হিন্দু কবিরা তাদের ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় হিন্দু ধর্মের মূল গ্রন্থগুলো সংস্কৃত থেকে বাংলায় অনুবাদ করার সময় বিকৃত করেছে। কারণ, ঐ কবিদের পৃষ্ঠপোষক, মুসলমান শাসকদের খুশির উপরই নির্ভর ছিলো ঐ সব দুর্বল বেতন ভোগী হিন্দু কবিদের জীবন জীবিকা। একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন, বাংলা সাহিত্যের যত হিন্দু ধর্মীয় পুস্তক, সংস্কৃত থেকে বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে, তার প্রায় সবগুলোই করা হয়েছে, মধ্যযুগের এই মুসলিম শাসনের সময়।
উদাহরণ স্বরূপ, কৃত্তিবাসী রামায়ণের ব্যাপারে একটু আলোচনা করছি; সংস্কৃত রামায়ণে, সীতাকে যখন রাবন ধরে নিয়ে যায়; তখন সীতা, রাবনের সাথে ভয়ংকরভাবে সাহসের সাথে তর্ক বিতর্ক করে। কিন্তু কৃত্তিবাসী রামায়ণে ঐ সময়ে সীতা একজন ভীরু ও দুর্বল মহিলা। কৃত্তিবাসী রামায়নে রামের চরিত্রও দুর্বল করে দেখানো হয়েছে এবং তাকে নপুংসক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। কেননা, কৃত্তিবাসী রামায়ণে, রামের চরিত্র নিয়ে এই প্রশ্ন উত্থাপন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে যে, রাম-সীতা বনে ১২ বছর এক সাথে থাকার পরেও কেনো সীতা গর্ভবতী হলো না ? কিন্তু সংস্কৃত রামায়ণের এই তথ্যকে সুকৌশলে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে যে, বনবাসে যাওয়ার আগেই রাম সীতা প্রতিজ্ঞা করেছিলো, বনে গিয়ে তারা কোনো ভোগ-বিলাসে মত্ত হবে না; তারা বনবাসকালীন ব্রহ্মচর্য পালন করবে। তো যারা ব্রহ্মচর্য পালন করবে, তাদের সন্তান হবে কিভাবে ? এইভাবে মুসলিম আমলে অনুবাদিত প্রত্যেকটি গ্রন্থ, সেটা ভারতের যে আঞ্চলিক ভাষাতেই হোক, তাকে কিছু না কিছু বিকৃত করা হয়েছেই।
রামায়ণ সম্পর্কে আরও একটা তথ্য এ প্রসঙ্গে আপনাদেরকে জানিয়ে রাখি, বলা হয় রামের জন্মের ৬ হাজার বা ৬০ হাজার বছর পূর্বে বাল্মীকি মুনি রামায়ণ রচনা করেন। এটা একটা ডাহা মিথ্য অপপ্রচার। বাল্মীকি মুনি, রামের সমসাময়িক এবং লংকার যুদ্ধ শেষে রাম অযোধ্যায় ফিরে আসার পর রামায়ণ লেখা শুরু হয়। এটা আমার মত নয়, হিন্দু ধর্মের বই পুস্তক নিয়ে যিনি বহু গবেষণা করেছেন এবং "হিন্দু ধর্ম, ভদ্রলোকের ধর্ম" এই পরম সত্য যার মুখ থেকে উচ্চারিত হয়েছে, সেই ড. মহানামব্রত ব্রহ্মচারী, রামায়ণ রচনার সময় নিয়ে উপরের ঐ মত ব্যক্ত করেছেন।
যা হোক, ইংরেজরা, মুসলমানদের মতো সরাসরি হিন্দুদের জীবন ও ধর্মে আঘাত না করলেও, হিন্দু সংস্কৃতিকে সুকৌশলে ধ্বংস করার পরিকল্পনা হিসেবে খ্রিষ্টান সমাজের অনুরূপ ক’রে রাজা রাম মোহন রায় এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দাদু প্রিন্স দ্বারাকানাথের মাধ্যমে বা্রহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা করে। ব্র্রাহ্মদের আচার আচরণ খ্রিষ্টানদের মতো হওয়ায়, সেই সময়ের নিষ্ঠাবান হিন্দুরা ব্রাহ্মদেরকে খ্রিষ্টানই মনে করতো। এই ব্রাহ্মসমাজের নেতাদের পরামর্শে ইংরেজরা বেদকে বিকৃত করার পরিকল্পনা করে। ইতোমধ্যে বাংলায় তারা ছাপাখানা স্থাপন করে ফেলেছিলো এবং সেখান থেকে প্রথম মুদ্রিত বই রূপে বাইবেল প্রকাশ করেছিলো। এরপর তারা বেদ প্রিন্ট করে। সেই সময় অথর্ববেদের শেষের দিকে অপ্রাসঙ্গিকভাবেকয়েকটি দুর্বল শ্লোক যুক্ত করে এবং তার মধ্যে আল্লাহ, মুহম্মদ এরকম কয়েকটি ইসলামিক শব্দটি ঢুকিয়ে দেয়; যেগুলোর মাধ্যমে জাকির নায়েক প্রমান করার চেষ্টা করে যে বেদ এ মুহম্মদের কথা বলা আছে এবং মুহম্মদই কল্কি অবতার, সুতরাং জাকির এর মতে হিন্দুদের উচিত, হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলমান হয়ে যাওয়া। এছাড়াও অনেকে জানেন যে, ভবিষ্য পুরান লেখা হয়েছিলো সম্রাট আকবরের সময়ে এবং তাতেও ইসলামের এই সব বিষয় ঢুকানো আছে, যা দ্বারা জাকির হিন্দুদেরকে বিভ্রান্ত করছে, আর মূল বিষয় না জেনে হিন্দুরাও আমাদের ধর্মগুরুদের উদাসীনতায় বিভ্রান্ত হচ্ছে।
এই বিভ্রান্তি এড়াতে, হিন্দু ধর্মের মুল বিষয়গুলো জানতে হলে পড়তে হবে সংস্কৃত গ্রন্থগুলো এবং তাও যথেষ্ট সতর্ক হয়ে- কারণ, ইংরেজ আমলে প্রথম প্রিন্ট হওয়া সংস্কৃত গ্রন্থগুলো হানড্রেড পার্সেন্ট অবিকৃত নয়।
যখন কোনো পুস্তকে বাইরে থেকে কিছু ঢোকানো হয়, তখন তাকে তাকে বলে প্রক্ষেপণ বা প্রক্ষিপ্ত। তো বেদ এর মধ্যে মুহম্মদ, আল্লা শব্দ যুক্ত শ্লোকগুলো যে প্রক্ষিপ্ত তা কিভাবে বুঝবেন ?
কোরানের মতো বেদ একটি জগাখিচুড়ি গ্রন্থ নয়। একই বিষয়ে বিভিন্ন কথা বার্তা কোরানের বিভিন্ন আয়াতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, আবার একই রকম কথাও আছে বিভিন্ন আয়াতে। কিন্তু চারটি বেদের বিষয় বস্তু চার রকম এবং একই বেদ এ একই রকম বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এই সূত্রে চারটি বেদ এর শেষ সংকলন অথর্ববেদ এর বিষয়বস্তু হচ্ছে মারণ, উচটান, বশীকরণে ব্যবহৃত তন্ত্র -মন্ত্র। তো সেই তন্ত্র মন্ত্রের মধ্যে মুহম্মদ, আল্লা এই শব্দযুক্ত শ্লোকগুলো আসবে কোথা থেকে, যদি সেগুলোকে পরে ঢোকানো না হয় ? জাকিরের মতো মুসলমানরা, অথর্ববেদ ছাড়াও হিন্দু ধর্মের যে সব গ্রন্থের মধ্যে ইসলামকে খুজেঁ পায়, সেগুলো হলো ভবিষ্যপুরান এবং আল্যাউপনিষদ।
Monday, 11 July 2016
কিন্তু যেটা খুব চিন্তার বিষয়
জাকির নায়েক বিতর্কিত চরিত্র সন্দেহ নেই। ভদ্রলোকের বক্তব্য শুনুন, কট্টর মুসলমানদের কম বেশি সবাই এইরকমই ভাবেন। কিন্তু যেটা খুব চিন্তার বিষয় তা হল অনেকেই ভাবছেন যে জাকির নায়েককে কব্জা করলেই কট্টর মুসলমানদের দমিয়ে দেওয়া যাবে।
এর ফলে আসবে আত্মপ্রসাদ। আর এইখানেই মারাত্মক ভুলটা করে বসবে সবাই।
ইসলামকে আসলে একটা ফুটবল টিমের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। আতঙ্কবাদীরা হল গিয়ে স্ট্রাইকার। কট্টরবাদীরা মাঝমাঠের খেলোয়াড়। স্ট্রাইকারদের নিপুণভাবে বল সাজিয়ে দেওয়াই ওদের উদ্দেশ্য। মডারেট মুসলমানেরা ডিফেন্ডার, ইসলামের ওপর সমস্ত আক্রমনের ঝড় সামলানোর দায়িত্ব তাদের। আর এদের পেরিয়ে যদি আপনি গোললাইনের ধারে পৌঁছে যান, তাহলে লাস্ট লাইন অফ ডিফেন্স হিসেবে থাকবেন লিবারেলের দল।
অর্থাৎ জাকির নায়েক কিংবা বুরান কিংবা অ্যাপলজিস্টদের দল, এদের আলাদা করে ভাবাটা উচিৎ নয় ।
তারা একই দলের খেলোয়াড়।
মুর্তি পুজা হিন্দুরা কেন করে?
মুর্তি পুজা হিন্দুরা কেন করে?
ধরুন একজন বিশিষ্ঠ লোকের নামে একটা পার্ক করা হোলে সেখানে তার একটি মুর্তি পতিষ্ঠাতা করা হোলো সেই মুর্তি একটি নির্দিষ্ট স্থানে বাসানো হোলো, তার গলায় ফুলের মালা দিয়ে তাকে সন্মান জানানো হোলে, এই ব্যাক্তিটি দেখলো তার নামে পার্ক করা হয়েছে, তার মুর্তির গলে ফুলের মালা দিয়ে তাকে সন্মান জানানো হচ্ছে, সে খুসি হবে তার নাম ছড়িয়ে পড়বে সে আরো খুসি হবে, কিন্তু যদি, তার মুর্তিতে জুতার মালা পরিয়ে রাখা হয়, তাহলে সে অখুসি হবে সে দু:ক্ষ পাবে। কিন্তু তার গলে জুতার মালা দেওয়া হয়নি, দেওয়া হয়েছে তার মুর্তির গলে। তেমনি ঈশ্বরের একটি রুপ বানিয়ে তাকে সন্মান জানালে ঈশ্বর খুসি হয়, যে যে রুপে তাকে পতিষ্ঠিত করা হয় সে সে রুপেই ভক্তকে দেখা দেয়। হিন্দুরা কি সাধ করে মুর্তি পুজা করা।
নিরাকার ঈশ্বর সাকার হয় কখন, ভক্তের প্রেম ভক্তির দ্বারায়, তাকে পাওয়া সহজ ব্যাপার নয়, রাম প্রসাদের বেড়া মাকালি এসে বেধে দেয়, থালার প্রসাদ খাওয়া রাম কৃষ্ণ। এ রকম কেউ পেয়েছেন ইসলাম ধর্মে আল্লাহ এসে দেখা দেয়।
যেমন বাতাসে শূন্যে জল আছে তাকে কখন দেখা যায়, যখন অনেক ঠান্ডা পড়ে সেই নিরাকার জল বরফ হয়ে সাকারে দেখা যায়, তেমন কঠিন সাধনায় ভগবানকে দেখা যায়, মুসলমানরা সাধনার দ্বারায় আল্লার নাগাল পাই নাই তাই বলে আল্লাহ নিরাকার। শেয়াল গাছে উঠতে পারে না দেখে, গাছের নিচে দাড়িয়ে লালোসা চাপিয়ে বলে আংগুর ভারি টক। ইসলামে আল্লাকে নাগালে না পেয়ে বলে আল্লাহ নিরাকার্। মনে হিংসা থাকলে প্রেম ভক্তি না থাকলে আল্লাহ কি মেলে।
মনো করো তুমি বিড়ি কিনবা সিগারেট খাবে, তোমাকে কিনতে হবে সাকার এক দেশলাই, বারুদ কাঠি দিয়ে তার পিস্টে ঘষা দিলে নিরাকার আগুন সাকার হয়ে জ্বলে। ফাকা জায়গায় আগুন বলে চিতকার করিলে অবল্মন না থাকিলে আগুন কি আর মেলে।
ভগবানকে পেতে হলে করতে হবে তার এক সাকার মুর্তি মনে ভক্তি বারুদে সাধনায় ঘষা দিলে তখনই তো নিরাকার ঈশ্বর সাকারে দেখা দেবে। ফাকা ঘরে আল্লাহ বলে পাচ বার মাথায় ঠুক মারিলে আল্লাহ তুমি কোথায় পাবে।
পৃথীবিতে সনাতন হিন্দু ধর্মই শ্রেষ্ট ধর্ম, সনাতন ধর্মে নেই কারো মনে হিংসা তারা সব ধর্মকে সন্মান করে তারা বিশ্বাস করে মানুষের ভিতর ঈশ্বর বাস করে তাই তারা মানুষকে ভালবাসে। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন জীবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সবিছে ঈশ্বর্।
শোন মুসলমান, একজন মুসলমান যদি বলে তোমাদের মন্দিরের বারান্দায়, আমি একটু নামাজ পড়বো, হিন্দুরা বাধা দেবে না, তারা যানে সেই ঈশ্বরের আরাধনা করছে, যদি কোন হিন্দু বলে হে মুসলমান ভাইরা আমরা তোমাদের মসজিদে গিয়ে একটু খোল করতাল দিনে, আমারা হরিনাম করবো, করতে দিবেন কোন মুসলমান, দিবেন না তোমরা ভাববা হিন্দুরা মুর্তি পুজারি শয়তানের আরাধনা করবে মসজিদে, এদের মনে কি হিংসা ভাবুন।
আমরা হিন্দুরা আল্লাহ রাসুল বলে চিতকার করতে পারি আমাদের বাধা নাই। পারবে কোন মুসলমান হরে কৃষ্ণ বলে চিতকার করতে, পারবে না, তাদের মনে হচ্ছে হিংসার বিষ।
তাই হিন্দু শ্রষ্ট ধর্ম যুগে যুগে।
শোন মুসলমান তোমরা যে অন্যায় করছো, তার শাস্তি একদিন অবশ্যই পাবে।
Saturday, 9 July 2016
তিনটি আব্রাহাম্মক ধর্মের বড় ভাই হলো ইহুদি, মেজো ভাই হলো খ্রীষ্টান, এবং ছোট ভাই হলো ইসলাম।
(সংগ্রহীত পোস্ট)
সবাই জানেন–তিনটি আব্রাহাম্মক ধর্মের বড় ভাই হলো ইহুদি, মেজো ভাই হলো খ্রীষ্টান, এবং ছোট ভাই হলো ইসলাম। আব্রাহাম বা ইব্রাহিমের সূত্র ধরেই এই তিনটি ধর্মের শাখা-প্রশাখা বের হয়েছে।
জন্মসূত্রে ইহুদি হওয়া ছাড়া এই ধর্মে যোগদানের তেমন সুযোগ ছিল না। খুব সম্ভবত এই সীমাবদ্ধতাই ইহুদি ধর্ম থেকে একটি শাখা বের হয়ে খ্রীষ্টান ধর্ম নামক আরেকটা ধর্মের সৃষ্টির অন্যতম বড় কারণ। প্রাকটিসের দিক দিয়ে একটু এদিক-ওদিক হলেও ধর্মের মূল কাহিনীগুলো প্রায় একই রয়ে গেলো।
ইসলাম ধর্মের বেলাতেও তাই। কিঞ্চিত পরিবর্তন-পরিবর্ধন ব্যতীত মূল কাহিনী সেই ইহুদি-খ্রীষ্টানধর্মের গোড়া ইব্রাহিমেই রয়ে গেলো।
পৌত্তলিকতার মধ্যে জন্ম নিয়ে মুহাম্মদ পরিবেষ্টিত ছিল ইহুদিদের দ্বারা। এছাড়া যখন খাজিদার কাজের লোক হিসাবে ব্যবসার কাজে বাইরে যেত, তখন খ্রীষ্টান ধর্মের সাথে পরিচয় হয়, সেই ধর্মের গল্প-কাহিনী জানা হয়।
ইসলাম ধর্ম প্রচারকালে আগের দুই ধর্মের সেইসব শোনা কাহিনীও ইসলাম ধর্মে কপিপেস্ট করে। আবার যেহেতু শোনা কাহিনী, সেহেতু তাতে অনেক ভুলভালও ছিল, যার প্রভাব কোরানেও পড়েছে। যেমন, বাইবেলে ট্রিনিটি বলতে পিতা (ঈশ্বর), সন্তান (যিশু) আর হলি স্পিরিটকে বুঝায়, সেখানে কোরানে এই তিনটি জিনিস উল্লেখ করতে গিয়ে পিতা, সন্তান ও মেরির নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয়, খ্রীষ্টান ধর্মের ওইসব গল্প-কাহিনী শুনে তাতে মুহাম্মদ কিছু ভুল পেয়েছিল, এবং সেই ভুল সংশোধন করার চিন্তা করতে করতেই নতুন একটা ধর্ম সৃষ্টির কথা তার মাথায় আছে। ভুলটা কী?
তোরাহ-বাইবেলে আছে– দুইভাই হাবিল-কাবিলের মধ্যে মারামারি লাগলে কাবিল হাবিলকে মেরে ফেলে। হাবিলকে হত্যা করলে ঈশ্বর কাবিলকে অভিশাপ দেয় ওই ভাইয়ের রক্তে রঞ্জিত জায়গায় আর গাছপালা হবে না। ফলে কাবিল পুর্বদিকে নোদ নামক এক দেশে নির্বাসনে যেতে বাধ্য হয়। সেখানে কাবিলের এক সন্তান হয়। কিন্তু এই ছেলে কার গর্ভে? খুব সম্ভবত মুহাম্মদের মনে এই প্রশ্ন জেগেছিল।
আদম-হাওয়া প্রথম মানব-মানবী। তখন দুনিয়ার আর কোথাও মানুষ থাকার কথা না। তাহলে নোদ দেশে কাবিলের সন্তান হলো কিভাবে? কার গর্ভে? তাহলে নিশ্চয়ই সেখানে অন্য কোনো জনগোষ্ঠী ছিল। তাহলে আদম-হাওয়া প্রথম মানব-মানবী–তোরাহ-বাইবেলের এই কাহিনী ভুল! এই ভুলটা মুহাম্মদ ধরতে পেরেছিল। এভাবে হয়তো আরো অনেক ভুল ধরেছিল যা পরে কোরানে স্বীকার করা হয়েছে, এবং সেসব জিনিসগুলো বাতিল করে দিয়ে নতুন কাহিনী প্রচলন করছে।
তবে আদম-হাওয়া প্রথম মানব-মানবী–এই ধারণা থেকে মুহাম্মদও বের হতে পারে নাই। আর পারে নাই বলেই এই কাহিনীকে কোনদিকে নেবে, সে ব্যাপারেও দক্ষতার পরিচয় দিতে পারে নাই। তাই কাহিনী এমন জগাখিচুড়ি পাকিয়েছে যে এখন পড়াশোনা জানা মুসলমানরা পর্যন্ত বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়–হাবিল-কাবিল তাদের মা হাওয়াকে বিবি বানিয়েছিল। তারপর পরবর্তী বংশধরদের জন্ম হয়। আর পরের দিকে নাকি আদম-হাওয়ার জোড়ায় জোড়ায় ছেলে-মেয়ে হত। তারা একে অপরের সাথে মিলিত হয়ে পরবর্তী প্রজন্মের সৃষ্টি করেছে। মহাম্মদ আরেকটু বিচক্ষণতার পরিচয় দিলে হয়তো আরো সুন্দর বাস্তবসম্মত কোনো গল্প বানাতে পারত।
সবশেষে এটাই বলব, মুহাম্মদ অন্তত প্রগতিশীল মানুষ ছিল। সে ধর্মের কাহিনীতে ভুল পেয়ে তার সময়ের সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকে যতটুকু সাধ্য ছিল, সে চেষ্টা করে গেছে সত্যকে জানতে। এখন তার জানাতে যদি যদি ভুল পেয়ে থাকেন, তাহলে আপনাদেরও উচিত হবে মুহাম্মদের মত আগের ভুলে ভরা ধর্মগুলোর অবাস্তব কল্প-কাহিনী ত্যাগ করে তারই মত প্রকৃত সত্যকে জানার চেষ্টা করা।
Friday, 8 July 2016
আল তাকিয়া
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় কাজ আল তাকিয়া করা, আল তাকিয়ার অর্থ হলো ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমান করতে মিথ্যাচার করো, অপরের ধর্মের নামে ভুলভাবে প্রচার করো, প্রয়োজনে ইসলামের অনেক কিছু অস্বীকার করো, এইভাবে বিধর্মীদের মনে নিজের ধর্ম সম্পর্কে মিথ্যা ধারনা তৈরি করো, তাদের মনে হতে দাও তাদের ধর্ম ও খারাপ, ইসলামের থেকেও খারাপ, এইভাবে তাদের মনোবলবল দুর্বল হয়ে পড়লে আক্রমণ করো, ইসলাম প্রতিষ্ঠা করো।
Subscribe to:
Posts (Atom)