পবিত্র বেদ এর মতে সৃষ্টির শুরুতেই ওঁম উচ্চারিত হয় আর এর প্রভাবেই হয় বিস্ফোরন।বেদান্ত সূত্র(4/22)-"অনাবৃতিঃ শব্দহম"
অর্থাৎ শব্দের মাধ্যমেই সৃষ্টির শুরু।যা মাত্র দুই বছর আগে বিজ্ঞানীরা আবিস্কার করেছেন।এই শব্দ তরঙ্গকে আধুনিক বিজ্ঞানের ভাষায় Cosmicsound wave বলা হয়।
ইউনিভার্সিটি অব এরিজোনা এর এস্ট্রোনমির প্রফেসর ডেনিয়েল জে আইনস্টাইন এবং জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির পদার্থবিদ্যার প্রফেসর চার্লস বার্নেটের সম্মিলিত আর্টিকেল "Cosmic sound wave rules"থেকে কি করে এই শব্দের মাধ্যমে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হল তার ব্যখ্যা দেয়া হল-
আমরা জানি যে সৃষ্টির শুরুতে মহাবিশ্ব ছিল একটি ঘন,উত্তপ্ত পিন্ড(বেদের ভাষায় হিরন্যগর্ভ বা হিরন্ময় ডিম)।এই পিন্ডের মধ্যস্থিত পদার্থসমূহকে Cosmologist রা দুই ভাগে ভাগ করেন-Baryonic & Non-baryonic.
Baryonic পদার্থ হল ইলেকট্রন,প্রোটনও নিউট্রন।এইসময় এরা সকলেই ছিল আয়নিত অবস্থায়।প্রসারন শুরু হবার জন্য মূল ভূমিকা ই ছিল এই উত্তপ্ত ও আয়নিত Baryonic পদার্থগুলোর মধ্যস্থিত ইলেকট্রনগুলোর মাধ্যমে নিঃসৃত ফোটন কনাগুলো(Comptonscattering of photon from electron)।এই ফোটন কনাগুলো উত্তপ্ত প্লাসমার সাথে
Baryon-photon fluid তৈরী করে।কনাসমূহের মধ্যে সংঘর্ষের কারনে এই Fluid এর সংকোচন ঘটে কিন্তু এই সংকোচিত প্লাসমাই ফোটনসমূহকে উচ্চ বেগে বিচ্ছুরিত করে।যে স্থান থেকে ফোটনসমূহ নির্গত হয়ে যায় সেই স্থান ফাঁকা হয়ে যাওয়ায় সেখানে একটি নিম্নচাপ যুক্ত স্থান তৈরী হয় যা তার চারদিকের Fluid দ্বারা চাপ প্রাপ্ত হয়।আর এই চাপই সেই জলেতে একটি শব্দ তরঙ্গের সৃষ্টি করে,শুধু পার্থক্য হল এই যে এখানে কাউকে মুখে শব্দ করে তরঙ্গ তৈরী করতে
হয়নি বরং ফোটন নির্গত হয়ে যাওয়ায় সৃষ্ট চাপের কারনেই এই তরঙ্গের তৈরী হয়।আর বৈদিক সৃষ্টিতত্ত্ব মতে এই শব্দ হল ওঁ!
তাই বেদের সৃষ্টিতত্ত পড়ে ক্যালিফোর্নিয়াবিশ্ববিদ্যালয় এর Dr. Kevin Hurley বলেছিলেন,
"How could Aryan sages have known all this
6000 years ago,when scientists have only recently discovered this using advanced
equipments which didn't exist that time!"
নোবেল লরেট Count Maurice Maeterlinck বৈদিক সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে বলেন,"ACosmogony which no European conception has ever surpassed!"
ওঁ শান্তি শান্তি শান্তি।
# জয়শ্রীরাম
হিন্দু রাষ্ট্র ভারত মাতা কি-জয়।
No comments:
Post a Comment