রাখি পূর্ণিমাতিথি, এই
দিনে ভগ্নী স্থানীয় ব্যাক্তিরা
ভ্রাতৃস্থানীয় ব্যাক্তিদের রাখি
বেঁধে দেয় হাতে, অপরদিকে
ভাইয়েরা তাদের বোনদের রক্ষা
করার প্রতিজ্ঞা করে। আসুন আমরা
পৌরাণিক কাহিনীর দিকে একটু লক্ষ্য
করি-
কৃষ্ণ ও দ্রৌপদী
মহাভারতে আছে, একটি যুদ্ধের কৃষ্ণের
কবজিতে
আঘাত লেগে রক্তপাত শুরু হলে
পাণ্ডবদের স্ত্রী
দ্রৌপদী তাঁর শাড়ির আঁচল খানিকটা
ছিঁড়ে কৃষ্ণের হাতে বেঁধে দেন। এতে
কৃষ্ণ অভিভূত হয়ে যান। দ্রৌপদী তাঁর
অনাত্মীয়া হলেও, তিনি দ্রৌপদীকে
নিজের বোন বলে ঘোষণা করেন এবং
দ্রৌপদীকে এর প্রতিদান দেবেন বলে
প্রতিশ্রুতি দেন। বহু বছর পরে,
পাশাখেলায় কৌরব রা দ্রৌপদীকে
অপমান করে তাঁর
বস্ত্রহরণ করতে গেলে কৃষ্ণ দ্রৌপদীর
সম্মান রক্ষা
করে সেই প্রতিদান দেন। এইভাবেই
রাখিবন্ধনের
প্রচলন হয়।
বলিরাজা ও লক্ষ্মী
অন্য একটি গল্পে রয়েছে, দৈত্যরাজা
বলি ছিলেন বিষ্ণুর ভক্ত। বিষ্ণু বৈকুণ্ঠ
ছেড়ে বালির রাজ্য রক্ষা করতে চলে
এসেছিলেন। বিষ্ণুর স্ত্রী লক্ষ্মী
স্বামীকে
ফিরে পাওয়ার জন্য এক সাধারণ
মেয়ের ছদ্মবেশে
বলিরাজের কাছে আসেন। লক্ষ্মী
বলিকে বলেন, তাঁর
স্বামী নিরুদ্দেশ। যতদিন না স্বামী
ফিরে আসেন,
ততদিন যেন বলি তাঁকে আশ্রয় দেন।
বলিরাজা
ছদ্মবেশী লক্ষ্মীকে আশ্রয় দিতে
রাজি হন। শ্রাবণ
পূর্ণিমা উৎসবে লক্ষ্মী বলিরাজার
হাতে একটি রাখি বেঁধে দেন।
বলিরাজা এর কারণ জিজ্ঞাসা করলে
লক্ষ্মী আত্মপরিচয় দিয়ে সব কথা খুলে
বলেন। এতে বলিরাজা মুগ্ধ হয়ে
বিষ্ণুকে বৈকুণ্ঠে ফিরে যেতে
অনুরোধ করেন। বলিরাজা বিষ্ণু ও
লক্ষ্মীর জন্য সর্বস্ব ত্যাগ করেন। সেই
থেকে শ্রাবণ পূর্ণিমা তিথিটি
বোনেরা
রাখিবন্ধন হিসেবে পালন করে।
No comments:
Post a Comment