ভগবান শ্রীকৃষ্ণের দেহত্যাগ কাহিনী...
সবাই পড়ুন.....
মহাভারত অনুসারে কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের ফলে
গান্ধারীর একশত পুত্রের মৃত্যু ঘটেছিল।
দুর্যোধনের মৃত্যুর পূর্বরাত্রে কৃষ্ণ
গান্ধারীর নিকট শোকজ্ঞাপন করতে যান।
কিন্তু শোকাহত গান্ধারী ভেবেছিলেন যে
কৃষ্ণ ইচ্ছাকৃত ভাবে যুদ্ধের অবসানের জন্য
কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। শোকে
দুঃখে কাতর হয়ে তিনি কৃষ্ণকে এই বলে শাপ
দেন যে কৃষ্ণ অন্যান্য সমস্ত যাদবদের সাথে
৩৬ বছর পরে ধ্বংস হয়ে যাবেন।
এরপর একদিন কয়েকজন যাদব কৃষ্ণের পুত্র
শাম্বকে গর্ভবতী স্ত্রীবেশে সজ্জিত
করে কয়েকজন মুনিকে কৌতুকবশতঃ প্রশ্ন
করেন যে নারীর ছদ্মবেশী শাম্বর সন্তান
পুত্র হবে না কন্যা।তখন সেই ঋষিরা ধ্যানে সব
জানতে পেরে ক্রুদ্ধ হয়ে সেই যাদবদের
অভিশাপ দেন যে স্ত্রীবেশী শাম্ব একটি
লৌহ মুষল প্রসব করবে এবং সেই মুষলের দ্বারা
সমগ্র যদুকুল ধ্বংস হয়ে যাবে।এই অভিশাপে
তারা ভীত হয়ে যদুপ্রধান কৃষ্ণের কাছে যায়
এবং কৃষ্ণ তাদের প্রভাস নামক তীর্থে গিয়ে
সেই সদ্যপ্রসূত মুষল পাথরে ঘষে ক্ষয় করার
উপদেশ দেন।যাদবেরা কৃষ্ণের পরামর্শ
অনুসারে মুষল ক্ষয় করলেও একটি ছোট অংশ
নদীর জলে নিক্ষেপ করেন।ঘটনাচক্রে
সেই লৌহখণ্ড একটি মাছ ভক্ষণ করে এবং এক
ধীবরের হাত হয়ে এক ব্যাধ সেই মুষলখণ্ড
লাভ করে।সেই ব্যাধ তখন সেই লৌহখণ্ড দিয়ে
এমন এক বাণ প্রস্তুত করেন যার দ্বারা কিছুকাল
পরে যদুকুল বিনষ্ট হয়।
এর কিছুকাল পরে একদিন কৃষ্ণ উপলব্ধি করলেন
যে দ্বারকা নগরী জনবসতিতে পরিপূর্ণ হয়ে
উঠেছে।ষোল হাজার রমণী ও অষ্টমহিষী
থেকে জাত স্বয়ং কৃষ্ণের অসংখ্য
পুত্রপৌত্রাদিতেযদুবংশ বিপুল আকার ধারণ
করেছে।এছাড়াও অন্যান্য যাদবদের পরিবারও
প্রচুর।তাই তিনি অগ্রজ বলভদ্রের সাথে
পরামর্শ করে পৃথিবীর ভার লাঘবার্থ বিপুল যদুবংশ
ধ্বংস করা কথা স্থির করলেন।তিনি দ্বারকার
নারীদের গৃহে রেখে সকল যাদবদের
প্রভাস তীর্থে গমনের আদেশ করলেন ও
স্বয়ং সেখানে গেলেন।সেখানে সুরাপানের
ফলে যাদবদের মধ্যে তীব্র অন্তর্কলহের
ফলে তারা নিজেরাই নিজেদের হত্যা করে।
এর কিছুকাল পরে একদিন কৃষ্ণ উপলব্ধি
করলেন যে দ্বারকা নগরী জনবসতিতে
পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ষোল হাজার রমণী
ও অষ্টমহিষী থেকে জাত স্বয়ং কৃষ্ণের
অসংখ্য পুত্রপৌত্রাদিতেযদুবংশ বিপুল আকার ধারণ
করেছে। এছাড়াও অন্যান্য যাদবদের
পরিবারও প্রচুর।তাই তিনি অগ্রজ বলভদ্রের
সাথে পরামর্শ করে পৃথিবীর ভার লাঘবার্থ বিপুল
যদুবংশ ধ্বংস করা কথা স্থির করলেন। তিনি
দ্বারকার নারীদের গৃহে রেখে সকল
যাদবদের প্রভাস তীর্থে গমনের আদেশ
করলেন ও স্বয়ং সেখানে গেলেন।
সেখানে সুরাপানের ফলে যাদবদের মধ্যে
তীব্র অন্তর্কলহের ফলে তারা নিজেরাই
নিজেদের হত্যা করে।
কৃষ্ণ ও বলরামের দেহত্যাগ
তখন কৃষ্ণের জ্যেষ্ঠভ্রাতা বলরাম
যোগবলে দেহত্যাগ করেন। তখন কৃষ্ণ এক
বনে গিয়ে ধ্যান শুরু করেন। তখন এক ব্যাধ
হরিণভ্রমে কৃষ্ণের বাম পা লক্ষ করে তীর
নিক্ষেপ করেন। এতে কৃষ্ণ ব্যাধকে সান্তনা
দিয়ে নিজ দেহ ত্যাগ করে নিজধামে ফিরে
যান। তাঁর মনুষ্য জীবনের অবসান ঘটে। কিন্তু
সূর্য যেমন স্হির থাকে, তা জ্বলেও না আবার
নিভেও না সর্বদা দুত্যিময় কিন্তু আমাদের কাছে
মনে হয় সূর্য ডুবে যায়। আর কৃষ্ণের
দেহত্যাগ ঠিক এরকম ব্যাপার।
পৌরাণিক সূত্র অনুযায়ী কৃষ্ণের
পরলোকগমনের মধ্যে দিয়েই ৩১০২
খ্রিস্টপূর্বের ১৭/১৮ ফেব্রুয়ারি দ্বাপর
যুগের সমাপ্তি ঘটে ও কলি যুগের সূচনা হয়।
জয় শ্রীকৃষ্ণ.
No comments:
Post a Comment