**¥¥¥ মুখোশের অন্তরালে "ইসলাম"/ মোহাম্মদ/ বিশ্বাস ও প্রতারনা ¥¥¥¥
___________________________________________________
** আল্লার জান্নাতে মুসলমানরা নানারকম স্বর্গীয় খাবার ও স্বর্গীয় ফলমূল খাবে । দুধের নহর (খাল)
থেকে দুধ, মধুর নহর থেকে মধু ও সুরার নহর (মদের খাল) থেকে স্বর্গীয় সুরা (মদ) খাবে । সেখানে তারা যা খাবে সবই হজম হয়ে যাবে । তাই মলমূত্র ত্যাগের প্রয়োজন হবে না ।
________________________________________________
* সব স্বর্গবাসী (জান্নাতবাসী) মুসলমানের বয়স ৩২ বছর পর্যন্ত বাড়বে, তারপর আর বয়স বাড়বে না । সেখানে প্রতিটি স্বর্গবাসী মুসলমান হাজার হাজার অপূর্ব সুন্দরী স্বর্গীয় রমণী বা হুরী পাবে, যারা সব সময় কুমারী থাকবে । তাদের বয়স ১৬ বছরের বেশি হবে না ।
_______________________________________________
** একটি হাদিস বলেছে, অত্যন্ত পাপাসক্ত, লম্পট ও পতিত একজন মুসলমানও আল্লার জান্নাতে বিশাল এক জমিদারী পাবে । সেখানে থাকবে ৭০টি প্রাসাদ, প্রত্যেক প্রাসাদে থাকবে ৭০টা মহল, প্রত্যেক মহলে থাকবে ৭০টা ঘর, প্রত্যেক ঘরে থাকবে ৭০টা আরাম কেদারা আর প্রত্যেক আরাম কেদারায় বসে থাকবে এক জন হুরী ।
** আল্লা প্রতিটি স্বর্গবাসী মুসলমানকে অঢেল যৌনক্ষমতা দেবেন, যাতে তারা সব হুরীদের সঙ্গে যৌনক্রিয়া করতে পারে । একজন হুরীর সঙ্গে যৌনক্রিয়া শুরু করলে তা ৪০ বছর স্থায়ী হবে ।
এছাড়া সমকাম করার জন্য প্রতিটি মুসলমান পাবে অন্ততপক্ষে ৮০,০০০ স্বর্গীয় কিশোর ক্রীতদাস বা গেলেমান । যাদের বয়স ১৬ বছরের বেশি বাড়বে না।
_________________________________________________
** স্বর্গে এতসব সুবিধা পেয়ে মুসলমানরা আনন্দে আনন্দিত হবে এবং আল্লা কোন কাফেরকে সেখানে প্রবেশ করতে না দেবার জন্য তারা আল্লার প্রশংসা করবে।
______________________________________________________
বুঝতে অসুবিধা হবার কথা নয় যে, পার্থিব পতিতালয় ও আল্লার জান্নাতের মধ্যে সামান্যই তফাৎ আছে । পার্থিব পতিতালয়ে পয়সা লাগে কিন্তু আল্লার পতিতালয়ে কোন পয়সা লাগে না। এবার এটাকে বেহেশত বলবেন নাকি বেশ্যালয় সেটা আপনাদের ব্যাপার। (আরও বিশদ বিবরণের জন্য বর্তমান লেখকের 'ইসলামী ধর্মতত্তঃ "এবার ঘরে ফেরার পালা" গ্রন্থের জান্নাৎ বা স্বর্গ' অধ্যায় দ্রষ্টব্য)। তো এখন কারো বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় যে ইসলাম হল চুড়ান্ত সাম্প্রদায়িক, চরম এক ঘৃণার তত্ত্ব । একমাত্র মুসলমানরাই আল্লার প্রিয়পাত্র আর অমুসলমানরা তাঁর দৃষ্টিতে পশুর সমান, ঘৃণ্য এক জন্তু বিশেষ। সেই সঙ্গে সঙ্গে আল্লা তাঁর বান্দাদের উপদেশ দিচ্ছেন তারাও যেন কাফেরদের প্রতি সমান ঘৃণা পোষণ করে।
_________________________________________________
** আল্লা বলেছেন তিনি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করবেন, তাই তার বান্দারা আত্মীয় স্বজনের সামনে কাফেরদের কেটে টুকরো টুকরো করে। কাফের রমণীদের তার স্বামী পুত্রদের সামনে বলাৎকার করে, কাফের শিশুরদের তুলে আছাড় দিয়ে মারে, আরও কত কি ।
____________________________________________
** মদিনার ইহুদীদের মনে ত্রাসের সঞ্চার করার জন্য নবী মহম্মদ প্রথমে ভয় দেখিয়ে নজির ও কানুইকা গোত্রের ইহুদীদের মদিনা থেকে বিতাড়িত করলেন এবং ৬২৭ সালে কুরাইজা গোত্রের ইহুদীদের গণহত্যা করলেন । আগের দিন কুরাইজাদের ৮০০ সক্ষম পুরুষকে দিয়ে মদিনার বাজারে ৮০০ মানুষ মাটি চাপা দেবার মত বিশাল
এক গর্ত খোড়া হল এবং রাত্রে একটা গুদাম ঘরে সেই ৮০০ ইহুদীকে বন্দী করে রাখা হল ।
পরদিন ভোরে ফজর-এর নামাজের পরেই শুরু হল কোতল পর্ব। ৫/৬ জন বন্দীকে ডেকে আনা হতে লাগল এবং গর্তের কিনারায় তাদের উপুড় হয়ে শুয়ে পড়তে বলা হল এবং নবীর চাচা হামজা এবং চাচাত ভাই তালহা, যুবায়ের এবং আলি তাদের গলা কেটে কেটে গর্তে ফেলতে লাগল । এইভাবে ৮০০ মানুষকে কোতল করতে সন্ধ্যা গড়িয়ে গেল । কুরাইজা যুবতী মহিলাদের মুসলমানরা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিল এবং বয়স্কা মহিলা ও শিশুদের বেদুইন উপজাতি লোকদের কাছে ঘোড়া ও অস্ত্রশস্ত্রের বিনিময়ে ক্রীতদাস হিসাবে বিক্রয় করা হল ।
কুরাইজা সুন্দরী রেহানাকে নবী আগে থেকেই নিজের জন্য পছন্দ করে রেখেছিলেন । সারাদিন ধরে ৮০০ কুরাইজার কোতল পর্ব সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে নবী ক্লান্তি দূর করার উদ্দেশ্যে রেহানার সাথে শয়ন করতে চললেন । বিখ্যাত মুসলমান লেখক আনোয়র শেখ মহাশয়ের মতে সেই সময় ৮০০ কুরাইজার গণহত্যা আজ ৮০,০০০ নর হত্যার সমান ।
...................................
****তাই আজ বুঝতে কারো অসুবিধা হয় না যে, দুনিয়ার সমস্ত মুসলমানের জন্য রয়েছে কি অমানবিক, পাশবিক ও দানবীয় আদর্শ। সেই কারনেই আজ মুসলিমরা তাদের ধর্মীয় রীতিনীতি আর ধর্মগ্রন্থের নিয়ম আর আদর্শকে মেনেই জঙ্গী, জিহাদ করে নিরপরাধ মানুষ খুন, ধর্ষণ, অসহনীয় অত্যাচার করতে পিছপা হয় না....... আর তাই আজ গোটা বিশ্বের অমুসলিমরা মুসলিম সম্প্রদায়কে ঘৃনা আর অবিশ্বাসের চোখে দেখে।......................সমস্ত মুসলিম দেশের অ-মুসলিমরা কতটা সুখ শান্তিতে বসবাস করছে সেটা দেখলেই সবকিছু জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে।
No comments:
Post a Comment