মহাবিজ্ঞানী আল্লা ও তার সাগরেদ গবেষক মোহাম্মাদের গবেষণালব্ধ অসীম জ্ঞানভাণ্ডারের পরিধি এতটাই দুস্পরিপাচ্য যে হজমিগুলি ব্যবহার করেও হজম করা সম্ভব নয়। যেমন,
আল কোরআন ৩৬:৩৭, ৩৮:
আর তাদের জন্য একটি নিদর্শন রাত। আমি তার উপর থেকে দিনকে অপসারিত করি, ফলে তত্ক্ষণাত্ তারা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। আর সূর্য স্বীয় গন্তব্যস্হানের দিকে চলতে থাকে । এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞের নিয়ন্ত্রণ।
উক্ত আয়াতের তাফসীরে নিমোক্ত হাদিসটি আসে:
আবু দার থেকে বর্নিতঃ আল্লার রসুল
একদিন সূর্যাস্তের সময় আমাকে জিজ্ঞেস করলেন- তুমি কি জান অস্ত যাওয়ার পর সূর্য কোথায় যায় ? আমি উত্তর দিলাম- আল্লাহ আর তার রসুল ভাল জানেন। তখন আল্লাহর রসুল বললেন- এটা চলতে থাকে যতক্ষন না আল্লাহর সিংহাসনের নীচে পৌছে। সেখানে সে সিজদা দেয় আর আল্লাহর কাছে পূনরায় উদিত হওয়ার অনুমতি চায়। যতক্ষন অনুমতি না দেয়া হয় ততক্ষন সে সিজদা দিতেই থাকে। পরে তাকে যেখানে সে উদিত হয়েছিল সেখানে ফিরে গিয়ে পূনরায় উদিত হওয়ার জন্য অনুমতি দেয়া হয়। বুখারী শরিফ, খন্ড-৪. বই-৫৪, হাদিস নং- ৪২১।
প্রমাণিত তথ্যানুসারে সূর্যকে কেন্দ্র করে ৯টি (প্লুটোকে বাদ দিলে ৮টি) গ্রহ অনবরত ঘুরে চলেছে,পৃথিবীও সৌরজগৎ-এর অন্তর্গত একটি অন্যতম গ্রহ, সেই সুত্রেই পৃথিবী সূর্য কেন্দ্রিক ঘুর্নায়মান, সম্পূর্ন এক পাক ঘুরে আসতে সময় লাগে ৩৬৫ দিন ৬ ঘন্টা। আর যেহেতু পৃথিবী তার কক্ষপথে ঘোরার সময় নিজ অক্ষে লাট্টুর মত পাক(আহ্নিকগতি) খেতে থাকে, তদীয় কারনেই পৃথিবীর কোন নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে সূর্য কখনই উদিত বা অস্তমিত হয় না। পৃথিবীর আহ্নিকগতির জন্যই পৃথিবী কোন নির্দিষ্ট স্থানে দিন-রাত্রি সংঘটিত হয়ে থাকে। এক পৃষ্ঠে দিন হলে অপর পৃষ্ঠে হয় রাত। সেই কারনবশতইই পৃথিবীর সমস্ত অংশে একই সময় দিন-রাত্রি হয়না। আহ্নিকগতি সাপেক্ষে সর্বত্রব্যাপী দিন ও রাত যুগপৎ ভাবেই বিরাজ করে। সসাগরা পৃথিবীতে কোথাও কখনই সম্পূর্ন দিন অথবা সম্পুর্ন রাত্রি বিরাজমান থাকেনা ।।
কিন্তু দিন-রাত্রির বৈজ্ঞানিকী ব্যাক্ষ্যা মিথ্যা প্রতিপন্ন করতে কোরানের বুলিই যথেষ্ট নয় কি? বর্ত্তমান সভ্যতার বিজ্ঞানবিদদের প্রমানিত তথ্যাদি সম্ভবত পাগলের পাগলামি ছাড়া অন্যকিছু নয়, কারন সর্বশ্রেষ্ট বিজ্ঞানী মোহাম্মদের বিজ্ঞানসম্মত গবেষণা প্রমান করে,পৃথিবীতে যখন রাত বা দিন সংঘটিত হয় তখন যুগপৎভাবে পৃথিবীর সমস্ত অংশব্যপী হয়। আবার পৃথিবীতে যখন রাত নামে তখন সূর্য আল্লাহর আরশের নীচে গিয়ে জিকির করতে থাকে, পুনরায় উদিত হওয়ার অনুমতি আল্লার কাছে ভিক্ষা করে। আল্লাহ দয়া পরবশ হয়ে তাকে অনুমতি দিলেই তবে সে পূনরায় উদিত হতে পারে ও যথারীতি পৃথিবীতে দিনের সুচনা হয়ে থাকে, যা বলা বাহুল্য আল্লাহর অমোঘ বিধাণও বটে। মানব জাতির প্রতি আল্লাহর অপরিসীম করুনার নিদর্শনও বটে,কারন তিনি দয়া করে সূর্যকে উদিত হওয়ার অনুমতি দেন বলেই পৃথিবীর অস্তিত্ব আছে, যদি তিনি অনুমতি না দেন তবে ------------?
No comments:
Post a Comment