Tuesday, 23 February 2016

ইন্দো পাক মুশায়রা

১৯৯৯ সালে, কার্গিল যুদ্ধ চলাকালীন জওহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটির ছাত্ররা এক ইন্দো পাক মুশায়রার আয়োজন করেছিল। ঐ অনুষ্ঠানে তিন ভাই, মেজর কে কে শর্মা, মেজর এল কে শর্মা, এবং ডক্টর শরদ শর্মা গিয়েছিলেন, সম্মানিত পাকিস্তানী অতিথিদের কার্যকলাপ দেখার জন্য। তারা যুগপৎ বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ হলেন যখন দেখলেন যে অনুষ্ঠানে সরাসরি ভারত বিরোধী কথাবার্তা চলছে পাকিদের সামনেই। তবুও তারা সংযত রইলেন। কিন্তু যখন পাকিস্তানী কবি ফাহমিদা রিয়াজ তাঁর শায়রী শুরু করলেন এবং শায়রীতে ভারতের পরমাণু পরীক্ষণকে সাম্প্রদায়িক ও আত্মঘাতী নীতির ফল বলে উল্লেখ করে ভারতের উদ্দেশ্যে নানা অপমানজনক মন্তব্য করে পদ্য আওড়াতে লাগলেন, তখন শর্মা ভাইদের পক্ষে এ সব হজম করা খুব কষ্টকর হয়ে পড়ল। কেন না, তারা নিজেদের বহু আত্মীয় ও বন্ধুদের হারিয়েছেন কার্গিল যুদ্ধে, পাকিস্তানের জেহাদী আর্মি তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফাহমিদা একটা কথাও বলেন নি, যে দেশ বারংবার ভারতকে পশুর মত আক্রমণ করেছে আল্লাহর নামে। সেই দেশের নাগরিক ফাহমিদা ভারতকে সাম্প্রদায়িক ও অশুভ আখ্যা দেওয়ায় এটা শর্মা ভাইদের কাছে অসহনীয় লাগল। তারা এই সব মন্তব্যের বিরুদ্ধে ধিক্কার জানাতে লাগলেন এবং “ভারত মাতা কি জয়” ধ্বনি দিতে লাগলেন। এর পর কি ঘটল? জে এন ইউ এর ছাত্ররা শর্মা ভাইদের সদলে আক্রমণ করল এবং মারধোর করতে লাগল। কাদের মারতে লাগল? যারা ভারতের সুরক্ষায় নিজেদের জীবন বাজি রেখেছেন। আত্মরক্ষার চেষ্টায় একজন মেজর নিজের পিস্তল থেকে শূন্যে গুলি চালালেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, পাকিস্তানের শায়ের রা শর্মা ভাইদের ক্রমাগত অপমান করে যাচ্ছিলেন এবং হিন্দু হিজরা বলে সম্বোধন করছিলেন। শর্মা ভাইরা তাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন প্রকৃতই কারা নপুংসকদের ভূমিকা পালন করেছিল কার্গিল যুদ্ধে। এই একই ঘটনা দশকের পর দশক ধরে ঘটে চলেছে জে এন ইউ, যাদবপুর ইউনিভ এবং অন্যান্য কমিউনিস্ট ব্রিডিং ক্ষেত্রগুলিতে। লিখেছেন Dr. Subramanian Swamy

No comments:

Post a Comment