বগুড়ার সোনাতলা ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার কমনরুমে আলিম দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে (১৯) ধর্ষণের অভিযোগে অধ্যক্ষ ফজলুল করিমকে (৬২) আটক করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে মাদ্রাসার দোতলায় কমনরুমে এ ঘটনায় জনগণ অধ্যক্ষকে হাতেনাতে আটক করে। পরে তাকে পুলিশে দেয়া হয়েছে।
বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ধর্ষকের বিচারের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। তবে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
তবে অধ্যক্ষ ধর্ষণের কথা অস্বীকার করে বলেছেন, এটা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।
জানা গেছে, সোনাতলা উপজেলার আগুনিয়াতাইড় গ্রামের মৃত শরিফ উদ্দিনের ছেলে ফজলুল করিম সোনাতলা ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। দুর্নীতির দায়ে তিনি ১১-১২ বছর জেল ভোগ করেন। ছাড়া পেয়ে আবার মাদ্রাসায় যোগদান করেছেন। চাকরির মেয়াদ শেষ হলেও দু’বছরের জন্য তা বর্ধিত করা হয়েছে।
মাদ্রাসার আলিম দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী জানান, তিনি উপবৃত্তির খোঁজ নিতে বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মাদ্রাসায় আসেন। অধ্যক্ষ তাকে দোতালায় কমনরুমে বিশ্রাম নিতে বলেন। কিছুক্ষণ পর অধ্যক্ষ জোহরের নামাজ আদায়ের কথা বলে দোতলায় যান। তিনি কমনরুমে ঢুকে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন।
ছাত্রীর চিৎকারে মাদ্রাসার অফিস সহকারী আল-আমিন ও পিয়ন শাহ্ আলম ছুঁটে আসেন। আশপাশের লোকজন টের পেয়ে কমনরুমে এসে অধ্যক্ষকে হাতেনাতে আটক করে।
খবর পেয়ে সোনাতলা থানা পুলিশ এসে অধ্যক্ষকে গ্রেফতার ও ভিকটিমকে উদ্ধার করে।
এদিকে দিনের বেলা মাদ্রাসায় ছাত্রী ধর্ষণের খবর জানাজানি হলে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা লম্পট অধ্যক্ষের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। অধ্যক্ষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন অভিভাবক ও স্থানীয়রা।
সোনাতলা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আহসান হাবিব সাংবাদিকদের জানান, অভিযুক্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মোত্তালেব জানান, ছাত্রীকে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়ায় অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বৃহস্পতিবার সকালে তাকে (ছাত্রী) বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। http://www.jugantor.com/online/whole-country/2016/02/10/3833
No comments:
Post a Comment