"ভারত তোর টুকরো হবে ইনশাআল্লাহ ইনশাআল্লাহ, ভারত তোর টুকরো করবো, ইনশাআল্লাহ ইনশাআল্লাহ"- না, কোন পাকিস্তান বা মুজাহিদ সংগঠনের কথা নয়, কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া- মার্ক্সবাদীর ছাত্র সংগঠন এস এফ আই সদস্যদের এই ধ্বনি উঠেছিল জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে!! চৈনিক তেলা মাথায় জাপানি তেল দেওয়ার রোগে রোগগ্রস্ত মিডিয়াজাতীর দ্বারা অবরুদ্ধ রাখা সেই ডাইরেক্ট ভিডিও লিক করে আনা হচ্ছে বেঙ্গলের সামনে। সৌজন্যে আমাদের সাইবার সৈনিক মুম্বাইয়ের অলক প্রধান দা।
এক্ষেত্রে আপনাদের সামনে আসচর্জ হওয়ার কিছু বিষয় তুলে ধরতে চায়-
১) কমিউনিসিম এঙ্গেলস আর মার্ক্স যে টুকু বানিয়েছিলেন, সেখানে কোন ধর্মের নাম নেয়। কমিউনিস্ট মানে নাস্তিক- ইশ্বরে অবিস্বাসী। কিন্তু ইতিহাসে এই প্রথমবার, সোভিয়েত নয়, চীন নয়, বাংলাদেশ বা কিউবা ভেত্নাম নয়- বরঞ্চ ভারতে কমিউনিস্টরা "ইনশা-আল্লাহ" বলে নিজেদের মতবাদকে প্রকাশ করল!!! প্রশ্নঃ তাহলে এরা কারা? কারা যে কমিউনিসিমের অজুহাতে এই দেশে ভাঙ চুর চালাচ্ছে? (চল্লিশ সেকেন্ডে দেখুন ভিডিওতে)
২) ভারতের সংবিধান মতে- জাতীয় তিরঙ্গার সম্মান যে কোন বিষয়ে সর্বাধিকার প্রাপ্য। কিন্তু এস এফ আইয়ের মতে "শুধু আর এস এস ও গেরুয়া সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয়ে" জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে অসহিশ্নুতা ছড়াতে চাইছে!!!
প্রশ্নঃ তার মানে সংবিধান কি শুধু এ বি ভি পি/ আর এস এসের জন্য? আর যাদের মতে ভারতের তিরঙ্গা উত্তোলন আপত্তিজনক, সংবিধান আপত্তিজনক বলে দাবী - তারা তাহলে সরকারের বিরুদ্ধে না দেশের বিরুদ্ধে? কে তাহলে এদের পিছনে আছে? কে নির্বাচনের আগে লেলিয়ে দিচ্ছে এদের? তিরঙ্গার অবমাননা করার জন্য কোন ভারতীয় স্পন্সর করতে পারে না, তাহলে এদের উপর কাদের হাথ?
৩) 'ভারত' 'মাতার' জয়- এই ধবনিতে আপত্তি জানিয়েছে এস এফ আইয়ের ইনশা-আল্লাহ বাহিনী! এতে (ধর্মহীন কমিউনিস্টদের) মতে নাকি 'অন্যদের' "ধর্মিয় আঘাত" হানার চেষ্টা আছে। প্রসঙ্গত- পলাশীর যুদ্ধে, সেকুলার নবকৃষ্ণ আর মুস্লিম মিরজাফরের হাথে বাংলায় বিক্রয় হয়ে গেলে, আর মহাম্মাদ রেজা খানের দ্বারা কৃষকদের উপর অত্যাচার শুরু হলে খাজনার জন্য, ১৭৮০ সনে প্রথমবার ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিপ্লব অনুষ্ঠিত করেন কিছু গেরুয়া সন্ন্যাসী, যা "সন্ন্যাসী বিদ্রোহ" রুপে খ্যাত, আর যার প্রেক্ষাপটে পরবর্তি কালে তাঁদের গাওয়া কিছু গীতের অনুসরন করে সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্রের আনন্দমঠ উপন্যাসে "বন্দে মাতরম" লেখা হয়। সন্যাসি জমিদারকে নিয়ে যাচ্ছিলেন, সেই সময়কার গাওয়া- যেখানে দেশকে "মা যা ছিলেন, মা যা আছেন, মা যা হইবেন" বলে বাংলা সাহিত্যে কালজয়ী বর্ননার দ্বারা বর্নিত আছে।পরবর্তিকালে অবনিন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভারত মাতার ছবি আঁকা, লাজপত রায়ের মা শেরাওয়ালি রুপে দেশকে বলা, রবী ঠাকুরের বাংলাকে "৭ কোটি সন্তানের মুগ্ধ জননী" বলা, খুদিরাম বসুর "বন্দে মাতরম" বলে ফাঁসিতে গলা ঢোকানো ছাড়া অসংখ্য উদাহরন আছে। কিন্তু আজ ২০১৬ তে এতে "ভারতের সহিষ্ণুতার" প্রশ্ন তুলে আপত্তি কেন- এ আরেক প্রশ্ন?
পলিটিক্স এক দিকে, দেশভক্তি কিন্তু তার উপরে। কিন্তু রাজনৈতিক বা যে কোন স্বার্থে যখন ১১ টাকা রুম ভাড়া দিয়ে, ৩ লক্ষ্য টাকা ছাড় আমাদের টাকা থেকে ছাড় নিয়ে "ভারত তোর টুকরো করব, ইনশা-আল্লাহ ইনশা-আল্লাহ" এই নাড়া লাগানো হয়, তখন সেই ব্যাক্তিদের কার্জকলাপের পিছনে অভিসন্ধির উপর কিন্তু একটা বড় প্রশ্ন থেকেই যায়। খবর তুলে ধরলাম আপনাদের সামনে আমরা- বঙ্গ গেরুয়া টিম। এরপর আপনাদের মত।
[ বিঃ দ্রঃ- যদি প্রশ্ন করেন আমাদের কি রায়, তাহলে বেশী কিছু বলব না, আমরা তো গান্ধী নয়, সুভাষের সৈনিক, তাই বলি- "দেশদ্রোহী আই, সামনে আই, আগে তোদের টুকরো করবো, শুয়ারের পিল্লা, বেইমান শালা!" তারপর দেখি লেনিন না আল্লাহ, কে কার টুকরো করে।এই দেশের টুকরো হয় নি স্বাধীনতার পর, কত কাশ্মীর এল। খালিস্তান এল, আর হবেও না, যতদিন আর এস এস, এ বি ভি পি থাকবে।]
ভারত মাতা কি জয়!
বন্দে মাতরম!
ভিডিও ৬/৭ এম বি মাত্র- নিশ্চয় দেখবেন, লিঙ্ক- https://www.facebook.com/WERHINDU/videos/1671475746460043/
No comments:
Post a Comment