Thursday, 1 October 2015

মন্দিরে কারা গরুর মাংস ছুড়ে ???

কারা মন্দিরের সামনে গরুর মাথা রেখে যায়!! মন্দিরে কারা গরুর মাংস ছুড়ে ??? কারা রাতের আধারে মন্দিরে মুর্তির হাতে গরুর মাংস সমেত পলেথিন দিয়ে যায়!!! সকাল বেলা এইটাকে কেন্দ্র করে হিন্দুরা যদি মুসলিমদের বসত বাড়িতে হামলা করে। তাহলে সেটা হিন্দুদের পরিকল্পিত ভাবে মুসলিমদের মেরে ফেলার দাঙ্গা তাই না!! ভারতের প্রায় সব দাঙ্গাই শুরু হয় মুসলিমদের দ্বারা, সকল ক্ষেত্রেই তারা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে হত্যা লিলা পরিচালনা করে। দাঙ্গা লাগিয়ে হিন্দু হত্যায় মুসলিমরা সিদ্ধহস্ত। ইতিহাস কি আমরা ভুলে যাব? দিল্লীর পিটিয়ে হত্যার ক্ষেত্রেও পার্শ্ববর্তী একটা মন্দিরের পবিত্রা গরুর রান্না করা মাংস দিয়ে নষ্ট করার অপরাধে অপরাধী ছিল মুসলিমটা। তাই মৃত ব্যক্তির বাড়ির ফ্রিজের মাংস লেবটেষ্টে পাঠানো হয়েছে। আর কেজরিয়ালের পেড সাংবাদিকরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বিকৃত একটি সংবাদ প্রচার করছে যে, গোহত্যা ও গোমাংস রাখার জন্যই নাকি হিন্দুরা উত্তরপ্রদেশের এক মুসলমান কে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। বলা হচ্ছে, মন্দির থেকে নাকি ঘোষণা দিয়ে ঐ মুসলমান পরিবারের উপর আক্রমণ করা হয়। প্রশ্ন হচ্ছে মন্দিরে কি মসজিদের মত পাচ দিকে মাইক লাগানো থাকে?? এদিকে উপরোক্ত খবরটি পোস্ট হয়েছে এরকম একটি ভারতীয় নিউজ চ্যানেলের অফিশিয়াল পেজে markandey katju সুপ্রিম কোর্টের কংগ্রেসি রিটায়ার্ড বিচারকের টুইট পড়ে হতচকিত হয়ে গেলাম সেখানে রীতিমত পরিষ্কার ইংরেজি ভাষায় লিখে দিয়েছে যে, "গরুর মাংস তার ফেবারেট-- এতে যদি কেউ মনে করে গোমাতার লাঞ্ছনার হচ্ছে তাকে পেটানোর জন্য তিনি লাঠি নিয়ে বসে আছেন।" মোদ্দা কথা হলো, এই মোল্লাপ্রেমী স্বভাব দালাল গুলি, সাদা মুখে যতই সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতির গান তুলুক না কেন পশ্চাৎ দেশ এদের সবার কালো....

সত্যটা হিন্দুরা কি কোনদিন বুঝবে?

হিন্দুরা একে অন্যের ক্ষতি করে চলেছে এসত্যটা হিন্দুরা কি কোনদিন বুঝবে? গতকাল ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলেছিলাম। আজ দুটো উদাহরণ দিচ্ছি যা এই সমগ্র ভারতকে প্রভাবিত করেছে। নেতাজী সুভাস বোস যদি ফিরে আসতেন তবে জহরলাল নেহেরু তরোয়াল নিয়ে আক্রমন করতেন। সেকথা নেহেরু নিজেই বলেছিলেন।নেতাজীকে খুন করতে যেতেন কারন জানতেন নেতাজী এলে নেহেরুকে মানুষই নিয়ে ছুড়ে ফেলে দিত ক্ষমতা থেকে। ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীকে কাশ্মীর প্রবেশের অপরাধে গ্রেফতার করে নেহেরু এক নির্জন প্রকোষ্ঠে আমৃত্যু আটকে রেখেছিলেন। অনেকে মনে করেন আসলে শ্যমাপ্রসাদ মুখার্জীকে হত্যা করিয়েছিলেন নেহেরু। কি অপরাধ ছিল শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর? তিনি চেয়েছিলেন ভারতে সকল ধর্মালম্বীদের জন্য একই সিভিল কোড চালু হোক। কাশ্মীর প্রবেশ করতে গেলে ভারতের প্রধান্মন্ত্রীকেও কাস্মীরের মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে অনুমতি চাইবার নিয়ম করেছিলেন নেহেরু, এর বিরোধিতা করেছিলেন শ্যামাপ্রসাদ। নেহেরু মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক সৃষ্টি করে ক্ষমতা রক্ষায় মনযোগ দিয়েছিলেন এটা শ্যামাপ্রসাদ ঠিক ধরতে পেরেছিলেন। আজ পশ্চিম বঙ্গ নামে যে টুকরোটুকু মমতা ব্যানার্জী অথবা সেকুরা শাসন করছেন তা কিন্তু এই শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির বদৌলতেই ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। শরতবোস এবং মুসলীম লীগ আস্তো বাংলাকেই পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিলেন। আজ মমতা যে পশ্চিম বঙ্গকে আবার মুসলীম লীগের কাছেই তুলে দিচ্ছেন তাতো দেখাই যাচ্ছে। পশ্চিম বঙ্গের হিন্দুরা শ্যামাপ্রসাদের দলকে পশ্চিম বঙ্গে কোনদিন ক্ষমতায় আসতে দেবে? সোজা উত্তর না। পশ্চিম বঙ্গের হিন্দুরা জামাত ইসলামকে ঠাই দেবে কিন্তু শ্যামাপ্রসাদের স্থান হবেনা। তারা সেকুলারিজম বলতে বুঝায় মমতার মোনাজাত আর মোদীকে 'তুই কোথাকার কে রে বেটা!" বলার মাধ্যমে। তারা নিজেকে সেকুলার প্রমান করার জন্য বাংলাদেশের জঙ্গীদের আশ্রয় দিচ্ছে যা তারা মাসল পাওয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। এটাই হিন্দুদের বৈশিষ্ট। এরা আত্মঘাতী এক জাত। লিখেছেনঃ সমীরন ভট্টাচার্য

মুসলিমরা কেন মুছ রাখে না।

বন্ধুরা আজকে আপনাদের জানাচ্ছি মুসলিমরা কেন মুছ রাখে না। .. মহর্ষি ব্যাস দেব দ্বারা রচিত ১৮ বৈদিক পুরানের মধ্যে একটা - ভবিষ্য পুরান। যেমন আমরা সবাই জানি ভগবান রামের জন্মের ৬০ হাজার বছর আগে বাল্মিকি মুনি দ্বারা রামায়ন লেখা হয়েছিল। ঠিক সেরকম কলিযুগের শেষ পর্যন্ত নানান ঘটনা ভবিষ্য পুরানে লেখা আছে। আমরা সবাই রাজা ভোজ এর নাম শুনেছি। রাজা ভোজ দেশের মর্যাদা কম হতে দেখে , বিশ্ব বিজয়ের জন্য প্রস্থান করেন সাথে ১০ হাজার সেনা নিয়ে। কালিদাস এবং অন্য বিদ্যান পন্ডিতরা সাথে ছিল। সর্ব প্রথম উনি , সিন্ধু নদী পার করে , গান্ধার ও কাশ্মির জয় করেন। তারপর এক এক করে আফগানিস্তান , ইরান , ইরাক হয়ে আরবের মক্কায় পৌছায়। যেখানে মরুস্থলে বিদ্যমান মহাদেব কে দর্শন করেন। যাকে মাক্কেশ্বর মহাদেব নামে জানা যেত। সেখানে রাজা ভোজ শিব পুজো করেন। তাতে শিব সন্তুষ্ট হয়ে বলেন তুমি মহাক্লেশ্বর এ যাও। এই মক্কা , আরব নিচ কর্মের লোকেরা অপবিত্র করে রেখেছে। এখানে আর্য ধর্ম আর নেই। মহা মায়াবী ত্রিপুরাসুর ( যাকে মহাদেব ভাস্ম করেছে ) এখানে অসুর রাজ বলি দ্বারা প্রেসিত হয়েছে। আমার বর পেয়ে আবার অসুর সমুদায় বৃদ্ধি করছে যার নাম মহামাদ . হে রাজন তোমার এই অনার্য দেশে আসা উচিত হয় নি। তুমি ফিরে যাও। ভগবানের আদেশ পেয়ে রাজা ভোজ ফিরে আসার জন্য তৈরি হন। তখন মায়াবী মহামাদ রাজা ভোজের সামনে আসে বলেন তোমাদের দেব আমার দাসত্ব স্বীকার করেছে। তখন কালিদাস ক্রোধিত হয়ে বলেন। .মুর্খ তুমি রাজা ভোজকে ভ্রমিত করার জন্য মায়া সৃষ্টি করেছ। আমি তোমার মতো দুরাচারী অধম কে দন্ড দেব। বলে। .কালিদাস মন্ত্র উচ্চারণ করেন। তাতে মহামাদের মুছ জ্বলে, পরে যায় যা আর কোনো দিন ওঠে নি । তখন ক্রোধিত হয়ে মাহমদ বলে। ..রাজন ! নিসন্দেহ আর্য ধর্ম অতি পবিত্র , তবে শিব কৃপায় আমিও এক ভয়ানক এবং পিশাচ স্বরূপ ধর্ম বানাবো। তাদের লিঙ্গছেদান অনিবার্য হবে। তারা দাড়ি রাখবে , মুছ রাখবে না। আর যা কিছু আর্যরা পবিত্র মানবে , তারা সেটাকে বহিস্কার করবে। ...এই ভাবে ekta ধর্ম তৈরি হয়।

সালাম আলেকুম

ওরে বাবা ..... তাই নাকি? .... এই ব্যাপার ?? অনেক হিন্দুকেই দেখি, কেরামতি মেরে মুসলমান দের সঙ্গে দেখা হলেই ..... আগ বাড়িয়ে হাত মাথায় ঠেকিয়ে মুসলমান রীতিতে সম্বোধন করেন...."সালাম আলেকুম"। তারাও দেঁতো হাঁসি হেঁসে বলেন ... "ওয়ালেকুম সালাম"। .... তাই তো? ঠিক বলছি কিনা? কিন্তু একটা মজার বিষয় ... আজ আপনাদের জানিয়ে রাখি। যে সমস্থ মুসলমান .... অমুসলমান সম্প্রদায়কে "ওয়ালেকুম সালাম" বলে প্রতি-সম্ভাষণ করেন, তারা হয় না জেনে এটি করেন নতুবা .... মুখে এই কথা বললেও অন্তরে বলেন ... "ওয়া আলাইকুম"। এর মানেটা শুনলে আঁতকে উঠবেন, .... কি জানেন? ... " তোমার মৃত্যু হউক"! হ্যাঁ .... বন্ধুরা, আমি এক বর্ণও মিথ্যে বলছি না। মুসলমান ছাড়া আর কারও সালামের প্রত্যুত্তরে "ওয়ালেকুম সালাম" বলা চলে না। .....তাহলে কোন অমুসলমান সালাম দিলে তার উত্তরে কি বলা উচিৎ? হাদিস অনুসারে ..... প্রথমতঃ কাফের বা অবিশ্বাসীকে অর্থাৎ অমুসলিমদেরকে (হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান,.... ইহুদি ইত্যাদি সে যেই হোক না কেন) কিছুতেই প্রথমে 'সালাম' দেয়া যাবে না। আর দ্বিতীয়তঃ নিতান্তই যদি কোন কাফের বা মুশারিক, কোন মুসলিমকে প্রথমে সালাম দেয়, তার উত্তরে কেবল ওয়া আলাইকুম বলতে হবে। .... অর্থাৎ তার উত্তরে সেই মুসলমানের বলা উচিৎ ... "ওয়া আলাইকুম"। .... অর্থাৎ ... "তোমার মৃত্যু হউক"। বাঃ ..... এই না হলে শিক্ষা ! ছিঃ ছিঃ (হাওয়ালা : তিরমিযী শরীফ, ২ : ৯৯/ফাতাওয়া আলমগীরী, ৫ : ৩২৫) [ রাসূল স. বলেন, ﻡﻼﺴﻟﺎﺑ ﻯﺭﺎﺼﻨﻟﺍﻭ ﺩﻮﻬﻴﻟﺍ ﺍﻭﺅﺪﺒﺗ ﻻ “তোমরা ইয়াহুদী-নাসারাদেরকে প্রথমে সালাম দিবে না।” -তিরমিযী অন্যত্র তিনি বলেন, ﻢﻜﻴﻠﻋﻭ :ﺍﻮﻟﻮﻘﻓ ﺏﺎﺘﻜﻟﺍ ﻞﻫﺃ ﻢﻜﻴﻠﻋ ﻢﻠﺳ ﺍﺫﺇ আহলুল কিতাবদের কেউ যদি তোমাদের সালাম দেয়, তাহলে তোমরা বলবে, ‘ওয়া আলাইকুম’। (‘ওয়া আলাইকুম আসসালাম’ নয়)। (বুখারী ও মুসলিম)] ....... জনস্বার্থে সেকুলার কাফেরদের উদ্দেশ্যে প্রচারিত.......

বর্তমান মুসলিমদের পূর্বপুরুষ হিন্দু ছিল

Chandon Chowdhury জয় শ্রীরাম। আমার এতদিনের গবেষণা তাহলে সফল। আমি বিভিন্ন লেখকের প্রচুর বই পড়ে এটা নিশ্চিত ছিলাম যে বর্তমান মুসলিমদের পূর্বপুরুষ হিন্দু ছিল। ঘটনাক্রমে তারা মুসলমান হয়েছে। এছাড়া আরেকটা ধারনা আমার মধ্যে বদ্ধমূল ছিল যে, গায়ে হলুদের সিস্টেম মুসলমানরা কেন পালন করে ? কারন হাজার বছরের পালিত স্বভাব এক ঝটকায় চলে যায় না। আর মুসলিম ও হিন্দুদের চেহারাছবি, কাঠামো, এটিচিউড সবই একরকম। সুতরাং তারা কেন ভিন্ন জাতি হবে ? তারা আমাদেরই স্বজাতি আর্য জাতি, পূর্বপুরুষদের দুর্বলতা ও বুদ্ধিহীনতার কারনে তারা আজ আলাদা। সূত্রটা এনটিভি অনলাইন থেকে পাওয়া। আমি বর্ননা করলাম মাত্র। কমেন্টে গালি কিংবা ৫৭ ধারা করার আগে এনটিভি অনলাইনকে পেটান। http://m.ntvbd.com/world/22770/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6-%E0%A6%93-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B2%E0%A6%A4-%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%81

মুখোশ...।

ভারতে কম্পিউটার আসবে... কিসের কম্পিউটার... গরীবের মুখে ভাত নেই... ভারতের স্বাধীনতা দিবস... কিসের স্বাধীনতা... গরীবের মুখে ভাত নেই... দুর্গোৎসব... কিসের দুর্গোৎসব... গরীবের মুখে ভাত নেই... ডিজিটাল ভারত... কিসের ডিজিটাল... গরীবের মুখে ভাত নেই... ভারত উপগ্রহ পাঠাচ্ছে... কিসের উপগ্রহ... গরীবের মুখে ভাত নেই... ভারত বিশ্বকাপ খেলবে... কিসের বিশ্বকাপ... গরীবের মুখে ভাত নেই... এই ভামপন্থী তথা কম্যুনিস্ট সেকু গুলো ঠিক কি চায়...?? কটা গরীব কে এরা সাহায্য করেছে...?? কটা গরীব বাচ্চা কে পড়াশোনায় সাহায্য করেছে...?? নিজেরা গণ্ডে পিণ্ডে গিলছে... সমস্ত সুযোগ সুবিধা নিয়ে আরামে থেকে... মাঝে মাঝে এসে... তোতা পাখির মতো... গরীবের মুখে ভাত নেই...এই বুলি কপচে যাচ্ছে... গরীব মানুষগুলো কে নিয়ে ভণ্ডামি করতেও এদের বাধে না... এদের কি বলবো... অসভ্য নোংরা মানসিকতার প্রাণী... সারা বিশ্ব এদের বর্জন করেছে... এরা মৌলবাদী তথা... সন্ত্রাসবাদীদের থেকেও ভয়ঙ্কর... কারণ ওরা তবু যা করে সামনে... আর এই কম্যুনিস্ট নামক নোংরা প্রাণী গুলো মুখে বলবে এক... মনে ভাববে আর এক... করবে আর এক... এদের সব ই গোপন... আর বিরোধীতা পেলেই খুন... আর কিছু হলেই কমন ভণ্ডামি... গরীবের মুখে ভাত নেই... ৩৪ বছর তো ক্ষমতায় ছিল... তো কৌট নাচিয়ে গাড়ি বাড়ি করে ফেলল... কারুর সর্বনাশ হলেই এদের পৌষমাস এর শুরু হয়ে যেত... বাইরেও তো অন্যান্য সব দেশ এদের ছুঁড়ে ফেলেছে... কোথায় এরা সাফল্য পেয়েছে... এই বস্তাপচা থিওরি কপচে এই দেশেই শয়তান গুলো জড়ো হয়েছে... ভারতের সমস্ত রকম ক্ষতির জন্য এরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দায়ী... এদের কথা শুনলে ঘৃণা ছাড়া আর কিছু হয় না... এরা সাম্যের মুলো মানুষের নাকের সামনে ঝুলিয়ে... সেই সব মানুষের রক্ত চুষে আরামে জীবন কাটাবার স্বপ্ন দেখে... সেই জন্যই এদের লক্ষ্যই হল জনগণকে অশিক্ষিত করে রাখা... আর এরা বাস্তবে আদৌ চায়না... যে গরীবের মুখে ভাত থাকুক... কারন তাতে এদের বলার যে কিছু থাকবে না... কারন ওটাই তো এদের মুখোশ...।

Monday, 14 September 2015

রবীন্দ্রনাথ দত্তের ভূমিকা

রবীন্দ্রনাথ দত্তের ভূমিকা ১৯০ বছর ভারতে রাজত্ব করার পর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানে অবস্থার চাপে ইংরেজরা যখন এদেশ ছেড়ে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছিল তখন ঝোপ বুঝে কোপ মারার জন্য ভারতে বসবাসকারী মুসলমানেরা কাফের(ঘৃণিত) হিন্দুদের সাথে এক থাকলে ইসলাম বিপন্ন হবে ধুয়া হবে তাদের জন্য একটা আলাদা মুসলিম রাষ্ট্র গঠনের মহড়া হিসাবে ১৯৪৬ সালের ১৬ই আগষ্ট ঢাকা শহরে যে প্রলয় কান্ড ঘটিয়েছে তার বিস্তৃত বিবরন আমি আমার লিখিত বইগুলোতে উল্লেখ করেছি,ঢাকা শহরে ১৯৪৬ সালের ১৬ই অগাষ্টের নিহত হিন্দুদের মৃতদেহগুলি সম্পূর্ণ উলঙ্গ করে ট্রাক বোঝাই করে আমাদের পাড়ায় পাঠিয়ে দেয়া হত।তাতে ছিল উলঙ্গ মহিলা এবং মস্তকহীন শিশুদের মৃতদেহ বাধ্য হয়ে ট্রাক থেকে হাত পা গুলি নামিয়ে গনসৎকার করাতাম। ট্রাকের পাটাতনে ত্রিপল পেতে দেয়া হত যাতে রাস্তায় ঐরক্ত না পড়ে। আমাদের পা রক্তে ডুবে যেত।কলকাতা শহরের হত্যালীলায় প্রথম তিন দিনে ২০,০০০ লোক নিহত হল,এত লাস গঙ্গায় ভাসিয়ে দেয়া হয়ে ছিল যে নৌকা চলাচল দুঃস্বাধ্য হয়ে গিয়েছিল।মানুষের মাংসে শকুন কুকুরেরও অরুচী ধরেছিল। এরপর যখন হিন্দু ও শিখরা রুখে দাঁড়াল তখন মুসলিম লীগ সরকার প্রমাদ গুনলো।এরপর মুসলীম লীগ বেছে বেছে বাংলার সবচেয়ে হিন্দু সংখ্যালঘু জেলা নোয়াখালী তাদের পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার গিনিপিগ হিসাবে ১০ই অক্টোবর ১৯৪৬ সেখানে হিন্দুনিধন আরম্ভ হলো।হত্যা লুঠপাঠ অগ্নিসংযোগ,নারীধর্ষন,বলপূর্বক বিবাহ,অপহরন,মহিলাদের মাটিতে চিৎ করে শুইয়ে বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে সিঁথির সিঁদুর মুছে দেয়া,গরু জবাই করা রক্তদিয়ে মূর্তীগুলিকে স্নানকরানো এবং তারপর সেগুলিকে টুকরো টুকরো করে ভেঙ্গে ফেলার মধ্যে দিয়ে পাকিস্তান আদায়ের জন্য হিন্দুদের মনে ভীতি সঞ্চার করার প্রয়াস হল। এই বর্বরোচিত ঘটনা প্রথম দশদিন লীগ সরকার গোপন রাখতে সক্ষম হয়েছিল কারন সমস্ত টেলিগ্রাফের তার কেটে,রাস্তা কেটে নোয়াখালীকে বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছিল।এরপর অবস্থা একটুশান্ত হলে নোয়াখালীতে স্বয়ং সেবকরা যেতে আরম্ভ করলো।গান্ধীজী এই হত্যালীলা আরম্ভ হওয়ার ২৫দিন পরে গিয়ে গ্রাম পরিক্রমা আরম্ভ করলেন,ইতিমধ্যে ঢাকা থেকে কিছু স্বেচ্ছা সেবক নোয়াখালী রওনা হলো। আমিও যাবো বলে মনস্থির করলাম ঢাকা রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী জ্ঞানাত্মানন্দের একজন অত্যন্ত প্রিয়পাত্র এবং মঠের একজন কর্মী হিসাবে যাত্রার আগের দিন বিকালে গিয়ে মহারাজের সঙ্গে দেখা করলাম। তিনি বললেন "তুই যখন যাচ্ছিস দেখত ঐ প্যাকেটে কিছু বইপত্র এসেছে মনে হয় নোয়াখালী সমন্ধে খবর আছে।"তখন মঠের রান্নাঘর থেকে সবজি কাটার বঁটি এনে প্যাকেটের দড়ি কেটে এক কোনা থেকে ৭/৮ টা বই নিয়ে বাড়ি ফিরলাম।রাত্রে বইগুলো চোখ বোলানোর সময় হয়নি।পরেরদিন ঢাকা থেকে রওনা হয়ে তারপর পরদিন সকালে চৌমুহানী স্টেশন থেকে প্রায় ৪মাইল পশ্চিমে আমাদের গ্রামের বাড়ি কালিকাপুরে পৌঁছালাম,ইতিমধ্যে অনেক স্বনামধন্য নেতানেত্রী চৌমুহানীতে ওখানকার ধনী ব্যবসায়ীদের আতিথ্য গ্রহন করে তারপর গ্রামগুলির দিকে রওনা হলেন।আর যারা অত্যন্ত সাধারন স্বেচ্ছাসেবক প্রানের টানে সেখানে গিয়েছেন তারাসব আমাদের বাড়িতে উঠেছে।আমিও তাদের সাথে উদ্ধার কাজে রওনা হলাম,তাদের অনেকের নাম আমার আর এখন মনে নেই তবে শ্রী অমরসরকার,রমেন চক্রবর্তী,যোগেশচৌধুরীর নাম আমার বিশেষ করে মনে আছে।তারা কংগ্রেস সোসালিস্ট পার্টি করতো।গ্রামগুলিতে গিয়ে দেখি হিন্দুরা সব মুসলমান হয়ে বসে আছে।পরনে লুঙ্গী,মাথায় সাদা টুপির ওপর ভারতের মানচিত্র তারমধ্যে যে অংশগুলি তারা পাকিস্তান বলে দাবী করছে তা সবুজ রংয়ে ছাপা,লেখা পাকিস্তান জিন্দাবাদ। মহিলাদের হাতে শাখা কপালে সিঁদুর নেই,চোখগুলি জবাফুলের মত লাল। মন্দিরগুলোর কোন চিহ্ন নেই।আমরা তাদেরকে বললাম আপনারা চলুন উদ্ধার করে অন্যত্র নিয়ে যাবো।তারা প্রশ্ন করলো বাবু আমরা কলমা পড়ে মুসলমান হয়েছি নামাজ পড়েছি।আমাদের মুখে গোমাংস দিয়েছে।বাড়ির মেয়েদের অপহরন করা হয়েছে।হিন্দুরা কি আমাদের আবার সমাজে নেবে?আমাদের হাতে কি জল খাবে?আমরা বললাম আমাদের ধর্মগুরুরা এই নির্দেশ দিয়েছেন আপনারা বিনা দ্বিধায় স্বধর্মে ফিরতে পারবেন।তারা আমাদের মুখের কথা বিশ্বাস করলোনা। তখন ছাপার অক্ষরের বই পড়তে তারা বিশ্বাস করলো এবং দলে দলে বাড়ী ছেড়ে আমাদের সাথে বেরিয়ে এলো।এতে মুসলমানরা আপত্তি করলোনা।কারন হিন্দুরা চলে গেলে স্থাবর অস্থাবর জমিজমা পুকুর তাদের দখলে আসবে। ইতিমধ্যে এইমধ্যে এই বই এর সংবাদ দাবানলের মত স্বেচ্ছাসেবকদেরমধ্যে ছড়িয়ে পড়লো,প্রথম দিনের বইটা তারা টানাটানি করে ছিঁড়ে যে যা পেরেছে এক এক পৃষ্ঠা একেক জন নিয়ে গেছে।এই বইয়ের পৃষ্ঠা দেখিয়ে ধর্মান্তরিত হিন্দুদের বের করে আনতে আরম্ভ করলো।এই বইয়ের সংবাদ কোনক্রমে কংগ্রেস সভাপতি আচার্য কৃপালনীর স্ত্রী সুচেতা কৃপালনীর নিকটে গেল। রাত্রে বাড়ি ফিরে এলাম,পরদিন সকালে ৩/৪কপি সঙ্গে নিয়ে গেলাম এবং সুচেতা কৃপালনীর সাথে দেখা হলো। বইটায় চোখ বুলিয়ে আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন।বললেন তুই করেছিসটা কি রবি?এরপর তার সাথে আমার অনেকবার দেখা হয় আমি তাকে পিসিমা বলে ডাকতাম।আমার এক পিসিমা ঊষারাণী গুহরায় সুচেতা কৃপালনীর নারী উদ্ধারের স্বেচ্ছাসেবিকারকাজ করতেন।ঐসব কাজে আমার অনেক নেতানেত্রীর সঙ্গে দেখা হয় তার মধ্যে শ্রীমতী লীলা রায় এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।এখানে উল্লেখযোগ্য যে নোয়াখালি দাঙ্গার নায়ক গোলাম সারোয়ার ফতোয়া দিলেন সুচেতা কৃপালনীকে যে ধর্ষন করতে পারবে তাকে গাজী উপাধীতে ভূষিত করা হবে এবং বহুত টাকা ইনাম দেয়া হবে।তাই নিজের সন্মান রক্ষা কল্পে সবসময় পটাশিয়াম সাইনাইডের ক্যাপসুল গলায় ঝুলিয়ে রাখতেন।আমার সহৃদয় পাঠকপাঠিকারা একবার চিন্তা করুন। যেখানে কংগ্রেস সভাপতির স্ত্রীর এই অবস্থা সেখানে সাধারন হিন্দুনারীদের কি অবস্থা হয়েছিল!পররবর্তীকালে ১৯৫০ সালে ঢাকার তথা সমগ্র পূর্বপাকিস্তানের হিন্দু নিধনের শিকার হয়ে একবস্ত্রে যখন কলকাতা এলাম তারপর পিসিমা (ঊষারানীগুহরায়)আমাকে বলেন চল লক্ষ্ণৌ থেকে বেড়িয়ে আসি সুচেতাদির বাড়িতে উঠব।তোকে দেখলে খুব খুশি হবে।আমি বললাম তিনি এখন একটা প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তিনি কি আমাদের কে পাত্তা দেবেন?পিসিমা বললেন তুই চলনা।