হিন্দুরা একে অন্যের ক্ষতি করে চলেছে এসত্যটা হিন্দুরা কি কোনদিন বুঝবে? গতকাল ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলেছিলাম। আজ দুটো উদাহরণ দিচ্ছি যা এই সমগ্র ভারতকে প্রভাবিত করেছে।
নেতাজী সুভাস বোস যদি ফিরে আসতেন তবে জহরলাল নেহেরু তরোয়াল নিয়ে আক্রমন করতেন। সেকথা নেহেরু নিজেই বলেছিলেন।নেতাজীকে খুন করতে যেতেন কারন জানতেন নেতাজী এলে নেহেরুকে মানুষই নিয়ে ছুড়ে ফেলে দিত ক্ষমতা থেকে।
ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীকে কাশ্মীর প্রবেশের অপরাধে গ্রেফতার করে নেহেরু এক নির্জন প্রকোষ্ঠে আমৃত্যু আটকে রেখেছিলেন। অনেকে মনে করেন আসলে শ্যমাপ্রসাদ মুখার্জীকে হত্যা করিয়েছিলেন নেহেরু।
কি অপরাধ ছিল শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর? তিনি চেয়েছিলেন ভারতে সকল ধর্মালম্বীদের জন্য একই সিভিল কোড চালু হোক। কাশ্মীর প্রবেশ করতে গেলে ভারতের প্রধান্মন্ত্রীকেও কাস্মীরের মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে অনুমতি চাইবার নিয়ম করেছিলেন নেহেরু, এর বিরোধিতা করেছিলেন শ্যামাপ্রসাদ। নেহেরু মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক সৃষ্টি করে ক্ষমতা রক্ষায় মনযোগ দিয়েছিলেন এটা শ্যামাপ্রসাদ ঠিক ধরতে পেরেছিলেন।
আজ পশ্চিম বঙ্গ নামে যে টুকরোটুকু মমতা ব্যানার্জী অথবা সেকুরা শাসন করছেন তা কিন্তু এই শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির বদৌলতেই ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। শরতবোস এবং মুসলীম লীগ আস্তো বাংলাকেই পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিলেন। আজ মমতা যে পশ্চিম বঙ্গকে আবার মুসলীম লীগের কাছেই তুলে দিচ্ছেন তাতো দেখাই যাচ্ছে। পশ্চিম বঙ্গের হিন্দুরা শ্যামাপ্রসাদের দলকে পশ্চিম বঙ্গে কোনদিন ক্ষমতায় আসতে দেবে? সোজা উত্তর না। পশ্চিম বঙ্গের হিন্দুরা জামাত ইসলামকে ঠাই দেবে কিন্তু শ্যামাপ্রসাদের স্থান হবেনা। তারা সেকুলারিজম বলতে বুঝায় মমতার মোনাজাত আর মোদীকে 'তুই কোথাকার কে রে বেটা!" বলার মাধ্যমে। তারা নিজেকে সেকুলার প্রমান করার জন্য বাংলাদেশের জঙ্গীদের আশ্রয় দিচ্ছে যা তারা মাসল পাওয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।
এটাই হিন্দুদের বৈশিষ্ট। এরা আত্মঘাতী এক জাত।
লিখেছেনঃ সমীরন ভট্টাচার্য
No comments:
Post a Comment