এবারে শিয়া মসজিদে হামলা হলো। এবার এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়েছে নামাজে দাঁড়ানো নামাজিদের ওপর। মুসুল্লিরা হয়তো পাকা পায়খানার লোভে, ইরানী এসাইলামের লোভে মসজিদে গিয়েছিল। মসজিদে না গিয়ে ঢ্যাঁড়শ চাষ করলেও তো দুটো পয়সা আসতো। কী দরকার ছিল এত মসজিদে যাওয়ার? ঐদিকে বামপন্থীগণ আজকাল খুব ঢিলামি করছে। এখনো এর মধ্যে মার্কিন ষড়যন্ত্র আবিষ্কার করে তারা ষড়যন্ত্রতত্ত্ব লিখে উঠতে পারে নি। তবে অপেক্ষা করুন। লেখা রেডি হচ্ছে। আসছে শীঘ্রই।
প্রধানমন্ত্রী এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বলেছেন, যারা মসজিদে আক্রমণ করে তারা সাচ্চা মুসলমান নয়। ঠিকই বলেছেন। যারা সাচ্চা মুসলমান, তাদের উচিত আগে সব নাস্তিক কোপানো। এরপরে সেক্যুলার লেখক, কবি সাহিত্যিক, বিদেশি নাগরিক, ইহুদী, পরে হিন্দুদের, এরপরে বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টান। এরপরে আদিবাসী আহমদীয়া তারপরে আসবে শিয়াদের সিরিয়াল। এভাবে যারা সিরিয়াল ব্রেক করে তারা আসলেই সাচ্চা মুসলমান নয়। প্রধানমন্ত্রীর উচিত আনসারুল্লাহকে, মৌলবাদী দলগুলোকে সহি উপায়ে কোপানো এবং বোমা মারতে শেখানোর উদ্দেশ্যে একটি সাচ্চা মুসলমান জিহাদি কর্মশালার আয়োজন করা। সঠিক উপায়ে চাপাতি শিক্ষা আত্মঘাতি বোমা হামলা, রগ কাটা, পাথর ছুড়ে মারা, এক কোপে কল্লা নামানো ইত্যাদি সব কিছুর জন্য প্রশিক্ষণ কর্মশালা দেশে এখন সময়ের দাবী। এভাবে বোকার মত সিরিয়াল যারা ভঙ্গ করে তাদের খুব বকে দেয়াই উচিত। তাদের ব্যাপারটা বুঝতে হবে। আমাদের চাই প্রশিক্ষিত ইসলামী জিহাদি প্রজন্ম।
সে যাইহোক। প্রধানমন্ত্রীর মুখে সাচ্চা মুসলমান হবার আহবান শুনতে ভালই লাগে। হে প্রধানমন্ত্রী, নারী হয়ে আপনি একটি পার্টির নেতা। একটি দেশের নেতা। আপনিই হলেন সাচ্চা মুসলমান? মোল্লাদের এখন সাচ্চা মুসলমানগিরি আপনার থেকে শিখতে হবে? মুহাম্মদের হাদিসে জানি নারী নেতৃত্ব সম্পর্কে কী বলা আছে?
''আমি গর্বিত,আমি হিন্দু" "দিব্যজ্ঞান নয় কান্ডজ্ঞান দরকার" This blog is about Hindu Religion.we are collecting posts from many pages of facebook.some time you think that we giving hate speeches but this is not true we just give information and news. https://m.facebook.com/WERHINDU https://m.facebook.com/nationslisthindu #NationalistHindu
Friday, 27 November 2015
আর্যরা বহিরাগত নয় 4
ভারতে চলছে আর্য অনার্য দ্বন্দ্ব!!!
সেকু মাকু সহ বিদেশী সাংস্কৃতিক বাহকের দল সর্বদাই বলে আসে ভারতের আর্যরা বহিরাগত। আমি ধারাবাহিক লেখায় প্রমাণ করছি আর্যরা মূল ভারতীয়, বহিরাগত তত্ত্ব ইংরেজ তথা ইউরোপীয় দের বানানো।
" চতুর্থ পর্ব "
এই পর্বে দেখাবো কিভাবে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এই তত্ত্ব তৈরি হয়েছিল।
ছোটবেলা থেকেই আমরা কল্পকাহিনী শুনতে অভ্যস্ত। এগুলো আমাদের পাঠ্য পুস্তকেও পড়ানো হয়। যেমন আর্যরা ছিল বহিরাগত। তারা ইউরোপ থেকে এসে ভারত দখল করে। বিজয়ী আর্যরা পরাভূত প্রাগার্য গোষ্ঠী ও কৌমের মানুষদের দাস, দস্যু, রাক্ষস বা অসুর বলে উল্লেখ করেছে আর নিজেদের মনে করেছে উন্নততর মানবপ্রজাতির অংশ। এই আর্যদের ধর্মই বৈদিক ধর্ম যা কালক্রমে হিন্দু ধর্ম নামে পরিচিতি পায়। হিন্দু সমাজের প্রচলিত বর্ণপ্রথায় শুদ্ররাই হচ্ছে এই অনার্যদের বংশধর।
গত দেড়শ বছর ধরে এই ‘আর্য আক্রমণ তত্ত্ব’ বা Aryan Invasion Theory হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে হিন্দুবিরোধীরা ব্যবহার করছে।
চরম হিন্দুবিদ্বেষী দৈনিক আমার দেশে কয়েক বছর আগে লেখা হয় হিন্দু ধর্ম বর্বর আর্যদের আমদানি করা ধর্ম।
দক্ষিণ ভারত আর উত্তর শ্রীলংকার তামিলরা নিজেদের দ্রাবিড় বলে আখ্যা দিয়ে তারা উত্তর ভারতের তথাকথিত আর্য হিন্দুদের ঘৃণা করতে শিখে।
হিন্দু পণ্ডিতরা যেমন স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী , স্বামী বিবেকানন্দ শুরু থেকেই এই তত্ত্বের বিরোধিতা করেছেন।
আমরা কয়েকটি পর্বে এই আর্য আক্রমণ তত্ত্বের মিথ্যাচার উন্মোচন করব।
১। খ্রিস্টান মিশনারিদের চক্রান্তঃ
এই তত্ত্ব সম্প্রসারণের পিছনে লর্ড মেকলে আর জার্মান দার্শনিক মাক্সমুলারের অবদান সবথেকে বেশি। এরা প্রত্যেকে খ্রিস্টধর্ম প্রচারের জন্য এই কাজটি করেন।
এই মাক্সমুলার প্রথম জীবনে ছিলেন একজন উদ্বাস্তু। তার আত্মজীবনীতেই রয়েছে
…Had not a penny left, and that in spite of every effort to make a little money, I should have had to return to Germany.(ref –the life and letters of Maxmuller, vol.1, p.61, London edn)
তাই ব্রিটিশদের ধর্মপ্রচারের কাজে তাকে যোগদান করতে হয়। তিনি তার মেধাকে ব্রিটিশদের হাতে বেঁচে দিলেন।
I am to hand over to the company, ready for the press, fifty sheets each year-the same I had promised to samter in Germany; for this I have asked 200 pounds a year, 4 pounds a sheet.(ref. the life and letters of Maxmuller, vol.1, p.60-61, London edn.)
কর্নেল জোসেফ বোডেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনাবাহিনীতে বোম্বেতে চাকরি করতেন। তিনি ছিলেন একজন খ্রিস্টান উগ্রবাদী। হিন্দুদের খ্রিস্টান বানাতে তিনি মিশনারিদের সহায়তা করতেন। ১৮০৭ সালে অবসর গ্রহণের পর তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে ২৫০০০ পাউন্ড অনুদান করেন সেখানে সংস্কৃত ভাষার উপর চেয়ার প্রতিষ্ঠা করতে। বিশ্ববিদ্যালয় তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে এর নাম করে বোডেন চেয়ার। বোডেনের লক্ষ্য ছিল বাইবেলকে সংস্কৃত ভাষায় অনুবাদ করে এর মাধ্যমে হিন্দুদের খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করার।
এছাড়া মিশনারিরা হিন্দুধর্মকে একটি বহুশ্বরবাদী ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। কিন্তু হিন্দুদের একেশ্বরবাদী চেতনার উৎসই হল বেদ। তাই তাদের লক্ষ্য ছিল বেদকে আক্রমণ করা। এর জন্য মাক্সমুলারের মত ধূর্ত লোকদের দরকার ছিল আরও অনেক বেশী যার ইংরেজি এবং সংস্কৃত ভাষার উপর দখল ছিল অতি জঘন্য। তার কাজ ছিল হিন্দু শাস্ত্রগুলোর অপব্যাখা করা।
লর্ড মেকলে যাকে ইংরেজি ভাষা শিক্ষা প্রবর্তনের জন্য আমাদের বুদ্ধিজীবীরা পূজা করেন তিনি জন্ম নেন এক ডানপন্থী খ্রিস্টান পরিবারে। ইংরেজি শিক্ষা এবং ইউরোপীয় ভাষা প্রচারের প্রধান লক্ষ্যই ছিল খ্রিস্টধর্ম প্রচার।
১৮৩৫ এর ফেব্রুয়ারিতে ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থায় ইংরেজি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেন তিনি।
১৮৩৬ সালের ১২ অক্টোবর তিনি তার পিতাকে চিঠিতে লিখেন, “ our English schools are flourishing wonderfully. We find it difficult – indeed, in some places impossible – to provide instructions for all who want it. At the single town of hoogle fourteen hundred boys are learning English. The effect of this education on the hindoos is prodigious. No hindoo, who has received an English education, ever remains sincerely attached to his religion. Some continue to profess it as a matter of policy; but many profess themselves pure deists, and some embrace Christianity. It is my firm belief that if, our plans of education are followed up, there will not be a single idolater among the respectable classes in Bengal thirty years hence. And this will be affected without any efforts to proselytize; without the smallest interference with religious liberty; merely by the natural operation of knowledge and reflection. I heartily rejoice in the prospects. Ref. the life and letters of Lord Macaulay, pp. 329-330 ”
লর্ড মেকলে আর মাক্সমুলারের প্রথম সাক্ষাৎ হয় ১৮৫১ সালে লন্ডনে।
পরবর্তী সাক্ষাৎ হয় ১৮৫৫ সালের ডিসেম্বরে। তাদের সেই সাক্ষাৎকারে মাক্সমুলার ভাষাকে ব্যবহারের কথা জানান। তিনি লিখেন।
“…I made acquaintance this time in London with Macaulay, and had along conversation with him on the teaching necessary for the young men who are sent out to India. He is very clear headed, and extraordinarilyeloquent…I went back to oxford a sadder, and, I hope, a wiser man. Ref. –the life and letters of Maxmuller, vol.1, p.162, London edn”
মাক্সমুলার ক্রমাগত সংস্কৃত শাস্ত্রের অপব্যাখা করতে থাকেন। এই বিষয়ে স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী তার সত্য প্রকাশ বইয়ের ২৭৮ পৃষ্ঠাতে লেখেন
আর্যরা বহিরাগত নয় 3
বর্তমানে ভারতে আর্য অনার্য নিয়ে ঝড় উঠছে, আমি ধারাবাহিক লেখায় প্রমাণ করে দেবো আর্যরা বহিরাগত নয়, এটা ইংরেজ দের ষড়যন্ত্র।
তৃতীয় পর্ব
( লেখক শামসুজ্জোহা মানিক এর থেকে সংগৃহীত)
১৯৯০ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত আমাদের উভয়ের ইতিহাসের সত্য প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা এবং সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই সত্যটিও ক্রমে স্পষ্ট হয়েছে যে ভারতবর্ষে আর্য আক্রমণ তত্ত্ব ইউরোপীয় পণ্ডিতদের অনিচ্ছাকৃত জ্ঞানতাত্ত্বিক ভ্রান্তি থেকে উদ্ভূত নয়, বরং এর পিছনে মূলত ক্রিয়াশীল ছিল এবং আজও আছে পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীদের সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্য রক্ষার অপরাজনীতি অব্যাহত রাখার কূটকৌশল। ভারতীয় উপমহাদেশের কাছে নিজেদের সভ্যতার ঋণ অস্বীকার করতে চেয়ে ইতিহাসের নামে পাশ্চাত্যের এই কূটকৌশল ও মিথ্যাচার। কারণ প্রায় পৌনে চার হাজার বছর পূর্বে সিন্ধু সভ্যতা ধবংসের পরবর্তী কালে সেখানকার অধিবাসীদের একাংশ ইউরোপে গিয়ে সেখানে তাদের উন্নততর ভাষা, সংস্কৃতি ও সভ্যতা প্রতিষ্ঠা করে। ফলে বৈদিক বা সংস্কৃতের উত্তরসূরি হিসাবে ইংরাজী, ফরাসী, জার্মান, লাতিন ইত্যাদিসহ ইউরোপের অধিকাংশ ভাষা জন্মলাভ করেছে যেগুলিকে ভাষা পণ্ডিতরা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত বলেন। সর্বোপরি মিথ্যা ইতিহাস তৈরী করে তারা এই উপমহাদেশের জনগণকে বুঝাতে চেয়েছে যে দাসত্বই তাদের নিয়তি এবং উপমহাদেশের গৌরবের কিছু নাই। এই উপমহাদেশের মানুষ যারা তারা সর্বদা বিদেশী আক্রমণকারীদের দ্বারা পরাজিত ও অধীনস্থ হয়ে থাকবে এটাই যেন স্বাভাবিক। ফলে তারা ভ্রান্ত ইতিহাস বোধ সৃষ্টি করে ভারতবর্ষ তথা উপমহাদেশের বিভিন্ন জাতি ও জনগণের মনে হীনতা বোধ সৃষ্টি করে রাখতে চেয়েছে। অথচ এটিই সত্য যে আর্যরা শুধু যে সিন্ধু সভ্যতার নির্মাতা এবং অধিবাসী তথা ভারতবর্ষের দেশজ মানুষ তাই নয়, উপরন্তু তারাই প্রায় পৌনে চার হাজার বছর পূর্বে সিন্ধু সভ্যতা ধ্বংস হলে এই উপমহাদেশ থেকে সুদূর ইউরোপ পর্যন্ত গিয়ে সেখানে সভ্যতা প্রতিষ্ঠা করে। শুধু তাই নয়, তারা প্রাচীন পৃথিবীর এমন এক সভ্যতা নির্মাণ করেছিল যার কোন তুলনা প্রাচীন পৃথিবীর ইতিহাসে নাই। ব্যাপক প্রত্নতাত্ত্বিকআবিষ্কারসমূহ দ্বারা প্রত্নতাত্ত্বিকরা মূলত একমত হয়েছেন যে, প্রাচীন পৃথিবীর সমকালীন বাকী আর তিনটি সভ্যতা যেমন মিসর, মেসোপটেমিয়া এবং চীনের চেয়েও অনেক বৃহৎ অঞ্চল ব্যাপী প্রতিষ্ঠিত সিন্ধু সভ্যতা ছিল এমন একমাত্র প্রাচীন সভ্যতা যা ছিল প্রভূত পরিমাণে জনকল্যাণবাদী এবং মূলত শান্তি নির্ভর বা অহিংস।
আমাদের উত্তরাধিকার হিসাবে সিন্ধু সভ্যতার গৌরবময় ইতিহাস এবং সেই ইতিহাসের নির্মাতা হিসাবে আর্যদের গৌরবময় ঐতিহ্যকে তুলে ধরাকে আমরা আমাদের জন্য অবশ্য কর্তব্য মনে করি। ভারতবর্ষে আর্য আক্রমণ তত্ত্বকে বিরোধিতা করা ইতিহাসের সত্য প্রতিষ্ঠার তাগিদে এবং আমাদের জাতীয় গৌরব বোধ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনেও আমরা অপরিহার্য মনে করি। বিশেষত আমাদের মনে রাখতে হবে যে, বাঙ্গালী জাতি সিন্ধু সভ্যতার ঐতিহ্যকে অনেক বেশী ঘনিষ্ঠভাবে ধারণ করে। কারণ আমরা মনে করি সংস্কৃতের প্রাচীনতর রূপ যে বৈদিক ভাষায় ঋগ্বেদ লেখা সেটি ছিল সিন্ধু সভ্যতার রাষ্ট্রভাষা। এবং ভাষাতাত্ত্বিকদের মতে বাংলা ভাষায় সংস্কৃত তথা বৈদিক ভাষার শব্দ সম্ভার অন্য যে কোন ভাষার চেয়ে বেশী। ফলে ইতিহাসের নামে এক বিরাট মিথ্যাচারকে রুখে দাঁড়ানো ভাষাগত বিচারে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাচীন সভ্যতা সিন্ধু সভ্যতার নিকটতম উত্তরাধিকারী হিসাবে বাঙ্গালী জাতির অবশ্য কর্তব্য। আমরা আরও মনে করি পাশ্চাত্যের জ্ঞানতত্ত্বের নামে মূর্খতা অথবা প্রতারণার বিরুদ্ধে লড়াই করে আমাদের দেশে বিদ্যমান সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যের বিরুদ্ধে লড়াইকে এগিয়ে নিতে হবে। সুতরাং আমাদের দাবী হোক এই যে, পাশ্চাত্য সাম্রাজ্যবাদীদের দেওয়া ভ্রান্ত ধারণার দাসত্ব থেকে সমাজ চেতনাকে মুক্ত করার উদ্দেশ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের যাবতীয় পাঠ্যপুস্তকে ভারতবর্ষে আর্য আক্রমণ তত্ত্বের মত উদ্ভট ও মিথ্যা ইতিহাসকে বাতিল করে আর্যতত্ত্ব ও সিন্ধু সভ্যতা সম্পর্কে সঠিক ইতিহাসকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
অবিশ্বাস্য ভারত,অসহিষ্ণু ভারত এবং অতিথি দেব ভবঃ
অবিশ্বাস্য ভারত,অসহিষ্ণু ভারত এবং অতিথি দেব ভবঃ
«»«»«»«»«»«»«»«»«»«»«»«»«»«»«»«»«»«»«»«
*দাদরীতে আখলাখের মৃত্যুর পর সেখানে প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দলের লোক পৌঁচ্ছেছিল।
# জন্মুকাশ্মীরেটেররিষ্টদের হাতে খুন হলো সেনা জাওয়ান # প্রশান্ত_মহাদেব , কিন্তু তখন ওনার বাড়িতে কেবল রক্ষা মন্ত্রী ছারা আর কোন নেতা ওনার বাড়ি গেলেন না।
*টেররিষ্ট ইয়াকুব মেননের ফাঁসির পর যখন তার সবদেহ তার বাড়িতে পৌঁচ্ছায় তখন সেখানে 10 হাজার মুসলিম ভির জমিয়েছিল এবং তার কবর স্থানে 15000 মুসলিম ভির জমিয়েছিল।
# আমিরেরবাড়ি থেকে মাত্র 15 কিমি দূরে যেখানে সেনা জাওয়ান #প্রশান্ত_মহাদেব এর অন্তিম সংস্কার সম্পন্ন হয়েছিল তখন মাত্র 5000 লোক সেখানে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে পৌঁচ্ছায়।
বাংলাদেশে অপরাধীদের ফাঁসী দেবার জন্য ওখানকার লেবার পার্টির সদস্য রা ওখানকার জনগনের সাথে টেররিষ্ট রাজাকার দের বিরুদ্ধে ও তাদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভে সামিল হয়। আর এখানকার সিপিএমের বাচ্ছা তথা কারাত ইয়েচুরির অবৈধ্য হোমো*** জুটি টেররিষ্টের ফাঁসি আটকাতে সক্রিয়তা দেখায়
*বাংলাদেশের হিন্দু নির্জাতনের কথা শুনতে পশ্চিমবঙ্গের শুশীল শিক্ষিত বাঙালী সমাজের গাজ্বালা করে 71 ও তার পরবর্তীতে কিভাবের কোন পরিস্থিতিতে ও কোন কারনে ওপার থেকে লাখো লাখো হিন্দু ভিটে মাটি ছেরে এপারে আসতে বাধ্য হল সে কথা শুনলে অনেকেরই গা হাত পা চরম জ্বালা করে বা অনেকটা সেকেলে সেকেলে ঘটনা মনে হয়। বা আজও কেন ওখানকার হিন্দুদের কথায় কথায় "ভারতে পাঠিয়ে দেব" হুমকি কেন শুনতে হয় সেসব নিয়ে এপারের কৌসিক সেন,মান্দাক্রান্তারা একদমই চিন্তিত নয়। তাই একথা নতুন করে বলছিনা। আমি শুধু বলতে চাই কাশ্মীর থেকে কেন 3.5 লক্ষ কাশ্মীরি পণ্ডিতকে নিজের ভিটেমাটি ছারতে হল?? কেন তাদের আজও দিল্লীর রিফিউজি ক্যাম্পে থাকতে হচ্ছে?? কেন কাশ্মীরে 1.5 লক্ষ হিন্দুকে প্রান খোয়াতে হল কেন 2000 মহিলাকে অপহরণ,রেপ ও বলপূর্বক ধর্মান্তরিত হতে হল?? এক সময় কাশ্মীর উপতক্যাতে 6 লক্ষ হিন্দু থাকত আজ কেন সেখানে মাত্র 700 জন হিন্দু থাকে??
*2008 এ উড়িষ্যার কান্দামালে খ্রীষ্ট্রিয় সংস্থা "ওয়ার্ল্ড ভিষন" এর যে কর্মিরা হিন্দু ধর্মগুরু # স্বামী_লক্ষণানন ্দকেহত্যা করল তারা হল # ইণোসেণ্টমুক্ত চিন্তাজীবি খুব বেশি হলে দুষ্কৃতি। আর স্বামী লক্ষণানন্দের যে অনুগামীরা পাল্টা প্রতিক্রীয়া দেখালো তারা হল # উগ্র_হিন্দু_মৌল বাদীতথা # হিন্দু_টেররিষ্ট ।
this is called # incredible_indi a
* কাশ্মীরে হিন্দুদের উপরে আক্রমণ হলেও ভারতের অন্যান্য প্রান্ত থেকে মুসলমান দের বিতারিত করা হয়না।
*আমির খান শাসক দলের প্রথম সারির নেতাদের সামনে দাঁরিয়ে তাদের দোষারোপ করে বলে দেশ বড়ো অসহিষ্ণু ।
*মুক্ত চিন্তার জগত ফ্রান্সে নবীর কার্টুন বানানর জন্য চার্লি এবোদোর দপ্তরে হামলা হয় অথচ ভারতে আমির পি.কে ফ্লিমে অভিনয় করে 700 কোটি টাকার রের্কড বানায়।
* 26/11 এর সময় বা 93 এর সিরিয়াল ব্লাস্টের সময় দেশে থাকতে খান বাবুদের ভয় করেনি কারণ ওগুলো আল্লার বান্দা দের সৃষ্ট কাজ। আর গত 7/8 মৃসে ভারতের আকাশ ভেঙে বাজ পরেছে বলে খান সাহেবরা দেশে থাকতে ভয় পাচ্ছে।
* আমেরিকায় গরে 41 দিন অন্তর সেতাঙ্গ ভার্সেস কৃষ্ণাঙ্গ ভায়লেন্স হয়। ওদের দেশের কোন নাগরিক এর জন্য ওদের প্রেসিডেণ্টকে দায়ী করেনা। অথচ আমাদের দেশে কোন এক রাজ্যে সেখানকার স্টেট গর্ভমেণ্টের হাতে ল এণ্ড অর্ডার ও যাবতীয় ক্ষমতা থাকা সত্বেও এখানকার ভণ্ডজীবি রা সেণ্ট্রাল গর্ভমেণ্টের দিকে আঙুল তুলে। কেবল এটাই নয় সেণ্ট্রাল গর্ভমেণ্টের বিরধীতার জন্য মঞ্চ খুঁজতে যেতে হয় পাকিস্তানে আর মোদীর সার্টিফিকেট আনতে যায় পাকিস্তান মিডিয়ার কাছ থেকে
* এখানে আখলাকের মৃত্যুতে সবাই "মিলে সুর মিলা হামারা" বলে একজোগে কাঁদুনি গায় আর ঐ একই সময়ে কর্ণাটকে গোপূজন করার অপরাধে এক পুরহিতের হত্যা করাহলে সবাই মৌন্য থাকে সুর কোথায় হারিয়ে যায়
* এখানে হিন্দু দেবি প্রতীমা দেখলে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় দের যৌন উত্তেজনা পায় লিঙ্গ বর্ধিত হয়। সেকথা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়রা তাদের বইতে লেখে। আর বাঙালীরা সেসব বই পড়ে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় দের জন্মদিন মৃত্যুদিন পালন করে।
*এখানকার মেম্বার অফ পার্লামেণ্ট কবির সুমনরা দেশের রাষ্ট্র শক্তি বিএসএফের বিরুদ্ধে এবং অনুপ্রবেশকারীর পক্ষে গান লেখেন আবার গেয়ে শোনানও।
*এখানকার চিত্র শিল্পী এম.এফ হুসেন নগ্ন নবীর ছবি আঁকতে ভালোবাসেন না উনি হিন্দু দেবি সরস্বতীর নগ্ন ছবি আঁকেন। এটা ওনার চিত্র শিল্পি সত্বা। কোন ধর্মগোষ্ঠির ভাবনায় আঘাত দেওয়াটাও ওনার শিল্পি সত্বা ও স্বাধীনতা। যারা ওনার এই কাজের বিরধীতা করেছেন তারা হল উগ্র সাম্প্রদায়িক ও হিন্দু মৌলবাদী।
this is called # intolerent_indi a
আমির আরবে দেখা করতে যান সেই মহা নায়কের শিষ্য আজমলের সাথে যিনি 26/11 মুম্বই এট্যাক এর পুরধা পুরুষ।
কারন এনারা একে অপরের অতিথি। আর অতিথি দেবতার সামিল।
this is called # Atithi_Devo_Bha v
আমির খানের ভাষায় আমির খানকে বেস্ট জবাব।
আমির খানের ভাষায় আমির খানকে বেস্ট জবাব।
আমির খান বলেছিলেন " আমার দেশপ্রেম নিয়ে কারুর কোন সার্টিফিকেট এর দরকার নেই!!! "
আজ পরেশ রাওয়াল বললেন, " যদি আমির খানের দেশপ্রেমিক সার্টিফিকেট এর দরকার না পড়ে, তবে আমার মহান ভারত মাতার সহিষ্ণুতা নিয়ে কারুর সার্টিফিকেট এর দরকার নেই। "
কি আমির হুসেইন খান মহাশয় জবাব টা যথাযথ হলো???
জি নিউজের. "তাল ঠোককের"
কাশ্মীরি পন্ডিত দের কাহিনী দেখে চোখে জল ধরে রাখতে পারলাম না, জি নিউজের. "তাল ঠোককের " অনুষ্ঠানে এই দুর্দশার ছবি চোখের সামনে জ্যান্ত হয়ে উঠল, ছি হিন্দু সমাজ ছি, কিভাবে সহ্য করলো তারা?? এতদিন পরেও তাদের কোন সুরাহা করতে পারলোনা কোন রাজনৈতিক দল, উল্টে কামড়াকামড়ি করছে নিজেদের মধ্যে, ধিক্কার জানাই, আর ভাল লাগছে না, এতদিন হিন্দুত্ববাদী লেখালেখি করে এটা বুঝতে পেরেছি হিন্দুদের এক করা অসম্ভব, নইলে ৯০ বছর ধরে হলো না আর হবে না, বিদায় বন্ধু রা, হিন্দুদের নিয়ে রাজনীতি হয়, তাদের সমস্যার সুরাহা কেউ করেনি, করবেও না, তার থেকে সমাজের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুজন গরীব হিন্দুদের পাশে দাড়ালে অনেক পুন্য হবে।
জয় শ্রীরাম।
আর্যরা বহিরাগত নয় 2
বর্তমানে ভারতে আর্য অনার্য নিয়ে ঝড় উঠছে, আমি ধারাবাহিক লেখায় প্রমাণ করে দেবো আর্যরা বহিরাগত নয়, এটা ইংরেজ দের ষড়যন্ত্র।
দ্বিতীয় পর্ব
( লেখক শামসুজ্জোহা মানিক এর থেকে সংগৃহীত)
বিশেষত ১৯২০-এর দশকে সিন্ধু সভ্যতা আবিষ্কারের পর থেকে ক্রমবর্ধমান প্রত্নতাত্ত্বিকআবিষ্কারসমূহ বহুকাল পূর্বে ব্রিটিশ এবং ইউরোপীয় পণ্ডিতদের দ্বারা বহু প্রচারিত ভারতবর্ষে আর্য আক্রমণ তত্ত্বকে সম্পূর্ণরূপে ধূলিসাৎ করলেও এখনও তারা যেমন এ কথা স্বীকার করতে প্রস্তুত নয় যে আর্যরা মোটেই ভারতবর্ষে বহিরাগত বা হানাদার জনগোষ্ঠী নয়, বরং এখানকারই স্থানীয় অধিবাসী, যাদের কাছে আর্য একটি গুণবাচক শব্দ মাত্র, তেমন তাদের অন্ধ অনুসারী উপমহাদেশীয় পণ্ডিতরাও সে কথা স্বীকারের সৎ সাহস রাখেন না।
সিন্ধু সভ্যতায় ব্যাপক প্রত্নতাত্ত্বিক, ভূতাত্ত্বিক, দেহতাত্ত্বিক, নৃতাত্ত্বিক ইত্যাদি গবেষণার মাধ্যমে বেশ কিছু কাল যাবৎ প্রত্নতাত্ত্বিকপণ্ডিতরা মূলত একমত হয়েছেন যে, সিন্ধু সভ্যতার মূলভূমি যে অঞ্চলে অবস্থিত অর্থাৎ বর্তমান সমগ্র পাকিস্তান এবং বর্তমান ভারতের উত্তর-পশ্চিমের বিশাল অঞ্চলে প্রায় দশ হাজার বৎসর পূর্বে যে জনগোষ্ঠীসমূহ বসতি স্থাপন করে তাদের ধারাবাহিকতা প্রায় খ্রীষ্টপূর্ব ৮ম শতাব্দী পর্যন্ত অব্যাহত থেকেছে। অর্থাৎ এই সুদীর্ঘ কালপর্বে এই বিশাল অঞ্চলে কোন ধরনের উল্লেখযোগ্য বহিরাগমন বা বহিরাক্রমণ ঘটে নাই। অথচ ইউরোপীয় পণ্ডিতদের মতে খ্রীষ্টপূর্ব ১২ শত থেকে খ্রীষ্টপূর্ব ১৫ শতকের মধ্যে কোন এক সময় ভারতবর্ষের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে ভারতবর্ষে আর্য আক্রমণ ও আবাসন ঘটে। এভাবে প্রত্নতত্ত্বের বিচারে ভারতবর্ষে আর্য আক্রমণতত্ত্ব সম্পূর্ণ রূপে বাতিল হয়ে যায়। এমন অবস্থায় ভারতবর্ষের ইতিহাস ও সমাজ বিকাশের ব্যাখ্যায় দেখা দেয় শূন্যতা।
এ শূন্যতা পূরণে এতকাল ইউরোপীয় ভ্রান্ত ইতিহাস ব্যাখ্যার জের টেনে গোঁজামিল দেওয়া হচ্ছিল। এই অবস্থায় আমি ঋগ্বেদের উপর অধ্যয়নের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হই যে এটি কোন আক্রমণকারী পশুপালক ও যাযাবর জনগোষ্ঠীর গ্রন্থ নয়, বরং এটি সিন্ধু সভ্যতার অধিবাসীদের একাংশ দ্বারা সংগঠিত একটি ধর্ম সংস্কার আন্দোলনের সময় রচিত মন্ত্রসমূহের সমন্বয়ে গঠিত ধর্মগ্রন্থ। এই ধারণার ভিত্তিতে এবং মহাভারত ও প্রাচীন পার্সীদের ধর্মগ্রন্থ আবেস্তাসহ প্রাচীন আরও কিছু গ্রন্থ অধ্যয়নের পর ১৯৯০ সালে আমি ‘ভারত ইতিহাসের সূত্র সন্ধান’ নামে একটি গ্রন্থ রচনা করি। তবে এটি অপ্রকাশিত রয়ে যায়। পরে আমার সঙ্গে নূতন উপলব্ধি ভিত্তিক অনুসন্ধানে পণ্ডিত ও গবেষক শামসুল আলম চঞ্চল যোগ দেন। আমরা উভয়ে সিন্ধু সভ্যতার প্রত্নতাত্ত্বিকতথ্যসমূহের উপর ব্যাপক অধ্যয়ন করি এবং তার ভিত্তিতে সিন্ধু সভ্যতার সঙ্গে ঋগ্বেদ এবং আর্যদের সম্পর্কের বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত অধিকতর দৃঢ়বদ্ধ হয়।
আমরা উভয়ে সিন্ধু সভ্যতা ও আর্যদের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রত্নতত্ত্ববিদও ঐতিহাসিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করি। ১৯৯৪ সালে শামসুল আলম চঞ্চল আমার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে The Indus Civilization and the Aryans নামে একটি প্রবন্ধ তৈরী করে সিন্ধু সভ্যতার বিষয়ে বর্তমান পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রত্নতত্ত্ববিদএবং পাকিস্তান সরকারের প্রত্নতত্ত্ব ও যাদুঘর বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক, বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন ইউনিভার্সিটি-এরপ্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত ডঃ রফিক মুগলের নিকট পাঠান। রফিক মুগল এই প্রবন্ধকে একটি সফল প্রয়াস হিসাবে উল্লেখ করে এটিকে যথাশীঘ্র প্রকাশের জন্য তাগিদ দিয়ে উত্তর দেন। এর পর আমরা উভয়ে ১৯৯৫ সালে The Aryans and the Indus Civilization নামে একটি ইংরাজী বই এবং ২০০৩ সালে ‘আর্যজন ও সিন্ধু সভ্যতা’ নামে একটি বাংলা বই প্রকাশ করি। এখানে প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করা উচিত যে, আর্যরা যে সিন্ধু সভ্যতার অধিবাসী আমাদের এই বক্তব্যের সঙ্গে ভারতের কিছু সংখ্যক প্রত্নতাত্ত্বিকএবং বেদ পণ্ডিতও তাদের মতৈক্যের কথা জানান। যেমন ভারতের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক ও প্রত্নত্ত্ববিদ ডঃ আর, এস, বিশ্ট্, সিন্ধু সভ্যতার উপর ভারতের বিখ্যাত প্রত্নতত্ত্ববিদডঃ এস, আর, রাও এবং ভারতের বিখ্যাত বেদ পণ্ডিত ডঃ ভগবান সিং, ইত্যাদি।
Subscribe to:
Posts (Atom)