এবারে শিয়া মসজিদে হামলা হলো। এবার এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়েছে নামাজে দাঁড়ানো নামাজিদের ওপর। মুসুল্লিরা হয়তো পাকা পায়খানার লোভে, ইরানী এসাইলামের লোভে মসজিদে গিয়েছিল। মসজিদে না গিয়ে ঢ্যাঁড়শ চাষ করলেও তো দুটো পয়সা আসতো। কী দরকার ছিল এত মসজিদে যাওয়ার? ঐদিকে বামপন্থীগণ আজকাল খুব ঢিলামি করছে। এখনো এর মধ্যে মার্কিন ষড়যন্ত্র আবিষ্কার করে তারা ষড়যন্ত্রতত্ত্ব লিখে উঠতে পারে নি। তবে অপেক্ষা করুন। লেখা রেডি হচ্ছে। আসছে শীঘ্রই।
প্রধানমন্ত্রী এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বলেছেন, যারা মসজিদে আক্রমণ করে তারা সাচ্চা মুসলমান নয়। ঠিকই বলেছেন। যারা সাচ্চা মুসলমান, তাদের উচিত আগে সব নাস্তিক কোপানো। এরপরে সেক্যুলার লেখক, কবি সাহিত্যিক, বিদেশি নাগরিক, ইহুদী, পরে হিন্দুদের, এরপরে বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টান। এরপরে আদিবাসী আহমদীয়া তারপরে আসবে শিয়াদের সিরিয়াল। এভাবে যারা সিরিয়াল ব্রেক করে তারা আসলেই সাচ্চা মুসলমান নয়। প্রধানমন্ত্রীর উচিত আনসারুল্লাহকে, মৌলবাদী দলগুলোকে সহি উপায়ে কোপানো এবং বোমা মারতে শেখানোর উদ্দেশ্যে একটি সাচ্চা মুসলমান জিহাদি কর্মশালার আয়োজন করা। সঠিক উপায়ে চাপাতি শিক্ষা আত্মঘাতি বোমা হামলা, রগ কাটা, পাথর ছুড়ে মারা, এক কোপে কল্লা নামানো ইত্যাদি সব কিছুর জন্য প্রশিক্ষণ কর্মশালা দেশে এখন সময়ের দাবী। এভাবে বোকার মত সিরিয়াল যারা ভঙ্গ করে তাদের খুব বকে দেয়াই উচিত। তাদের ব্যাপারটা বুঝতে হবে। আমাদের চাই প্রশিক্ষিত ইসলামী জিহাদি প্রজন্ম।
সে যাইহোক। প্রধানমন্ত্রীর মুখে সাচ্চা মুসলমান হবার আহবান শুনতে ভালই লাগে। হে প্রধানমন্ত্রী, নারী হয়ে আপনি একটি পার্টির নেতা। একটি দেশের নেতা। আপনিই হলেন সাচ্চা মুসলমান? মোল্লাদের এখন সাচ্চা মুসলমানগিরি আপনার থেকে শিখতে হবে? মুহাম্মদের হাদিসে জানি নারী নেতৃত্ব সম্পর্কে কী বলা আছে?
No comments:
Post a Comment