যবে থেকে ফেসবুকে এসেছি ভাইফোঁটার দিন এলেই নেড়েদের অসভ্যতা ভরা পোস্ট ফেসবুকে দেখে চলেছি, প্রতিবাদ করেছি কিন্তু অকাট যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করতে পারিনি, ছোটবেলায় মায়ের মুখে শোনা গল্প, যেটা আমরা যম যমুনার ভাইফোঁটার গল্প শুনে বড় হয়েছি সেটার সোর্স অনেকে জানেনা, আমিও জানতাম না, আজ জানতে পারলাম, এর জন্য ধন্যবাদ জানাই " সুপ্রকাশ বন্দোপাধ্যায় " মহাশয়কে।
" মৎসপুরান " হলো এই প্রথার সূত্র।
গল্পটি নিম্নরূপ।
" মৎসপুরানের রোমহর্ষনের মুখ হতে সূর্য দেবতার কথা জানা যায়। অদিতি আর কাশ্যপ মুনীর পুত্র হলেন 'বিবস্বান ', যাকে আমরা সূর্যদেব ' বলে চিনি, সূর্যের তিন স্ত্রী 'সংজ্ঞা ', 'রজনী ', 'প্রভা '। যদিও সর্বত্রই সূর্যের স্ত্রী হিসেবে সংজ্ঞা র নামই জানা যায়। সূর্য আর সংজ্ঞা র দুই পুত্র, এক কন্যা। একজন বৈবস্বত মনু, যার উত্তরসূরী হল মানুষ। অন্য পুত্র হলেন 'যম ' আর কন্যা যমী।
এই 'যম ' আর যমী বা যমুনার মধ্যেই প্রথম ভাইফোঁটা দেওয়া শুরু হয়। এই ঘটনার পিছনে একটা কাহিনী আছে ব্যাপার টা এইরকম। একবার যমীর. মনে যমকে বিয়ে করার চিন্তা মাথায় আসে, সে কথা যমকে বললে যম তাকে বোঝান যে তারা ভাইবোন তাদের মধ্য বিবাহ তো দূর এই চিন্তা মাথায় আনা পাপ, যমুনা নিজের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরে যমুনার সাথে 'বলরামের' বিয়ে হয়।
যমুনা যেদিন যমকে ভাইফোঁটা দিয়েছিলেন সেইদিন থেকে ভাতৃদ্বিতীয় চালু হয়। ""
ভাবুন কত সুন্দর, কত পবিত্র, কত মহান একটা পর্বতকে বিকৃত করতে মুসলমানদের বাধে না। ওরা মানুষ নয়।
এই ঘটনার টি জেনে রাখুন নেড়েদের মুখের উপর জবাব দিতে পারবেন।
#জয়_শ্রীরাম। Dipanjan Halder
No comments:
Post a Comment