সমীরণ ভট্টাচার্য মহাশয়ের লেখা।
"""" ।।"ভারত পাকিস্তানের প্রতিবিম্ব" ইরফান হাবিব।।
ভারতের অত্যন্ত খ্যাতিমান ঐতিহাসিক ইরফান হাবিব বলেছেন "ভারত এখন পাকিস্তানের প্রতিবিম্ব।" ভারত বিভক্ত হবার ইতিহাস হাবিব সাহেব কি ভুলে গেছেন-নাকি সে ইতিহাস জানেন না?
পাকিস্তান তো দুরের কথা, ত্রিশ লক্ষ বাঙ্গালীর রক্তের বিনময়ে ১৯৭১ সালে পাকিস্তান ভেঙ্গে বাংলাদেশ হল কিন্তু ১৯৪৭ এর বিভক্তির মুল থেকে বাংলাদেশও এক পা সরে আসেনি। সাধারণ মানুষ যে ১৯৪৭ ভুলেনি একজন ইতিহাসবেত্তাও আসলে তা ভুলে যাননি। তিনি তার সাথী হিসেবে পেয়েছেন আরোও অনেক উগ্রমতালম্বী কংগ্রেসের সুবিধাভোগীদেরকেএবং তাদেরকে নিয়ে বিজেপির বিরূদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছেন। ভারতকে টিকতে হলে পাকিস্তানের সাথে তাল মিলিয়েই চলতে হবে। ভারত ভারতীয়দের এবং ভারতীয় সভ্যতার সংরক্ষনের একমাত্র স্থান--একে আমরা কেউ এসে সিরিয়া ইরাকের মত গুড়িয়ে দিক তা হতে দিতে পারিনা। এই ব্যাপারে আপোষ হতে পারেনা। এর জন্য যা করনীয় সব করতে হবে। এর জন্য কারোও অধিকার ক্ষুন্ন হলেও এই ব্যাপারে আপোষের কোন অবকাশ নেই।
পাকিস্তান ইসলামী প্রজাতন্ত্র, ব্লেস্ফ্যামী আইন সহ নিবর্তন মুলক নানা আইন দ্বারা পাকিস্তানকে অমুসলিমশুন্য করা হয়েছে। কাশ্মীরী পন্ডিতদের দেশ ছাড়া করেছে। সারা বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ রফতানী করছে, গনতন্ত্র বিহীন এক রাষ্ট্র যেখানে প্রতিদিন শত শত মুসলমান নিহত হচ্ছেন- নিগৃহীত হচ্ছেন নারীরা। যারা আমাদের ত্রিশ লক্ষ বাঙ্গালীকে হত্যা করেছিল আমাদের লক্ষ লক্ষ মা বোনকে ধর্ষন করেছিল তারা বুঝি ভারতের সাথে তুলনার যোগ্যতা রাখে? ইরফান হাবিব ইতিহাসবিদ হতে এদেশে ইতিহাস জানতে হয়না -- কর্তার আদেশে ইতিহাস লেখা হয়।
ভারতের ইতিহাসকে আপনারা কতটুকু বিকৃত করেছেন তা ভারতের ঘটনাগুলো যারা দেখেছেন তাদের খুব ভাল করেই জানা আছে।ভারত যে কারনে ভাগ হয়েছিল তা ইচ্ছামত ইতিহাস লিখে পাল্টানো হয়েছে। লবন আন্দোলন করে ভারত স্বাধীন হয়েছে অথবা অহিংস আন্দোলন করে ভারত স্বাধীন হয়েছে যারা বলেন তারা মিথ্যা কথা বলেন। ভারতীয় হিন্দু মুসলিম নৌসেনারা ইংরেজদের বিরূদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন এবং সেটাই তাদেকে দেশত্যাগে বাধ্য করে। গভর্ণর জেনারেল মাউন্ট ব্যাটেন এসেছিলেন দ্রুততম সময়ে স্বাধীনতা দিয়ে এদেশ ছাড়তে। স্বাধীনতার আন্দোলন তখন ছিলনা ছিল স্বাধীনতার বিপক্ষে ষড়যন্ত্র যাতে ছিলেন নেহেরু আর জিন্নাহ মধ্যে ইংরেজদের হাতের বিখ্যাত অহিংসবাদী গান্ধী। গান্ধী খেলাফত আন্দোলন করে এদেশে প্রথমে ইসলামী রাজনীতির অনুপ্রবেশ ঘটান এবং এটাই দেশ ভাঙ্গার মুল চালিকা কাঠি।
আজ সত্যিকার ইতিহাস প্রকাশ পাচ্ছে। লুকিয়ে রাখা নেতাজীর কাগজপত্র এতোদিন কেন প্রকাশ করা হলোনা? কোনদিন দেখেছিলেন সেসব? আপনাদের গড়া ইতিহাস ছিল কংগ্রেসকে দেশের মাথায় রেখে নিজেদের আখের গুছানোর পরিকল্পিত ইতিহাস।
নেতাজী সুভাস বসু ফিরলে তাকে তরোয়াল নিয়ে তাড়া করবেন -- কে বলেছিলেন? কে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীকে কাস্মীরের এক অন্ধ প্রকোষ্ঠে হত্যা করিয়েছিলেন?-- এর তদন্ত পর্যন্ত করতে দেননি সেই মহান প্রধানমন্ত্রী। বলতে লজ্জা লাগেনা তিনিই আপনাদের পুতুল জহরলাল নেহেরু যার বোন সেদিন ঘটা করে পদক ফিরিয়ে দিলেন। ইন্দিরা গান্ধী হত্যার পর শিখদের হত্যা করতে নেমেছিল কারা? তিন হাজার শিখকে হত্যা করা হল -আপনারা কোথায় ছিলেন? ইতিহাসে সেই গনহত্যার কথা লিখতে কেন আপনাদের এতো অনীহা?
যে পাকিস্তান বিশ্বের জন্য এক ক্যান্সার যাকে বাংলাদেশ পর্যন্ত ঘৃনা করে তার সাথে যে দেশে বাস করেন তার তুলনা করাটা ভুলই নয়--অন্যায়। ইতিহাস আপনাদের ব্যক্তিগত ইচ্ছায় চীরকাল লিখা হবেনা। মিথ্যার বেশাতি এবার বন্ধ করুন।
No comments:
Post a Comment