Monday, 30 November 2015

প্রায় সমগ্র বাংলা ই এখন মুসলমানদের দখলে

প্রায় সমগ্র বাংলা ই এখন মুসলমানদের দখলে প্রাচীন বাংলার মোট আয়তন প্রায় ২ লক্ষ ৩৬ হাজার ২শ বর্গ কি.মি.। এর মধ্যে বর্তমানে বাংলাদেশের মুসলিমদের দখলে ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গ কি.মি; বাকি ৮৮ হাজার ৬শ ৩০ বর্গ কি.মি এর মতো পশ্চিমবঙ্গের দখলে। দুই বাংলার মোট জনসংখ্যা প্রায় ২৫ কোটি। এর মধ্যে মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ১৮ কোটি; হিন্দু জনসংখ্যা প্রায় ৭ কোটি। ১৯৪৭ সালে লিয়াকত এবং জিন্নাহ বাংলা ভাগের প্রচণ্ড বিরোধিতা করেছিলো এবং সমগ্র বাংলাকেই পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিলো। কিন্তু বাংলার হিন্দুদের পরিত্রাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী, এর সুদূর প্রসারী লক্ষ্য এবং ভয়াবহতা বুঝতে পেরে প্রায় একাই লড়াই করে বাংলাকে ভাগ করে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকাকে ভারতের সাথে জুড়ে দিতে সমর্থ হন। এর ফলেই পশ্চিমবাংলার হিন্দুরা পায় বসবাসের জন্য একটা নিরাপদ স্থান। কিন্তু খুব অল্পদিনেই ৪৭ এর আগে বা পরে পূর্ব বঙ্গ থেকে পালিয়ে আসা কিছু নপুংসক ও নির্বোধ হিন্দু নেতারা পশ্চিমবঙ্গকে মুসলিমদের জন্য অভয়ারণ্যে পরিণত করে তোলে। তারা শুধু ভোটের জন্য ভয়াবহ মুসলিম তোষণ শুরু করে এবং আসা মাত্র তাদের হাতে রেশন কার্ড , ভোটার কার্ড তুলে দিয়ে তাদের ভোটের লাইনে দাঁড় করিয়ে দেয়। এর ফলে পশ্চিমবাংলায় মুসলিমরা অনুপ্রবেশ করে এখানে হিন্দুদের নিরাপদ বসবাসকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশের জনভিত্তিক সীমানা প্রায় ২৫ কি.মি.পশ্চিমবঙ্গের ভেতরে ঢুকে গেছে। পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম জনসংখ্যার শতকরা হার ২০০১ এ ২১%, ২০১১ তে ২৯%, এবং বর্তমানে ৩০%+; এই মুসলিম ভোটের লোভে কংগ্রেস, বামফ্রন্ট এবং মমতা, মূলত পশ্চিমবঙ্গকে ইসলামিক রাজ্যে পরিণত করার অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে এখন প্রায় মুসলিম রাজ্য বানিয়ে ফেলেছে। মমতা এখন নামে মাত্র হিন্দু শাসক। এখানের শাসক প্রকৃতপক্ষে মুসলিমরাই। তাই সব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় মুসলিমদের কল্যান ও উন্নতির জন্য। হিন্দুরা এখানে অপাঙক্তেয়। ফলে বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুরা মার খেলেও পুলিশ প্রশাসন হিন্দুদের সাহায্যে এগিয়ে আসে না। তারা ব্যস্ত থাকে মুসলিম স্বার্থ রক্ষায়। এভাবে চলতে থাকলে আর কিছুদিন পরেই পশ্চিমবঙ্গ যে একজন মুসলিম মূখ্যমন্ত্রী শাসন করবে, এটা প্রায় নিশ্চিত। কারণ, ইতিহাস বলে, মুসলিমরা যেখানেই সংখ্যাগুরু হয়েছে, সেখানেই তারা হিন্দু নেতাদের আর ভোট দেয় বা মেনে নেয় নি। যেমন- কাশ্মির। পশ্চিমবঙ্গের মধ্যেও যেখানে যেখানে মিনি পাকিস্তান গড়ে উঠেছে, সেখানেও কোনো ভোটে হিন্দু লিডার নির্বাচিত হওয়ার আর কোনো সম্ভাবনা নেই। এজন্য মুসলিমরা কোরানের এই ২ আয়াতকে সবসময় মনে রাখে, " সুতরাং তুমি অবিশ্বাসীদের ( হিন্দুদের ) আনুগত্য করো না।" (কোরান-২৫:৫২) এবং " হে বিশ্বাসীগন, বিশ্বাসীগনের পরিবর্তে অবিশ্বাসীদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না ।" (কোরান-৪:১৪৪) পুর্ব বাংলার সমস্ত ক্ষমতা ১৯৪৭ সালেই তো মুসলিমদের হাতে চলে গিয়েছে, আর এখন আস্তে আস্তে পশ্চিম বাংলার সমগ্র ক্ষমতাও মুসলিমদের হাতে চলে যাওয়ার পথে। এভাবেই সমগ্র বাংলার ভূমি ও ক্ষমতা এখন প্রায় মুসলিমদের দখলে । ১৯৪৭ এর আগে থেকেই পূর্ববঙ্গের হিন্দুরা পশ্চিমবঙ্গে আসতে থাকে মূলত একটা নিরাপদ ভূমিতে শান্তিতে বসবাস করার জন্য। কিন্তু সেই পশ্চিমবঙ্গকে আমাদের ভোট ভিক্ষুকরা মুসলিমদের রাজত্বে পরিণত করে ফেলেছে। এরপর, পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুগণ, পালিয়ে গিয়ে কোথায় গিয়ে বসবাস করবেন ? তাই সময় থাকতে সাবধান হোন। মুসলিম তোষণকারীদের বর্জন করুণ। যারা হিন্দুস্বার্থেরকথা বলে তাদের ভোট দিন। মনে রাখবেন, যারা মুসলিম তোষণ করে ক্ষমতায় আসে, তাদের মুসলিম তোষণ করতেই সময় চলে যায়, হিন্দু স্বার্থের দিকে তাকানো এবং তাদের নিয়ে চিন্তা করার মতো সময় ও সুযোগ তাদের থাকে না। আর মুসলিমদের হাতে হিন্দুরা মার খেলেও, ভোট হারানোর ভয়ে ঐসব হিজরা নেতারা মুসলমানদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না, অতীতে নেয় নি এবং ভবিষ্যতে নেবেও না। নদীয়া জেলার ধানতলার গণধর্ষণ (৫/২/২০০৩), কসবার বানতলায় জন্ম নিয়ন্ত্রণ কর্মীদের উপর আক্রমন ও হত্যা (৩০/৫/১৯৯০), কলকাতার নিকটবর্তী দেগঙ্গার মুসলিম আক্রমন (৬/৯/২০১০) এবং ক্যানিং দাঙ্গা(২০/০২/২০১৩), এর জ্বলন্ত উদাহরণ। সুতরাং আরও মার খাওয়ার জন্য মুসলিম তোষণকারীদের ২০১৬ তে আবারও ভোট দেবেন ? না তাদের এখনই "না" বলবেন ??? জয় শ্রীরাম।

No comments:

Post a Comment