Sunday, 2 August 2015

পাক সার জমিন সাদ বাদ -- (পর্ব - ১৮)

এই শতাব্দীর এক অকুতোভয় অনন্য সাধারন বামপন্থী কথা সাহিত্যিক 'হুমায়ূন আজাদ' ও বাংলাদেশের হিন্দু নিপীড়নের উপর তার অমর কালজয়ী সৃষ্টিঃ "পাক সার জমিন সাদ বাদ" -- (পর্ব - ১৮) ------------------------------------------------------------ পর্ব যত বাড়ছে জিহাদের নৃশংসতা, নারীদের উপর ইসলামী বর্বর অত্যাচারের কাহানী ততোই বাড়ছে। তাই পড়ুন। আজকের এবং আগামী পর্বগুলো কেউ মিস করবেন না।। ----------------------------------------------------------- আমার জিহাদিদের ছহবতের শক্তি আমাকে মুগ্ধ করে, অজস্র হুর কেন দরকার আমি রাতের পর রাত বুঝতে পারি। আমার মেইন পার্টির নেতা বিখ্যাত খিলজি ছৈয়দ ছব্দর আলি বল্টু ঠান্ডা আগুনকে গরম আগুনে পরিনত করে, কিন্তু আমি অকাজে গরম হতে চাই না। যা চাই, তা পেলে গরম হওয়ার কি দরকার? আমার জিহাদিরা মালাউন পাড়ায়ই হুর লাভ করে, রাহমানির রাহিম এতো হুর যে জিহাদিদের জন্য পাঠিয়েছিলেন, তা আমি ভাবতে পারিনি। মালাউন পাড়াগুলো নানারকম হুরের পল্লী, ওগুলো হুর স্বর্গ। যারা আল্লার কাজ করে, আল্লা তাদের তৌফিক ডান করেন; কিন্তু এত তৌফিক দেবেন, তা ভাবিনি। জিহাদিরা ছহবতের পর ছহবত করতে থাকে, কিন্তু একটু টুঁ শব্দও করেনা মালাউন হুরগুলো; ওরা জানে জিহাদিদের সাথে তারা পারবে না। মাঝখান থেকে তাদের ক্ষতি হবে, মুখ দেখাতে পারবে না। এই হুরগুলো কি সবাই পিল খেয়ে আমাদের জন্য প্রস্তুত ছিল? টাকা পয়সায় আমাদের বস্তা ভরে উঠে। এটাই আসল দরকার। আমি অবাক হই হুন্ডি করে টাকা পাঠানোর পরও ওদের ঘরে এত টাকা? ঠিক ইহুদিদের অত, আর কিছু ছিল না, টাকা ছিল। জিহাদি মোঃ হাফিজুদ্দিন এক অপুর্ব প্রস্তাব নিয়ে আসে আমার কাছে। সে বলে, ‘হুজুর, মালাউন ছহবতে ত গুনাহ নাই’। আমি বলি, ‘না’। সে বলে, ‘হুজুর আমার দিলে একটা খায়েশ অইছে’। আমি বলি, ‘কি খায়েশ, মোঃ হাফিজুদ্দিন?’ সে বলে, ‘আমার খায়েশ চার বিবির লগে একসঙ্গে ছহবত করুম’। সে একটি ঘরে মা, দুই মেয়ে, ও এক নব বধূকে পেয়েছে; তাদের ঘরে আতকে রেখে আমার কাছে এসেহে দোয়া নেওয়ার জন্য। বিজয়ের ওই অপূর্ব সময়ে বাধা দেওয়া অমানবিকতা হতো, আমি বাধা দিই না’। আমি বলি, ‘তোমার খায়েশ তুমি পূর্ন করো, খায়েশ পূর্ন না হলে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে, তোমার এখন সুস্থ থাকা দরকার’। তার বডিগার্ডরা তাকে পাহারা দেয়, সে একের পর এক মা , দুই মেয়ে ও নববধূর সাথে ছহবত করে-খায়েশ পূর্ণ করে, ঘন্টা দুতেক সময় নেয়, চারজনের জন্য ১২০মিনিট বেশি সময় নয়, হয়তো চরম সুক্ষ পেয়ে সে রিপ্লে করে, যেমন এক্স এক্স এক্সের সময় করে; যখন সে বেরিয়ে আসে দেখি সে নওজোয়ান হয়ে গেছে; তবে ওই বারী থেকে বেরোনোর সময় দেখি বাপটি ও মরদ ছেলেটি গলায় দড়ি দিয়ে আম গাছের সাথে ঝুলছে। কেউ যদি আমাগাছের ডালে ঝুলে সুখ পেতে চায়, তাহলে তার সুখে আমি বাধা দিতে পারিনা; সকল প্রকার সুখে আমি বিশ্বাস করি। পরে মা, দুই মেয়ে ও নববধূটি আম গাছের ডালে ঝুলেছিল শুনেছিলাম; তা ঝুলুক, শ্রাবনের ঝোলনে ঝোলার অভ্যাস ওদের আছে; গাছের সঙ্গে ঝুলে যদি ওরা পুলকিত হয় আমি কি করতে পারি? ছহবত আমারও দরকার, কিন্তু জিহাদিদের মতো, মোঃ হাফিজুদ্দিনের মতো, যাকে তাকে ঘরের মেঝেতে চিত করে ফেলে দাপাদাপি করে টানাটানি করে ছহবত আমাকে মানায় না। আমার তেমন রুচিও নেই; আর আমি যদি জিহাদিদের মতো যাকে তাকে ছহবত করি, তাহলে তারা মাকে মানবে না; আমি নেতা নেতার মতই আমাকে ছহবত করতে হবে। এতে কোনো গুনাহ নেই; আমি জামাঈ জিহাদে যোগ দেওয়ার পর অনেক কিতাব পড়েছি, যুদ্ধের পর গনিমতের মাল কিভাবে ভোগ করতে হয় আমি জানি। এখন সেই মহান যুগও নেই যে মিশর বা সীতারামপুর থেকে কেউ আমকে একটি দুইটি রুপসী দাসী পাঠাবে; তাই আমার রীতিতেই আমি কাজ করি। গোটা দশেক উর্বশী আমার পছন্দ হয়। শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি কবিতা পড়ার পর নহ মাতা নহ কন্যাদের জন্য আমার স্বপ্ন জেগে উঠেছিল; চিত্ত আত্মহারা হয়েছিল, রক্তধারা কেঁপেছিল, আমি তো পুরুষ। আমি ওদের দিকে জিহাদিদের হাত বাড়াতে দিইনা এবং তাদের পিতাদের আমি একটি বিশেষ বরকত দিই। উর্বশীদের পিতা হওয়ার জন্য বিশেষ বরকত তাদের প্রাপ্য, কৃতিত্বের জন্য সকলেরই বরকত প্রাপ্য।

No comments:

Post a Comment