এক অনন্য সাধারন বামপন্থি 'হুমায়ূন আজাদ' এবং বাংলাদেশের হিন্দু নির্যাতন নিয়ে তার অমর কালজয়ী সৃষ্টিঃ
"পাক সার জমিন সাদ বাদ"-- পর্ব ২০
------------------------------------------------------------
পর্ব যত বাড়ছে হিন্দুদের নারীদের উপর ইসলামি জিহাদের বর্বরতার কাহিনী ততই বাড়ছে। তাই পড়ুন, ইসলামি জিহাদ বিষয়ে আগাম সতর্ক হোন...
---------------------------------------------------------
আমার পছন্দের উর্বশীরা(হিন্দুযুবতীরা) কুমারী।
আসলে তারা সেই কাজ করেছে কি না জানি না, মালাউনগুলো(হিন্দুরা) কি না করে পারে? এটাই ত ওদের প্রিয় খেলা। তবে বিয়ে হয়নি, আর সতীচ্ছেদের ও বিছানায় রক্তপাতের প্রতিও আমার মোহ নেই; আমি তো সতীচ্ছেদ ভাতে মেখে খাব না, আর অনেক রক্ত আমি দেখেছি, একটু খানি পর্দা ছেঁড়া রক্ত দেখার সাধ আমার নেই। দেহখানি, স্তনগুচ্ছ, আর মুখখানি সুন্দর হলেই হয়, আমি যোনী নিয়ে সতীচ্ছেদ নিয়ে মাথা ঘামাই না; আমার মাথার ঘাম পায়ে ফেলার অসংখ্য কর্মকান্ড রয়েছে।
তাদের পিতারা মাথা নীচু করে থাকে, এটা অভিনব কিছু নয়। নীচু মাথাই আমি পছন্দ করি, এতে আমি আমার মহিমা পরিমাপ করতে পারি। নিজের সামনে অন্যের নীচু মাথা দেখলে আমার মাথাটি আকাশে ঠেকে।
পিতাদের বলি, ‘আপনাদের জানমাল আমার হেফাজতে, আপনাদের একুটুও ক্ষতি কেউ করতে পারবে না, আপনাদের টাকা পয়সাও নেব না’।
তারা পায়ে এসে পড়ে বলে ‘হুজুর’।
আমি একেকজনের জন্য একেকটি দিন ঠিক করে দিই।
কমলকলি, মাধুরিলতা,সুবর্ণলেখা, রাজলক্ষ্মী, মায়ারানী, চম্পাবতী, মঞ্জুরানী এই ধরনের নাম তাদের; তাদের দেখার সময়ই আমি সুগন্ধ পাই, তারা জিনিশ খুব ভালো, সোভানাল্লা। মঞ্জুরানীটা আবার এম.এ পাশ, শুনেছি চাকুরির নামে শহরে খানিকিগিরি করে, চাকুরিও করে, এতে আমি দোষ দেখি না, একটু বাড়তি আয়ের ব্যবস্থা সবারই থাকা দরকার; একটা এম.এ পাশ জিনিশ চাখার ইচ্ছে আমার অনেকদিনের, ওই টিকেই আমি প্রথম আপায়েনমেন্ট দিই। কিন্তু দেখি পাশ হলেই জিনিশ ভালো হয় না।
পিতাদের বলি, ফজরের আগেই একেকজনকে আমার গোলাপ-ই-সাহারায়পৌঁছে দিতে হবে, কেউ জানবে না। সম্ভবত আরব্যরজনীর আমর কাহানী আমার মাথায় তখন কাজ করছিলো, তবে ফজরে গর্দান নেওয়ার বা রাতের শাহেরজাদির গল্প শোনার কোনো ইচ্ছে আমার ছিল না; কাজ না করে রাতভর যে গল্প শোনে সে অবশ্য স্টুপিড।
উর্বশীদের পিতা হওয়ার জন্য তারা আমার কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা পায়, দু-একটি গ্রাম আমি তাদের দান করতে পারি না, তবে তাদের টাকা পয়সা আমি নিই না, বাড়িঘর জমি আমি দখল আমি করি না; এটা তাদের প্রাপ্য; এজন্য তাদের আমার কাছে কৃতজ্ঞ থাকার কথা।
তবে ইহুদি আর মালাউনরা কবে কৃতজ্ঞ থেকেছে, ওরা মোনাফেক।
ওই মালাউন উর্বশীগুলো আমাকে অপছন্দ করেনি।
আমি তাদের সুখ দিয়েছি, জিহাদিদের মত আমি পুরোপুরি বর্বর বেদুইন হয়ে উঠতে পারিনি, তারাও আমাকে সুখ দিয়েছে; তাদের ঘরবাড়িগুলো আমি বাঁচিয়েছি। ঘরবাড়ি বড় না দেহের একটু ছোট্ট জায়গা বড়ো? আমি অবশ্য একটু ছোটো জমিতে, এক কাঠা জমিতে চাষ করতে পছন্দ করি না। আমি চাষ করি সারা দেহ জমি ভরে, এটা তারা পছন্দ করে, সোভানাল্লা।
No comments:
Post a Comment