Monday, 3 August 2015

পাক সার জমিন সাদ বাদ -- পর্ব ১৯

এক অনন্য সাধারন বামপন্থি 'হুমায়ূন আজাদ' এবং বাংলাদেশের হিন্দু নির্যাতন নিয়ে তার অমর কালজয়ী সৃষ্টিঃ "পাক সার জমিন সাদ বাদ"-- পর্ব ১৯ ------------------------------------------------------------ পর্ব যত বাড়ছে হিন্দুদের নারীদের উপর ইসলামি জিহাদের বর্বরতার কাহিনী ততই বাড়ছে। তাই পড়ুন, ইসলামি জিহাদ বিষয়ে আগাম সতর্ক হোন... --------------------------------------------------------- একেকটি উর্বশীকে আমি মেপে মেপে দেখি; ঠোঁট দেখি, মোটা ঠোঁট আমার পছন্দ; জিভ দেখি, মোটা ধারালো চ্যাপ্টা খসখসে জিভ আমার পছন্দ; স্তন দেখি, মাঝারি স্তন আমার পছন্দ, পানিভরা ব্লাডাররের মতো স্তন আমি সহ্য করতে পারিনা; উরু দেখি, সরু মাংশল উরু আমার পছন্দ। আমার মনে হয় আমি মধ্যযুগের ক্রীতদাসীদের হাটে গেছি, বেছে বেছে ক্রীতদাসী কিবছি; আমার অবশ্য পয়সা লাগবে না। আমি তাদের দয়ায় করি; আমার মেইন পার্টির খিলজি ছৈয়দ আলি বল্টু বা আমার দুই নম্বর জিহাদি তা করে না, তাতে একটু গোলমাল হয়। কিন্তু গোলমাল আমাদের কাছে গানের মত, আমরা যে গোলমালই করিনা কেনো, সেটা গিয়ে পড়ে আমাদের আগের মেইন পার্টির ঘাড়ের উপর। আমার মেইন পার্টির খিলজি ছৈয়দ মোঃ ছব্দর আল্লি বল্টু ও তার দলের অসামান্য কৃতিত্বের উপাখ্যান আমি এখানে বলতে চাই না, সেটা খুবই দীর্ঘ ও মহৎ। জিহাদি না হয়েও যে সে ও তারা এতোটা জিহাদ করতে পারে, তাতে আমি বিস্মিত হই। সে পছন্দ করে প্রথমে গুলি করতে, তারপর আগুন লাগাতে, তারপর লুঠ করতে, তারপর ছহবত করতে; এবং তার আদর্শ অন্যান্য খিলজিরাও মেনে চলে। হোসেনপুররে আগে দুর্ধর্ষ শেখ ছিল আগের মেইন পার্টির কুদরত মোল্লা। সে চেয়ারম্যান ছিল; অসি তাকে পা ধরে সালাম করতো, ইউএনও তাহে ‘স্যার’ বলতো, সে থুতু খেতে বললেও ইউএনও আর অসি থুতু চাটার জন্য কামড়াকামড়ি করতো। কিন্তু এখন কোথায় সেই কুঁদরত মোল্লা? কেউ চিরকাল থাকে না। খিলজি ছৈয়দ মোঃ ছব্দর আলি বল্টু প্রথম তার বাড়িতে আগুন লাগায়, তার গুন্ডা ছেলে দুটির লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়, বউটাকে পুড়িয়ে মাররে, কুদরত মোল্লাকে অবশ্য পাওয়া যায় নি, ইন্তু পাওয়া যায় তার কিশোরী ও একটি যুবতী মেয়েকে; তাদের সে একা ছহবত করেনি, একশো জন মিলে ছহবত করে, পরে তাদের বিলে ফেলে দেয়। একটু দয়া সে করেছে, বিলে ফেলে দিয়েছে; ছহবতের পর পুড়িয়েও মারতে পারত। খিলজি ছৈয়দ মোঃ ছব্দর আলি বল্টু মেইন পার্টির, ব্যাটা একটু গাধাও, কোনো ট্যাক্ট জানে না; একদিন বুঝতে পারবে ট্যাক্ট ছাড়া কাজ করলে কি ফল পেতে হয়। আমি ট্যাক্ট শিখেহি ইতিহাস থেকে, ও শেখে নি। আমার কষ্ট হয় খিলজি ছৈয়দ মোঃ ছব্দর আলি বল্টুর জন্য; ও হয়তো একদিন অন্য কোনো খিলজির হাতেই শেষ হয়ে যাবে; ও অন্য খিলজিদের কিছু দেয় না, ও জানে না শুধু যোনিতে পেট ভরে না, টাকাও লাগে। টাকাগুলো সব ছব্দর আলি ঘরে তুলছিলো, আর তার খিলজিরা ধাতু খরচ করে করে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল; টাকা ছাড়া যে ধাতু উতপন্ন হয় না, এটা সে বুঝতে পারেনি; সে ধর্মের কোনো বই পড়েনি।

No comments:

Post a Comment