Friday, 2 October 2015

সাম্যবাদ‬-৩

‪#সাম্যবাদ‬-৩ নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া কৈশোর - দীপু বিশ্বাস, তথ্যপ্রযুক্তি আইনে তাকে গ্রেফতার করেছে বাঙলাদেশের বীর পুলিশবাহিনী ! তার অপরাধ ফেসবুকে ইসলাম অবমাননা হয় এমন মন্তব্য করেছে সে ! এতে ভয়াবহভাবে আহত হয়েছে কতিপয় মানুষের ধর্মানুভূতি !! নিচের অংশটুকু কষ্ট করে পড়ুন- ~ " ফেসবুকে দীপুর কথিত এক মন্তব্যে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ওই মন্তব্যে ‘ইসলামের অবমাননা হয়েছে’ অভিযোগ করে সন্ধ্যার পর সিংড়া বাজার থেকে মিছিল নিয়ে দিপুর বাড়িতে হামলা করতে যায় একদল লোক। এ সময় স্থানীয় সিংড়া ফাঁড়ি ও শালিখা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পুলিশ সুপার একেএম এহসানুল্লাহসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে গিয়ে দিপুকে গ্রেফতার ও শাস্তির প্রতিশ্রুতি দিলে এলাকাবাসী শান্ত হয়।" ~ ছেলেটা কিছু একটা লিখেছে, মেনে নিলাম। মেনে নিলাম তার লেখা আপনাদের কষ্ট দিয়েছে, আপনাদের ধর্মানুভূতি আহত হয়েছে। কিন্তু আমার জিজ্ঞাসা, "আপনারা কি শুধুই একেকজন মুসলিম? কখনো কি মুসলিম- ট্যাগটা সরিয়ে একজন সত্যিকার মানুষ হতে পেরেছেন?বা হতে চেয়েছেন?" দীপু কেন এরকম লিখা লিখলো সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। আগে বলি, সাম্প্রদায়িকতারমতো এতো জটিল আর দুর্বোধ্য শব্দের অর্থ সম্পর্কে কিইবা বুঝে এই কিশোর ছেলেটা? নিঃসন্দেহে সে নাস্তিক নয়, কারণ এই বয়সে নাস্তিকতার মতো একটা গুরুতর ধারণা বা মতবাদ সম্পর্কেও তার দক্ষতা থাকার কথা নয়। তাহলে বলতে পারি অনেকটা বয়সের স্বাভাবিক উত্তেজক প্রতিক্রিয়া বা অপরিণামদর্শীতারফলই তার এই কথিত ইসলাম অবমাননা। তাহলে এ কেমন সমাজ? এ কেমন মূল্যবোধ যা একটা অবুঝ কিশোরের একটা ভুলকে (ধরে নিলাম সে প্রকৃতপক্ষেই ভুল কিছু লিখেছিলো) মমতা আর উদারতায় ক্ষমা করে দিতে পারে না? এ কেমন সমাজ যা অপ্রাপ্তবয়স্ক এক কিশোরের ক্ষেত্রে একটিবারের জন্য ধর্মান্ধতার শৃঙ্খল ছিড়ে "মানুষ" হয়ে উঠতে পারে না? ~ হাস্যকর লাগলো পড়ে যে এই তুচ্ছ ঘটনায় ওর বাড়িতে পর্যন্ত হামলা করতে গিয়েছিলেন বীর পুরুষেরা, অতঃপর প্রশাসন "শাস্তির"(!!!) নিশ্চয়তা দিলে তারা শান্ত হয় ! হায়্রে আমার সোনার সমাজ !! . এবার আসি দীপু বিশ্বাসদের উত্থান এবং তাদের এহেন ধর্ম অবমাননার কারণ প্রসঙ্গে । ~ খুব সংক্ষেপে কোন প্রকার ভনিতা ছাড়া বললে বলতে হয়, আমাদের দেশে শত শত দীপু বিশ্বাস উত্থানের কারণ এই সমাজের লাখো কুৎসিত- বিকৃত, সাম্প্রদায়িক মনোভাবের মৌলবাদী শক্তি - যাদের একেকটা অংশকে আমরা "ফারাবি শফিউর রহমান" নামে চিনি! -এই ফারাবি'রা প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে শত শত দীপু বিশ্বাসদের তৈরী করছে তাদের হিংসাত্মক আর নোংরা সাম্প্রদায়িক লেখনী দ্বারা! আপনি একবার ফারাবিদের লেখা পড়েন, আমার কথার সত্যতা পাবেন। এই সমাজ ফারাবিদের, তারা জানে তাদের শক্তির বাহার, জানে বাঙলাদেশ তাদের, আর তাই প্রত্যেকটা লেখায় যথেচ্ছভাবে অপমান করে চলেছে একটা নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে! ~ নাহ, রাষ্ট্রের সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করার ফুরসৎ নাই! কেননা দীপুদের গ্রেফতার করে শেষ করা যায়, কিন্তু ফারাবিদের গুণেও শেষ করা যায় না! দীপু বিশ্বাসের মতো একজন অবুঝ- অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরকে গ্রেফতার করায় বোঝা গেলো রাষ্ট্রযন্ত্রে কি পরিমানে মরীচা জমে গেছে! এই রাষ্ট্রযন্ত্র সচল নয়, হতে পারে না; বিকল- অথর্ব এই রাষ্ট্রযন্ত্র! এই রাষ্ট্রযন্ত্র অন্ধ, এরা সরলমনা দীপুদের চেনে,কিন্তু তাদের যারা সৃষ্টি করে; যারা তাদের নিষ্পাপ মনে হিংসার বীজ বপন করে ; হিন্দুদের "মালাউন" নামক ভুল আর বিকৃত শব্দে আক্রমণ করে, তাদের বিশ্বাসের মূল বস্তু-ঈশ্বর, দেবদেবীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে যারা প্রতিনিয়ত হিন্দুদের অনুভূতিতে নির্দয়ের মতো আঘাত করে চলেছে সেই শফিউর ফারাবিদের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রযন্ত্র নির্বিকার - অলস- অকর্মণ্য !! ~ মাননীয় রাষ্ট্রযন্ত্র, ৫৭ ধারা কি শুধু হিন্দু আর নাস্তিকদের জন্য? তাহলে এক কাজ করুন,সর্বাগ্রে ৫৭ ধারাকে জোরপূর্বক মুসলমানি করে মুসলমান করে নিন।। কপি ‪#অভি‬জিৎ

মুসলিমকে গো-হত্যার মিথ্যা অভিযোগে পিটিয়ে মারা হয়েছে বলে অনেক কথা বলা হচ্ছে..

যেখানে উত্তরপ্রদেশে একটা মুসলিমকে গো-হত্যার মিথ্যা অভিযোগে পিটিয়ে মারা হয়েছে বলে অনেক কথা বলা হচ্ছে.. কিছু হিন্দুকেও দেখলাম নিজের ধর্ম নিয়ে বাজে কথা বলছে.. RSS, BJP, VHP, হিন্দু সংগঠনকে নিয়েও অনেক বাজে কথা বলছে.. আমি তাদের নাম না করে তাদের উদ্দেশ্যে শুধু একটা প্রশ্ন করতে চাই.. তোমরা আদৌ তোমাদের ধর্মকে ভালোবাসো তো?? দেখো Secularism কে সাপোর্ট করা খারাপ না.. কিন্তু সেই সাপোর্টটা সব ধর্মের ক্ষেত্রে সমান হওয়া চাই.. তবেই তাকে বলে ধর্মনিরপেক্ষতা.. এই যে মুসলিমদের হয়ে এত কথা বলছো.. যখন হিন্দু ধর্মের ওপর আঘাত হানা হয় তখন কটা মুসলিম হিন্দু ধর্মের হয়ে কথা বলে?? গনতান্ত্রীক দেশ.....কোন দেশটাকে গনতান্ত্রীক দেশ বলতে চাইছো......যেখানে উস্তি, রাজাবাজার, ক্যানিং এর হিন্দু পেটানোর খবর চেপে যাওয়া হয়.....নদিয়ায় তিনজন বৈষ্ণবকে মুসলিমরা পিটিয়ে মেরে ফেলল তখন কোথায় ছিলো তোমার ধর্ম নিরপেক্ষতা?? .....আজ মুর্শিদাবাদের অবস্থাটা দেখেছো একবার, কোনও হিন্দু সেখানে স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারছে না.....যেখানে মালদায় মহিলা রাজ্য ফুটবল খেলা বন্ধ করে দেওয়া হয় ফতোয়া দিয়ে......যেদেশে কাশ্মীর নামক একটি রাজ্যে হিন্দু নিধন চলে অথচ আমরা চোখে কিছু দেখি না.....মুসলিম জঙ্গি বুক ফুলিয়ে অবজ্ঞার সুরে বলে " হিন্দুওকো মাড়নে মে বহুত মজা আতা হ্যায় ".......যেখানে মুসলিম নেতা আকবর উদ্দিন ওয়েসী উন্মাদ মুসলিম জনসভায় বির দর্ভে ঘোষনা করে যে 15 মিনিট সময় পেলে 100 কোটি হিন্দু কোতল করে দেবো.......লাইক পাবার জন্য আমরা অনেক সত্যকে লুকিয়ে ফেলি.....এটাই হলো নির্লজ্জ সেকুলারিজম.....গো-হত্যার কথা বলছিলে না?? আমি বলছি তোমাকে আমাদের ধর্মে গোরুর প্রয়োজনিয়তা.. এমন একটা সময় ছিলো যখন এদেশের প্রতিটি অঞ্চলে তথা গ্রাম বাংলার কোন পরিবারই গরুহীন ছিলো না। প্রায় প্রতিটি পরিবারের এক বা একাধিক গরু এবং গরু রাখার গরুঘর, বাড়ী সামনে বা পেছনে খড়ের চিন শোভা পেত। সম্ভবতঃ বছর ত্রিশ কিংবা পঁয়ত্রিশেক আগেও কম বেশী এধরনের অবস্হা দেখা যেত। আজ আর সে রকম দেখা যায় না। তবে সমাজের প্রতিটি পরিবারে গরু গুলোর মধ্যে গ্রামের হিন্দু পরিবারের গরুগুলি অধিক যত্ন আত্তি পেত। যত্ন বললে ভুল হবে, বলা যায় নিয়মিত পূজা পেত। আমি আমার মা ঠাকুমাকে দেখতাম প্রতিদিন সন্ধ্যায় গরুর পা শুদ্ধ জল ধুঁইয়ে দিতে, গরুর গায়ে ও ঘরে ধূপ দিতে গরুকে প্রনাম করতে। এছাড়াও বিশেষ বিশেষ দিনে গরুর পা ধুইয়ে কপালে সিঁদুরের ফোঁটা ও গায়ে চালের গুঁড়োর ছাপ দেয়া হতো। নতুন ধানের চাল গুঁড়োর পিঠা বানিয়ে গরুকে খাওয়ানো হতো এবং নিজেদেরও খাওয়া হতো। হিন্দুবাড়ীতে নতুন গরু কিনে আনার পর পা ধুইয়ে সিঁদুরের ফোটা দেওয়া হত। চৈত্র সংক্রান্তিতে পরিবারের বাচ্চাদের নতুন জামা কাগড়ের সাথে গরুর জন্য কেনা কিংবা তৈরী করা হতো নতুন দঁড়ি। এভাবে গরুর প্রতি যথাযথ সম্মান দেখানো হত বলেই হিন্দুরা বংশ পরম্পরায় আজও তাদের গো-মাতাকে সম্মান দিয়ে আসছে.... সনাতনী সংস্কৃতিতে (১) গরু, (২) সংস্কৃত ভাষা (দেবভাষা) ও গীতা – এতিনটি সব সময় গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ স্হান দখল করে আছে। বলা হয়ে থাকে ভগবান বিষ্ঞুর বাহন গোমাতা (গাভী)। অন্যদিকে শিবের বাহন বৃষ (ষাড়), মূলতঃ একারণেই গরুকে সম্মানের চোখে দেখা হয়। শাস্ত্রীয় মতে দুগ্ধবতী গাভীকে মনে করা হয় **‘মাতরঃ সর্বভূতানাং গাবঃ সর্বসুখপ্রদাঃ’ অর্থাৎ সর্বভূতের মাতা বলে। চৈতন্যদেব গরু বিষয় বলেছেন – **‘গো দুগ্ধ খাও তাই গাভী তব মাতা। বৃষ অন্ন উপজায় তাহে তেহ পিতা’।..... **“বেদ, উপনিষদ, রামায়ণ, মহাভারত, পুরাণ, স্মৃতি সকল শাস্ত্রে গোজাতির প্রতি অসাধারণ সম্মান প্রদর্শন করা হয়েছে।..... তবে এদেশের মূল সমস্যা হলো দেশে গরু পালন গনহারে কমে গেছে। এদেশের আজ থেকে ৩০-৩৪ বছর আগের তুলনায় বর্তমানে মাত্র ১০ ভাগ গরুও অবশিষ্ট নেই বিধায় এক্ষেত্রে বড় বাঁধা।.... গরুর প্রতি হিন্দু সম্প্রদায়ের এধরনের সম্মান, শ্রদ্ধার ধর্মীয় কারণ বলা হলেও মূলতঃ এর অর্ন্তনিহিত কারণ বৈজ্ঞানিক ও প্রয়োগিক কারণ।.... এককথায় মানুষের খাদ্য সরবরাহের তথা কৃষিজ উৎপাদন, সুষম পুষ্টি যুক্ত খাদ্যের যোগান, সবোর্পরি প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় গো সম্পদের অবদান অপরিহার্য। মূলতঃ এসব কারণে আদি ঋষিগন গোসম্পদ নিধন করার পরিবর্তে রক্ষায় ও প্রকৃতিতে এর উত্তরোত্তর বৃদ্ধির লক্ষ্যে তাদের অনুসারীদের নানা ভাবে নিদের্শ দিয়ে গেছেন এভাবে – গরুকে স্পর্শ করলে পাপ দূর হয়, গরুর সেবা করলে বিত্তলাভ হয়, গো-দান করলে স্বর্গলাভ হয়; গরুর মস্তকে ব্রহ্মা, স্কন্ধে শিব, পৃষ্ঠে নারায়ণ এবং চরণে বেদ সমূহ অবস্থান করেন। গাভীর লোমে অন্যান্য দেবতারা অবস্থান করেন। আমি হিন্দুধর্ম নিয়ে গবেষণা করি.. হিন্দুধর্মকে আমি শ্রদ্ধার চোখে দেখি.. তাই হিন্দুধর্ম নিয়ে কেউ বাজে কথা বললে কষ্ট হয়.. গো-মাতাকে নিয়ে আমাদের একটা আবেগ আছে যার জন্য আমরা হিন্দুরা গো- হত্যার প্রতিবাদ করি... হিন্দু ধর্মকে তোমরা সাপোর্ট করবে কিনা, গো-হত্যার প্রতিবাদ করবে কিনা তোমাদের ব্যাপার.. তবে একটা কথা মনে রেখো Secularism কে সাপোর্ট করছো ভালো কথা কিন্তু পরে এমন সময় না আসে যে তোমাদের নিজেদের ধর্মের লোক তোমায় সাপোর্ট করবে না..

সত্যম শিবম সুন্দরম

সত্যম শিবম সুন্দরম।সত্যকে জানতে হবে,ধারন করতে হবে না হলে শেষ হয়ে যাবি,যাচ্ছিস তিলে তিলে!!!!!!!!! ' ' ' ' হিন্দুজাতি আজ বহুধায় বিভক্ত।কেউ বৈষ্ণব,কেউ শৈব,কেউ বা অনুকুল ঠাকুর ,কেউ বা হরিচাঁদ ঠাকুর, কেউ বা রাম ঠাকুর। কেউ বা বাল্মিক ,কেউ বা রুহিদাস , কেউ বাবা লোকনাথ। শাক্ত।কেউ হরে কৃষ্ণ জপছে,কেউবা জগবন্ধু,কেউ আবার রামকৃষ্ণ! কেউ দুর্গাপুজাকে প্রধান মানছে,কেউবা কালীপুজা,কেউ আবার গনপতি বাপ্পা! অথচ সবার মধ্যেই আশ্চর্য মিলটা কি জানেন? কেউ ই নিজেদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ,নিজেদের সংবিধান,মানবতার গ্রন্থ,মানবজাতির সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পবিত্র বেদ পড়ছেনা,পড়ার বা জানার চেষ্টাও করছেনা,মানছেওনা! অপরদিকে যারা এটি জানার,এটিকে মানার চেষ্টা করছে সেই আদি অকৃত্রিম বৈদিকধর্মের অনুসারী বৈদিকদের ই উল্টো প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে,"আপনারা কার বা কিসের অনুসারী?" এর উত্তরও বিশ্বকোষ বেদ দিচ্ছে সুনিপুনভাবে- "আমি অনুসরন করি ন্যয়ের পথ ঠিক যেভাবে সূর্যরশ্মি সকলকে আলোর পথ অনুসরন করায়।আমি অগ্রসর হই সত্যের পথে।আমি অনুসরন করি সপ্তর্ষির পথ,পবিত্র বৈদিক ঋষিগনের পথ,ব্রহ্মের কর্তৃক প্রবর্তিত পথ,বেদ কর্তৃক প্রদর্শিত পথ!এটিই আমার শক্তি ও শান্তির গৌরব ও মর্যাদা এনে দেয়!" (অথর্ববেদ ১০.৫.৩৭-৪০) বৈদিকরা কোন মানুষের,কোন প্রভু বা গুরুর বানানো মত বা পথের অনুসারী নয়।সৃষ্টির শুরুতে সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক প্রদর্শিত যে ন্যয়,মানবতা ও যৌক্তিকতার পথ তথা বৈদিক পথ যা সকল বৈদিক ঋষিগন পালনের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন,আমরা সেই পথের ই অনুসারী। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ

গান্ধী বিশ্লেষন ও হিন্দুদের কর্তব্য

গান্ধী বিশ্লেষন ও হিন্দুদের কর্তব্য ভারতে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন শুরু হয় স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুধর্মের নবজাগরনের প্রয়াসের অঙ্গ হিসাবে।অরবিন্দ ও তিলকের প্রয়াসে কংগ্রেসেও হিন্দুত্বের ভিত্তিতে জাতীয়তাবাদ বলশালী হয়।ইংরেজরা হিন্দুজাগরনে প্রমাদ গোনে কারন হিন্দুত্ব শুধু ভারত নয় গোটা পৃথিবীকে বদলে দিতে পারে।ব্রিটিশরা তাদের চিরকালীন দালাল মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীকে কংগ্রেসের নেতা বানিয়ে দেয়।ব্রিটিশদেরউদ্দেশ্য ছিল দুটি ১ হিন্দুদের ধীরভাবে কিন্তু সম্পর্ণ ধ্বংস করা ২ ভারতকে কখনোই মুক্ত না করা বা রাজনৈতিক আংশিক স্বাধীনতা হলেও তা যেন কখনো ব্রিটিশ প্রভাব মুক্ত না থাকে।গান্ধী ও তাঁর নেতৃত্বে তৈরী দুষ্টচক্র কংগ্রেস এইদুই স্বার্থে কাজ করে গেছে এবং এখনো তাই করছে।গান্ধী,তারব্রিটিশ প্রভুদের নির্দেশে বাহ্যিক ভাবে হিন্দু সাধুর ভঙ্গিমা ধারন করে এবং বিকৃত ভাবে হিন্দুধর্মের ব্যাখা ব্রিটিশের স্বার্থে করতে থাকে।গান্ধীর পোষাক,ধরনধারনেরকারন ছিল হিন্দুর বিশ্বাস অর্জন করে মানসিক ভাবে তাদের দাসে পরিনত করে তাদের সম্পূর্ণ সর্বনাশ করা।কারন হিন্দুশক্তিশালীহলেই ভারত শক্তিশালী হবে যা বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যবাদের মরনডঙ্কা বাজাবে। দেশদ্রোহী গান্ধী,কংগ্রেস(এবং কংগ্রেস থেকে সৃষ্ট নানা দল ও কমিউনিস্টরা) হিন্দুদের একতা,সংগঠন,স্বশক্তিকরন ও হিন্দুত্বকে শক্তিশালী করার সম্পূর্ণবিরোধী ছিল(এবং আছে)।দেশবাসীর কর্তব্য হিন্দুর শত্রু-ভারতের শত্রু দেশদ্রোহী গান্ধী,কংগ্রেস ও হিন্দুত্ব বিরোধী সমস্ত শক্তিকে ভারতের বুক থেকে মুছে ফেলার জন্য শ্রম-মেধা-সম্পদনিয়োজিত করা।ঋষি অরবিন্দের শিক্ষা হৃদয়ে ধারন করুন সনাতন ধর্মই ভারতের জাতীয়তাবাদ। হিন্দুত্বের জন্য সংগ্রাম করুন হিন্দুত্বকে বিশ্ববিজয়ী করুন বন্দেমাতরম #জয় হিন্দু

16 U.S. States decided to Ban “Shariah Islamic Law”

http://conservativepost.com/16-u-s-states-decided-to-ban-shariah-islamic-law/

দূর্গাপূজা

দূর্গাপূজাতে পাকিস্তান আমলে কিছু দিন ৫ দিন ছুটি ছিল, জিয়া সাহেব এসে ৩ দিন এরশাদ সাহেব এসে ১ দিন।। # আর, এবার বাঙালি হিন্দুদের কাণ্ডারী এসে দূর্গাপূজার ছুটি তুলেই দিলেন।। # এটি হলও অসাম্প্রদায়িকতার নতুন পদ্ধতি।। নাম : ডিজিটাল অসাম্প্রদায়িকতা।

৩০০ বছরের উর্দু মহাভারত আগলে রেখেছে মুসলিম পরিবার 2 Oct 2015

৩০০ বছরের উর্দু মহাভারত আগলে রেখেছে মুসলিম পরিবার 2 Oct 2015 ••••••••••••○••••••••••••••••••••••••••••••••••••• এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: লখনউয়ের মুসলিম পরিবারের গ্রন্থাগারে সন্ধান মিলল ৩০০ বছরের প্রাচীন মহাভারত। হিন্দু ধর্মের পবিত্র মহাকাব্যটি লেখা হয়েছিল উর্দু ভাষায়। হঠাত্ প্রচারের আলোয় হতভম্ব লখনউ ওল্ড সিটির কারবালা কলোনির পুরনো বাসিন্দা মঞ্জুল পরিবার। পারিবারিক গ্রন্থাগারে সংগৃহীত উর্দু ভাষায় লেখা মহাভারত নিয়ে যে এত হইচই পড়ে যাবে, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি তাঁরা। প্রাচীন দলিল-দস্তাবেজ ঘাঁটতে গিয়ে আচমকা মহাকাব্যের এই সংস্করণ খুঁজে পান বর্তমান প্রজন্মের শরিক ফরমান আখতার। জানা গিয়েছে, ফরমানের প্রপিতামহ রায় বরেলির বাসিন্দা হাওয়ালি হুসেন নসিরবাদী প্রথম নিজের বাড়িতে গ্রন্থাগার গড়ে তোলেন। সেখানেই ঠাঁই পায় বইটি। পারিবারিক বন্ধু তথা ধর্মীয় নেতা ওয়াহিদ আব্বাস বইটি খুঁটিয়ে পড়ার পর জানিয়েছেন, 'এই বই আমাদের সুপ্রাচীন গঙ্গা-যমুনা পরম্পরার চিহ্ন। এই কারণে তার সংরক্ষণ জরুরি।' তিনি জানিয়েছেন, মূল মহাকাব্য উর্দুতে তর্জমা করেন হাজি তালিব হুসেন ও তাঁর বন্ধু দুর্গা প্রসাদ। বইটি ছাপা হয় আরবি হরফে। প্রতিটি অধ্যায়ের মুখবন্ধ লেখা হয়েছিল আরবি ও পারসিক ভাষায়। আব্বাসের মতে, মঞ্জুল বংশের পূর্বপুরুষ শিয়া ধর্মগুরু হজরত ইমাম আলি নকি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ধারক ও বাহক ছিলেন। মঞ্জুল পরিবারের ব্যক্তিগত গ্রন্থাগারে মোট ১০,০০০ বই রয়েছে। আপাতত ৩০০ বছরের প্রাচীন হিন্দু মহাকাব্য পাঠে মগ্ন ফরমানের মা শাহিন আখতার। তাঁর দাবি, মহাভারত পড়ে চিন্তাধারায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। তিনি জানিয়েছেন, গত পাঁচ প্রজন্ম যাবত্ পরিবারের পয়া সম্পত্তি হিসাবে বইটি সংরক্ষিত হয়ে এসেছে। তবে প্রাচীন উর্দু মহাভারতের দৌলতে রাতারাতি বিদগ্ধ গবেষকদের আনাগোনা শুরু হয়েছে মঞ্জুলদের বাড়িতে। শাহিন জানিয়েছেন, 'প্রায়ই আগাম খবর না দিয়ে স্রেফ প্রাচীন বই দেখতে বাড়িতে হাজির হচ্ছেন অচেনা মানুষ।' তাঁদের সবাইকেই অবশ্য আপ্যায়ন করছেন পরিবারের সদস্যরা। ফরমানের ইচ্ছা, উর্দুভাষী পাঠকের সুবিধার্থে বইটি নতুন ভাবে ছাপাবেন। এই মুহূর্তেই সেই কাজে ব্যস্ত লখনউয়ের বাসিন্দা।