রবীন্দ্রনাথ দত্তের ভূমিকা
১৯০ বছর ভারতে রাজত্ব করার পর
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানে
অবস্থার চাপে ইংরেজরা যখন এদেশ
ছেড়ে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছিল তখন
ঝোপ বুঝে কোপ মারার জন্য ভারতে
বসবাসকারী মুসলমানেরা কাফের(ঘৃণিত)
হিন্দুদের সাথে এক থাকলে ইসলাম
বিপন্ন হবে ধুয়া হবে তাদের জন্য
একটা আলাদা মুসলিম রাষ্ট্র গঠনের
মহড়া হিসাবে ১৯৪৬ সালের ১৬ই
আগষ্ট ঢাকা শহরে যে প্রলয় কান্ড
ঘটিয়েছে তার বিস্তৃত বিবরন আমি
আমার লিখিত বইগুলোতে উল্লেখ
করেছি,ঢাকা শহরে ১৯৪৬ সালের
১৬ই অগাষ্টের নিহত হিন্দুদের
মৃতদেহগুলি সম্পূর্ণ উলঙ্গ করে ট্রাক
বোঝাই করে আমাদের পাড়ায় পাঠিয়ে
দেয়া হত।তাতে ছিল উলঙ্গ মহিলা এবং
মস্তকহীন শিশুদের মৃতদেহ বাধ্য হয়ে
ট্রাক থেকে হাত পা গুলি নামিয়ে
গনসৎকার করাতাম।
ট্রাকের পাটাতনে ত্রিপল পেতে দেয়া
হত যাতে রাস্তায় ঐরক্ত না পড়ে।
আমাদের পা রক্তে ডুবে যেত।কলকাতা
শহরের হত্যালীলায় প্রথম তিন দিনে
২০,০০০ লোক নিহত হল,এত লাস
গঙ্গায় ভাসিয়ে দেয়া হয়ে ছিল যে নৌকা
চলাচল দুঃস্বাধ্য হয়ে গিয়েছিল।মানুষের
মাংসে শকুন কুকুরেরও অরুচী ধরেছিল।
এরপর যখন হিন্দু ও শিখরা রুখে দাঁড়াল
তখন মুসলিম লীগ সরকার প্রমাদ
গুনলো।এরপর মুসলীম লীগ বেছে বেছে
বাংলার সবচেয়ে হিন্দু সংখ্যালঘু জেলা
নোয়াখালী তাদের পাকিস্তান
প্রতিষ্ঠার গিনিপিগ হিসাবে ১০ই
অক্টোবর ১৯৪৬ সেখানে হিন্দুনিধন
আরম্ভ হলো।হত্যা লুঠপাঠ
অগ্নিসংযোগ,নারীধর্ষন,বলপূর্বক
বিবাহ,অপহরন,মহিলাদের মাটিতে চিৎ
করে শুইয়ে বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে সিঁথির
সিঁদুর মুছে দেয়া,গরু জবাই করা
রক্তদিয়ে মূর্তীগুলিকে স্নানকরানো
এবং তারপর সেগুলিকে টুকরো টুকরো
করে ভেঙ্গে ফেলার মধ্যে দিয়ে
পাকিস্তান আদায়ের জন্য হিন্দুদের
মনে ভীতি সঞ্চার করার প্রয়াস হল।
এই বর্বরোচিত ঘটনা প্রথম দশদিন
লীগ সরকার গোপন রাখতে সক্ষম
হয়েছিল কারন সমস্ত টেলিগ্রাফের তার
কেটে,রাস্তা কেটে নোয়াখালীকে
বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছিল।এরপর অবস্থা
একটুশান্ত হলে নোয়াখালীতে স্বয়ং
সেবকরা যেতে আরম্ভ করলো।গান্ধীজী
এই হত্যালীলা আরম্ভ হওয়ার ২৫দিন
পরে গিয়ে গ্রাম পরিক্রমা আরম্ভ
করলেন,ইতিমধ্যে ঢাকা থেকে কিছু
স্বেচ্ছা সেবক নোয়াখালী রওনা হলো।
আমিও যাবো বলে মনস্থির করলাম
ঢাকা রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী
জ্ঞানাত্মানন্দের একজন অত্যন্ত
প্রিয়পাত্র এবং মঠের একজন কর্মী
হিসাবে যাত্রার আগের দিন বিকালে
গিয়ে মহারাজের সঙ্গে দেখা করলাম।
তিনি বললেন "তুই যখন যাচ্ছিস দেখত
ঐ প্যাকেটে কিছু বইপত্র এসেছে মনে
হয় নোয়াখালী সমন্ধে খবর
আছে।"তখন মঠের রান্নাঘর থেকে
সবজি কাটার বঁটি এনে প্যাকেটের দড়ি
কেটে এক কোনা থেকে ৭/৮ টা বই নিয়ে
বাড়ি ফিরলাম।রাত্রে বইগুলো চোখ
বোলানোর সময় হয়নি।পরেরদিন ঢাকা
থেকে রওনা হয়ে তারপর পরদিন সকালে
চৌমুহানী স্টেশন থেকে প্রায় ৪মাইল
পশ্চিমে আমাদের গ্রামের বাড়ি
কালিকাপুরে পৌঁছালাম,ইতিমধ্যে অনেক
স্বনামধন্য নেতানেত্রী চৌমুহানীতে
ওখানকার ধনী ব্যবসায়ীদের আতিথ্য
গ্রহন করে তারপর গ্রামগুলির দিকে
রওনা হলেন।আর যারা অত্যন্ত
সাধারন স্বেচ্ছাসেবক প্রানের টানে
সেখানে গিয়েছেন তারাসব আমাদের
বাড়িতে উঠেছে।আমিও তাদের সাথে
উদ্ধার কাজে রওনা হলাম,তাদের
অনেকের নাম আমার আর এখন মনে
নেই তবে শ্রী অমরসরকার,রমেন
চক্রবর্তী,যোগেশচৌধুরীর নাম আমার
বিশেষ করে মনে আছে।তারা কংগ্রেস
সোসালিস্ট পার্টি করতো।গ্রামগুলিতে
গিয়ে দেখি হিন্দুরা সব মুসলমান হয়ে
বসে আছে।পরনে লুঙ্গী,মাথায় সাদা
টুপির ওপর ভারতের মানচিত্র
তারমধ্যে যে অংশগুলি তারা পাকিস্তান
বলে দাবী করছে তা সবুজ রংয়ে
ছাপা,লেখা পাকিস্তান জিন্দাবাদ।
মহিলাদের হাতে শাখা কপালে সিঁদুর
নেই,চোখগুলি জবাফুলের মত লাল।
মন্দিরগুলোর কোন চিহ্ন নেই।আমরা
তাদেরকে বললাম আপনারা চলুন উদ্ধার
করে অন্যত্র নিয়ে যাবো।তারা প্রশ্ন
করলো বাবু আমরা কলমা পড়ে মুসলমান
হয়েছি নামাজ পড়েছি।আমাদের মুখে
গোমাংস দিয়েছে।বাড়ির মেয়েদের
অপহরন করা হয়েছে।হিন্দুরা কি
আমাদের আবার সমাজে নেবে?আমাদের
হাতে কি জল খাবে?আমরা বললাম
আমাদের ধর্মগুরুরা এই নির্দেশ
দিয়েছেন আপনারা বিনা দ্বিধায়
স্বধর্মে ফিরতে পারবেন।তারা
আমাদের মুখের কথা বিশ্বাস করলোনা।
তখন ছাপার অক্ষরের বই পড়তে তারা
বিশ্বাস করলো এবং দলে দলে বাড়ী
ছেড়ে আমাদের সাথে বেরিয়ে এলো।এতে
মুসলমানরা আপত্তি করলোনা।কারন
হিন্দুরা চলে গেলে স্থাবর অস্থাবর
জমিজমা পুকুর তাদের দখলে আসবে।
ইতিমধ্যে এইমধ্যে এই বই এর সংবাদ
দাবানলের মত স্বেচ্ছাসেবকদেরমধ্যে
ছড়িয়ে পড়লো,প্রথম দিনের বইটা তারা
টানাটানি করে ছিঁড়ে যে যা পেরেছে এক
এক পৃষ্ঠা একেক জন নিয়ে গেছে।এই
বইয়ের পৃষ্ঠা দেখিয়ে ধর্মান্তরিত
হিন্দুদের বের করে আনতে আরম্ভ
করলো।এই বইয়ের সংবাদ কোনক্রমে
কংগ্রেস সভাপতি আচার্য কৃপালনীর
স্ত্রী সুচেতা কৃপালনীর নিকটে গেল।
রাত্রে বাড়ি ফিরে এলাম,পরদিন সকালে
৩/৪কপি সঙ্গে নিয়ে গেলাম এবং
সুচেতা কৃপালনীর সাথে দেখা হলো।
বইটায় চোখ বুলিয়ে আমাকে বুকে জড়িয়ে
ধরলেন।বললেন তুই করেছিসটা কি
রবি?এরপর তার সাথে আমার
অনেকবার দেখা হয় আমি তাকে পিসিমা
বলে ডাকতাম।আমার এক পিসিমা
ঊষারাণী গুহরায় সুচেতা কৃপালনীর নারী
উদ্ধারের স্বেচ্ছাসেবিকারকাজ
করতেন।ঐসব কাজে আমার অনেক
নেতানেত্রীর সঙ্গে দেখা হয় তার মধ্যে
শ্রীমতী লীলা রায় এর নাম বিশেষভাবে
উল্লেখযোগ্য।এখানে উল্লেখযোগ্য যে
নোয়াখালি দাঙ্গার নায়ক গোলাম
সারোয়ার ফতোয়া দিলেন সুচেতা
কৃপালনীকে যে ধর্ষন করতে পারবে
তাকে গাজী উপাধীতে ভূষিত করা হবে
এবং বহুত টাকা ইনাম দেয়া হবে।তাই
নিজের সন্মান রক্ষা কল্পে সবসময়
পটাশিয়াম সাইনাইডের ক্যাপসুল গলায়
ঝুলিয়ে রাখতেন।আমার সহৃদয়
পাঠকপাঠিকারা একবার চিন্তা করুন।
যেখানে কংগ্রেস সভাপতির স্ত্রীর এই
অবস্থা সেখানে সাধারন হিন্দুনারীদের
কি অবস্থা হয়েছিল!পররবর্তীকালে
১৯৫০ সালে ঢাকার তথা সমগ্র
পূর্বপাকিস্তানের হিন্দু নিধনের শিকার
হয়ে একবস্ত্রে যখন কলকাতা এলাম
তারপর পিসিমা
(ঊষারানীগুহরায়)আমাকে বলেন চল
লক্ষ্ণৌ থেকে বেড়িয়ে আসি সুচেতাদির
বাড়িতে উঠব।তোকে দেখলে খুব খুশি
হবে।আমি বললাম তিনি এখন একটা
প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তিনি কি
আমাদের কে পাত্তা দেবেন?পিসিমা
বললেন তুই চলনা।
''আমি গর্বিত,আমি হিন্দু" "দিব্যজ্ঞান নয় কান্ডজ্ঞান দরকার" This blog is about Hindu Religion.we are collecting posts from many pages of facebook.some time you think that we giving hate speeches but this is not true we just give information and news. https://m.facebook.com/WERHINDU https://m.facebook.com/nationslisthindu #NationalistHindu
Monday, 14 September 2015
আদর্শ বামপন্থী (ভামপ্যান্টি) কাকে বলে????
আদর্শ বামপন্থী (ভামপ্যান্টি) কাকে বলে????
1. অবশ্যই বিকৃত যৌনরুচির হতে হবে
2. জ্ঞানগম্য কিছু না থাকলেও সবসময় আঁতেলমার্কা ও সবজান্তা ভাব থাকতে হবে।
3. অশিক্ষিত , মেহনতি বা গরিব লোক দেখলেই তাকে দুর দুর ছি ছি করতে হবে, অথচ সারাদিন মুখে কৃষক শ্রমিক বলে ফেনা তুলতে হবে
4. হিন্দু ধর্মের বিরোধতা করে ইসলামের প্রশংসা করতে হবে
5. বিভিন্ন ইসলামিক জঙ্গিদের হামলাকে মুমিনীয় স্টাইলে "ইহা সহি ইসলাম নয়" বলে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীদের চক্রান্ত বলে চালাতে হবে
6. কোনো তথাকথিত লোয়ার কাস্টের হিন্দু দেখলেই তাকে নিচু জাত, ছোটলোক, জানোয়ার বলে গালাগাল দিতে হবে, অবশ্য নিজেদের সাম্যবাদী বলে প্রচার করতে হবে
7. বাবরি মসজিদের জন্য অবশ্যই কান্নাকাটি করতে হবে, এবং বিভিন্নভাবে মুসলিমদের কাছে "হিন্দু মৌলবাদ" রূপে প্রচার, পুনপ্রচার, বারবার প্রচার করতে হবে এবং মুসলিমদের বারংবার মন্দির ভাঙায় উৎসাহদান ও জিহাদের প্ররোচনা দিতে হবে
8. মদ খেয়ে, পার্টি করে, ইফতার করে, ঈদ পালন করে ফূর্তি করে টাকা ওড়াতে হবে, অথচ পূজো এলেই কেন পূজা করা উচিত না এবং পয়সা খরচ হয়, সে বিষয়ে বড় বড় বক্তৃতা দিতে হবে....
...
...
যদি আপনি এসব করতে পারেন, তবেই আপনি আদর্শ ভামপ্যান্টি। নাহলে যতই লাল ঝান্ডা নিয়ে ঘুরুন, ভাম হতে পারবে না কমরেড
শত শত বছর ধরে বৈদিক ধর্মধারার পথ
শত শত বছর ধরে বৈদিক ধর্মধারার
পথকে বাধাগ্রস্ত করার যেসকল
প্রয়াস নীচপ্রকৃতির পাপবুদ্ধিগন
করে আসছেন তার মধ্যে অন্যতম
হল প্রানীহত্যা দ্বারা প্রানীমাংস
ভক্ষনের নৈতিক ভিত্তি প্রতিষ্ঠা
তথা
প্রধানত গোহত্যার পাপকার্যে
প্রসারতা আনায়ন।আর এই প্রয়াস
অত্যন্ত সহজ হয়ে পড়ে যখন এই
বিষয়ে অসচেতন বৈদিক
ধর্মালম্বীদের বৈদিক ধর্মধারার
প্রানস্বরুপ পবিত্র বেদে গোমাংস
ভক্ষনের অনুমতি আছে বলে
প্রচার চালানো যায়।আর ঠিক এই
পন্থাটিই বেছে নিয়েছে কূটবুদ্ধি
অধার্মিকের দল আর তাদের সাথে
যোগ দিয়েছে কিছু জ্ঞানহীন
শূন্যমস্তিস্কেরহিন্দু নামধারী
মাংসলোলুপ কলঙ্ক।আর এই
ধরনের অপপ্রচার সাধারন ধর্মপ্রান
হিন্দুদের জন্য একধরনের মারাত্মক
আঘাতের মত ই যার প্রতিকার ই
আমাদের আজকেই এই প্রয়াস।দুইটি
ধাপে আমরা আজ এই অপপ্রচারের
খন্ডন করব।প্রথম ধাপে আমরা
দেখব যে পবিত্র বেদ আসলে
প্রানীহত্যা নিয়ে কি বলে আর
দ্বিতীয় ধাপে অপপ্রচারকারীদের
দ্বারা প্রচারিত কিছু বেদমন্ত্র যাতে
তারা বেদেগোমাংস ভক্ষনের
অনুমতি আছে বলে প্রচার করে
সেগুলো নিয়ে বিশ্লেষন করা
হবে।প্রথমে আমরা দেখব পবিত্র
বেদ প্রানীহত্যা সম্পর্কে কি
বলে-প্রার্পায়াতু শ্রেষ্ঠতমায় কর্মন
আপ্যাযদ্ধম... অঘ্ন্যা যজমানস্য
পশুন্
পাহি।(যজুর্বেদ ১.১)অনুবাদ-হে মনুষ্য
প্রার্থনা কর যাতে সবসময় তুমি মহত্
কার্যে নিজেকে উত্সর্গ করতে
পার,পশুসমূহ অঘ্ন্যা অর্থাত্ হত্যার
অযোগ্য,ওদের রক্ষা কর।"পাষণ্ড
তারা যারা প্রানীমাংস ভোজন করে।
তারা যেন প্রকারান্তরে বিষ ই পান
করে।" -ঋগ্বেদ ১০.৮৭.১৬অনাগো
হত্যা বৈ ভীমা কৃত্যে মা নো গামশ্বং
পুরুষং বধীঃ।(অথর্ববেদ
১০.১.২৯)অনুবাদ-নির্দোষদের হত্যা
করা জঘন্যতম অপরাধ।কখনো
মানুষ,গো-অশ্বাদিদের হত্যা
করোনা।পশুস্ত্রাঁযেথাঙঅর্থাত্
পশুদের রক্ষা কর।(যজুর্বেদ
৬.১১)অর্থাত্ পবিত্র বেদে মূলত
সকল পশুপাখীদের ই হত্যা না
করতে বলা হয়েছে।তাহলে
হিন্দুসমাজে গোহত্যার ব্যপারে
অধিকতর কঠোর দৃষ্টিভঙ্গী
বিদ্যমান কেন?কেননা মানবসভ্যতার
প্রধান দুটি অনুসঙ্গের সাথে জড়িত
হল গরু তথা গাভী ও ষাঁড়।মানবসভ্যত
ার
প্রধান ভিত্তি কৃষিকার্জ যাতে
অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে বৃষ তথা ষাঁড়।
অপরদিকে মানবশিশুর বেঁচে থাকা তথা
বেড়ে ওঠার জন্য মায়ের বুকের
দুধের পর গোদুগ্ধ ই সবচেয়ে
সর্বোত্কৃষ্ট ও প্রধান ভূমিকা
রেখে চলেছে।এ বিষয়ে
নবদ্বীপের কাজী মাওলানা চাঁদ
কাজী সাহেবের উদ্দেশ্যে
শ্রীচৈতন্যদেবেরসেই বিখ্যাত
উক্তিটি স্মরন করা যেতে পারে-
গোদুগ্ধ খাও গাভী তোমার মাতা,
বৃষ অন্ন উপযায়, তাতে তেঁহো
পিতা।।(চৈতন্য চরিতামৃত আদি
লীলা,১৭.১৫৩)অর্থাত্ দেখো
গোদুগ্ধ খেয়ে আমরা বড় হই তাই
তারপ্রতি আমরা মাতৃঋণে আবদ্ধ হই
আর বৃষ কৃষিকাজে সাহায্য করে
আমাদের জন্য অন্ন উত্পাদন করে
তাই তার প্রতি আমরা পিতৃসম ঋণে
আবদ্ধ হই।এরকম যাদের প্রতি আমরা
ঋণী তাদেরকে হত্যা করা কি
অমানুষের কাজ নয়?এছাড়া বৈদিক
ধর্মের মহাপুরুষ যোগেশ্বর
শ্রীকৃষ্ণ বালককালে একজন রাখাল
ছিলেন,বাছুরদের প্রতি তাঁর স্নেহ
ছিল অসীম।এজন্য তাঁর অপর নাম ছিল
গোপাল।এইসব নৈতিক এবং ঐতিহাসিক
কারনেই হিন্দুসমাজে গোহত্যাকে
কঠোর অপরাধ হিসেবেই দেখা
হয়।দ্বিতীয় ধাপে এখন আমরা
অত্যন্ত প্রচলিত কিছু মন্ত্র
দেখবে যেগুলো নাস্তিক বা
বিধর্মীদের দ্বারা বিভিন্ন
ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে দেখা
যায়এই প্রমান করতে যে পবিত্র
বেদে প্রানীমাংস ভক্ষনের কথা
বর্নিত রয়েছে।"ওই শরীরের
মাংসকে আগুনে পোড়ানো
হল,সকল দেবতাদেরকে উত্সর্গ
করা হল,তাদের সকলকে ডাক,এটি খুব
ই সুগন্ধযুক্ত এবং সুস্বাদু,সকলকে
ভাগ করে দাও..."ঋগ্বেদ
১.১৬২.১১-১২পশ্চিমাদের করা এই
অনুবাদ নিয়ে যারা নির্লজ্জের মত
আনন্দ করছেন তাদের প্রতি
জিজ্ঞাসা,একজন বৈদিক পন্ডিতের
অনুবাদ বাদ দিয়েপশ্চিমাদেরঅনুবাদ
দিয়ে এসব অপপ্রচার চালানো কতটা
যুক্তিসংগত?প্রকৃতপক্ষে এখানে
বাজিনং শব্দটির অর্থ ধরা হয়েছে
অশ্ব যার প্রকৃত অর্থ সাহসী/
শক্তিশালী/দ্রুতগামী।মন্ত্রদুটিতে
আসলে জাতির দ্রুত উন্নতির লক্ষে
নিজের দেহ-মনকে
আত্মোত্স্বর্গ করতে বলা
হয়েছে।অনেকে বলে থাকে
অতিথিগ্ব/অতিথিগ্ন অর্থ হল
অতিথিকে
গোমাংস পরিবেশনকারী।প্রকৃতি
পক্ষে গং ধাতুটির অর্থ ই হল যাওয়া
গতিশীল।অর্থাত্ যিনি অতিথির দিকে
যান বা অতিথিকে পরিবেশন করেন।
অনেকে আবার বেদে গোমাংস
নিষিদ্ধতার স্পষ্ট প্রমান দেখে আমতা
আমতা করে বলেন যে গোহত্য
নিষিদ্ধ হলেও বেদে বৃদ্ধ এবং
বন্ধ্যা,অনুপযুক্তগরু হত্যা করতে বলা
হয়েছে যাদেরকে বলা হয়"বশা"।
প্রকৃতপক্ষে বশা অর্থ মোটেও
বন্ধ্যা গাভী নয় বরং এর অর্থ
ঈশ্বরের ক্ষমতা।এর প্রমান হল
অথর্ববেদ ১০.১০.৪ এ বশা বা
ঈশ্বরের ক্ষমতাকে সহস্রধারা বা
অসীম বলা হয়েছে।বশা অর্থ যদি
বন্ধ্যা গাভী ই হত তবে গাভী কি
করে অসীম হয়?অনেকে বলে
থাকেন যজ্ঞে নাকি পশু বলি করা হত।
তারাএমনটাও বলে থাকেন অশ্বমেধ
যজ্ঞে নাকি অশ্ব আর গোমেধ
যজ্ঞে নাকি গরু বলি দেয়া হত!
আগে দেখে নেই'যজ্ঞ'কে
পবিত্র বেদে কি বলা হয়েছে।
পবিত্র বেদের প্রথম মন্ডলের
প্রথম সুক্তের চার নং মন্ত্রে
যজ্ঞকে 'অধ্বরং' বলা হয়েছে।এই
অধ্বরং অর্থ কি?দেখে নেই
সংস্কৃত ব্যকরন কি বলছে। বৈদিক
ব্যকরন গ্রন্থ নিরুক্ত এর ২.৭ এ
বলা
হয়েছে"অধ্বরাং ইতি যজ্ঞনাম।
ধ্বরাতি
হিংসাকর্ম তত্প্রতিশেধহ।।"অনুবাদ-
ধ্বরা
কর্ম হিংসা ও বিদ্বেষযুক্ত,এর
বিপরীত হল অধ্বরা যেমন
যজ্ঞসমূহ।মহর্ষিযস্ক এই
শ্লোকের ব্যখ্যায় বলেছেন
যে যজ্ঞ অধ্বরা অর্থাত্ সম্পূর্ন
সাত্ত্বিক যেখানে সকল প্রকারের
রক্তপাত,হিংসা বিদ্বেষ অনুপস্থিত।
অর্থা
ৎ যজ্ঞে পশুবলীর কোন
প্রশ্নই আসেনা।আর পবিত্র বেদে
যেখানে শত শত মন্ত্রে পশুহত্যা
নিষিদ্ধ করা হয়েছে,পশুদের
উপকারী জীববলে সেবা করতে
বলা হয়েছে সেখানে যজ্ঞে
পশুবলীর চিন্তা আনাটাও অমূলক!
অশ্বমেধ যজ্ঞ কি?"রাষ্টং বৈ অশ্ব
মেধঃ । অগ্ন হি গৌঃ ।অগ্নির্বা অশ্বঃ
আজ্যং মেধঃ ॥ (শতপথ ব্রাহ্মন
১৩.১.৬.৩)অনুবাদ- অশ্ব হল
রাষ্ট্রের
প্রতীকি নাম(সুপ্রশাসকের
প্রগতিশীল রাষ্ট্র অশ্বের ন্যয়
বেগবান এই অর্থে)।
Sunday, 13 September 2015
কোরানে মেয়েদের সম্বন্ধে
কোরানে মেয়েদের সম্বন্ধে লেখা আছে, মেয়েরা পুরুষদের কাছে শস্যক্ষেত্র মাত্র ওতাদের যেমন খুশী ব্যবহার ও ভোগ করা যাবে (২/২২৩), নারীরা স্বামীর অবাধ্য হলে তাদের উচিত চাবকানো (৪/৩৪) এবং সেক্ষেত্রে স্ত্রীকে আমৃত্যু একটা ঘরে বন্দী রাখতে হবে (৪/১৫), এছাড়া, চারজন স্ত্রী ও অসংখ্য যৌন দাসী রাখা যাবে (৪/৩) যাদের ইচ্ছামত তিন তালাক দেওয়া যায় (২/২২৯)।মহান পবিত্র কোরানের সূরা ৪, আয়াত ২৪ বলে, ‘বিবাহিত পরস্ত্রী মুসলমানের কাছে নিষিদ্ধ কিন্তু, যেসব বিবাহিত অমুসলমান স্ত্রীদের তোমরা জেহাদে ধরে এনেছ তারা তোমাদের জন্য বৈধ। এটা আল্লাহ তোমাদের বিশেষ অধিকার প্রদান করছেন।’অপরদিকে, অমুসলমান নারীকে পথে ঘাটে শ্লীলতাহানি করা যেতে পারে, তবে মুসলমান মেয়েদের নয় তাই পরিচয়পত্র হিসেবেই বোরখার বিধান (৩৩/৫৯), অমুসলমান মহিলাদের জোর করে ধরে এনে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বেশ্যাবৃত্তি করানো কোরান সম্মত (২৪/৩৩)।কোরান স্বীকৃত পৃথিবীর সবচেয়ে জঘন্য অপরাধবলা হয়েছে পৌত্তলিকতাকে অর্থাৎ হিন্দু ধর্ম এবং আমরা যারা এটা মানি তারা নাকি জগতে বিচরণশীল জন্তু-প্রাণির মধ্যে নিকৃষ্টতম (৮/৫৫)। তাই পৌত্তলিকতা যতক্ষন না পৃথিবী থেকে ধ্বংস হয় ততক্ষন হিন্দুদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের তীব্র যুদ্ধ (জিহাদ) চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে (২/১৯৩), এবং এই মূর্তিপূজকদের প্রতি তীব্র ঘৃনা উজার করে তাদের অবিরাম হত্যা করতে বলা হয়েছে (২১/৯৮)।পৌত্তলিক বা আমরা হিন্দুরা তো ইসলাম বা অন্যকারো কোন ক্ষতি করিনি, নিজের মনে, নিজের নিরীহ বিশ্বাসে মূর্তি উপাসনা করছি, কাউকে মারতে, কাটতে বলছি না, তাই হিন্দুদের প্রতি আল্লাহ তথা মহম্মদের এই অকারন রাগ বড়ই আশ্চর্য। মহম্মদ নিজেই কাবায় ৩৬০ টি দেবমূর্তি ও অন্যত্রও অজস্র মূর্তি ভেঙ্গেছিলেন আর মহম্মদ যা করেছেন ইসলামে তাই পবিত্র কর্তব্য (৪/৮০)।কোরান অনুযায়ী, মহম্মদ আল্লাহর দূত, তাঁর অনুসারীরা অমুসলমান কাফেরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে (৪৮/২৯), একজন সাচ্চা মুসলমান তাই কোন অমুসলমানকে ভাই বলে মন থেকেডাকতে পারবে না, তাদের হিন্দুদের মতো সার্বজনীন ভ্রাতৃত্ববোধ নেই। আল্লাহ নিজেই কাফেরদের শত্রু (২/৯৮), তাই কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর যতক্ষন না আল্লহর ধর্ম সমগ্র জগতে প্রতিষ্ঠিত হয় (৮/৩৯)।ভারতীয় দর্শনের দুই মূল ভিত্তি, মানুষ সবাইঅমৃতের পুত্র আর সবাই সুখে থাকুক, সবাই নিরাময় থাকুক। কোন কারনে কেউ যদি অভারতীয় বিদেশী ধর্ম যেমন ইসলাম বা খৃষ্ট ধর্ম গ্রহনকরে তখন কিন্তু আর সে এইগুলো পালন করতে পারবে না কারন সেখানে এসবের স্থান নেই। বিশ্বশান্তির জন্যও তাই ভারতীয় হিন্দুদের সংগঠিতভাবে কাজ করতেই হবে। বাবাসাহেব ভীমরাও আম্বেদকর তাঁর বই ‘রাইটিং এন্ড স্পীচেস’, ভলিউম ৮, এ স্পষ্ট লিখেছেন যে, ধার্মীয় এবং সামাজিক দৃষ্টিকোন থেকে হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে যে পার্থক্য দেখা যায় তা স্থায়ী পার্থক্য। আজও এমন কোন মন্ত্র বা যন্ত্র আবিষ্কৃত হয়নি যা এই পার্থক্যকে মুছে দিতে পারে। কিছু অসাম্প্রদায়িক কথা লেখা বা বলার দায়ে তাই কয়েকজন মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের কাফের বলছে তাদের সমাজ। বাংলাদেশের তসলিমা নাসরিন মৃত্যুর পরোয়ানা মাথায় করে জন্মভূমি বাংলাদেশ ত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল আর আমরা কলকাতায় মুসলিম তান্ডবে ভীত হয়ে তাঁকে এখান থেকেও তাড়িয়ে দিয়েছি। সেই একাকী মহিলার অপরাধ তিনি বাংলাদেশে মুসলিমদের হাতে নির্জাতিত হিন্দুদের হয়ে কলম ধরেছিলেন। অনুরূপভাবে কবি দাউদ হায়দার, আবুল কাসেম ও আলি সিনা হত্যার ফতোয়া নিয়ে কালযাপন করেন বিদেশে লুকিয়ে।সৈয়দ মুজতবা আলি ও কাজী আব্দুল ওদুদকে ঢুকতে দেয়নি ইসলামিক রাষ্ট্র বাংলাদেশ। ভারত ইসলামিক রাষ্ট্র হলে তাঁদের মৃত্যু অবধারিত ছিল।কিন্তু এত জঙ্গী জেহাদীরা যে লড়ছে কিসের আশায়? যারা জিতবে তারা অমুসলমানের নারী ও সম্পত্তি ভোগ করতে পারবে, কোন কাফেরকে নিধন করতে পারলে “গাজী” উপাধি পাবে। বহু ‘গাজী বাবা’ হিন্দু সমাজেও অজ্ঞানতার জন্য বেশ সমাদৃত, কারন সবাই জানে না যে গাজী মানে সে বা তার কোন পূর্বপুরুষ হিন্দু হত্যাকারী। অন্যদিকে যারা জিহাদে মারা যাবেন তাদের বলা হয় শহীদ যা ভুল করে এখন অনেক দেশভক্তকেও বলা হয়! এই শহীদদের জন্য ইসলামিক স্বর্গে ধালাও আয়োজন। কোরান (৪৭/১৫) জানাচ্ছে, তারা সেখানে চিরযৌবন পাবে ও যৌন ক্ষমতা একশগুন বেড়ে যাবে। প্রত্যেক শহীদ সেখানে পাবে ৭২ জন সুন্দরী হুরী যৌন সম্ভোগ করতে ও ২৮ টি সুন্দর বালক সমকামের জন্য। প্রত্যেক যৌন সঙ্গম ৬০০ বছর স্থায়ী হবে ও পৃথিবীতে মুসলমানদের মদ্যপান নিষিদ্ধ হলেও জান্নতে নদী বইবে মদের। এছাড়া, অপূর্ব সব খাদ্য-পানীয়র ব্যবস্থা থাকবে ও চিরযুবতী হুরীদেরবয়স বাড়বে না। যেকোন ভাবে পীড়ন করলেও তাদের কষ্ট হবে না। সব খাবার সেখানে ভালভাবেহজম হ্য় ও মলমূত্র পর্যন্ত হয়না (৭৮/৩৩),এসব কারনেই অনেক মুসলমান জেহাদ করে শহীদ হওয়ার জন্য পাগল। তবে মুসলমান মেয়েরা স্বর্গে গেলে আদেউ কিছু পাবে কিনা সে ব্যপারে কোরান নিশ্চুপ।জেহাদ মোটেই আত্মরক্ষার যুদ্ধ নয় বরং শান্তিপূর্ণ অমুসলমান নগরী বিনা প্ররোচনায় আক্রমন করার কাজ তা কোরানের সূরা ১৭, আয়াত ১৬ তে পাই, “আমি যখন কোন সুখী সমৃদ্ধ কাফের নগর ধ্বংস করতে চাই তখন আগে দূত পাঠিয়ে তাদের ইসলাম কবুল করতে বলি, কিন্তু তারা রাজি না হলে তাদের সম্পূর্ন নাশকরি।”ইসলাম আরো বলে, অমুসলমানরা যেন কখনও মনে না করে তারা আমাদের হাত থেকে পরিত্রান পাবে, তাদের সে ক্ষমতাই নেই (৮/৫৯),অনেকে যে ভাল শান্তিপ্রিয় মুসলিম ও জেহাদী-সন্ত্রাসবাদীমুসলমানে দুই ভাগ করার চেষ্টাকরেন তা অর্থহীন কারন মহামেডান ধর্ম একই রকমএবং জেহাদ নির্ভর। আল্লাহ সে জন্য নবী মহম্মদকে বলেছেন শুধু কাফের নয় মুনাফিক (ভন্ড মুসলমান যারা জিহাদ করা বা তাতে সাহায্য করা থেকে দূরে থাকে) দের বিরুদ্ধেও সংগ্রাম কর ও তাদের প্রতি কঠোর হও, তাদের আশ্রয়স্থল যে জাহান্নম (৬৬/৯),অন্য জায়গাতেও স্পষ্ট বলা আছে, যে যতক্ষন না আল্লাহ জানছেন যে মুসলমানদের মধ্যে কে জেহাদ করেছে ততক্ষন সে স্বর্গে প্রবেশ করতে পারবে না (৩/১৪২)।
কাশ্মীরি পণ্ডিত
কাশ্মীরে পণ্ডিতরা ১৯৪১ সালের
আদমসুমারিতে ছিলেন শ্রীনগর
উপত্যকার জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ।
১৯৮১-তে সংখ্যাটি নেমে দাঁড়ায় ৫
শতাংশে। তখনও অনন্তনাগে ১৯৮৬-
র পণ্ডিত-বিরোধী দাঙ্গা শুরু হয়নি।
পণ্ডিতদের পেটানো, তাঁদের মহিলাদের
ধর্ষণ করা এবং ঘরবাড়ি ও মন্দির
জ্বালিয়ে দেওয়া শুরু হয়নি। শুরু হয়নি
উপত্যকা জুড়ে ১৯৯০-এর তীব্র,
ব্যাপক পণ্ডিত-বিরোধী, ভারত-
বিরোধী স্লোগান, মারধর, নির্যাতন।
তবু বিদ্বেষের লক্ষণগুলো ফুটে উঠতে
শুরু করেছে। অমৃতসর স্বর্ণমন্দিরে
ভিন্দ্রানওয়ালের সশস্ত্র খলিস্তানি
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতীয়
সেনাবাহিনীর অভিযানের ‘জবাবে’
শ্রীনগরের মুসলিমরা আমিরা কাদালের
হনুমান মন্দিরে হামলা চালায়। ঝিলম
নদীতে হনুমানের বিগ্রহ নিক্ষেপ করা
হয়, পুরোহিতরা প্রহৃত হন। ইন্দিরা
গাঁধী শিখ দেহরক্ষীদের গুলিতে নিহত
হলে শ্রীনগরের রাস্তায়, বাজারে-হাটে,
স্কুলে-কলেজে উত্সব পালিত হয়। তার
ঠিক আগের বছরেই ইকবাল পার্কের
জনসভায় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরার
বক্তৃতার সময় একদম সামনের সারির
দর্শকরা নিজেদের যৌনাঙ্গ উন্মুক্ত
করে বসে থাকে। ১৯৮৩-র ১৩
অক্টোবর শের-ই-কাশ্মীর স্টেডিয়ামে
দর্শকরা সারাক্ষণ ভারতীয় ক্রিকেট
দলকে হতোদ্যম করতে ‘পাকিস্তান
জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিয়ে যায় (খেলা
হচ্ছিল যদিও ওয়েস্ট ইন্ডিজের
বিরুদ্ধে), বেঙ্গসরকরকে আধ-খাওয়া
আপেল ছুঁড়ে মারে, গ্যালারিতে পাক
পতাকা ওড়ায়। ’৮৬-র শারজায়
অস্ট্রেলেশিয়া কাপের ফাইনালে চেতন
শর্মার শেষ বলে জাভেদ মিয়াঁদাদের
ছক্কা হাঁকানোর সঙ্গে-সঙ্গে গোটা
শ্রীনগর উপত্যকা উত্সবে মেতে ওঠে।
সেই থেকে প্রতি বছর ভারতের
স্বাধীনতা দিবস ও প্রজাতন্ত্র দিবসে
শ্রীনগর ‘নিষ্প্রদীপ’ থাকে। বিশ্বের
কোথাও কোনও খেলায় পাকিস্তান
ভারতের কাছে হারলেই হিন্দু পণ্ডিতদের
জানালার শার্সি খানখান করে আধলা
ইট এসে ঘরের ভিতর আছড়ে পড়ে।
এগুলো কোনও বানানো গল্প নয়।
ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের অঙ্গরাজ্য
জম্মু-কাশ্মীরেরশ্রীনগর উপত্যকায়
একদা বসবাসকারী, তবে অধুনা
উদ্বাস্তু কাশ্মীরি পণ্ডিতদের
রক্তাক্ত অভিজ্ঞতার কথা। তাঁদের
ভিটে-ছাড়া করতে ভয়-দেখানো শুরু হয়
১৯৮৯ থেকে। হুমকি যে অসার নয়, তা
প্রমাণ করতে একে-একে হত্যাকাণ্ড
শুরু হয় টিক্কালাল টাপ্লু, ভূষণলাল
রায়না, মোহন লাল, অবসরপ্রাপ্ত
বিচারপতি নীলকান্ত গঞ্জু...। প্রথমে
রাতভর, তারপর দিনভর মিছিল-
জমায়েত থেকে
‘নারায়ে তকদির
আল্লা হো আকবর’
ধ্বনি উঠতে থাকে। পণ্ডিত মহল্লায়
হামলার সময় নিকটবর্তী মসজিদের
মাইকে আজানের ধ্বনি বহু গুণ বাড়িয়ে
দেওয়া হয়, যাতে আর্তনাদ বাইরে শোনা
না যায়। ‘হাম ক্যা চাহতে: আজাদি’
কিংবা ‘অ্যায় জালিমো, অ্যায় কাফিরোঁ,
কাশ্মীর হমারা ছোড় দো’ স্লোগান
১৯৯০-এর মধ্যেই সাড়ে তিন লক্ষ
পণ্ডিতকে কাশ্মীর উপত্যকার
ভদ্রাসন ছেড়ে শরণার্থী হতে বাধ্য
করে। দিল্লি থেকে জগমোহনকে
রাজ্যপাল করে পাঠানো হয়। কিন্তু তত
দিনে শুরু হয়ে গেছে দু’হাজার বছরেরও
বেশি কালের স্বদেশ থেকে পণ্ডিতদের
নির্বাসন। তারপর তা চলতেই থাকে।
১৯৯৭-এর মার্চ মাসে সংগ্রামপুরা
গ্রামে ৭ জন পণ্ডিতকে বাড়ি থেকে
বার করে হত্যা করা হল। ’৯৮-এর
জানুয়ারিতে ওয়ান্ধামা গ্রামে শিশু ও
নারী সহ ২৩ জন কাশ্মীরি পণ্ডিতকে
বিনা প্ররোচনায় ঠাণ্ডা মাথায় খুন
করা হয়। ২০০৩-এর মার্চে নদীমার্গ
গ্রামে আবার ২৪ জন পণ্ডিতের
নৃশংস গণহত্যা।
কাশ্মীর উপত্যকা এ ভাবেই
পণ্ডিতমুক্ত হতে থাকে। পণ্ডিত
পরিবারগুলি উদ্বাস্তু হয়ে জম্মুর
শিবিরে তাঁবুতে আশ্রয় নেয়। জম্মুর
তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করতে-করতে ওই
তাঁবুতে কিংবা এক কামরার অপরিচ্ছন্ন
বস্তিতে কোনও মতে সংসার,
ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া, বয়স্কদের
চিকিত্সা ও সকলের ভরণপোষণের
ব্যবস্থা করা, সরকারের কাছ থেকে
রেশনে চাল-গমের ডোল নিয়ে
ক্ষুণ্ণিবৃত্তি।যাঁদের উঠোনে ফলবতী
আপেলের বাগান ছিল, ঘরে ছিল দেওদার
কাঠের বহুমূল্য আসবাব, জম্মুতে
তাঁদেরই চরম অসম্মানের গ্লানি নিয়ে
জীবন কাটাতে হয়। সমধর্মী হিন্দুরাও
শরণার্থীদের ‘উটকো আপদ’ বলেই গণ্য
করে, তাদের মেয়েদের মনে করে
সহজলভ্য, সস্তা পণ্য। দারিদ্রের
সুযোগ নিয়ে এবং উপত্যকায় তাদের
ফেরার সম্ভাবনা কমে আসায় উত্ফুল্ল
মুসলিমরা শ্রীনগরের অভিজাত
এলাকায় তাদের বসতবাড়ি, বাগান
জলের দরে কিনে নিতে জম্মুতে দালাল
পাঠাতে থাকে। যে মধ্যবয়স্ক দালালরা
জম্মুতে টোপ নিয়ে হাজির হয়, দেখা
যায়, তাদের ছেলেরাই উপত্যকায়
হিজবুল মুজাহিদিনের এরিয়া-কমান্ডার।
কাশ্মীরিদের তথাকথিত স্বাধীনতা-
সংগ্রাম কি তা হলে ভূস্বর্গ থেকে আদি
বাসিন্দাদের বিতাড়িত করে
বহিরাগতদের দখল নেওয়ার অভিযান?
কাশ্মীরি পণ্ডিতদের স্বদেশ হারানোরই
উপাখ্যান— আওয়ার মুন হ্যাজ ব্লাড
ক্লটস। আমাদের সকলের চোখের সামনে
গত দু-তিন দশক ধরে এই মর্মান্তিক
ঘটনা ঘটে চলেছে। কিন্তু আমরা (যারা
অবশিষ্ট ভারতের ধর্মীয়
সংখ্যালঘুদের উপর সংখ্যাগরিষ্ঠের ও
রাষ্ট্রের বঞ্চনা ও নিপীড়ন নিয়ে এত
মুখর, তারাই, কী আশ্চর্য) কাশ্মীর
উপত্যকার ধর্মীয় সংখ্যালঘু পণ্ডিত
পরিবারগুলির উপর সেখানকার ধর্মীয়
সংখ্যাগুরুদের চালানো হত্যা-ধর্ষণ-ধর্
মান্তর অভিযান বিষয়ে অদ্ভুত মৌনী।
যেন আমরা দেখতেই পাচ্ছি না যে,
ঘটনাটা ঘটে চলেছে। আর আমরা,
অর্থাত্ ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ মানুষরা যেটা
দেখতে পাচ্ছি না, সেটা তো নিশ্চয়
ঘটছেও না। বরং কট্টরপন্থী হুরিয়ত
নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি যখন
নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়ে উদ্বাস্তু-
করে-দেওয়া পণ্ডিতদের উপত্যকায়
ফিরে আসার আহ্বান জানাচ্ছেন, তখন
দিব্যি তাঁর সেই আশ্বাসে ভরসা রাখছি,
তাকে প্রতারণামূলক মনে করছি না।
কারণ ধর্মনিরপেক্ষতা আমাদের
শিখিয়েছে সংখ্যালঘুর ধর্মান্ধতা ও
জেহাদি মতাদর্শের মধ্যেও সমন্বয় ও
সংশ্লেষের সুর খুঁজে পেতে। তাই পণ্ডিত
পরিবারগুলি যখন বিএসএফ-এর ক্যাম্প
না-থাকলে দিনের বেলাতেও ঘরের বাইরে
বেরতে চাইছেন না, আমরা তখন ‘কেন
ওই ক্যাম্প এখনও তুলে নেওয়া হচ্ছে
না’, তাই নিয়ে জনস্বার্থ মামলা করছি,
পণ্ডিত-তাড়ানো জেহাদিদের
মানবাধিকার রক্ষায় মড়াকান্নাও কেঁদে
মরছি। রাহুল পণ্ডিতা নিজে সপরিবার
উপত্যকা থেকে উচ্ছেদ হয়েছেন।
একমাত্র শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ৩৭০ ধারার উচ্ছেদ করে কাশ্মীরের পূর্ণ ভারতভুক্তি চেয়েছিলেন।
একমাত্র শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ৩৭০ ধারার উচ্ছেদ করে কাশ্মীরের পূর্ণ ভারতভুক্তি চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষতারনামধারী নেতারা অর্ধেক কাশ্মীর পাকিস্তানকে দিয়ে বাকিটা প্রায় পাকিস্তান বানিয়ে রেখেছে। কাশ্মীর তথা ভারতের অর্ধেক দিয়ে দেওয়া সত্ত্বেও আবার সেই একই পরিস্থিতি। নিয়ন্ত্রনহীন কাশ্মীর পুরোটাই চলে যেতে পারে পাকিস্তানে, বলতে গেলে এখন বিভিন্ন উগ্রপন্থীরা ভারতীয় কাশ্মীরকে চালাচ্ছে। দেশজুড়ে অসংখ্য মিনি পাকিস্তান আর বিদেশী অর্থপুষ্ট দেশদ্রোহীরা সেখান থেকে অপারেট করছে। ভারত আবার খন্ডিত হওয়ার আশঙ্কা মাথাচারা দিয়েছে। এ জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ুন হিন্দুত্ব আন্দোলনে। রাজনৈতিক দলগুলোর অতিরিক্ত সংখ্যালঘু তোষনের ফলেই মুসলিমরা এতটা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। 1986 তে ভারতীয় মুসলমান প্রজাতন্ত্র দিবস বয়কট করেছে। সরকারী চাকরিতে মুসলমান ও খৃষ্টানদের সংরক্ষন চালু। বেআইনীভাবী সরকারী জমি দখল করে রাজাবাজার-পার্কসার্কাসে প্রচুর বাড়ী আর মসজিদ তৈরী করছে। দিল্লীর শাহী ইমাম ও কলকাতার টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম বুখারী বলছে তারা এদেশের আইন-কানুন মানে না। পার্লামেন্টে আগুন ধরিয়ে দেবে ইত্যাদি ইত্যাদি উত্তেজিত বক্তৃতা দিয়ে দাঙ্গা করাচ্ছে মীরাট, গুজরাট, দেগঙ্গা, নদিয়া, 24 পরগনা, আলিগড়, মউতে, অসম, হায়দ্রাবাদ ইত্যাদি।
________________________________________________
ভারত পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ হলে... পাকিস্তান জিতলে পটকা ফাটায়, হকি, জিতলে মুসলিম মহল্লা টিভিতে মালা দেয়। খিদিরপুর, এন্টালীতে মিছিল বের হয় ব্যান্ড সহযোগে। ফুটবলে মহামেডান স্পোর্টিং জিতলে আল্লা-হু আকবর ধ্বনি দেয় ও এসবের একটাই অর্থ তাদের অনুগত্য দেশের উর্ধে স্বজাতির প্রতি... আর সেটা পাকিস্তানও হতে পারে আবার আরব দেশও হতে পারে। লখনউয়ের মুসলমানরা আবার শিয়া-সুন্নিতে বিভক্ত। বাড়ি বাড়ি আছে খোমেইনি ও লাদেনের ছবি। তারা আরব ও ইরানের সমর্থকে ভাগাভাগি। মুসলিম পাড়ায় তাই নিজেদের মধ্যে প্রানঘাতী সংঘাত হয়, বিশেষতঃ মহরমের দিন প্রতি বছর প্রায় নিয়ম করে দাঙ্গা তো আছেই। প্রশ্ন ওঠে যে ভারতে তাহলে ভারতপন্থী মুসলমান কয়জন?
স্বাভাবিকভাবে গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা ভারতীয় সংবিধানের এই তিনটি আদর্শই সম্পূর্ণ হিন্দু সংখ্যাগুরুর উপরই নির্ভরশীল। ভারতের যে সকল অঞ্চলে হিন্দুরা সংখ্যালঘু, সেখানে এইসব অচল যেমন আসাম, কাশ্মীর, পশ্চিমবঙ্গের কিছু কিছু অঞ্চল বা উত্তরপূর্ব ভারত। কাশ্মীরে ভারত সরকার একটাকা কেজি চাল ও দুটাকা কেজি চিনি খাইয়ে এবং ডাক্তারী, ইঞ্জিনিয়ারিং, এম এ পর্যন্ত বিনে পয়সায় পড়িয়েও সেখানের সংখ্যাগুরু মুসলমানের মন পেতে ব্যর্থ। অনেক বেশী দরিদ্র বিহার বা ঝাড়খন্ডে কিন্তু এসব সমস্যা নেই তারা হিন্দু প্রধান হওয়ায়। দেশভাগের দাঙ্গায় যে দেড় লক্ষ হিন্দু-শিখ পাকিস্তান থেকে পালিয়ে ভারতীয় কাশ্মীরে আশ্রয় নিয়েছিল তাদের এখনো সেখানের রাজ্য সরকার অমুসলমান হওয়ার অপরাধে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেয় নি !
আব্দুল্লার আমলে কাশ্মীরে একটা আইন হয় যে ১৯৪৭-৪৮ এ স্বেচ্ছায় পাকিস্তানে চলে যাওয়া মুসলমানদের জমি-সম্পত্তি ফিরিয়ে দেওয়া হবে যেখানে বাংলাদেশে হিন্দুর বাধ্য হয়ে ফেলে যাওয়া সম্পত্তি শত্রু সম্পত্তি আইনের মাধ্যমে সরকার সেসব সংখ্যাগুরু মুসলমানকে বন্টন করে দিয়েছে। দেশদ্রোহিতার অপরাধে এগারো বছর জেলখাটা ফারুখের পিতা শেখ আব্দুল্লাকে কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী করা হয় ও পুরষ্কার স্বরূপ শ্যামাপ্রসাদকে শ্রীনগরের জেলে বিষ খাইয়ে খুন করে, কারন তাঁর অপরাধ কাশ্মীরকে সম্পূর্ণ ভারতভুক্তির দাবী করেছিলেন। মুসলিম সেখানে সংখ্যাগুরু বলেই মুসলিমদের ভোটে ফারুখের পর মুখ্যমন্ত্রী হয় তার পুত্র ওমর আব্দুল্লা। 1990 এ কাশ্মীরে 5 লক্ষ হিন্দুকে খুন, জখম করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ....যারা আর কখনো নিজেদের বাড়িতে ফিরতে পারবে বলেও আশা করা যায় না। বর্তমানে দিল্লী-জম্মুর উদ্বাস্তু শিবিরে কাশ্মীরের হিন্দুরা পচে মরছে।
রাষ্ট্রসংঘ একটি গুরুত্বপূর্ণ সমীক্ষায় হিসেব কষে দেখিয়েছে যে ভারতে ব্যাপক বাংলাদেশী (ও কিছু পাকিস্তানি) মুসলিম অনুপ্রবেশ ও ভারতীয় মুসলিমদের অনিয়ন্ত্রিত জন্মহারের ফলে ২০৩০ খৃষ্টাব্দের মধ্যে মুসলমান ভারতে সংখ্যাগুরু হয়ে যাবে। তখন আমাদের অবস্থা যে কাশ্মীরের হিন্দুদের থেকেও খারাপ হবে না সেটা কে বলতে পারে !! হিন্দুদের বিপুল সংখ্যায় গনধর্মান্তরিত করার জন্য আরব থেকে কোটি কোটির রিয়াল আসছে যা দিয়ে প্রথমেই আমাদের বুদ্ধিজীবী ও সংবাদমাধ্যমকে কিনে ফেলার কাজ প্রায় সম্পূর্ণ হয়েছে। একথা ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র দপ্তর স্বীকার করছে কিন্তু হিন্দু এখনও এক না হওয়ায় সে অনৈক্যের সুযোগ নিয়ে মুসলমান ভোটের লোভে রাজনৈতিক নেতারা চুপচাপ আছে। হাজার হাজার বছরের প্রাচীন মীনাক্ষীপুরমে মাত্র 8/9শ হিন্দু মুসলমান হয়ে যাওয়ার সঙ্গেই সেখানের নাম হয়েছে রহমতনগর। মনে এখন একটাই প্রশ্ন জাগে যে হিন্দু সংখ্যালঘু হলে ভারত কি আর অখণ্ড ভারত থাকবে?? অহিন্দু দেশভক্ত এবং ভারতপ্রেমীরাও তাই সাবধান!
কিছুদিন পূর্বে রামকৃষ্ণ মিশনের একটি সম্মেলন হয়েছিল বেলুড়ে সর্বধর্ম সমন্বয় নিয়ে। সেখানে গুরুগম্ভীর আলোচনা হল কি করে এ মহৎ কাজ করা যায় ?? ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলে একসময় পোপের মাধ্যমে ধর্মান্তরিত হওয়া খৃষ্টানরা আসাম, মনিপুর, ত্রিপুরায় শয়ে শয়ে হিন্দুকে খুন করেছে। হিন্দুত্বের সম্পূর্ণতা, শ্রেষ্ঠত্ব সম্বন্ধে কোন ধারনাই না থাকায় আমরা শত্রু-মিত্র, ভাল-মন্দ, জয়-পরাজয় চেনার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছি।
হিন্দু ছাড়া জগতে কেউ কোথাও যত মত তত পথের কথা বলে না, তবে এসবের জন্য আগেতো হিন্দু সংখ্যাগুরু জনগন চাই, হিন্দুভূমির দরকার তা আমরা ভুলে বসেছি। বিদেশী খৃষ্টান রাষ্ট্র, মুসলমান রাষ্ট্র থেকে কর্মী আর অঢেল অর্থ এখানে আসে কোন সাহসে? সবাই জেনে গেছে নিজেদের উদার, সবজান্তা মনে করা হিন্দুরা এখন উদাসীন, শিথিল, ক্রয়যোগ্য হয়ে পড়েছে।
Friday, 11 September 2015
হিন্দুধর্মের সামনে ঝুকতে হল ধর্মনিরপেক্ষ আদেশকে
**[[হিন্দুধর্মের সামনে ঝুকতে হল ধর্মনিরপেক্ষ আদেশকে]]**
আজ মহারাষ্ট্র সরকারের হিন্দুদের আঘাতকারী একটা আদেশকে কঠোরভাবে খারিজ করে দিল মুম্বাই হাইকোর্ট।মহারাষ্ট্র সরকার কথিত জৈন ধর্মের অনুসারীদের পারয়ুশন অনুষ্ঠানের জন্য সারা মুম্বাইতে চারদিনব্যাপী মাংস বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।জৈনধর্মের অনুসারীরা সুকৌশলে সরকারের ওপর চাপ দিয়ে চারদিনের মাংস বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করিয়ে তাদের কথিত ধর্ম আমাদের হিন্দুদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছিল।শিবসেনা,মহারাষ্ট্র নবনির্মান সেনা ও বিজেপিরও কিছু নেতা হিন্দুদের অন্য ধর্ম পালনে জোর দেওয়ার তীব্র বিরোধিতা করতে থাকে।শিবসেনা তার সামনা পত্রিকা থেকে জৈনদের পরিষ্কার করে বলে দেয় যে জৈনরা যেন হিন্দুদের ভদ্রতাকে দুর্বলতা না ভাবে।তারা যেন মুসলমানদের মতো হিন্দুদের ওপর দাদাগিরি করার কথা মাথায়ও না আনে।শেষপর্যন্ত আজকে হাইকোর্ট সরকারের এই আদেশের বিরোধিতা করে আদেশকে খারিজ করে নিতে বলে আর নিষেধাজ্ঞা শুধু দু'দিন(১৩ ও ১৮ই সেপ্টেম্বর) রাখতে বলে।আর অবশেষে হিন্দুদের সংঘবদ্ধ তীব্র বিরোধ ও হাইকোর্টের আদেশের পর সরকার নিষেধাজ্ঞা মাত্র দুইদিনে নামিয়ে আনে।সংঘবদ্ধ হিন্দুদের সামনে জৈন ধর্মঅনুসারীদের চক্রান্ত হেরে গেল এভাবেই আজ।আর এভাবেই একদির সারা সেকুলার ভারত হিন্দুধর্মের সামনে ঝুকতে বাধ্য হবে।গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল কংগ্রেস দলের সরকার ১৯৯৪ এ হিন্দুদের ওপর জৈনদের কথিত ধর্ম চাপিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু করে অর্থাৎ কংগ্রেসই প্রথম দুদিনের মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ করেছিল যা হয়ে আসছিল।
# জয়_শ্রী_রাম
# ভারতমাতার_জয়
# প্রত্যেক_হিন্দু র_জয়
# RSS
Subscribe to:
Posts (Atom)