কোরানে মেয়েদের সম্বন্ধে লেখা আছে, মেয়েরা পুরুষদের কাছে শস্যক্ষেত্র মাত্র ওতাদের যেমন খুশী ব্যবহার ও ভোগ করা যাবে (২/২২৩), নারীরা স্বামীর অবাধ্য হলে তাদের উচিত চাবকানো (৪/৩৪) এবং সেক্ষেত্রে স্ত্রীকে আমৃত্যু একটা ঘরে বন্দী রাখতে হবে (৪/১৫), এছাড়া, চারজন স্ত্রী ও অসংখ্য যৌন দাসী রাখা যাবে (৪/৩) যাদের ইচ্ছামত তিন তালাক দেওয়া যায় (২/২২৯)।মহান পবিত্র কোরানের সূরা ৪, আয়াত ২৪ বলে, ‘বিবাহিত পরস্ত্রী মুসলমানের কাছে নিষিদ্ধ কিন্তু, যেসব বিবাহিত অমুসলমান স্ত্রীদের তোমরা জেহাদে ধরে এনেছ তারা তোমাদের জন্য বৈধ। এটা আল্লাহ তোমাদের বিশেষ অধিকার প্রদান করছেন।’অপরদিকে, অমুসলমান নারীকে পথে ঘাটে শ্লীলতাহানি করা যেতে পারে, তবে মুসলমান মেয়েদের নয় তাই পরিচয়পত্র হিসেবেই বোরখার বিধান (৩৩/৫৯), অমুসলমান মহিলাদের জোর করে ধরে এনে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বেশ্যাবৃত্তি করানো কোরান সম্মত (২৪/৩৩)।কোরান স্বীকৃত পৃথিবীর সবচেয়ে জঘন্য অপরাধবলা হয়েছে পৌত্তলিকতাকে অর্থাৎ হিন্দু ধর্ম এবং আমরা যারা এটা মানি তারা নাকি জগতে বিচরণশীল জন্তু-প্রাণির মধ্যে নিকৃষ্টতম (৮/৫৫)। তাই পৌত্তলিকতা যতক্ষন না পৃথিবী থেকে ধ্বংস হয় ততক্ষন হিন্দুদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের তীব্র যুদ্ধ (জিহাদ) চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে (২/১৯৩), এবং এই মূর্তিপূজকদের প্রতি তীব্র ঘৃনা উজার করে তাদের অবিরাম হত্যা করতে বলা হয়েছে (২১/৯৮)।পৌত্তলিক বা আমরা হিন্দুরা তো ইসলাম বা অন্যকারো কোন ক্ষতি করিনি, নিজের মনে, নিজের নিরীহ বিশ্বাসে মূর্তি উপাসনা করছি, কাউকে মারতে, কাটতে বলছি না, তাই হিন্দুদের প্রতি আল্লাহ তথা মহম্মদের এই অকারন রাগ বড়ই আশ্চর্য। মহম্মদ নিজেই কাবায় ৩৬০ টি দেবমূর্তি ও অন্যত্রও অজস্র মূর্তি ভেঙ্গেছিলেন আর মহম্মদ যা করেছেন ইসলামে তাই পবিত্র কর্তব্য (৪/৮০)।কোরান অনুযায়ী, মহম্মদ আল্লাহর দূত, তাঁর অনুসারীরা অমুসলমান কাফেরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে (৪৮/২৯), একজন সাচ্চা মুসলমান তাই কোন অমুসলমানকে ভাই বলে মন থেকেডাকতে পারবে না, তাদের হিন্দুদের মতো সার্বজনীন ভ্রাতৃত্ববোধ নেই। আল্লাহ নিজেই কাফেরদের শত্রু (২/৯৮), তাই কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর যতক্ষন না আল্লহর ধর্ম সমগ্র জগতে প্রতিষ্ঠিত হয় (৮/৩৯)।ভারতীয় দর্শনের দুই মূল ভিত্তি, মানুষ সবাইঅমৃতের পুত্র আর সবাই সুখে থাকুক, সবাই নিরাময় থাকুক। কোন কারনে কেউ যদি অভারতীয় বিদেশী ধর্ম যেমন ইসলাম বা খৃষ্ট ধর্ম গ্রহনকরে তখন কিন্তু আর সে এইগুলো পালন করতে পারবে না কারন সেখানে এসবের স্থান নেই। বিশ্বশান্তির জন্যও তাই ভারতীয় হিন্দুদের সংগঠিতভাবে কাজ করতেই হবে। বাবাসাহেব ভীমরাও আম্বেদকর তাঁর বই ‘রাইটিং এন্ড স্পীচেস’, ভলিউম ৮, এ স্পষ্ট লিখেছেন যে, ধার্মীয় এবং সামাজিক দৃষ্টিকোন থেকে হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে যে পার্থক্য দেখা যায় তা স্থায়ী পার্থক্য। আজও এমন কোন মন্ত্র বা যন্ত্র আবিষ্কৃত হয়নি যা এই পার্থক্যকে মুছে দিতে পারে। কিছু অসাম্প্রদায়িক কথা লেখা বা বলার দায়ে তাই কয়েকজন মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের কাফের বলছে তাদের সমাজ। বাংলাদেশের তসলিমা নাসরিন মৃত্যুর পরোয়ানা মাথায় করে জন্মভূমি বাংলাদেশ ত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল আর আমরা কলকাতায় মুসলিম তান্ডবে ভীত হয়ে তাঁকে এখান থেকেও তাড়িয়ে দিয়েছি। সেই একাকী মহিলার অপরাধ তিনি বাংলাদেশে মুসলিমদের হাতে নির্জাতিত হিন্দুদের হয়ে কলম ধরেছিলেন। অনুরূপভাবে কবি দাউদ হায়দার, আবুল কাসেম ও আলি সিনা হত্যার ফতোয়া নিয়ে কালযাপন করেন বিদেশে লুকিয়ে।সৈয়দ মুজতবা আলি ও কাজী আব্দুল ওদুদকে ঢুকতে দেয়নি ইসলামিক রাষ্ট্র বাংলাদেশ। ভারত ইসলামিক রাষ্ট্র হলে তাঁদের মৃত্যু অবধারিত ছিল।কিন্তু এত জঙ্গী জেহাদীরা যে লড়ছে কিসের আশায়? যারা জিতবে তারা অমুসলমানের নারী ও সম্পত্তি ভোগ করতে পারবে, কোন কাফেরকে নিধন করতে পারলে “গাজী” উপাধি পাবে। বহু ‘গাজী বাবা’ হিন্দু সমাজেও অজ্ঞানতার জন্য বেশ সমাদৃত, কারন সবাই জানে না যে গাজী মানে সে বা তার কোন পূর্বপুরুষ হিন্দু হত্যাকারী। অন্যদিকে যারা জিহাদে মারা যাবেন তাদের বলা হয় শহীদ যা ভুল করে এখন অনেক দেশভক্তকেও বলা হয়! এই শহীদদের জন্য ইসলামিক স্বর্গে ধালাও আয়োজন। কোরান (৪৭/১৫) জানাচ্ছে, তারা সেখানে চিরযৌবন পাবে ও যৌন ক্ষমতা একশগুন বেড়ে যাবে। প্রত্যেক শহীদ সেখানে পাবে ৭২ জন সুন্দরী হুরী যৌন সম্ভোগ করতে ও ২৮ টি সুন্দর বালক সমকামের জন্য। প্রত্যেক যৌন সঙ্গম ৬০০ বছর স্থায়ী হবে ও পৃথিবীতে মুসলমানদের মদ্যপান নিষিদ্ধ হলেও জান্নতে নদী বইবে মদের। এছাড়া, অপূর্ব সব খাদ্য-পানীয়র ব্যবস্থা থাকবে ও চিরযুবতী হুরীদেরবয়স বাড়বে না। যেকোন ভাবে পীড়ন করলেও তাদের কষ্ট হবে না। সব খাবার সেখানে ভালভাবেহজম হ্য় ও মলমূত্র পর্যন্ত হয়না (৭৮/৩৩),এসব কারনেই অনেক মুসলমান জেহাদ করে শহীদ হওয়ার জন্য পাগল। তবে মুসলমান মেয়েরা স্বর্গে গেলে আদেউ কিছু পাবে কিনা সে ব্যপারে কোরান নিশ্চুপ।জেহাদ মোটেই আত্মরক্ষার যুদ্ধ নয় বরং শান্তিপূর্ণ অমুসলমান নগরী বিনা প্ররোচনায় আক্রমন করার কাজ তা কোরানের সূরা ১৭, আয়াত ১৬ তে পাই, “আমি যখন কোন সুখী সমৃদ্ধ কাফের নগর ধ্বংস করতে চাই তখন আগে দূত পাঠিয়ে তাদের ইসলাম কবুল করতে বলি, কিন্তু তারা রাজি না হলে তাদের সম্পূর্ন নাশকরি।”ইসলাম আরো বলে, অমুসলমানরা যেন কখনও মনে না করে তারা আমাদের হাত থেকে পরিত্রান পাবে, তাদের সে ক্ষমতাই নেই (৮/৫৯),অনেকে যে ভাল শান্তিপ্রিয় মুসলিম ও জেহাদী-সন্ত্রাসবাদীমুসলমানে দুই ভাগ করার চেষ্টাকরেন তা অর্থহীন কারন মহামেডান ধর্ম একই রকমএবং জেহাদ নির্ভর। আল্লাহ সে জন্য নবী মহম্মদকে বলেছেন শুধু কাফের নয় মুনাফিক (ভন্ড মুসলমান যারা জিহাদ করা বা তাতে সাহায্য করা থেকে দূরে থাকে) দের বিরুদ্ধেও সংগ্রাম কর ও তাদের প্রতি কঠোর হও, তাদের আশ্রয়স্থল যে জাহান্নম (৬৬/৯),অন্য জায়গাতেও স্পষ্ট বলা আছে, যে যতক্ষন না আল্লাহ জানছেন যে মুসলমানদের মধ্যে কে জেহাদ করেছে ততক্ষন সে স্বর্গে প্রবেশ করতে পারবে না (৩/১৪২)।
মুনাফিক বা ভন্ড মুসলমান তারাই যাদের আমরা নরমপন্থী বলি বা অমুসলমানদের প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন, এদের জন্য কাফেরদের মতোই কঠিন শাস্তির বিধান, তাই তাদেরও রক্ষা নেই (৩৩/৬১)।প্রায়ই দেখা যায় অনেক মাদ্রাসা-মসজিদ থেকে ইসলামিক ব্রাদারহুদের মাধ্যমে পেট্রোডলার বিতড়ন করা হয় মুসলমান যুবকদেরমোটর বাইক ও তার তেলের জন্য যাতে তারা হিন্দু মেয়েদের ভুলিয়ে ভালিয়ে বিয়ে করতে পারে বা আগেই শারীরিক সম্পর্ক করে নিকাহতে বাধ্য করে – এটাই প্রেম জিহাদ বা লাব-জেহাদ। এতে যেমন একটি হিন্দু মেয়েকে মুসলমান করা গেল তেমন একটি হিন্দু পরিবারকেও কব্জা করা হল যা আকবর-যোধা বাই এরআমল থেকেই হিন্দু বিদ্বেষীরা চালু রেখেছে। মুভি স্টার থেকে ক্রিকেট খেলোয়াড় অনেক মুসলমান সেলিব্রাটিদেরই দেখা যায় হিন্দু নারীদের নিকাহ করতে যা ফলাও করে কিছু বিদেশীঅর্থ সাহায্যে চলা সংবাদ মাধ্যম হিন্দু-মুসলমান মিলন বলে চালায়, কিন্তু এদের বেশীরভাগের কপালে কি দুঃখ থাকে তা আর বলে না যেমন অশান্তিতে অসুস্থ হয়ে এবং খুন হয়ে মারা যাওয়া দিব্যা ভারতী, তালাকপ্রাপ্তা ও একাকী জীবন কাটানো আমির খানের প্রথমা স্ত্রী রিনা খান, সৈফ আলি খানের প্রথমা পত্নী আমৃতা সিং, প্রমুখ যাদের কিছুকাল ভোগ করার পর ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয় তিন তালাকেরমাধ্যমে বিয়ের পবিত্রতা ও স্থায়িত্বহীন মুসলমানদের দ্বারা এবং তারা আবার আরেক হিন্দু মেয়ের দিকে হাত বাড়ায় যেমন কিরন রাও বা করীনা কাপুর।ইসলামে কোরান গ্রন্থটির আর এক নাম ‘আল ফুরকান’ যার মানে বিভেদ সৃষ্টিকারী, কিসের ভেদ? মুসলমান বা মোমিনের সাথে অমুসলমান বা কাফের দের বিভেদ। কাফের শব্দের অর্থও খুব পরিষ্কার। “যে কোরান মানে না” অর্থাৎ সব অমুসলিমকেই কাফের বলা হয়েছে (৫/৪৪),কাফের কয় প্রকার? দুই প্রকার, খৃষ্টান, ইহুদী প্রভৃতি বিদেশী যারা মূর্তিপুজা করে না তারা একটু ভাল কাফের তারা জিজিয়া কর দিয়ে মুসলমান শাসন মেনে নিয়ে বাঁচতে পারে আর পৌত্তলিক হিন্দুরা নিকৃষ্টতম কাফের যাদের আল্লাহ তালা ও হ্জরত মহম্মদ বাঁচার কোন অধিকারই দেয়নি (৪/১১৬)।তেমনি যিনি সমপূর্নরূপে কোরান বিশ্বাস করেনতিনিই মুসলমান (৪/১৫০), তাই মুসলমান বলে কেউ নিজেকে দাবী করলে তাকে এই সমস্ত নির্দেশই অক্ষরে অক্ষরে মানতে বাধ্য, সে যে ধর্মান্তরিত হচ্ছে তার জন্যও একই নিয়ম। কেউ যদি খালি মুখে বলে সে মুসলমান হল তাহলেই কিন্তু তার মুক্তি নেই, তাকে যথাযথভাবে নামাজ পাঠ ও যাকাত দান করতে হবে। যাকাত হল প্রত্যেক মুসলমানের ধর্মের জন্য প্রদেয় বাধ্যতামূলক অনুদান যা ব্যয় করা হবে অমুসলমানদের ধর্মান্তরকরন এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রয়োজনে (৯/৬০),যাবতীয় সন্ত্রাসবাদের অর্থ এভাবেই ধর্মপ্রান মুসলমানদের কাছ থেকে জোগাড় হয়। সভ্য সমাজের সভ্যতাই ইসলামিক জিহাদের প্রকৃত শক্তি, তাই আজ যখন সবাই কোরান পড়ে ইসলামকে চিনছে তখন ভারতীয় হিন্দুরা অজ্ঞাত কারনে কিছু না জেনেই ইসলাম শান্তির ধর্ম, সন্ত্রাসবাদীরা অপব্যখ্যা করছে বলে সব লজ্জা-দায় নিজেদের মাথায় নিতে ব্যস্ত।ইসলামের একমাত্র উদ্দেশ্য সব অমুসলমানদের হত্যা করা (৯/৫), তাদের স্ত্রীদের ও সম্পত্তিলুন্ঠন করা (৮/৬৯) এবং এই তথাকথিত “ধর্ম” অনুসারে কোরানের প্রতিটি বানী, প্রতিটি অক্ষর অপরিবর্তনীয় যার ফলে এর সময়োচিত সংস্কারও অসম্ভব (২/১)। মুসলমানের পরম পবিত্র কর্তব্য, ইসলামের সমালোচনা করা প্রতিটি মুসলমানকে নিজ হাতে হত্যা করা, তাদের মুনাফিক বা ভন্ড মুসলিম ঘোষনা করে তাইতসলিমা নাসরিনের বিরুদ্ধে ফতোয়া বা সলমন রুসদির মাথার দাম দিল্লীর জামা মসজিদের ইমাম সগর্বে ধর্মনিরপেক্ষ ভারতীয় নেতাদের সামনেই দিয়ে চলেছেন। ভুলে গেলে চলবে না কোরান শুধু মুসলিমদের ধর্মগ্রন্থই নয়, উপরন্তু ৫৫ টি মুসলমান প্রধান দেশের মধ্যে প্রায় পঞ্চাশটি ইসলামিক দেশের সংবিধান। কিছু বামপন্থীদের ভুল ধারনা যে গরীব অজ্ঞ ইসলাম প্রেমীরাই বোধহয় সন্ত্রাসবাদী জঙ্গী। আসলে, ওসামা বিন লাদেন ছিল উচ্চশিক্ষিত
ReplyDelete