মোগল সম্রাট আকবরের দয়া, মায়া ,
কোমলতার অভাব হতে দেননি আমাদের
ভারতীয় অনেক আধুনিক ঐতিহাসিক ।
কিন্তু প্রকৃত তথ্য অনুযায়ী তিনি
ছিলেন অত্যন্ত নিষ্ঠুর । প্রাণদন্ড
আসামীরা কীভাবে পরলোক যাএা করবে
তার পোগ্রাম আকবর সইজেই করতে
পারতেন । আসামীদের হাতির পায়ের
তলায় ফেলে , শুঁরে চড়িয়ে মারার মতো
নিষ্ঠুর শাস্তি তিনি দিতেন । এমনকি
অপরাধিকে দুই হাত দিয়ে গলা টিপে ধরে
রাখার আদেশ দিতেন যতক্ষণ না
প্রাণবায়ু শেষ হয় । তার সময়েই
বেশ্যাখানা বৈধ করা হয় ও প্রথম কর
ধার্য করা হয় । তিনি আল্লাহর ছায়া,
তার হকুম না মানলে নরকে যেতে হবে ।
হিন্দু প্রজাদেরকে মসজিদে পূজা দিতে
বাধ্য করান । মূর্খ নরনারীরা
আকবরকে নিয়িমত পূজা করতেন ।
তিনি হিন্দু প্রজাদিগকে জোর করে
ধর্মান্তরিত করার সময় বলতেন - "
মুসলমানদের জন্য আমি স্বয়ং আল্লাহ
হয়ে প্রকাশিত হয়েছি । তিনিই প্রথম
কুর্নিশ ও তসলিম প্রথা চালু করেন ।
আকবর মুসলমানদের অতীব
গুরুত্বপূর্ণ উৎসব ঈদুল আজাহাতে
গরুর মাংস খেতে নিষেধ ও হাদিস
অনুযায়ী স্এী সংগমে " ফরজ ও
গোসলে"র পরিবর্তে কেবল গোসল চালু
করেন ,দাড়ি রাখা ও বোরখা পড়া বন্ধ
করেন যা কোরান বিরুদ্ধ । তার বহু
সংখ্যক উপপত্নি ছিল । ঐতিহাসিক
রমাপ্রসাদ গুপ্তের মতে , তার
উপপত্নির সংখ্যা ছিল ৫০০ -এর
বেশি অর্থ্যাৎ তিনি ৫০০ নারীর
ধর্ষক রাজা ছিলেন । তাহলে তার
প্রধান পত্নি কত ছিল ? বীরবলের
লেখা আকবরনামা থেকে জানা যায় -
তার হারেমে সর্বক্ষণ ৫০০০ -এর
অধিক সুন্দরী নারীদের রাখা হত ।
যাদের বয়স ছিল ১৫-২৫ এর মধ্যে ।
ঐসব নারীরা বাদশার মও অবস্থার
শর্য্যা সঙ্গী হিসাবে আশ্রয় পেতেন ।
সকলকে উলঙ্গ করে দিয়ে আনন্দ
উপভোগ ও মধুরস পান করতেন । সিঁড়ি
দিয়ে যখন প্রাসাদের নীচ থেকে উপরে
উঠতেন বা উপর থেকে নীচে নামতেন
তখন থাম বা রেলিং ধরার পরিবর্তে
উলঙ্গ যুবতী মেয়েদের স্তন ধরে
উঠতেন বা নামতেন । তিনি তালাক
প্রথার সময়সীমা এক রাএি - দুরাএিতে
কমিয়ে আনেন ।তার নজরে যদি কোনো
মেয়ে বা রমণীকে সুন্দরী মনে হত তাকে
ভোগ করার জন্য যে কোনো উপায়
অবলম্বন করতে দ্বিধা করতেন না ।
বয়সটা তার কাছে ফ্যাক্টর নয়, মূল
হল ভোগ । তাই পালিত পিতার সমান
বৈরাম খাঁর স্এীকে পাবার জন্য বৈরাম
খাঁকে খুন করেন , বীরবলকেও এই একই
কারণে হত্যা করা হয়েছিল । অনেকে
বলেন - ইংরেজরা সুরা ও সুন্দরী দিয়ে
পিতা আকবর ও পুএ জাহাঙ্গীরকে মুগ্ধ
ও পরাস্ত করেছিলেন ।
( বিদ্র: লেখাটিতে কিছু কিছু জায়গায়
অশ্লীল শব্দ ব্যবহারের জন্য ক্ষমা
চাইছি । আমরা সাধারণত আকবরকে
গ্রেট হিসাবেই জানি , ওপরের আলোচনা
থেকে বোঝা গেল আকবর গ্রেট নয় ,
ঐতিহাসিকরা তার চরিএকে ফুলিয়ে-
ফাপিয়ে বড় করে দেখিয়েছেন ।
No comments:
Post a Comment