Friday, 11 September 2015

মোগল সম্রাট আকবরের দয়া, মায়া , কোমলতা

মোগল সম্রাট আকবরের দয়া, মায়া , কোমলতার অভাব হতে দেননি আমাদের ভারতীয় অনেক আধুনিক ঐতিহাসিক । কিন্তু প্রকৃত তথ্য অনুযায়ী তিনি ছিলেন অত্যন্ত নিষ্ঠুর । প্রাণদন্ড আসামীরা কীভাবে পরলোক যাএা করবে তার পোগ্রাম আকবর সইজেই করতে পারতেন । আসামীদের হাতির পায়ের তলায় ফেলে , শুঁরে চড়িয়ে মারার মতো নিষ্ঠুর শাস্তি তিনি দিতেন । এমনকি অপরাধিকে দুই হাত দিয়ে গলা টিপে ধরে রাখার আদেশ দিতেন যতক্ষণ না প্রাণবায়ু শেষ হয় । তার সময়েই বেশ্যাখানা বৈধ করা হয় ও প্রথম কর ধার্য করা হয় । তিনি আল্লাহর ছায়া, তার হকুম না মানলে নরকে যেতে হবে । হিন্দু প্রজাদেরকে মসজিদে পূজা দিতে বাধ্য করান । মূর্খ নরনারীরা আকবরকে নিয়িমত পূজা করতেন । তিনি হিন্দু প্রজাদিগকে জোর করে ধর্মান্তরিত করার সময় বলতেন - " মুসলমানদের জন্য আমি স্বয়ং আল্লাহ হয়ে প্রকাশিত হয়েছি । তিনিই প্রথম কুর্নিশ ও তসলিম প্রথা চালু করেন । আকবর মুসলমানদের অতীব গুরুত্বপূর্ণ উৎসব ঈদুল আজাহাতে গরুর মাংস খেতে নিষেধ ও হাদিস অনুযায়ী স্এী সংগমে " ফরজ ও গোসলে"র পরিবর্তে কেবল গোসল চালু করেন ,দাড়ি রাখা ও বোরখা পড়া বন্ধ করেন যা কোরান বিরুদ্ধ । তার বহু সংখ্যক উপপত্নি ছিল । ঐতিহাসিক রমাপ্রসাদ গুপ্তের মতে , তার উপপত্নির সংখ্যা ছিল ৫০০ -এর বেশি অর্থ্যাৎ তিনি ৫০০ নারীর ধর্ষক রাজা ছিলেন । তাহলে তার প্রধান পত্নি কত ছিল ? বীরবলের লেখা আকবরনামা থেকে জানা যায় - তার হারেমে সর্বক্ষণ ৫০০০ -এর অধিক সুন্দরী নারীদের রাখা হত । যাদের বয়স ছিল ১৫-২৫ এর মধ্যে । ঐসব নারীরা বাদশার মও অবস্থার শর্য্যা সঙ্গী হিসাবে আশ্রয় পেতেন । সকলকে উলঙ্গ করে দিয়ে আনন্দ উপভোগ ও মধুরস পান করতেন । সিঁড়ি দিয়ে যখন প্রাসাদের নীচ থেকে উপরে উঠতেন বা উপর থেকে নীচে নামতেন তখন থাম বা রেলিং ধরার পরিবর্তে উলঙ্গ যুবতী মেয়েদের স্তন ধরে উঠতেন বা নামতেন । তিনি তালাক প্রথার সময়সীমা এক রাএি - দুরাএিতে কমিয়ে আনেন ।তার নজরে যদি কোনো মেয়ে বা রমণীকে সুন্দরী মনে হত তাকে ভোগ করার জন্য যে কোনো উপায় অবলম্বন করতে দ্বিধা করতেন না । বয়সটা তার কাছে ফ্যাক্টর নয়, মূল হল ভোগ । তাই পালিত পিতার সমান বৈরাম খাঁর স্এীকে পাবার জন্য বৈরাম খাঁকে খুন করেন , বীরবলকেও এই একই কারণে হত্যা করা হয়েছিল । অনেকে বলেন - ইংরেজরা সুরা ও সুন্দরী দিয়ে পিতা আকবর ও পুএ জাহাঙ্গীরকে মুগ্ধ ও পরাস্ত করেছিলেন । ( বিদ্র: লেখাটিতে কিছু কিছু জায়গায় অশ্লীল শব্দ ব্যবহারের জন্য ক্ষমা চাইছি । আমরা সাধারণত আকবরকে গ্রেট হিসাবেই জানি , ওপরের আলোচনা থেকে বোঝা গেল আকবর গ্রেট নয় , ঐতিহাসিকরা তার চরিএকে ফুলিয়ে- ফাপিয়ে বড় করে দেখিয়েছেন ।

No comments:

Post a Comment