Wednesday, 9 September 2015

ক্যাচড়া বস্তি

ক্যাচড়া বস্তির মধ্যে পাসাপাসি ঘেঁষাঘেঁষি করে এক কাঠা জমির উপর ৪-৫ টা ঘর। খেতে পাক না পাক প্রত্যেক দম্পতির ৭-৮ টা করে সন্তান এক একটা বাচ্চার ২-৩ টা করে আম্মা, আম্মি- কোনোটা আসল বোঝা মুসকিল। পিছনের কাপড় ফাটা, অথচ মুখে বোর্খা আর হিজাবটা ঠিক আছে মুখের উপরে, যেন কত লজ্জাবতী নারী। পরিবারের ছেলেগুলোর বেশিরভাগই পড়ালিখা ছেড়ে দিয়ে পাসের কোনো হিন্দু কাকুর চা দোকানে কাজ করে, কেউ বা কাজ করে কোনো হিন্দু দাদার গ্যারেজে। যে কয়েকটি ছেলেমেয়ে পড়াশুনা করে, তাদের বেশিরভাগ ই মাদ্রাসাতে পড়ে হয়ে যায় হিন্দু বিদ্বেষী, ধারনা হয় তাদের রক্তের রং সবুজ। কেউ কেউ আবার ভারত পাকিস্তানের খেলায় পাকিস্তান জিতলে চরম উল্লাসে লাফিয়ে ওঠে, বিজয় মিছিল বের করে। সরকার সবসময় চেষ্টা করে যাতে এদের উন্নতি করা যায়, কিন্তু এই অবনত জাতি কখনোই নিজেদের উন্নতি করতে পারে না, কারণ তারা মেয়েদের শুধু দাসী/বাচ্চা পয়দা করার মেশিন ছাড়া কিছুই ভাবে না, আর ''হাম দো (বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৩,৪,৫), হামারে ২০'' -এই চিন্তাভাবনা নিয়ে এগিয়ে চলে। সরকার ভাতা দেয়, সাইকেল দেয়, স্কলারশিপ দেয়- তবু এদের কোনো উন্নতি হয় না, কারণ ''হাম দো, হামারে বিশ''. বেশ কিছু লোক নিয়োযিত হয় কোনো মেথরের কাজে, জুতো সারাইয়ের কাজে, কিংবা কোনো মিস্ত্রীর কাজে। কেউ কেউ আবার মস্তানি, গুন্ডামি, চুরি ছয়াঁচ্চড়ি করে অন্ধকার জগতে হারিয়ে যায়। এরা আর উন্নতি করতে পারে না। সরকারের সব চেষ্টা বিফলে যায়। মাঝখান থেকে বাংলাদেশের কোনো আত্মীয় ফোন করে, বলে নাকি আজ ওরা ১৫০ হিন্দুর ঘরে আগুন লাগিয়েছে। হিন্দুরা ঘর ছেড়ে পালিয়েছে। শুনে এদের ঠোঁটের কোণে হাঁসি ফুটে ওঠে। আবার কিছুক্ষন পর খবরে দেখা যায়, isis ইরাকে ৭০০ বিধর্মীকে ক্রুশবিদ্ধ করে মেরেছে। শুনেই মনটা খুশিতে নেচে ওঠে এদের। ইস, ভারতেও যদি এরকম একটা জঙ্গিগোষ্ঠি থাকত, তাহলে সব হিন্দুদের তাড়ানো যেত, আর হিন্দুদের জমি জায়গা দখল করত। মুসলমানের মুখে আক্ষেপ শোনা যায়, ''ধুর ধুর!!!! ভারতে কি অত্যাচার হচ্ছে আমাদের উপর। পুরো ভারত টাই সাম্প্রদায়ীক হয়ে যাচ্ছে। ইস, যদি আমি পাকিস্তান অথবা বাংলাদেশে থাকতাম''. মুসলমানের মন দুঃখে ভরে যায়........ কোনো মুজাহিদ জিহাদী সংগঠনের খোঁজ করতে চলে যায়। .... সংগৃহীত....

No comments:

Post a Comment