একমাত্র শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ৩৭০ ধারার উচ্ছেদ করে কাশ্মীরের পূর্ণ ভারতভুক্তি চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষতারনামধারী নেতারা অর্ধেক কাশ্মীর পাকিস্তানকে দিয়ে বাকিটা প্রায় পাকিস্তান বানিয়ে রেখেছে। কাশ্মীর তথা ভারতের অর্ধেক দিয়ে দেওয়া সত্ত্বেও আবার সেই একই পরিস্থিতি। নিয়ন্ত্রনহীন কাশ্মীর পুরোটাই চলে যেতে পারে পাকিস্তানে, বলতে গেলে এখন বিভিন্ন উগ্রপন্থীরা ভারতীয় কাশ্মীরকে চালাচ্ছে। দেশজুড়ে অসংখ্য মিনি পাকিস্তান আর বিদেশী অর্থপুষ্ট দেশদ্রোহীরা সেখান থেকে অপারেট করছে। ভারত আবার খন্ডিত হওয়ার আশঙ্কা মাথাচারা দিয়েছে। এ জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ুন হিন্দুত্ব আন্দোলনে। রাজনৈতিক দলগুলোর অতিরিক্ত সংখ্যালঘু তোষনের ফলেই মুসলিমরা এতটা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। 1986 তে ভারতীয় মুসলমান প্রজাতন্ত্র দিবস বয়কট করেছে। সরকারী চাকরিতে মুসলমান ও খৃষ্টানদের সংরক্ষন চালু। বেআইনীভাবী সরকারী জমি দখল করে রাজাবাজার-পার্কসার্কাসে প্রচুর বাড়ী আর মসজিদ তৈরী করছে। দিল্লীর শাহী ইমাম ও কলকাতার টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম বুখারী বলছে তারা এদেশের আইন-কানুন মানে না। পার্লামেন্টে আগুন ধরিয়ে দেবে ইত্যাদি ইত্যাদি উত্তেজিত বক্তৃতা দিয়ে দাঙ্গা করাচ্ছে মীরাট, গুজরাট, দেগঙ্গা, নদিয়া, 24 পরগনা, আলিগড়, মউতে, অসম, হায়দ্রাবাদ ইত্যাদি।
________________________________________________
ভারত পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ হলে... পাকিস্তান জিতলে পটকা ফাটায়, হকি, জিতলে মুসলিম মহল্লা টিভিতে মালা দেয়। খিদিরপুর, এন্টালীতে মিছিল বের হয় ব্যান্ড সহযোগে। ফুটবলে মহামেডান স্পোর্টিং জিতলে আল্লা-হু আকবর ধ্বনি দেয় ও এসবের একটাই অর্থ তাদের অনুগত্য দেশের উর্ধে স্বজাতির প্রতি... আর সেটা পাকিস্তানও হতে পারে আবার আরব দেশও হতে পারে। লখনউয়ের মুসলমানরা আবার শিয়া-সুন্নিতে বিভক্ত। বাড়ি বাড়ি আছে খোমেইনি ও লাদেনের ছবি। তারা আরব ও ইরানের সমর্থকে ভাগাভাগি। মুসলিম পাড়ায় তাই নিজেদের মধ্যে প্রানঘাতী সংঘাত হয়, বিশেষতঃ মহরমের দিন প্রতি বছর প্রায় নিয়ম করে দাঙ্গা তো আছেই। প্রশ্ন ওঠে যে ভারতে তাহলে ভারতপন্থী মুসলমান কয়জন?
স্বাভাবিকভাবে গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা ভারতীয় সংবিধানের এই তিনটি আদর্শই সম্পূর্ণ হিন্দু সংখ্যাগুরুর উপরই নির্ভরশীল। ভারতের যে সকল অঞ্চলে হিন্দুরা সংখ্যালঘু, সেখানে এইসব অচল যেমন আসাম, কাশ্মীর, পশ্চিমবঙ্গের কিছু কিছু অঞ্চল বা উত্তরপূর্ব ভারত। কাশ্মীরে ভারত সরকার একটাকা কেজি চাল ও দুটাকা কেজি চিনি খাইয়ে এবং ডাক্তারী, ইঞ্জিনিয়ারিং, এম এ পর্যন্ত বিনে পয়সায় পড়িয়েও সেখানের সংখ্যাগুরু মুসলমানের মন পেতে ব্যর্থ। অনেক বেশী দরিদ্র বিহার বা ঝাড়খন্ডে কিন্তু এসব সমস্যা নেই তারা হিন্দু প্রধান হওয়ায়। দেশভাগের দাঙ্গায় যে দেড় লক্ষ হিন্দু-শিখ পাকিস্তান থেকে পালিয়ে ভারতীয় কাশ্মীরে আশ্রয় নিয়েছিল তাদের এখনো সেখানের রাজ্য সরকার অমুসলমান হওয়ার অপরাধে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেয় নি !
আব্দুল্লার আমলে কাশ্মীরে একটা আইন হয় যে ১৯৪৭-৪৮ এ স্বেচ্ছায় পাকিস্তানে চলে যাওয়া মুসলমানদের জমি-সম্পত্তি ফিরিয়ে দেওয়া হবে যেখানে বাংলাদেশে হিন্দুর বাধ্য হয়ে ফেলে যাওয়া সম্পত্তি শত্রু সম্পত্তি আইনের মাধ্যমে সরকার সেসব সংখ্যাগুরু মুসলমানকে বন্টন করে দিয়েছে। দেশদ্রোহিতার অপরাধে এগারো বছর জেলখাটা ফারুখের পিতা শেখ আব্দুল্লাকে কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী করা হয় ও পুরষ্কার স্বরূপ শ্যামাপ্রসাদকে শ্রীনগরের জেলে বিষ খাইয়ে খুন করে, কারন তাঁর অপরাধ কাশ্মীরকে সম্পূর্ণ ভারতভুক্তির দাবী করেছিলেন। মুসলিম সেখানে সংখ্যাগুরু বলেই মুসলিমদের ভোটে ফারুখের পর মুখ্যমন্ত্রী হয় তার পুত্র ওমর আব্দুল্লা। 1990 এ কাশ্মীরে 5 লক্ষ হিন্দুকে খুন, জখম করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ....যারা আর কখনো নিজেদের বাড়িতে ফিরতে পারবে বলেও আশা করা যায় না। বর্তমানে দিল্লী-জম্মুর উদ্বাস্তু শিবিরে কাশ্মীরের হিন্দুরা পচে মরছে।
রাষ্ট্রসংঘ একটি গুরুত্বপূর্ণ সমীক্ষায় হিসেব কষে দেখিয়েছে যে ভারতে ব্যাপক বাংলাদেশী (ও কিছু পাকিস্তানি) মুসলিম অনুপ্রবেশ ও ভারতীয় মুসলিমদের অনিয়ন্ত্রিত জন্মহারের ফলে ২০৩০ খৃষ্টাব্দের মধ্যে মুসলমান ভারতে সংখ্যাগুরু হয়ে যাবে। তখন আমাদের অবস্থা যে কাশ্মীরের হিন্দুদের থেকেও খারাপ হবে না সেটা কে বলতে পারে !! হিন্দুদের বিপুল সংখ্যায় গনধর্মান্তরিত করার জন্য আরব থেকে কোটি কোটির রিয়াল আসছে যা দিয়ে প্রথমেই আমাদের বুদ্ধিজীবী ও সংবাদমাধ্যমকে কিনে ফেলার কাজ প্রায় সম্পূর্ণ হয়েছে। একথা ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র দপ্তর স্বীকার করছে কিন্তু হিন্দু এখনও এক না হওয়ায় সে অনৈক্যের সুযোগ নিয়ে মুসলমান ভোটের লোভে রাজনৈতিক নেতারা চুপচাপ আছে। হাজার হাজার বছরের প্রাচীন মীনাক্ষীপুরমে মাত্র 8/9শ হিন্দু মুসলমান হয়ে যাওয়ার সঙ্গেই সেখানের নাম হয়েছে রহমতনগর। মনে এখন একটাই প্রশ্ন জাগে যে হিন্দু সংখ্যালঘু হলে ভারত কি আর অখণ্ড ভারত থাকবে?? অহিন্দু দেশভক্ত এবং ভারতপ্রেমীরাও তাই সাবধান!
কিছুদিন পূর্বে রামকৃষ্ণ মিশনের একটি সম্মেলন হয়েছিল বেলুড়ে সর্বধর্ম সমন্বয় নিয়ে। সেখানে গুরুগম্ভীর আলোচনা হল কি করে এ মহৎ কাজ করা যায় ?? ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলে একসময় পোপের মাধ্যমে ধর্মান্তরিত হওয়া খৃষ্টানরা আসাম, মনিপুর, ত্রিপুরায় শয়ে শয়ে হিন্দুকে খুন করেছে। হিন্দুত্বের সম্পূর্ণতা, শ্রেষ্ঠত্ব সম্বন্ধে কোন ধারনাই না থাকায় আমরা শত্রু-মিত্র, ভাল-মন্দ, জয়-পরাজয় চেনার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছি।
হিন্দু ছাড়া জগতে কেউ কোথাও যত মত তত পথের কথা বলে না, তবে এসবের জন্য আগেতো হিন্দু সংখ্যাগুরু জনগন চাই, হিন্দুভূমির দরকার তা আমরা ভুলে বসেছি। বিদেশী খৃষ্টান রাষ্ট্র, মুসলমান রাষ্ট্র থেকে কর্মী আর অঢেল অর্থ এখানে আসে কোন সাহসে? সবাই জেনে গেছে নিজেদের উদার, সবজান্তা মনে করা হিন্দুরা এখন উদাসীন, শিথিল, ক্রয়যোগ্য হয়ে পড়েছে।
একটা কথা সত্য যে খৃষ্টান মিশনারীরা মার খাওয়ার ভয়ে কখনই মুসলমান পাড়ায় ঢোকেনা, তারা শুধু শিকারের সন্ধানে ঘুরে বেড়ায় হিন্দু বস্তিতে কারন হিন্দু এলাকায় মার খাওয়ার কোনো ভয় নেই। বেশকিছু পূর্ববঙ্গ থেকে আগত গুরুনির্ভর নব্য হিন্দু সম্প্রদায় এপার বাংলায় প্রচার করে যে রামও যে রহিমও সে অথচ রাম আর রহিমের সহাবস্থান বাংলাদেশে হলো না। আল্লার অনুগামীদের অত্যাচারে ভিটে মাটি ছেড়ে এপারে পালিয়ে আসার পরও নির্লজ্জ হিন্দুদের এতো ঔদার্য সহিষ্ণুতা না আত্মহত্যার লক্ষণ? গত শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী দার্শনিক বর্ধমানের কালনার শ্রী শিবপ্রসাদ রায় তাই যথার্থ বলেছেন, ‘এই খন্ডিত বঙ্গে এখন মুসলমানদের সংখ্যা 30%। এই সংখ্যা একান্নতে পৌঁছলেই গান্ধীবাদ, মার্ক্সবাদ, ভজন, কীর্তন, মালা, টিকি, মহোৎসব, ভোগারতি, পূজা সব শেষ হয়ে যাবে। “সব ধর্ম সমান”, “খেটে খাওয়া মানুষের কোন জাত নেই”, “হিন্দু মুসলিম ঐক্য চাই”, “এই দেশ ধর্মনিরপেক্ষ”, “এখানে শুধু হিন্দুর কথা বলছেন কেন?” – এসব বলার জন্য তখন কেউ থাকবে না। একটা কথাও সত্য যে আজ যারা সেকুলারের দোহাই দিয়ে হিন্দু নির্যাতন মুখবুজে সহ্য করছে তারাই কিন্তু সবার আগে মারা পরবে...। যেমন ইসলামিক বাংলাদেশে, পাকিস্তানে এই ধরনের সেকুলার টাইপের কথা আর কেউ বলতে পারে না। .............রমনার প্রাচীন কালিমন্দিরটা যখন কামান দেগে চূর্ণ করে ট্যাঙ্ক দিয়ে সমান করা হল তখনও ঢাকায় কেউ একটি কথা বলেনি। কখনো বলতে পারবেও না। ......... চলবে।
ReplyDelete