আমরা হিন্দুরা কেমন?
১. এক প্যাকেট সিগারেট কিনি ৫০ টাকা দিয়ে যা আগুনে পুড়িয়ে ছাই করে দিই,যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর।কিন্তু মন্দিরের নির্মানের জন্য,পুজার জন্য ১০ টাকা দেওয়া আমাদের জন্য বিশাল ব্যাপার!২. তিন ঘন্টা বসে একটা মুভি, নাটক, গান দেখতে আমাদের কোন সমস্যা হয় না কিন্তু মন্দিরে ১০ মিনিট প্রার্থনা, ধর্ম আলোচনা শোনা আমাদের জন্য বিরাট বিরক্তির বিষয়!৩. ফোনে মেয়েদের সাথে ফোনালাপ করে সময় টাকা দুটোই ব্যয় করি যার ফলাফল কষ্ট,বিরহ,জীবন নষ্ট কিন্তু ধর্মের জন্য ওই টাকা ব্যয় করলে লাভ করবেন পরম শান্তি যা কখনো আপনাকে কষ্ট দেবে না।সাথে পরপারের পুন্যের পাল্লা ভারী হবে!৪. একটা উপন্যাস, গল্পের বই পড়তে টানা দুই ঘন্টা ব্যয় করছেন ফলাফল ভালো কিছু শিখবেন না কিন্তু দুই ঘন্টা গীতা পড়লে পাবেন পরম শান্তির পথ,যা আপনাকে পাপ কাজ থেকে বিরত রাখবে।৫. আর্জেন্টিনা,ব্রাজিল খেলায় জিতলো না হরলো তার আপডেট চাই,দল হারলে কান্না,অত্মহত্যা আরো কত কি? কিন্তু চারপাশে অত্যাচারিত মা বোন ভাইয়ের কান্নার সংবাদ আমরা রাখি না!৬. প্রেমের কারণে একটা মেয়ে বা একটা মেয়ের জন্য মরতে পারি কিন্তু অত্যাচারিত মা বোনকে বাঁচাতে এগিয়ে যাই না যদি জীবন চলে যায়!৭. খারাপ কাজ,বাজে অভ্যাস আমাদের কেউ শিখাতে হয়না কিন্তু ভালো কাজ করার কথা না বললে বুঝতেই পারি না।৮. সারা জীবন গীতা না পড়ে যে মারা গেছে তার বুকের উপর গীতা দিয়ে 'রাখি এতে কতটা স্বর্গে যাওয়ার রাস্তা ক্লিয়ার হয় তা আমি বুঝি না তবে মৃত দেহের উপর গীতা রাখলে গীতার পবিত্রতা নষ্ট হয়।৯. হিন্দু বলে পরিচয় দিই কিন্তু সারা গায়ে ও কাজে হিন্দুত্বের চিহ্ন মাত্র নেই।৯. গায়ে নায়ক নায়িকার ছবি যুক্ত জামা টিশার্ট,গলায় যিশুর ক্রুশেড চিহ্ন পরতে আমাদের লজ্জা লাগে না বরং নিজেকে মডার্ণ ভাবি।কিন্তু ভগবানের ছবিযুক্ত জামা,টিশার্ট পরতে আমাদের সংকোচ কারণ তখন নিজেকে বড় ব্যাকডেটেট মনে হয়!১০. গোটা জীবনে রামায়ন, মহাভারত,বেদ,গীতা না পড়েই নাস্তিক সেকুলার সাজি।১১. নিজেদের ধর্মের মহাপুরুষদের ভগবান বানিয়ে নতুন নতুন মতবাদ চালু করে নিজেরা নিজেরা রেষারেষি, দলাদলি।আমরা জানিই না মহাপুরুষ আর ভগবানের পার্থক্য।আজব সব কর্ম আমাদের হিন্দুদের।ভাবতেখুব কষ্ট লাগে।কবে যে আমাদের জ্ঞানচক্ষু খুলবে ভগবান জানে।তবুও বলি জয় সনাতনের জয়।
No comments:
Post a Comment