Wednesday, 9 September 2015

অহিংসা

যারা পৃথিবীতে যুগ যুগ ধরে অহিংসার কথা বলে এসেছেন.... সেই তারাই আজ কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে........ উলটো সুরে কথা বলতে শুরু করেছেন ....... অথচ এই বোকা নির্লজ্জ হিন্দুজাতি আজও সেই বাস্তবটাকে বুঝতে পারেনি। ........... ________________________________________________ ** সুদীর্ঘ 2500 বছর পরে 17 জানুয়ারী, 2009 দিল্লীতে এক ভাষনে বৌদ্ধ ধর্মগুরু চতুর্দশ দালাই লামা বলেছেন, ‘'অহিংসা দ্বারা সন্ত্রাসবাদ দমন করা সম্ভব নয়। সন্ত্রাসীরা মেধাবী এবং শিক্ষিত, কিন্তু তাদের মনের দ্বার অবরুদ্ধ হয়ে আছে।'’ অহিংসবাদী বৌদ্ধ, জৈন ও বৈষ্ণব দলভুক্ত এক বিরাট সংখ্যক ভারতীয় হিন্দু ভক্তিবাদ আর অদৃষ্টবাদের উপর নির্ভরশীল হয়ে আত্মরক্ষায় অক্ষম হয়ে পড়েছে। এরা দেশরক্ষার কথা একটুও ভাবেন না। সেই কারনে পূর্ববঙ্গ থেকে হিন্দুরা 1946 থেকে শুরু করে আজও জন্মভূমি ত্যাগ করছে। 47 এর দেশভাগের পর পাকিস্তান থেকেও হিন্দুরা ভারতে চলে আসছে। পাকিস্তান-আফগানিস্তান আজ হিন্দু শূন্য যদিও স্বাধীনতার সময় সেখানে প্রায় 25 % ও ইসলামিক বাংলাদেশে 30 % হিন্দু ছিলেন যা মোটেই আত্মরক্ষার প্রয়োজনে কম নয়। ইউরোপের বলকান অঞ্চলে 12% সার্ব ক্রোয়েশিয়ায়,17% ক্রোট বসনিয়ায় ও 8% আরমেনীয় আজারবাইজানে নিজস্ব রাজ্য গঠন করেছে। দক্ষিনপূর্ব সিন্ধু (পাকিস্তান), পশ্চিম বাংলাদেশ, উত্তর শ্রীলংকা এবং দক্ষিন ভূটানে বেশ কিছু জায়গা হিন্দু অধ্যুষিত হওয়া সত্ত্বেও সেসব স্থান এমনকি বৌদ্ধ ভূটান ও শ্রীলংকা থেকেও লক্ষ লক্ষ হিন্দু বিতাড়িত হয়ে ভারতের বিভিন্ন উদ্বাস্তু শিবিরে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে। দক্ষিন ভূটান থেকে ভূটানী সেনা দিয়ে বহিষ্কৃত লক্ষাধিক হিন্দু এখন ভারতের উদ্বাস্তু শিবিরে আছেন। স্বাধীনতার সময় 30% থেকে হিন্দুর সংখ্যা শ্রীলংকায় কমে এখন মাত্র 15% কারন বেশীরভাগ হয় খুন হয়েছেন নয় চেন্নাই সহ তামিল নাড়ুর রিফিউজী ক্যাম্পে দিন কাটাচ্ছেন অথচ দক্ষিন ভূটানের মত উত্তরপূর্ব শ্রীলংকাও হিন্দু সংখ্যাগুরু অঞ্চল। আজকাল আবার হিন্দু প্রধান নেপাল পর্যন্ত চিনের দালাল মাওবাদীদের খপ্পরে পড়ে হিন্দু রাষ্ট্রের ইতি ঘটিয়ে ভারতের সাথে শত্রুতা শুরু করেছে। সর্বহারা ছিন্নমূল মানুষেরা পর্যন্ত ধর্ম এবং আত্মরক্ষার্থে আজীবন ধর্মযোদ্ধা সুদর্শনধারী শ্রীকৃষ্ণকে ভুলে শুধুই কেন বংশীধারী শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করেন? অশুভশক্তির বিরুদ্ধে শুভশক্তির সংগ্রাম ও বিজয়ই মহাভারত তথা হিন্দুধর্মের পবিত্রতম গ্রন্থ “ভগবৎ গীতা”র সার। হিন্দুদের দুর্দশার প্রধান কারন ছিল অনৈক্য ও জাতিভেদ এবং সুখের কথা জাত-পাতের মাধ্যমে যে একতার অভাব তা অনেকাংশে কমেছে। তবে আত্মকেন্দ্রিকতাও সামাজিক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক অনুপ্রবেশ ঘটায় অনৈক্য এখনো প্রকট। বাবা রামদেব, আন্না হাজারে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ প্রভৃতি এব্যাপারে চেষ্টা চালাচ্ছেন। ________________________________________________ পশ্চিমবঙ্গে বাম সরকার সাড়ে তিন দশকে পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্ক নষ্ট করে দিয়েছে। অপরদিকে পরবর্তী সরকার নির্বাচনে ভোটব্যাঙ্কের লোভে উন্নয়নের নামকরে মাত্রাতিরিক্ত মুসলিম তোষন শুরু করেছে। দশ হাজার অবৈধ মাদ্রাসাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে যা সেখানে ছাত্র সংখ্যা বাড়াতে ও কেন্দ্রীয় অনুদান পেতে সাহায্য করবে। প্রতিটিতে গড়ে একশ ছাত্র হলেও দশ বছরে এই খন্ডিত বাংলা নতুন করে এক কোটি জেহাদী পাবে। বহুদিন ধরেই গোয়েন্দা ও বিভিন্ন সরকারী বিভাগ প্রমান দিয়ে চলেছে যে বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত নতুন গজিয়ে উঠা মাদ্রাসা ও মসজিদ গুলো জিহাদী তৈরী এবং ভারতবিরোধী চক্রান্তের আঁতুড়ঘর হিসেবে গড়ে উঠেছে। শুধু এই ধর্মনিরপেক্ষ পশ্চিম বাংলাতেই পাশের ইসলামিক বাংলা (বাংলাদেশ) থেকে 2011এর মধ্যে দু-কোটির উপর অবৈধ বাংলাদেশী মুসলমান ঢুকে পড়েছে, সারা ভারতে যাদের সংখ্যা প্রায় পাঁচ কোটি। বাংলাদেশ থেকে হিন্দু শরনার্থী আত্মরক্ষার্থে ভারতে এলে তাদের বি এস এফ দিয়ে ফের ওপারে তাড়িয়ে দেয়া হয়, ভারতে ঢুকতে দেয়না। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী মুসলিম এলে সিপিএম ভোটার তালিকায় নাম তুলে দেয় তো কংগ্রেস রেশন কার্ড বানিয়ে দেয়। বাংলাদেশের জনগননার সাথে যুক্ত সরকারী সংস্থা বি বি এস জানিয়েছে যে তাদের দেশ থেকে এক কোটি লোক শুধুমাত্র দশ বছরে 1981-1991 এর মধ্যে বেপাত্তা হয়ে গেছে যারা প্রায় সবাই বিনা ভিসায় ভারতে ঢুকে পড়েছে। কিছু পাসপোর্ট নিয়ে এসেছে চিকিৎসা, ভ্রমন বা আত্মীয়ের সাথে দেখা করার নামে কিন্তু ফিরে যায়নি ও তাদের সংখ্যাও লক্ষ লক্ষ, তবু নির্বোধ নেতাদের কথায় ভারত সরকার এখনও ওদেশের মুসলমানদের ভিসা দিচ্ছে। প্রতি বছর শুধু মেদিনীপুর শহরে উরস করতে এক ট্রেন মুসলিম বাংলাদেশী আসে কিন্তু ট্রেনটা প্রায় খালি ফিরে যায়। এদের বসবাসের ফলে যে শুধু পশ্চিম বাংলার ৭-৮টি সীমান্তবর্তী জেলায় ভূমিপুত্র হিন্দুরা সংখ্যালঘু হয়ে গেছে তাই নয় জনবিন্যাস বদলে দিয়ে তারা দেশের সুরক্ষার অন্তরায় হয়ে উঠেছে। গোহত্যা, নারী ও শিশু পাচার এবং চোরাচালান এদের পেশা। অনতিবিলম্বে সরকার আইনসম্মতভাবে এদের সেনা দিয়ে ঘার ধাক্কা দিয়ে সীমান্ত পার না করে দিলে এরা বৃহত্তর ইসলামিক বাংলাদেশ গড়েই ছাড়বে কোটি কোটি হিন্দুর প্রান-মান-ইজ্জতএবং ভারতমাতার অখন্ডতা ও সম্ভ্রমের বিনিময়ে। সরকারের খাতায় শুধু কলকাতায় ২০ লক্ষ বিদেশী মুসলমানের হিসেব আছে। নেতাদের শুধু লক্ষ্য সামনের নির্বাচন। জ্যোতি বসুর সিপিএম সরকার অপারেশন সানসাইন নামে কলকাতায় হকার উচ্ছেদ করতে গিয়ে পূর্ববঙ্গ থেকে আসা সব হিন্দু হকারদের তুলে দিলেন কিন্তু বাংলাদেশ থেকে আসা উর্দুভাষী হকারদের ছেড়ে দিলেন কারন তাদের পিছনে ছিল ডেপুটি স্পীকার তথা ফরয়োর্ড ব্লকের খাদ্য মন্ত্রী কলিমুদ্দিন শামস যিনি প্রত্যেক মিটিংএ বলতেন, ‘আমি আগে মুসলমান পরে ভারতীয়।’ আমাদের সাংবাদিকরা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হলে হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের জন্য লেখে '‘দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ’',

1 comment:

  1. যাতেবড় কোনো সংঙ্ঘর্ষ না ছড়িযে পরে সেই বৃহত্ত্বর স্বার্থে সত্য গোপন করা হয় আবার কিছুটা ইচ্ছাকৃত ভাবেও মুসলিমদের দোষ আড়ালের চেষ্টা হয় । তবে হিন্দু ঐক্য ভাঙ্গতে এরাই আবার দুই হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে কিছু হলে সেটা ফলাও করে হেডলাইন তৈরি করা হয়। আবার হিন্দুদের সঙ্গে মুসলিমদের সংঘাতে কোন এক শ্রেনীর হিন্দু যদি সেখানে বেশী থাকে তো বলে, “ঘোষেদের সাথে মুসলমানদের রায়ট” বা “খটিকদের সাথে মুসলিমদের সংঘর্ষ” যেন ঘোষেরা বা খটিকরা হিন্দু নন! অসমের মুসলমান অনুপ্রবেশ বিরোধী দীর্ঘ, শক্তিশালী আন্দোলনকে এরা ছোটো করে দেখিয়েছে চিরকাল, অন্যরকম রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছে বাঙ্গালী বিরোধী সংগ্রাম বলে। যদিও সত্যিটা খুবই সরল যে বাংলাভাষী মুসলমান বাংলাদেশী অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে এই লড়াই আসামের সমস্ত হিন্দুর অস্তিত্বের প্রশ্ন। সারা দেশের উর্দু চ্যানেলগুলোর আর্তনাদ শুনলেই বোঝা যায় এর লক্ষ্য ঠিক কারা। আসাম থেকে খুব তাড়াতাড়ি যদি এক কোটির মত বাংলাদেশী মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের না তাড়ানো হয় তো বাংলাদেশের জাহাঙ্গির নগর বিশ্ববিদ্যালয় ও ওখানের গুপ্তচর সংস্থা ডি জি এফ আই এর প্ল্যান অনুযায়ী আসাম ও উত্তরপূর্ব ভারতকে শিলিগুড়ির ‘চিকেন নেক’ অঞ্চলে বিছিন্ন করে বাংলাদেশের অঙ্গ করে নেওয়া হবে। হিটলারের জার্মানির জমি নীতি নিয়ে ওরা একে নাম দিয়েছে ‘অপারেশন ল্যাবেনস্রউম’। ল্যাবেনস্রউম মানে বাঁচার জন্য জায়গা অর্থাৎ তাদের জনবিস্ফোরনের সমাধান অপরের অধিক জায়গা নিয়ে করা। আসামের যুবকরা যখন সচেতন হয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে চাইছে তখন মুসলিম ভোট লোভী তরুন গোগৈর কংগ্রেস সরকার আদালতের আদেশ অমান্য করে সব উল্টে দিতে চাইছে।
    সংগঠিত ধর্মান্তরকরন আইন করে নিষিদ্ধ করেছে বেশ কিছু বি জে পি শাসিত রাজ্য সরকার যা সারা দেশে হওয়া প্রয়োজন। ভারতীয় সংবিধান যখন সর্ব ধর্মকে সমান অধিকার দিয়েছে তখন বিদেশী অর্থপুষ্ট সংগঠনগুলো কেন এব্যাপারে কাজ করছে খৃষ্টান মিশনারী ও মৌলবীদের হয়ে? ভারতে অভিন্ন দেওয়ানী আইন ও মুসলমানদের জন্মনিয়ন্ত্রনের ব্যাপারে সরকার উদাসীন। হিন্দু পরিবারগুলোতে এখন গড়ে একটি সন্তান, সে নিম্নবিত্ত হোক বা উচ্চবিত্ত, যেখানে প্রতি মুসলমান পরিবারের গড় সাড়ে তিন এবং এভাবে চললে বাংলা 2025 সাল ও ভারত 2040 সালে গনতান্ত্রিকভাবেই ইসলামিক দেশ হয়ে যাবে। তাছাড়া বাপ-মা দুই জন প্রতি হিন্দুদের একটি সন্তান হওয়ার ফলে মানসিক, সামাজিক সমস্যা ছাড়াও প্রতি প্রজন্মে জনসংখ্যা অর্ধেক হয়ে যাবে যা হিন্দুদের সামগ্রিক শক্তিও হ্রাস করে অচিরেই এক লুপ্ত জাতির রূপ নেবে। ভারতের স্থায়িত্ব নষ্ট করে তখন মুসলমান হয়ে ৩-৪ সন্তানের পিতা মাতা হওয়ার থেকে এখন থেকেই যদি ২-৩ সন্তানের বাবা-মা হন তো সেদিন দেখতে হবে না।

    ReplyDelete