Wednesday, 9 September 2015

মিসাইল প্রুফ দেশ হচ্ছে ভারত!

মিসাইল প্রুফ দেশ হচ্ছে ভারত! ভারত খুব তাড়াতাড়ি মিসাইল প্রুফ দেশে পরিণত হচ্ছে বলে www.defencenews .in-এর উদ্ধৃতি দিয়ে কলকাতাভিত্তিক একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল খবর প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, একুশ শতকের সবচেয়ে উন্নতমানের মিসাইল ধ্বংসকারী অস্ত্র তৈরিতে মনোনিবেশ করছেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা৷ যাতে প্রাথমিকভাবেই সাফল্যও এসেছে৷মিসাইল বিধ্বংসী এই অস্ত্রের নাম রাখা হয়েছে ‘কালী৷’ বৈজ্ঞানিক ভাষায় এই অস্ত্রের পুরো নাম ‘কিলো অ্যাম্পায়র লিনিয়র ইনজেক্টর৷’ যাকে সংক্ষেপে বলা হচ্ছে ‘কালী’৷ কোনো দেশ ভারতের দিকে তাক করে কোনো মিসাইল হামলা চালালে তা দেশের সীমান্তে প্রবেশের আগে মাঝপথেই ধ্বংস করে দেবে ‘কালী’৷ এক নয় একাধিক মিসাইল একইসঙ্গে ধ্বংস করে দিতে সক্ষম সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই অস্ত্র৷ এই মিসাইল বিধ্বংসী অস্ত্রের মধ্যে রিলেটিভিস্টিক ইলেক্ট্রনস বিমস প্রযুক্তিকে ব্যবহার করা হচ্ছে৷ যা যেকোনো মিসাইলের গতিপথকে মুহূর্তের মধ্যে ট্রাক করতে পারবে৷ মিসাইল লোকেট হওয়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই তা ধ্বংস করে দিতে সক্ষম হবে ‘কালী’৷ বিজ্ঞানীরা বলছেন, ইলেক্ট্রিকাল মাইক্রোওয়েভের মাধ্যমে মিসাইল ধ্বংস করবে ‘কালী’৷ প্রতিটি মাইক্রোওয়েভ জিগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ বহন করবে (এক জিগাওয়াট অর্থাৎ একহাজার মিলিয়ন ওয়াট বিদ্যুৎ)৷শুধুমাত্র মিসাইল নয় শত্রুপক্ষের যেকোনো ধরণের যুদ্ধবিমানকে মাঝআকাশে ধ্বংস করে দেবে কালী থেকে নির্গত মাইক্রোওয়েভ৷ ভারতীয় বিজ্ঞানীরা বলছেন, যেকোনো লেজার অস্ত্র থেকেও বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন হতে চলেছে ‘কালী’৷সূত্রের আরো খবর এই মাইক্রোওয়েভ প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে মাইক্রোওয়েভ গান তৈরি করার কথাও ভাবা হচ্ছে৷ গ্রাফিক্স প্রেজেন্টেশন : মূল ছবিটি গোপন রাখা হয়েছে, খানিকটা এভাবেই কাজ করবে ‘কালী’ বিজ্ঞানীরা বলছেন, আর্কিমিডিস যেভাবে সূর্যের আলোকে ব্যবহার করে একটি রোমান যুদ্ধজাহাজে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন৷ কালীর প্রযুক্তি অনেকটাই সেই ধরণের৷ এক্ষেত্রে সূর্যের আলো নয় বিদ্যুৎকে কাজে লাগানো হবে৷ জানা গেছে ১৯৮৫ সালে এমন একটি মিসাইল ধ্বংসকারী অস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা করেছিলেন তৎকালীন বিএআরসি (BHABHA ATOMIC RESARCH CENTER) ডিরেক্টর আর চিদম্বরম৷পরিকল্পনার ঠিক চার বছর পরেই এই অস্ত্র তৈরির কাজ শুরু করেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা৷ ইতিমধ্যেই প্রাথমিক পরীক্ষায় ‘কালী’ সফল হয়েছে বলে সূত্রের খবর৷ ২০১২ সালে সিয়াচেনে প্রাথমিক টেস্ট করা হয়েছিল৷ এই টেস্টের জেরে সিয়াচেন-সংলগ্নপাকিস্তান সীমান্ত এলাকায় একটি ধসের সৃষ্টি হয়৷ যে ধসে ১৩৫ জন পাকিস্তানি সেনার মৃত্যু হয়েছিল বলে দাবি করে পাকিস্তান সংবাদ মাধ্যম৷ পাকিস্তান সংবাদ মাধ্যমের আরো দাবি ছিল, ভারতীয় বিজ্ঞানীদের তৈরি ইলেক্ট্রন ঘাতক রশ্মির জেরেই সিয়াচেনে ওই মারণধস নেমেছিল৷ ভারতীয় সেনা সূত্রে জানা গেছে একই ধরণের প্রযুক্তি তৈরি করার চেষ্টা করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও৷ কিন্তু মার্কিনি বিজ্ঞানীরা সাফল্যের মুখ দেখতে পাননি৷ অন্যদিকে ভারত এই প্রযুক্তি তৈরিতে একেবারে সাফল্যের দোরগোড়ায় বলে খবর৷

No comments:

Post a Comment