ধরে নিচ্ছি হিন্দু দেব-দেবীরা সব লুচ্চা,ধর্ষক, বেশ্যা ছিল। কিন্তু তাদেরকে অনুসরণ করে কেও কি দাবী করছে, যে তাকেও লুচ্চামি করতে দিতে হবে, ধর্ষন করতে দিতে হবে, বেশ্যাগিরি করতে দিতে হবে, বহুবিবাহ করতে দিতে হবে, নারীদের সমানাধিকার দেওয়া যাবে না। না এসব বিষয়ে আইন হয়েছে, না আইন কেও চাইছে, না চাইবে। আধুনিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সাথে আধুনিক রাষ্ট্রীয় আইনকেই গ্রহন করেছে। যা আছে, তা কেবল মাত্র বংশ পরম্পরায় পালনীয় কিছু রীতি। দিনের দিন তারও পরিমার্জন হচ্ছে, কেও বাধা দিচ্ছে না। কেও তাকে ধর্মগ্রন্থ খুলে দেখাচ্ছে না, এই দেখ ধর্মগ্রন্থে এই আছে, অতএব শাস্ত্র মোতাবেক তোমাকে এই-ই করতে হবে। কে কি মানবে, না মানবে সেটা সম্পূর্ণ রূপেই তার ব্যক্তিগত বিষয়। হ্যাঁ, আজও যে মারাত্মক ব্যাধিটা হিন্দু সমাজে রয়ে গেছে, সেটা জাতি ভেদ প্রথা। সেটাও ব্যক্তিগত পর্যায়েই আছে। কেও না মানলে, বাধ্য করার কেও নেই। অপরদিকে আমাদের প্রতিবেশী শান্তির দূতেদের দিকে নজর দেওয়া যাক। তাদের সবকিছু ধর্মগ্রন্থ ভিত্তিক হতে হবে। বহুবিবাহ চালু আছে, নাবালিকা বিবাহ চালু আছে, তিন তালাক প্রথা চালু আছে, বোরখা পরতে হবে, গণিমতের মাল ভোগ করতে দিতে হবে, ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখতে হবে, নামাজ পড়তে হবে, দারুল ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে হবে, অধিক সন্তান নিতে দিতে হবে, নাস্তিক হলে ফাঁসি দিতে হবে, নারী অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে দোররা মারতে হবে, নাস্তিক হলে খুন করতে হবে বা ফাঁসি দিতে হবে। সহি ইসলামের ঠেলায় দেশে দেশে অশান্তি। ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্থানের লাখ লাখ মানুষ আজ দেশ ছাড়া। বাংলাদেশ, পাকিস্থান থেকে ভারতে শরনার্থী আসা আজও শেষ হয় নাই। কারন এসবই তাদের ধর্মগ্রন্থ ভিত্তিক, মুহাম্মদের নির্দেশ এবং তিনি নিজে করে গেছেন। এখন এর দ্বারা আমি আপনি ও দেশ কি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেনা? তাহলে আপনি কার বিরুদ্ধে বেশি সরব হবেন, যারা ধর্মগ্রন্থকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে নাকি যারা ধর্মগ্রন্থ বলতে অজ্ঞান তাদের বিরুদ্ধে? প্রশ্ন আপনার বিবেকের কাছে। আর আমি! প্রবল রাজনৈতিক ইসলামের বিরোধী। কোন আপত্তি আছে?
No comments:
Post a Comment