এই শতাব্দীর এক অকুতোভয় অনন্য সাধারন বামপন্থী কথা সাহিত্যিক 'হুমায়ূন আজাদ' ও বাংলাদেশের হিন্দু নিপীড়নের উপর তার অমর কালজয়ী সৃষ্টিঃ
"পাক সার জমিন সাদ বাদ" -- (পর্ব - ১৭)
------------------------------------------------------------
পর্ব যত বাড়ছে জিহাদের নৃশংসতা,
নারীদের উপর ইসলামী বর্বর অত্যাচারের কাহানী ততোই বাড়ছে। তাই পড়ুন। আজকের পর্ব কেউ মিস করবেন না।।
-----------------------------------------------------------
আমি তাজ্জব হই জিহাদিদের পিস্তলের শক্তি দেখে।
একটু অসুবিধা হয়ে যায় আমার দশ জিহাদিকে নিয়ে।
কিন্তু তারা জিহাদি, পাক বিজয়উতসব করতে এসেছে, আমি বাধা দিই না; আমার ইতিহাসের নানা অধ্যায় মনে পড়ে, একে আমি ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি বলেই মনে করি এবং এক্স এক্স এক্স দেখতে দেখতে ইতিহাসকে রিওয়াইন্ড ও রিপ্লে করতে আমার বেশ ভালো লাগে। আমার দশ জিহাদি ইতিহাস রিপ্লে করতে চায়, আমি বাধা দিয়ে ওদের বিজয়ের উতসবের আনন্দ মাটি করতে পারি না।
ওদের দশ জনেরই পছন্দ হয় দস বছরের একটি বালিকাকে, ঠিক ছোটো এক সুচিত্রা সেনকে; ওরা একসঙ্গে তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে চায়। ওরা অবশ্য সুচিত্রা সেনকে দেখেনি, দেখেছে মাধুরী দিক্ষীতকে, তাই একটু বেশি উত্তেজিত হয়; আমি দেখি এক বালিকা সুচিত্রাকে, বালিকাটি তরুনী সুচিত্রা সেন হলে ‘অগ্নিপরীক্ষা’রশেষ দৃশ্যে উত্তমের মতো আমি জড়িয়ে ধরতাম। সুচিত্রা সেনকে বাল্যকাল থেকেই আমি পছন্দ করি, তবে তার উপর চড়ার স্বপ্ন আমি কখনও দেখিনি, শুধু বুকে লেপ্টে জড়িয়ে ধরে গালে গাল ঘষার গ্রীবায় একটু ঠোঁট রাখার স্বপ্ন আমি দখেছি।
মেয়েটির বাবা আর মা আমার পায়ে এসে পড়ে; বলে, ‘হুজুর, দশজন জিহাদি মাইয়াডার উপর একলগে ঝাপাই পরছে’।
আমি বলি, ‘কিভাবে ওরা করলে আপনারা খুশি হন?’
মেয়েটির মা বলে, ‘হুজুর, হুজুর আমার মাইয়াডা মাত্র দশ বচ্ছর, অর অহনও এখনও রক্ত দেহা হয় নাই, ও নাবালিকা হুজুর’।
আমি বলি, ‘রক্তের দরকার নাই, রক্ত আমরা অনেক দেখেছি’।
মেয়েটির মা পায়ে পড়ে বলে, ‘মাইয়াডা মইর্যা যাইব, হুজুর’।
আমি বলি, ‘তাহলে জিহাদিরা কীভাবে উৎসব করবে?’
মেয়েটির মা বলে, ‘হুজুর, আমার মাইডা কচি, আপনেরা একজন একজন কইর্যা যান, একলগে যাইয়েন না, হুজুর’।
আমি জিহাদিদের লাইন করে দাঁড় করাই, বলি, ‘জিহাদিরা তোমরা এক একজন করে যাও, বেশি সময় নিও না’।
লাইনের প্রথমে জিহাদি মোঃ আল জমিরুদ্দিনের বাড়িতে দুইটি বিবি আছে, সে এক প্রচন্ড শক্র পুরুষ, তার পুরুষাঙ্গ হয়তো পিস্তলের থেকেও প্রচন্ড। সে নিজেই মাথা থেকে পা পর্যন্ত এক দন্ডায়মান পুরুষাঙ্গ। তার ভাগ্য হল লাইনে সে প্রথম, সেই প্রথম ঢোকে। ঢোকার কিছুক্ষন পর মেয়েটির একটি চিৎকার শুনতে পাই, মনে হয় মেয়েটির ভেতরে হয়ত একটি কামান ঢুকছে।
সে অভিজ্ঞ পুরুষ তার বের হতে একটু সময় লাগে।
হয়তো সে সুযোগ বুঝে দইটি চান্স নেয়, কিন্তু আমি কি করতে পারি? তিনটি চান্স নিলেও আমার কিছু করার ছিল না; জিহাদকে আমি বন্ধ দিতে পারিনা।
তারপর একের পর এক জিহাদিরা ঢুকতে অ বেরোতে থাকে, বুঝতে পারি আগে থেকেই তারা টানটান ছিল, ক্ষরনে সময় লাগেনি। মেয়েটির আর চিৎকার শুনিনি। মেয়েটি খুব লক্ষ্মী।
শুধু আমার পায়ের নিচে বসে কাঁদছিল মেয়েটির বাবা আর মা।
একরাতে হয়না, রাতের পর রাত আমরা ঠান্ডা আগুনে শীতল করতে থাকি মালাউন পাড়াগুলো।
No comments:
Post a Comment