বাংলাদেশের সরকার এবং গণতন্ত্র নিয়ে হুমায়ুন আজাদ স্যারের বিশ্লেষণ:
.
আমাদের দেশ গণতান্ত্রিক নয়, ছদ্মগনতান্ত্রিকবা ভুয়োগনতান্ত্রিকবা স্বৈরাচারী গণতান্ত্রিক বা গুন্ডাগনতান্ত্রিক – নামেই এখানে গণতন্ত্র আছে, কাজে নেই । খুন, সন্ত্রাস, লুটপাট ধর্ষণ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে অল্পস্বল্প থাকতে পারে, সেটা রাষ্ট্রের ব্যর্থতা , গণতন্ত্রের নয়; গণতন্ত্রের মুল ব্যাপার হচ্ছে ব্যক্তির অধিকার । রাষ্ট্র নয়, সমাজ নয়, ব্যক্তির চুড়ান্ত অধিকার ও অধিকার প্রতিষ্ঠাই গণতন্ত্রের লক্ষ্য;
রাষ্ট্র ও ব্যক্তির মধ্যে যদি বিরোধ বাধে, গণতন্ত্রে জয় হয় ব্যক্তির।
কিন্তু আমাদের দেশে ব্যক্তির বিশেষ কোন অধিকার নেই; এখানে কয়েকটি ক্ষমতাসীন মানুষ আর একপাল আমলা সর্বশক্তিমান, তারা ব্যক্তিমানুষকে যেভাবে ইচ্ছে সেভাবে পর্যুদস্ত করতে পারে । পুলিশ, সংসদ সদস্য, আমলা, মন্ত্রী যা ইচ্ছে তা করতে পারে, তাদের অধিকারের সীমা নেই, আর সাধারন ব্যক্তিমানুষ প্রায়-অধিকারহীন।
খুন, ধর্ষণ, সন্ত্রাস, লুটপাট, যাতে না হয়, তা দেখা রাষ্ট্রের দায়িত্ব- ব্যর্থরাষ্ট্র এগুলো দমন করতে পারেনা, এগুলোর জন্য গণতন্ত্র দায়ী নয়।
দেখা যাবে স্বৈরতন্ত্রে খুন, সন্ত্রাস, লুটপাট ধর্ষণ কম হয়, কারণ স্বৈরশাসকদের ভয়ে মানুষ কাঁপে; যেমন সৌদি আরবে খুন, সন্ত্রাস ,লুটপাট, ধর্ষণ কম হয়, তার অর্থ এই নয় যে অখানে গণতন্ত্র আছে।
আমাদের সরকারসমূহ নিজেদের শোচনীয় ব্যর্থতার দোষ চাপায় গণতন্ত্রের ওপর; আর তারা প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, মানুষের অধিকারে বিশ্বাস করে না।
মুসলমানদের মুক্তি ঘটে নি,
ReplyDeleteকারণ তারা অতীত ও তাদের
মহাপুরুষদের সম্পর্কে কোনো সত্যনিষ্ঠ
আলোচনা করতে দেয় না।
- হুমায়ুন আজাদ